| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আফনান আব্দুল্লাহ্
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্
‘আচ্ছা, ফাঁসির দড়িতে মোম কেন মাখানো হয়?’
ফাঁসির মঞ্চে উঠে দড়ির দিকে তাকিয়ে জল্লাদকে প্রশ্ন করেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। মৃত্যুর মঞ্চে দাঁড়িয়ে আঠার বছরের বালকের এমন জানার আগ্রহে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় সবাই। মুহূর্ত পরেই তাঁর মাথায় পরানো হয় জম টুপি
এর আগে ক্ষুদিরাম জানিয়ছিলেন তাঁর শেষ ইচ্ছা - তিনি সকল ভারতবাসীকে বোমা বানানোয শেখাতে চান। বিস্ফোরক তৈরিতে কিশোর ক্ষুদিরামের ছিল চমৎকার দক্ষতা। উপনিবেশবাদী শোষক শক্তির বাইরে, কোনো সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ক্ষমতা থাকা অপরাধ।
ক্ষুদিরাম বসুর নাবালক বয়সে মৃত্যুদণ্ড পাওয়াতে তাঁর বোমা বানানোর দক্ষতা ভূমিকা রেখেছিল। ইংরেজ বিচারপতি কিংসফোর্ডকে বোমায় হত্যা করতে বোমা মেরে দুজন ইংরেজ নারীকে মেরে ফেলেন। তাঁর দক্ষতায় ভরসা করে তাঁকে এমন একটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ মিশনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ভুল হয়ে যায়।
আদালতে ক্ষুদিরামের বিরুদ্ধে অস্ত্র বহন, বোমা নিক্ষেপ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। বোমার ধ্বংসাবশেষ, বোমা তৈরির উপকরণ এবং পূর্ব প্রশিক্ষণের প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। এসব তথ্যই বিচারকের কাছে ক্ষুদিরামকে "অত্যন্ত বিপজ্জনক বোমা-নিপুণা যুবক হিসেবে চিহ্নিত করে। ফলে তাঁর বোমা বানানোর ও ছোড়ার দক্ষতাই তাঁকে অপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে তুলে ধরে। বয়স কম হওয়ার পরেও বিচারক তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
ইতিহাস বলে পশ্চীমা বলয়ের বাইরে যারা অস্ত্র বানাতে শিখে তাদের জীবনে দোজখ নেমে আসে।
.
আমেরিকান পদার্থবিদ ওপেনহাইমার সোভিয়েত এর কাছে পরমানু বোমার প্রযুক্তি পাচার করছেন - এমন সন্দেহে মার্কিন গোয়েন্দারা তার জীবন ত্যানা ত্যানা করে দেয়।
.
ইসরায়েল ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত ২০ জন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরে ছিলেন পাকিস্তানি
পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খান। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পারমাণবিক প্রযুক্তি পাচারের, এবং তিনি ছিলেন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর টার্গেট - বহুবার হত্যার শঙ্কা বা পরিকল্পনার কথা সংবাদে এসেছে।
.
ইরাকের পরমাণু প্রকল্পে যুক্ত বিজ্ঞানীদের ১৯৮০–৯০ সালে টার্গেট করা হয়েছিল। মারা হয়েছিলো অন্তত তিন জনকে। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরাও নানাভাবে নিখোঁজ বা খুন হয়েছেন বলে সন্দেহ রয়েছে।
.
অস্ত্রজ্ঞান স্বাধীনতার হাতিয়ার। এদিক সেদিক হলেই এখন মাথার উপর চলে আসবে বি-টু বোম্বার।
.
#afnan_abdulah
©somewhere in net ltd.