নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা

নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলন্ত বাসে প্যান্টের জিপার খুলে একজনের লুইচ্চামি এবং একটি সমাজের প্রতিচ্ছবি

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৮

কাল সন্ধ্যার ঘটনা (কাল রাতে লেখার সুযোগ, মুড কিছুই ছিল না। তাই আজ লিখছি।)। আমি ছয়টার পরপরই ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়েছি। তারপর কাকলী এসে বাসে ওঠলাম। এক মিনিটও অপেক্ষা করতে হয়নি। বাস মানে লোকাল বাস। দরকার না পরলে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজির প্যারা আজকাল কম নিই। তাই বিআরটিসি'র দোতলা বাস বা অন্য লোকাল বাসেও উঠে যাই। কারণ অপেক্ষাকৃত 'ভালো' বাসের জন্য ৩০/৪০/৫০ বা তারো অধীক সময়ের অপেক্ষা অসহনীয়; এরচে' লোকাল বাসই স্বস্তিদায়ক।

তো আমি কাকলী মোড় থেকে বাসে উঠেছি। সিট ছিল না। দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাসে খুব যে ভীড় ছিল তেমনও না। কাকলী মোড়ের সিগন্যালের পরপরই একটা জায়গা থেকে আরো কয়েকজন উঠলো। ফলে আমার আশপাশেও আরো দুই তিনজন দাঁড়ালো।

তবে এমন নয় যে গা ঠাঁসাঠাঁসি অবস্থা। কিন্তু হঠাত করেই আমি বুঝতে পারলাম আমার নিতম্বের উপরের দিকে বামপাশে, কোমরের খানিক নিচেই, একটা অস্বাভাবিক স্পর্শ। হাতের নয়; নিম্নাঙ্গের। আমি ভাবলাম, হয়তো আমার বামপাশে দাঁড়ানো লোকটার বামে জায়গা নেই। তাই সে এই দিকে চেপে এসেছে। কিন্তু চেপে আসলেও এরকম তো হওয়ার কথা না! যাই হোক, জায়গা নেই ভেবে আমি আমার ডানে সরে গেলাম। কারণ ওই দিকে জায়গা ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবারো একইরকম একটা স্পর্শ। এবার মনে হলো কী ব্যাপার! বাস ব্র্যাক কষেনি, গাড়ি চলছেও না, জ্যামে বসা, আমিও সরে গিয়ে জায়গা করে দিলাম! তাহলে ঘটনা কী! এইবারো আমি আরো একটু ডানে সরে গেলাম। এবার ওই ব্যক্তি এবং আমার মাঝখানে বেশ দুই তিন ইঞ্চির বেশি জায়গা ফাঁকা।

কিন্তু মিনিট কয়েক পর আমি দেখলাম আবারো আমার নিতম্বের বাম পাশে, একেবারে এক্সাক্টলি বলতে গেলে মিডিয়াস-এ(medius), নরোম মাংসপিন্ডের একটা স্পর্শ লাগলো! এবং উইদিন অ্যা ফ্র্যাকসান অফ অ্যা সেকেন্ড আমার মাথায় দপ করে আগুন জ্বলে উঠলো! আমার পাশে থাকা লোকটা সে তার পেনিস-টা ইচ্ছে করে আমার গায়ে স্পর্শ করানোর চেষ্টা করছে! যেই মুহূর্তে আমার এটা মনে হলো এক ঝটকায় তার দিকে ফিরে আমি খপ করে তার নাভির নিচে শার্টটা ধরে ফেলতে ফেলতেই আমার মুখ দিয়ে অটো বেরিয়ে গেছে, শূয়োরের বাচ্চা! দেখি তুই কী করিস! দেখি, দেখি, দেখি, তুই কী করিস!

লোকটার শার্টটা ইন করা ছিল না। শার্টটা দিয়ে সে তার জিপার খোলা পেনিস ও জিপারটা ঢেকে রেখেছিল। আমি শাটর্ট ধরে খপ করে তার নাভির নিচের দিকে তাকাতেই যা দেখলাম, তা অবিশ্বাস্য!! দেখলাম লোকটার প্যান্টের জিপার খোলা! এবং এক লহমায় দেখলাম বাদামী একটা কিছুর ঝিলিক! অর্থাৎ সে জিপার খুলে তার পেনিস কিছুটা বের করে রেখেছিল!

আমি তো তার শার্ট ধরে প্যান্টের দিকে তাকিয়ে টানাটানি শুরু করেছি! শূয়োরের বাচ্চা! তুই প্যান্টের জিপার খুলে বাসের ভিতর লুইচ্চামি শুরু করেছিস!

কিন্তু আমি যেহেতু তার শার্ট ধরে রেখেছি ফলে তার পক্ষে সহজে অন্য দিকে ঘোরাও সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তবু সে আমার সাথে প্রায় টানাটানি করে নিজেকে ইঞ্চি দুয়েক চট করে বায়ে ঘুরিয়ে ফেললো। এবং কোনো ক্রমে কায়দা করে ডানহাত দিয়ে জিপারটা আটকে ফেললো।

তার বাম হাতে একটা ভারি ব্যাগ ছিল। ফলে সে ছিল একটা বেকায়দায়। আর আমার ডান কাঁধে আমার রোজকার ভারী কাঁধব্যাগ ছিল। ফলে আমি ওকে বাম হাতেই খপ করে ধরেছি, এবং ডান হাত খোলা না থাকায় ওর ঘুরে যাওয়াটা ঠেকাতে পারিনি।

একটা নারী যে বাসে একটা লোককে খপ করে ধরে ফেললো, সমানে চিল্লাচিল্লি শুরু করলো, গালি-গালাজ শুরু করলো তাতেও বাসের লোকজনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই! আমি খুব অবাক হলাম।

ততক্ষণে ওই লোক যেহেতু তার প্যান্টের জিপার আটকে ফেলেছে, ফলে তুলনামূলকভাবে সে একটা শক্তিশালী অবস্থানে চলে এসেছে। কারণ তার অপরাধের প্রমাণ সে মুছে দিয়েছে। এবং আমি যেহেতু শার্টের নিচের অংশটা ছেড়ে তখনো তার শার্টের কলার ধরে রেখেছি, তাকে থাপড়াবো বলছি, তখন সে উল্টা আমার উপর গলা চড়াও করেছে। কারন তাকে দেখলাম যে সে খেয়াল করে আশপাশে চোখ ঘুরিয়ে দেখলো যে মানুষ ব্যাপারটাকে অতোটা গুরুত্বের সাথে নেয়নি। ফলে, সে বুঝে গেলো যে তার জন্য পরিবেশটা নিরাপদ।

ফলে এবার সে আমাকে বলা শুরু করলো, একি থারাপ মহিলা! পুরুষ মাইনষের গায়ে ধইরা ফেলে! ছাড়েন! ছাড়েন! আপনি আমারে ছাড়েন।

আমি থাপ্পড় মারতে তার গালের কাছে হাতটা নিয়েও নিজেকে সামলেছি। সামলেছি এই কারণে যে আমি রাস্তায় একসময় প্রচুর এইরকম মাইরের ঘটনা ঘটাতাম এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে, একবার হাত ছুটে গেলে পরে সেটাকে থামানো মুস্কিল।

ফলে, তাকে থাপ্পড় দিতে গিয়ে গালের কাছ থেকে হাতটা ফিরিয়ে এনেছি। এবং সেই মুহূর্তে তার মুখের অভিব্যক্তিটাও আমার খেয়াল আছে।

আমি যখন চিল্লাচিল্লি করছি, শার্ট ধরে বলছি, শূয়োরের বাচ্চা! চল, তুই নাম বাস থেকে! ধরে নিয়ে পুলিশের কাছে যাবো! তুই বাসের ভেতর প্যান্টের জিপার খুলে তোর পেনিস বাইর কইরা আমার গায়ে লাগাইছিস! চল তুই।

এমন সময় সে বলে, এই বেয়াদ্দব মহিলা! আপনার কি মান ইজ্জতের ভয় নাই! খারাপ কথা বলতেছেন!

আমি বল্লাম শুয়োরের বাচ্চা! হাগছে ব্যাটার লাজ নাই দেখছে ব্যাটার লাজ!

এমন সময় পাশ থেকে একটা মেয়ে বললো, আপনি করতে পারছেন আপনার মান ইজ্জতের ভয় নাই! আর উনি বলতে পারবে না! উনার মান ইজ্জতের ভয়!

চার-পাঁচ মিনিট ধরে চিল্লাচিল্লি, শার্টের নিচে এবং কলার ধরে টানাটানি হচ্ছে অথচ নাগরিকদের ভ্রক্ষেপ নেই। এই প্রথম কেউ একজন কথা বল্লো! বল্লো একটা মেয়ে!

এরপর পাশ থেকে এক লোক বল্লো, থাক না আপা আপনার মনে হয় ভুল হইছে!!! আমি তারে দিলাম কঠিণ এক ঝাড়ি! বল্লাম, ওই মিয়া আমার ভুল হইছে! তাইলে আমি আপনারে ধরলাম না কেন! জিজ্ঞেস করেন এই শূয়োরের বাচ্চারে সে কী করছে! এই শূয়োরের বাচ্চা তুই বল, তোর প্যান্টের জিপার খোলা ছিল কি-না!

আরেক জন পাশ থেকে বল্লো থাক আপা, মাফ কইরা দেন! বল্লাম, এতক্ষনে কোথ্থেকে আপনি উদয় হইছেন! মাফ কইরা দেন! যেই শূয়োরের বাচ্চা প্যান্টের জিপার খুইল্যা বাসের ভেতর একটা মেয়ের গায়ে ঘষাঘষি শুরু করলো তারে কিছু বলার নাম নাই, আমারে বলতেছেন মাফ কইরা দেন! কেন! আপনিও কি তার মতন নাকি?

তখন সে চুপ!

কিন্তু যে লোক কুকর্ম করেছে, সে আমার সাথে তর্ক করেই যাচ্ছে। বলার চেষ্টা করছে, সে কিছু করে নাই। আমি তারে এমনিই ধরছি!

এমন সময় সে যখন আমার সাথে তর্ক করে যাচ্ছে, তখন পাশ থেকে একটু বয়স্কমতন একটা লোক খুব গলা উঁচিয়ে ওই লোকটাকে একটা ধমক দিল। বল্লো, আপনি চুপ করেন। আর একটা কথা বলবেন না। তাইলে বিপদে পইড়া যাবেন। এইমূহূর্তেই চুপ করেন।

পার্পিট্রেটর তখন গলার স্বর একটু নামাইয়া তখন আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে। আপা, আমি কিছু করি নাই। আমি আবার ধমক দিলাম। গালি দিলাম। চড় মারতে গিয়া আবারো গালের উপর থেকে হাত ফিরাইয়া আনলাম।

তখন সে বললো, আচ্ছা আপা, যদি কিছু হইয়া থাকে আমি সরি। মাফ কইরা দেন।

কিসের মাফ! শূয়োরের বাচ্চা, তুই নাম। তোরে নিয়া পুলিশের কাছে যাবো।

বলতে-বলতে বাসটা জ্যামে থেমেছে এবং সে হঠাত বাস থেকে নেমে গেছে।

এমন সময় শুনি বাসের পেছন দিকে এক লোক বলতেসে, এইজন্যই মেয়েদেরকে বাসে তোলা ঠিক না। আর মেয়েদের সিট তো সামনে। ওদের সিট না থাকলে ওদেরকে বাসে তোলাই ঠিক না। তখন আবার পিছনে তাদের দিকে ফিরে তাদেরকে বলতে হইলো, কে বলছেন? কথাটা কে বলছেন? মেয়েদেরকে বাসে সিট না থাকলে উঠতে দেয়া ঠিক না কথাটা কে বলছেন!

তখন আর কেউ কথা বলে না।

কিন্তু আমি বলেই চললাম, যে শূয়োরের বাচ্চা ঘটনা ঘটাইলো তখন কই ছিলেন? তখন গলা দিয়া আওয়াজ বাইর হইলো না কেন? এখন বলতেছেন মেয়েদের বাসে তোলা ঠিক না! বাসে সবাই উঠবে। সবারই সমান অধিকার। আর নারীদের জন্য যে চার পাঁচটা সিট রাখা থাকে এইগুলো তাদের জন্য আলাদা রাখা থাকে। তারমানে এই না যে এর বাইরে আর কোনো সিটে নারীরা বসবে না বা সেই সিট ফিলাপ হয়ে গেলে নারীদেরকে বাসে উঠানো হবে না। আর দশটা লোক যেমন দাঁড়াইয়া যায় তেমনি নারীরাও যারা দাঁড়াইয়া যাইতে পারবে তারা যাবে। দাঁড়াইয়া যাওয়া, ভীড়ের মধ্যে যাওয়া এইটা তো কোনো সমস্যা না। সমস্যা হইছে লুইচ্চাদের নিয়ে। আপনি লু্ইচ্চারে কিছু বলতে পারবেন না। কিন্তু মেয়েদেরকে বাসে তুলতে নিষেধ দেবেন, আপনি কোন খানের কাবিল লোক, ভাই! এই যে আপনার মতন ম্যান্দামারা মানুষ যারা তারা বাসায় গিয়ে বউয়ের উপর চোটপাট করবে, বউ-মেয়ে-বোনেদের বাক্সের ভিতর ভইরা রাখবে কিন্তু যে শূয়োরের বাচ্চা লু্ইচ্চামি করবে তারে কিছু বলবেন না। আপনারাই আসল কালপ্রিট। আপনাদের জন্যই লুইচ্চারা সমর্থন পায়।

এইসব কথা আরো আরো কী কী বলতেছিলাম অতো খেয়াল নাই, তখন একজন বল্লো, থাক আপা, ওর আসলে এইটা বলাটা ঠিক হয় নাই। তখন আশপাশ থেকে লোকেরা গুঞ্জন করা শুরু করলো, আসলে আপা হইছে কী! আমরা বুঝি নাই যে সে আপনার সাথে এমন একটা কাজ করছে! আরেকজন বললো, আসলে আপনার কথা থেকে বোঝা যায় নাই যে সে ওই রকম একটা কাজ করছে। আমি ভাবছি আপনার মোবাইল-টোবাইল কিছু একটা নিয়া-টিয়া গেছে বোধ হয়!

আমি মানুষের এই অদ্ভুত ঔদাসীন্য দেখে ভেতরে থ হয়ে গেলাম! এই আমার নগর! এই আমার দেশ! পাশের মানুষটাকে চিৎকার করে মরে যেতে দেখলে তাকে সাহায্য করা তো দূরে, নিজেরা ঘরে গিয়ে আগে দরজা আটকায় নিজেকে নিরাপদে রাখার জন্য! এরাই তো অপরাধের আসলে ব্রিডিং গ্রাউন্ড।

পরে কারওয়ান বাজারে বাস থেকে নেমে হেঁটে রাস্তা পার হওয়ার সময় এক লোক পাশ থেকে শুনি বলছে, আসলে আপা হইছে কী বুঝতে পারি নাই যে লোকটা এইরকম অপকর্ম করছে! আপনি যদি ঠাস কইরা একটা চড় মাইরা দিতেন আর বলতেন সে কী করছে তাইলে কিন্তু আজকে ওর হাড্ডি লোকে ভাইঙ্গা দিত! তবে, একটা কথা ঠিক! আপনি তো সাহস কইরা বলছেন। এরকম তো রোজই কত হয়! কেউ তো কিছু বলেই না।

আমি তাকে বাসে খেয়াল করিনি। বাসে রোজ কত লোক আসে কেউ কাউকেই খেয়াল করে না। কিন্তু তার কথার প্রসঙ্গ থেকে বোঝা গেলো, সে বাসে ছিল। তার কথা আমি শুনলাম। তাকে বিশেষ কিছু বল্লাম না।

কিন্তু আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কেন আমি নিজের এই কথা ফেসবুকে লিখে সবাইকে জানাচ্ছি? লিখছি ফেবুতে থাকা আমার নারী শিক্ষার্থী এবং নারী বন্ধুদের জন্য। লিখছি, এই কথা জানাতে যে, আপনি যখন এইরকম কোনো ঘটনার মুখোমুখি হবেন তখন প্রথম কথা হলো, মনোবল হারাবেন না। এখানে আপনার ইজ্জত যাওয়ার কিছু নাই। আপনার মানিব্যাগ চুরি গেলে, আপনাকে ছিনতাইকারী ধরলে যেমন আপনার ইজ্জত যাওয়ার কিছু নাই তেমনি একটা বদমাইশ আপনার সাথে লুইচ্চামি করার চেষ্টা করেছে বলে আপনি নিজে বেইজ্জতি হন নাই। যে করছে এটা তার বেইজ্জতি। এটা তার অন্যায়। তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। আশপাশের লোকজনকে ডেকে দেখানোর চেষ্টা করেন। যদিও, আপনি জানেন যে লোকে হয়তো আপনার ডাক শুনবে না। তবু, এটা করুন। এতে অপরাধী একটু হলেও ভড়কে যাবে।

আর দ্বিতীয় কথা হলো, কেউ আপনাকে সাহায্য করছে না, উল্টো আপনিই ভুল করেছেন বলে আপনার উপরে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করলেও ভয় পাবেন না। কারণ যারা এমন বলে মনে রাখবেন, তারাও অপরাধীর দোসর। তাদেরকেও পরিস্থিতি বুঝে জুৎ মতন একটা উত্তর দিয়ে দিন। দেখবেন, জোঁকের মুখে নুন পরার দশা হবে।

বাংলাদেশের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে, বিরোধীদলীয় নেত্রী, মাননীয় স্পিকার বা যে কোনো ক্ষমতাবান নারীকে তাদের রক্ষা কবচের বাইরে এসে একবার রাস্তায় চলাচল করতে দিন। তারপর দেখুন এই সমাজে নারী অধিকার কতটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর অপরাধীরা এই সমাজে কতখানি শক্তিশালী।

অফিস, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সবখানে এইসব আছে। কিন্তু নারীরা কথা বলেন না। চুপ করে থাকেন। কারণ তারা মনে করেন তারা স্টিগমাটাইজ্ড হবেন। অবশ্য, এই সমাজ করেও তাই। তাকেই স্টিহমাটাইজড করেন। তাকেই দেয়া হয় লোকলজ্জা। যতদিন এই মানসিক ব্যাধি না কাটবে ততদিন এই সমাজে সুস্থ্য পরিবেশ তৈরি হবে না। বন্ধ হবে না এই সমাজের অপরাধ প্রবণতা।

নারীর অধিকার মানে এই না যে নারীকে আপনি সুরক্ষার নামে বাক্সবন্দী করে রাখবেন; তার চলা-ফেরা গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করে দেবেন। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে সমাজে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা বদল ঘটাতে হবে।

নারীর লড়াই সার্বিক; সামগ্রিক। যে পার্পিট্রেটর ছিল বাসের লোকজন তাকে কিছু বলেনি। কিন্তু আমাকেই বলেছে, আমি ভুল করেছি। নারীকে বাসে তোলা ঠিক হয়নি সেটাই তারা বলেছে। ফলে, শুধু পার্পিট্রেটর নয় নারীকে লড়তে হয় অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়া মানসিকতা ধারণকারী সমাজের বিরুদ্ধেও। তাই আপনার এই লড়াইয়ে আপনি কাউকে সঙ্গে পাবেন এমনটা আশা না করেই লড়াই জারী রাখা ভালো। এই সমাজ আপনার। আপনারই বদল ঘটাতে হবে। সমাজ বদলের জন্য কে উদ্যোগ নেবে তার আশায় বসে না থকে আপনিই উদ্যোগ নিন। সমাজ পাল্টাবে।

২২.১২.১৬

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: B-)) সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য এ এক নতুন আবিস্কার :-P

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

আফরোজা সোমা বলেছেন: সামনে নির্বাচনে দাঁড়াবো। জনপ্রিয়তা খুব দরকার। তাই সস্তা পথ ধরলাম।
আপনার কল্যাণ হোক।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৭

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: প্রায় একরকম ঘটনা আমার এক বান্ধবীর সাথেও হয়েছে বাসে। পাশের সিটের হারামজাদা এই কান্ড ঘটিয়েছে। আমি যখন বললাম পরবর্তীতে এমন কেউ কিছু করলে সোজা পেন্সিল কাটার চালিয়ে দিবি তখন সে আমাকে বললো যে এইসব সময়ে মাথা কাজ করে না। আসলেই মেয়েরা বিন্দুমাত্র নিরাপদ না ঘরের চৌকাঠ পেরোনোর পর থেকেই।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: পেন্সিল কাটার একটা সাময়িক সমাধান এবং ক্রোধ নেভানোর অস্ত্র হতে পারে বটে। কিন্তু সকলের জন্য একটা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়তে হলে আমাদের সকলেরই অংশগ্রহণ প্রয়োজন। যারা পার্পিট্রেটর তারা অল্প। কিন্তু মুখবুজে থাকা মানুষের সংখ্যা ব্যাপক। এই মুখবোজা মানুষেরই পারে সমাজকে পাল্টাতে। সমাজ পাল্টে যায় না। মানুষ সমাজকে পাল্টে দেয়।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি শুধু এইটুকু অনুরোধ করবো, আপনার সামনে যদি কিছু কখনো হয়, কেউ না করুক আপনি প্রতিবাদ করবেন, কথা বলবেন। আওয়াজ যত ছোটই হোক তা অর্থবহ; প্রাণদায়ী।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাধারণত আমাদের দেশের বীরপুরুষ রা নারীঘটিত ব্যপারে এগিয়ে আসেন। অনেক সময় স্বামী, পিতা, বি এফ-কেও অপমানিত হয় যদি কোন মেয়ে রাস্তায় ঝগড়া করে। এ ক্ষেত্রে সবাই কেন এগিয়ে এলো না বুঝলাম না। তবে সমাজ খারাপ। আপনার সাথে খারাপ কিছুও হতে পারতো। তাই প্রতিবাদ করেও প্রতিকার না পাওয়ার আশংকায় সবাই চুপ থাকে...

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: প্রতিবাদ করে প্রতিকার না পাবার আশঙ্কা থাকতে পারে। কিন্তু যেখানে প্রতিবাদই নেই, হলো না তার কি কারণ?

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:


"বাংলাদেশের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে, বিরোধী দলীয় নেত্রী, মাননীয় স্পিকার বা যে কোনো ক্ষমতাবান নারীকে তাদের রক্ষা কবচের বাইরে এসে একবার রাস্তায় চলাচল করতে দিন। তারপর দেখুন এই সমাজে নারী অধিকার কতটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর অপরাধীরা এই সমাজে কতখানি শক্তিশালী।"

উপরোক্ত বক্তব্যে হলও বড় বাস্তবতা। বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে বইলা প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থাইকা যতই বড়-বড় পুরষ্কার আনুক না কেন চরম সত্য হলও এখনো গ্রাম অঞ্চলে শতকরা ৭৮-৮০% মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছর এর পূর্বে।

কোন মেয়ে বা নারী তার উপর নির্যাতনের বিচার চাইতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যাওয়ার সাহস পায় না আরও বেশি নির্যাতনের ভয়ে। এই তো কয়েক মাস পূর্বে পত্রিকার পাতায় খবর বেরোল পুলিশের হাতে গ্রেফতার স্বামীর রিমান্ড ঠেকানোর বিনিময়ে স্ত্রীকে পুলিশের কর্মকর্তা ও পুলিশের সোর্সের ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশের তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে কিন্তু পুলিশের সোর্সে ঠিকই ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে নিহত তনু হত্যার কোন রহস্যই উদঘাটিত হলও না গত ১১ মাসেও। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ দেশের সুপ্রিম কোর্টে প্রমাণিত হওয়ার পরেও সাজাপ্রাপ্ত আসামীর দণ্ড মওকুফের দরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন পেয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায় ও রাষ্ট্রপতি খুনির সাজা মাফ করে দেন।

এগুলোই হলও বাংলাদেশের বাস্তবতা। মহিলা প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, মাননীয় স্পিকার পদ গুলো হলও মাকাল ফলের মতো। উপরে যতই ফিট-ফাট দেখাক না ভিতরে সদর ঘাটের মতোই নোংরা অবস্থা বিরাজ করছে আমাদের সমাজে।

আপনাকে ধন্যবাদ প্রতিবাদী ভূমিকার জন্য।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

আফরোজা সোমা বলেছেন: ভাই, আপনি তো ধান ভানতে এসে শিবের গীত জুড়ে দিলেন!

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৪

কেএসরথি বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: B-)) সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য এ এক নতুন আবিস্কার :-P

তা ভাই শাহাদাৎ একটু বিস্তারিত বলবেন কি জনপ্রিয়তা ঠিক কি ভাবে পাওয়া হচ্ছে?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

আফরোজা সোমা বলেছেন: কেএসরথি, আপনার কল্যাণ হোক।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নির্লজ্জ সমাজের প্রতিচ্ছবি!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

আফরোজা সোমা বলেছেন: ''আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে''

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ কেন সাহায্য করেনি?
কারণ, ১। এ ধরণের অভিনব কায়দায় বতমানে মেয়েরা প্রতারনা করে থাকে।
২। সমাজে মানুষের মধ্য বিভিন্ন দৃষ্টি ভঙি কাজ করে, প্রথমে দেখে মেয়ে গায়ের লেবাস কী! যদি আধুনিক হয় তখন ভাবে এটা তার প্রাপ্য, যদি বোরকা থাকে তখন হায় হায় করে উঠে। তার মানে আমাদের সমাজ এখনো অনেক কিছু গ্রহন করার মত পযায়ে নেই।
৩। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত হওয়ার জন্য অনেক কিছু ইচ্ছাকৃতভাবে করে থাকে। যদি এই আপু কোন কারণে প্রতিবাদ কর সফল হত তাহলে ওনাকে নিয়ে হইচই হত, প্রথম আলো বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করত, কয়েক দিন টিভিতে এ নিয়ে টকশো হত, এর আগে আমাদের ধনীর ঘরের মেয়ে স্মাট বাদাম বিক্রেতার কথা মানুষ ভুলে যায়নি। নানান কিছু থাকতে পারে।
অথবা তিনি বলতে চাচ্ছেন পুরুষ মানুষ এখন মেয়েদের বিপদে এগিয়ে আসছেনা। এর জন্য দায়ী কারা, নিচ্ছয় আমাদের সমাজ কে যারা শিক্ষা, দীক্ষায় উন্নত না করে মানুষ কে তথা কথিত আধুনিক করে চলেছেন তারা। আমার কথা হল মানুষ কে শিক্ষা দিন তাহলে মানুষ নিজে থেকে আধুনিক হবে। সমাজের বিরাট অংশ কে বাহিরে রেখে কিছু অংশ আধুনিকার নামে দাপিয়ে বেড়াবে সেখানে ভালো কিছু আসা করা বোকামি।

অথবা, আপনার গল্প,

""কিন্তু মিনিট কয়েক পর আমি দেখলাম আবারো আমার নিতম্বের বাম পাশে, একেবারে এক্সাক্টলি বলতে গেলে মিডিয়াস-এ(medius), নরোম মাংসপিন্ডের একটা স্পর্শ লাগলো! এবং উইদিন অ্যা ফ্র্যাকসান অফ অ্যা সেকেন্ড আমার মাথায় দপ করে আগুন জ্বলে উঠলো! আমার পাশে থাকা লোকটা সে তার পেনিস-টা ইচ্ছে করে আমার গায়ে স্পর্শ করানোর চেষ্টা করছে! যেই মুহূর্তে আমার এটা মনে হলো এক ঝটকায় তার দিকে ফিরে আমি খপ করে তার নাভির নিচে শার্টটা ধরে ফেলতে ফেলতেই আমার মুখ দিয়ে অটো বেরিয়ে গেছে, শূয়োরের বাচ্চা! দেখি তুই কী করিস! দেখি, দেখি, দেখি, তুই কী করিস!

লোকটার শার্টটা ইন করা ছিল না। শার্টটা দিয়ে সে তার জিপার খোলা পেনিস ও জিপারটা ঢেকে রেখেছিল। আমি শাটর্ট ধরে খপ করে তার নাভির নিচের দিকে তাকাতেই যা দেখলাম, তা অবিশ্বাস্য!! দেখলাম লোকটার প্যান্টের জিপার খোলা! এবং এক লহমায় দেখলাম বাদামী একটা কিছুর ঝিলিক! অর্থাৎ সে জিপার খুলে তার পেনিস কিছুটা বের করে রেখেছিল!

আমি তো তার শার্ট ধরে প্যান্টের দিকে তাকিয়ে টানাটানি শুরু করেছি! শূয়োরের বাচ্চা! তুই প্যান্টের জিপার খুলে বাসের ভিতর লুইচ্চামি শুরু করেছিস!

কিন্তু আমি যেহেতু তার শার্ট ধরে রেখেছি ফলে তার পক্ষে সহজে অন্য দিকে ঘোরাও সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তবু সে আমার সাথে প্রায় টানাটানি করে নিজেকে ইঞ্চি দুয়েক চট করে বায়ে ঘুরিয়ে ফেললো। এবং কোনো ক্রমে কায়দা করে ডানহাত দিয়ে জিপারটা আটকে ফেললো।""

ইহা চটি বা ১৮+ হতে পারে। একটু ঘুরিয়ে এই যা,

শেষে,
উনি যদি সত্যি সত্যি হয়রানির স্বীবীকা হয়ে থাকে তাহলে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

আফরোজা সোমা বলেছেন: আপনার প্রতিবাদে যারপরনাই বিনোদিত ও আমোদিত হলুম। আপনার কৃপা!

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: বর্ণনার কিছু জায়গায় অবিশ্বাস্য মনে হলো .যেমন , ''বাস এ তেমন ভিড় ছিল না , আপনার আসে পাশে ছিল মাত্র তিনজন এবং দাঁড়ানো অবস্থাতে এই কাজ করলে আসে পাশের সিট্ এ থাকা লোকজন ও সেটা লক্ষ্য করার কথা '' . আর আপনি যখন তার শার্ট ধরে ফেললেন তখন আর কারো কোনো রকম বিরোধিতা করার কথা না ! প্রমান সবার সামনেই। অন্তত পাশে সিট্ এ থাকা যাত্রী ও সেটা লক্ষ্য করার কথা।

আর পেনিসের বর্ণনার কথা নাইবা বললাম।

যাইহোক , যা ঘটেছে অনাকাঙ্খিত , আমার পরামর্শ থাকবে , মহিলাদের সিট্ না থাকলে কোনো লোকাল বাস এ উঠবেন না অথবা বাসের কোনো সিট্ খালি না পেলেও না অথবা বাসের হেল্পার কে বলে মহিলাদের সিটে জায়গা করে নিবেন। ভালো থাকবেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

আফরোজা সোমা বলেছেন: আপনার অতিমূল্যবান পরামর্শের জন্য হাজার সেলাম।

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

মাহমুদা রহমান বলেছেন: এরকম ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। বহু আগে থেকেই ঘটছে। তবে এভাবে প্রকাশ্যে নয়। আমার শোনা এ রকম ঘটনা আছে প্রচুর। মেয়েরা প্রতিবাদ করতে চায় না তা নয়। মান সম্মানের ভয়েই চুপ করে থাকে। আর সে কারণেই ঘটনাগুলি ঘটেই যাচ্ছে। আশেপাশের মানুষরাও তো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ভয় পায়। সব মিলিয়ে এর নিষ্পত্তি ঠিক হয়ে উঠছে না। আবারও বলতে হয় আপনাকে স্যালুট। ভাল থাকবেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: এই লেখার নিচে কেমন ধরনের কমেন্ট পড়েছে সেটা খেয়াল করেছেন, মাহমুদা রহমান? এরকম মানুষেরাই থাকেন বাসে; যারা নীরব থাকেন। এই কালচার অফ স্টিগমাটাইজিং দি ভিক্টিম/গার্ল-এর সংস্কৃতিটাকে পাল্টাতে হবে। পার্পিট্রেটরকে স্টিগমাটাইজ করার সংস্কৃতি চাল করতে হবে। আর এজন্য আমাদের সকলের অংশগ্রহন প্রয়োজন। যার যার জায়গায় থেকে আওয়াজ উঠাতে হবে। অপরাধীর দিকে আঙুল তুলে দেখাতে হবে। তবে দিন বদলাবে ।

আপনিও ভালো থাকবেন। আপনার কল্যাণ হোক।

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সমাজে কিছু পার্ভাট বাস করে ।অস্বাভাবিক কিছু না।
যেভাবে বর্ণনা দিছেন এমনিটি আগে শুনিনি ।নারীদের সাথে এমন হাজারো ঘটনা ঘটছে ।কেউ প্রতিবাদ করছে আরে কেউ করছে না।
যে দেশে সামাজিক নিরাপত্তা নিরাপদ হবে না।সে দেশ কখনো এগিয়ে যাবে না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

আফরোজা সোমা বলেছেন: হয়তো এভাবে কেউ বিস্তারিত বিবরন দিয়ে লেখে না; বা খুব নিকট বন্ধু-জন ছাড়া আর কারো কাছে বলে না। তাই হয়তো আপনার শোনা হয়নি। যৌনসন্ত্রাসের শিকার ঢাকার পথ-ঘাটে চলা প্রায় প্রতিটি মেয়ে। তবে প্যান্টের জিপার খুলে ফেলার ঘটনাটা, তা-ও আবার পাবলিকলি, এক্সট্রিম।

আর আমি যে বর্ণণা দিয়েছি তাতে-ও আরো বর্ণণা বাকি রয়ে গেছে। একটানে লিখতে গেলে তো আর সব মাথায় গড়গড় করে আসে না।

আমি ওই লোকের শার্টের মধ্যে ধরে যখন টানাটানি করছি তখন, সেই সময় শার্ট আমার হাতে ধরে রেখেই, আমার ঠিক সামনের চেয়ারে বসা যুবককে আমি ডেকে উত্তেজিত হয়ে প্রায় চেচামেচী করতে করতে বল্লাম, ভাই দেখেন দেখেন এই লোকটার জিপার খোলা! দেখেন! আপনি চেক করেন!

অথচ সেই লোকটা স্ট্রেট আমাকে বল্লো, আমি দেখবো কেন! আপনি দেখেন!

এইরকম মুহূর্তে কেমন লাগে সেটা একমাত্র যারা বিপদে পরে কারো কাছে সাহায্য চায় এবং পায়না তারাই বুঝতে পারবে। পার্পিট্রেটরের আচরণে আমার মাথায় রক্ত উঠে গিয়েছিল। আর এই লোকটার আচরণে আমি থ হয়ে গিয়েছিলাম।

আমি অনেক্ষণ ধরে একা-একা চিল্লা-ফাল্লা করেছি। আর পার্পিট্রেটরো আমার সাথে চিল্লা-ফাল্লা করেছে। আর জানেন তো, চোর আরো বড় গলায় কথা বলে। কারণ সে প্রমাণ করতে চায় যে সে চোর না।

আর যে সামাজিক নিরাপত্তার কথা আপনি আমি বলছি, সেটার পরিবেশ তৈরি করতে হলে আপনাকে ও আমাকেই এগিয়ে আসতে হবে।

যাই হোক, ভালো থাকবেন। আপনার কল্যাণ হোক।



১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিকৃত মানসকিতা বাড়ছেই!

বুকে হাতে দেয়া, হিপ টেপা, ভীরের মাঝে স্পর্শ চাপ লাগিয়ে সূখ অনুভব, কনুই দিয়ে পাশের বসা যাত্রির িবরকত করা।!!!

আর নতুন দেখলাম সেদিন। জানালার পাশের ফাক দিয়ে সামেনর সিটের মেয়েকে স্পর্শ করার চেষ্টা! মেয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে ইশারায় দেখালে হঠাৎ দাড়িয়ে খপ করে হাত ধরে ফেলি!
আপনার কি হাতে সমস্যা! আপনি কি প‌্যারালাইজড!!! এমিন তথমত তারপর প্রশ্নবাণে আমতা আমতা করেতেছে।
হাত এখানে কেন? এক্কবারে ভাইঙ্গা ভিত্রে ঢুকায়া দিমু...
মাথা নীচ করে বসে রইল! এক পক্ষেতো লড়াই জমে না! চােখ ভস্ম করে সিটে বসে পড়লাম!

সামাজিক সাংস্কৃতিক কাজ জিরো!
সংস্কৃতি বলেত লুতুপুতু প্রেম, নয় পরকীয়া, সামাজিক নীতি নৈতিকতা, ভব্যতা নিয়ে ধীরে ধীরে যে সামাজিক অবস্থান গড়ে তোলা তার চেষ্টা নাই বলতে গেলে!!!
এটা এখন সময়ের প্রয়োজন!

সতর্ক থাকুন। সচেতন থাকুন। চারপাশে নজর খোলা রাখূন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

আফরোজা সোমা বলেছেন: বাহ! অসাধারণ, ভাই! আপনার আওয়াজ জারী রাখুন। মানুষেই আমার ভরসা। ছোটো ছোটো আওয়াজেই একদিন বড় আওয়াজা হবে। দিন পাল্টাবে।

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: একজন পুরুষ এমনটা করায় আমার নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে :(

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: আপনার নিজেকে অপরাধী মনে করার কিছু নেই, সাদা মনের মানুষ। একজন পুরুষ এটা করেছে। আর একজন মানুষ হিসেবে আপনি মানুষের পাশে দাঁড়ান; রুখে দাঁড়ান; প্রতিবাদ করুন। মানুষের পৃথিবীতে সুন্দর দিন আসবেই।

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি নির্বাক!!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: ঘটনাটা নির্বাক করে দেবার মতই। তবে, আপনার আশে-পাশে যদি এমন ঘটনা ঘটে সেখানে নির্বাক না থেকে আওয়াজ তুলবেন, সেই আশা রাখি। আপনার কল্যাণ হোক।

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৩

আবদুল মমিন বলেছেন: বাংলাদেশের স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে, বিরোধীদলীয় নেত্রী, মাননীয় স্পিকার বা যে কোনো ক্ষমতাবান নারীকে তাদের রক্ষা কবচের বাইরে এসে একবার রাস্তায় চলাচল করতে দিন। তারপর দেখুন এই সমাজে নারী অধিকার কতটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর অপরাধীরা এই সমাজে কতখানি শক্তিশালী।[/sb

আপনাদের কে এত ক্ষমতা দেয়ার পর ও আপনাদের দুর্দশা দেখে আমি নিজেও আপসোস করি ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: কে কারে ক্ষমতা দিসে, আবদুল মমিন?

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ভিড়ের বাস হল কিছু যৌন বিকৃতমনার জন্য উপযুক্ত চারণভূমি। এ সম্পর্কিত একটি ছোট গল্প নিচের লিংকে দেখেন। প্রায় হুবহু মিল।
www.somewhereinblog.net/blog/AlwaysDream/29934032

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

আফরোজা সোমা বলেছেন: তাই এইসব বিকৃতমনাদের সোজা করার জরুরি আওয়াজটা ভীড়ের বাস থেকেই তুলতে হবে। আপনি-ও আওয়াজ তুলুন। স্বস্তির দিন আসবেই।

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: কিছু বিকৃতমনা লোকজন এসব করে। তাদেরকে শায়েস্তা করা দরকার।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

আফরোজা সোমা বলেছেন: জ্বী ভাই, তাদের শায়েস্তা করা দরকার। ঠিকই বলেছেন।

১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০

সোহানী বলেছেন: হাঁ এটাই আমাদের সমাজের প্রতিচ্ছবি যা প্রতি মূহুর্তে ঘটে চলছে আর আমাদের নিরব দর্শকরা তা উপভোগ করছে। ধন্যবাদ আপনাকে প্রতিবাদ করার জন্য। আপনি একজন শিক্ষিত হয়েও এ ধরনের আচরনের স্বীকার আর অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত মেয়েদের কি অবস্থা সহজেয়ই অনুমেয়। আজ আপনি প্রতিবাদ করেছেন কাল আরেকজন করবে... এভাবে ছড়িয়ে পড়বে প্রতিবাদ। প্লিজ, শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বা অন্য কারো কথায় থামবেন না। কারন এরা কখনই এ ধরনের অত্যারের মুখোমুখি হয়নি... এরা জানে না এ ধরনের স্পর্শ কি অপমান বা ঘৃনার।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

আফরোজা সোমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, সোহানী। সমাজে আপনাদের মতন মানুষেরা আছে বলেই সমাজ টিকে আছে। এবং আপনার মতন মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই এই সমাজেও মুক্তি আসবে। ভালো থাকুন। আপনার কল্যাণ হোক।

১৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দুঃখজনক! :(

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

আফরোজা সোমা বলেছেন: :(

১৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

ইমরান নিলয় বলেছেন: শিউরে উঠতে হয়। এর আগে শুনসিলাম সিএনজিতে লুকিং গ্লাসের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভারদের মাস্টারবেট করার কথা। এইদেশ শূয়োরের বাচ্চার দেশ হয়ে গেছে।

এরকম ঘটনা করে কারা? একজনরে চিনতে পারছি বলে মনে হয়। উপরে কমেন্ট করসে- শাহাদাৎ হোসাইন (**র ছায়া)। আমি সুশীল না। বেজন্মাকে বেজন্মা বলারে আমি অপরাধ ধরি না। আমার ব্লগ হলে লাথি মেরে এরে খোয়ারে ঢুকায়া দিতাম।

এরাই পেনিস বের করে, নিজের সুযোগের জন্য চুপ থাকে, মাফ করতে বলে। এদের মা-বোন লুকায়া লুকায়া কাঁদে, কিছু জানায় না বলে এদের ধারণা পর্দাটর্দা করলে সেইফ থাকে।

এম্নিতেই ডিস্টার্বড ছিলাম পোস্ট পড়ে। মেজাজটাই গরম হয়ে গেলো **টারে দেখে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

আফরোজা সোমা বলেছেন: নিলয়, আসুন রুখে দাঁড়াই; আওয়াজ ওঠাই। এই সমাজ পাল্টাবেই; এই সমাজে মুক্তির দিন আসবেই।

২০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

বিকৃত মস্তিষ্কমনা মানুষ এর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। খুবই দু:খ জনক এবং লজ্জাকর ঘটনা।
আর কত কিছুই যে দেখতে হয়......

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

আফরোজা সোমা বলেছেন: যদি আমরা নীরব থাকি, তাহরে দেখতে হবেই। কিন্তু যদি সকলে সমস্বরে প্রতিবাদ করি, রুখে দাঁড়াই, ব্যাবস্থা নিই তাহলে নিশ্চয়ই পরিস্থিতি পাল্টাবে। মুক্তির দিন আসবে, শোভন।

২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১

রাসেল ফেরদৌস নূর বলেছেন: মেয়েদের ব্যাগে ব্লেড রাখা উচিত । যখনই দেখবেন , এ ধরণের মানুষরুপী পশুগুলো কোনো নারীর সাথে এমন আচরণ করছে , তখন জিপার বরাবর ব্লেড টা চালিয়ে দিতে হবে । তারপর দেখা যাবে , এ খবর সকল পত্রিকায় ছাপা হয়ে গেছে , তখন এসব পশুগুলো আর বাসে ওঠে নারীদের সাথে এমন আচরণ করার সাহস পাবেনা ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: ভালো বলেছেন, নূর। কিন্তু ব্লেট তো আর চূড়ান্ত সমাধান নয়। একটা সমাজকে পাল্টাতে হলে তার ভেতর থেকে, তার মননের মধ্যে পরিবর্তন ঘটাতে হয়। আর এজন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ। আপনি এগিয়ে আসুন। একটা একটা ইটেই একদিন বিরাটাকার অট্টালিকা হয়। একেকজন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মানুষের প্রয়াসেই একদিন সমাজও পাল্টাবে।

২২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মেয়েদের জন্য আলাদা পরিবহন , অফিস , স্কুল , কলেজ , ইউনিভার্সিটি , ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , আলাদা জীবন , আলাদা পৃথিবী দরকার। আর এইসব লোকের ইয়েতে একমন ওজনের লোহা বাইন্ধা ইন্ডিয়া পাঠাইয়া দেওয়া উচিত ! ওই দেশই ওদের উপযুক্ত জায়গা !

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

আফরোজা সোমা বলেছেন: ভাই, আলাদা করার মধ্যে মুক্তি নাই। যত আপনি আলাদা করতে চাইবেন, ঘেরটোপ দিতে চাইবেন ততই সমাজে 'আদার/ অপর' অনুভূতি বাড়বে। এই পথে মুক্তি আসবে না। মুক্তির জন্য প্রয়োজন বোঝাপড়া; প্রয়োজন একে অন্যের জন্য সমানূভুতি ও দরদ। প্রয়োজন সম্মিলিত অংশগ্রহন।

আপনার কল্যাণ হোক।

২৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

বিজন রয় বলেছেন: আই আ্যাম সো আপসেট!!

আপনার জন্য সমব্যথী। আমি বুঝতে পারছি ওরকম অবস্থায় একজন মানুষের মানসিক অবস্থা কি হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলে অবশ্যই আপনার পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নিতাম।

যা আমি আগেও করেছি।

আমি জানি আমাদের এই সমাজ কত জঘণ্য!

আপনার সাহসী ভূমিকার প্রশাংসা করি।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

আফরোজা সোমা বলেছেন: বিজন রয়, এখন থেকে আমি জানবো ঢাকা শহরে অন্তত এমন একজন আছে যে, তার সামনে কখনোই এমন কোনো অন্যায় মুখ বুজে নেবে না। এমন কোনো অন্যায় সংঘটিত হলে পার্পিট্রেটরের শাস্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা সে করবে। এই যে বোধের ঐক্য, এই যে সমমর্মী হয়ে পথে নামা এই বন্ধন অভেদ্য।

আপনার কল্যাণ হোক।

২৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

রাসেল ফেরদৌস নূর বলেছেন: আমার চোখের সামনে বাসের মধ্যে একবার এই ধরণের একটা ঘটনা ঘটেছিলো । মেয়েটি সম্ভবত অনেকক্ষণ বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে অসহ্য হয়ে একটা যাত্রীবাহি বাসের মধ্যে উঠে পড়ে । আমিও দাঁড়িয়ে ছিলাম । আমি সিটে বসা থাকলে কোনো মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে আমার সিট টা ছেড়ে দিই । যদিও কখনও কোনো মেয়ের কাছ থেকে এটুকু সহানুভূতি দেখানোর জন্য এতটুকু মৌখিক ধন্যবাদও পাইনি । তবুও নিজের সিট টা ছেড়ে দিই । এটা ভেবে যে , মেয়েটি তো আমার নিজের বোনও হতে পারতো । আমার চোখের সামনে আমার বোন যদি এরকম দশ বারোজন পুরুষের মধ্যে পিস্ট হতে থাকে তখন আমার কেমন লাগবে ? আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি । গাড়ী চলছে । এর মধ্যে একজন আমাকে ঠেলে মেয়েটার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো । আমি কিছুটা আঁচ করতে পারলাম । লোকটার কু - মতলব আছে । দুঃখজনক ।ব্যপার হলো , মেয়েটার সামনে পুরুষগুলো সিটে বসে আছে । কিন্তু তাকে কেউ সিট টা ছেড়ে দিচ্ছেনা । কিছুক্ষণ পর , মেয়েটা জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো । খুব দ্রুত রাগী স্বরে কি যেন বলে উঠলো । আমি মেয়েটাকে প্রশ্ন করলাম , আপু কোনো সমস্যা ? মেয়েটা অনেকক্ষণ ধরে , ব্যাপার টা নিরবে সহ্য করে যাচ্ছিলো । আমি প্রশ্ন করাতে বললো , ভাইয়া , এই লোকটা অনেকক্ষণ ধরে আমাকে ডিস্টার্ব করছে । সাথে সাথে আমি লোকটার প্যান্ট এর বেল্টে ধরে নিচে নিয়ে কিছুক্ষণ ফাটাইলাম । সৌভাগ্যবশত , যেখানে লোকটাকে ফাটাইলাম , সেটা আমার মহল্লা ছিলো । তাই , অন্তত একটা পশু কে ..শিক্ষা দেয়া সহজ হয়েছে ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

আফরোজা সোমা বলেছেন: রাসেল নূর, আপনার সৌজন্য বোধ, আপনার রুচি এবং আপনার মনন পরিশীলিত, বুঝতে পারছি। সৌজন্য দেখিয়ে, আপনি নারীকে আসন ছেড়ে দেন। খুব প্রশংসনীয় কাজ। অন্তত আমাদের দেশে, যেখানে একজন বৃদ্ধা নারীকে দেখেও সিট ছেড়ে কেউ দিতে প্রায় নিমরাজি।

কিন্তু একটা বিষয়ে ভেবে দেখবেন, নারীদের সমস্যাটা কিন্তু সিটে বসার নয়। যারা শক্ত-সমর্থ তারা দাঁড়িয়ে যাবেন। এতে অসম্মানের কিছু নেই। সারা পৃথিবীতেই ব্যাপারটা এরকম। ইউরোপ, অ্যামেরিকায় সবখানেই। সমস্যা হচ্ছে যৌন সন্ত্রাস। এটাকে আমাদের অ্যাড্রেস করতে হবে। এটাকে অ্যাড্রেস করলে নারীর চলাফেরায় আর কোনো সমস্যা নেই। আর সকল পুরুষের মতন সামর্থবান নারীরাও দাঁড়িয়ে যাবেন। আর সকল বৃদ্ধ পুরুষদের মতন আর সকল বৃদ্ধা নারীদের দেখে আমরা তরুণেরা আসন ছেড়ে দাঁড়াবো। এটাই হওয়া উচিত।

তাই আমাদের যার যার জায়গায় থেকে, নিজের সাধ্য মতন চেষ্টা করতে হবে যৌন সন্ত্রাস বন্ধ করবার জন্য। সেই পার্পিট্রেটরকে শায়েস্কা করতে আপনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে সাধুবাদ জানাই। আপনার এই ছোটো উদ্যোগ এবং আমাদের সকলের ছোটো ছোটো বিচ্ছিন্ন উদ্যোগগুলোই একদিন একটা বড় প্রভাব রাখবে।

আপনার কল্যাণ হোক।

২৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঘটনার বিবরণ পড়ে একেবারে তাজ্জব বনে গেলাম! ভাবছি, এও কি সম্ভব?
আপনার সাহসী প্রতিবাদের প্রশংসা করছি। সেই সাথে ঐ পরিস্থিতিতে যারা ঘটনাটি চাক্ষুষ দেখার পরেও নির্লিপ্ত থেকেছিলেন, তাদের নিন্দা করছি। সৎকর্মে উৎসাহ প্রদান এবং অসৎ ও অন্যায় কাজ প্রতিরোধ করাটা আমাদের প্রত্যেকের নৈ্তিক দায়িত্ব, বিশেষ করে তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের, এ কথাটি আমরা প্রায়ই ভুলে যাই অতি সহজে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: মানসিকভাবে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, যৌন-সন্ত্রাস প্রতিরোধ করি।

২৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: কি বলবো এই ২-১ টার জন্য পুরো পুরুষ জাতির বদনাম। তবে প্রতিবাদ করায় আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। অনেকেই আছে প্রতিবাদ করতে রাজি না, তার নাকি ইজ্জতে আঘাত আনবে । যে এই অপকর্মটা করলো তার ইজ্জতের কিছু হল না আপনার কেন হবে?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪২

আফরোজা সোমা বলেছেন: বাকি বিল্লাহ, লেখাটি পড়ার জন্য এবং আপনার সময় দিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। তবে আপনি যে বল্লেন সংখ্যাটা মাত্র ২-১ জন, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও তা নয়। শতকরা ১/২ জন নয়, এদের সংখ্যাটা আরো একটু বেশিই হবে। আমার কথা আপনার বিশ্বাস করার দরকার নেই। আপনি নিজে কোনো একদিন ঘন্টাখানেক সময় নিয়ে শহরের কোনো একটা ব্যাস্ত মোড় যেমন শাহবাগ বা নীলক্ষেতে দাড়িয়ে থাকবেন; অথবা কোনো একদিন একঘন্টা নিউ মার্কেট বা গাউছিয়ায় বা নীলক্ষেতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে যাবেন। আপনি নিজে থাকবেন পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। আর দেখবেন এবং গুণবেন ক'জন পুরুষ মেয়েদের দেখলে কনুই বাড়িযে দেয়, নিজের বুক পকেটে হাত দিযে কনুইটা বাঁকা করে রাখে বা কজন পুরুষ হাঁটার ছলে গায়ে ঘষা মেরে যায়।

আর এর বাইরে ওই একঘন্টায় কয়জন পুরুষ মেয়েদের দেখলে শিষ বাজায়, গলা খাকারি দেয়, চোখ ইশারা করে, কমেন্ট করে সেগুলো-ও গুণবেন। যে বিষয়গুলোর উল্লেখ করলাম এর সববই যৌন সন্ত্রাস। তবে, সেদিন আমার সঙ্গে বাসে যা হয়েছে সেরকম বদমায়েশী হয়তো খুব কমই ঘটে বা জানি না, হয়তো কম ঘটে না, হয়তো যার সাথে ঘটে সে ভয় পেয়ে যায় তাই তার বোবা পরিস্থিতি হয়।

আর 'ইজ্জতে আঘাত' লাগার ভয়ে মেয়েরা প্রতিবাদ করে না বলে যে কথাটি বল্লেন সেটিও সত্য। ইজ্জতের, লোকলজ্জার ভয়েই মেয়েরা কথা বলে না। এটা নিয়ে কথা বল্লেই কথা বাড়ে। এবং আমাদের দেশে যে ভিক্টিমকে এবং তার পরিবারকে স্টিগমাটাইজ করার সংস্কৃতি চালু আছে এই সংস্কৃতিই মেয়েদের প্রতিবাদ না করার পেছনে অন্যতম কারণ।

কিন্তু এখন প্রয়োজন আপনাদের মতন সচেতন ও সাহসী মানুষ। আপনি, আমি ও আমরা মিলে নতুন সংস্কৃতি তৈরি করবো। যে পার্পিট্রেটর তাকে স্টিগমাটাইজ করার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। দেখবেন, যৌন সন্ত্রাস কমে আসবে।

আসুন, সকলে মিলে যৌন সন্ত্রাস প্রতিরোধ করি।

২৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

শার্লক_ বলেছেন: আপনি কি শিক্ষক? এই লেখাটা আগে অনলাইনে পড়েছি সেখানে লেখা ছিল। আপনার কোন পোস্ট থেকে কপি করা হয়েছিল বোধহয়। যা হোক আমিও খুব অবাক হইছি কেউ কোন প্রতিবাদ করলো না। কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে মানুষগুলি।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

আফরোজা সোমা বলেছেন: জ্বী, শার্লক। আমি বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। লেখাটি আমার পোস্ট থেকে নিয়ে প্রকাশ করেছিল কয়েকটি অনলাইন।

আসুন, সকলে মিলে যৌন সন্ত্রাস প্রতিরোধ করি।

২৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

কালীদাস বলেছেন: এরকম পার্ভার্ট হাজারে হাজারে চারদিকে। একজন ছেলে হিসাবে আমি লজ্জিত আপনার এই হেনস্হার জন্য এবং ক্ষমাপ্রার্থী ঐ মুহুর্তে উপস্হিত বিকলাঙ্গদের জন্য। আপনার অনুভূতিটা বুঝতে পারছি, এটা ভাষায় প্রকাশের না। এই ইতরের জাতি নারীকে পণ্য হিসাবেই আজীবন দেখে, মা হিসাবে কখনও দেখে না। আপনার লেখা আমার ভাল লাগে কোনদিন ভাবিনি এই জিনিষ দেখতে হবে আপনার লেখনিতে।

পুরো সমাজের রুখে দাড়ানো উচিত এই বেজন্মাদের বিরুদ্ধে, দুয়েকটাকে খোজা করে দিলে বাকিগুলোও সোজা হবে ধীর ধীরে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

আফরোজা সোমা বলেছেন: জ্বী, কালীদাস। আমি আপনার সাথে একমত, আমাদের সকলের প্রতিরোধ গড়তে হবে। এইসব যৌন-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন।

আসুন, যৌন সন্ত্রাস প্রতিরোধ করি।

২৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

আহলান বলেছেন: দশ চক্রে ভগবানও ভুত ..! আমরা প্রতিবাদকারীরা বা ভুক্তভোগীরা সব সহিহ আছি তো? সমাজ সংস্কার সব কিছুতেই তো আধুনিকতার নামে বেলেল্লাপনার প্রসার .. পুরুষ রা সব সাধু সন্ন্যাসী হয়ে থাকবে আর নারীরা যেমন খুশি তেমন ঘুরে বেড়াবে, এমনটা আশা করা ঠিক না! মুন্নি বদনাম হুই আইটেম সং দেখে তালিয়া বাজাবো, সেলিব্রেট করবো, আবার এর প্রভাব সমাজে পড়লে তার আঁচ গায়ে লাগলে ফোষ্কা পড়বে .. তা তো হয় না। সবাইকেই তার মাত্রার মধ্যে থাকতে হয়। নইলে ভজঘট বাঁধবেই। ঘটনা সত্যি হলে আপনার উচিৎ ছিলো ঐ ব্যাটার নাভির নিচেই কষে একটা লাথি দেওয়া। তারপর দেখতেন কে কি করে। আমাদের সমাজে এখনো বিপদগ্রস্ত নারীকে সহায়তা করার মতো পুরুষ আছে। আর এমন মামলায় নারী শতভাগ এ্যডভান্টেজ পায়।

৩০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

অভিলাষ মাহমুদ বাকলিয়া বলেছেন: আর চুপ থাকবার টাইম নাই পিঠ ঠেকে গেছে দেওয়ালে .... আমি দেখতে তাল গাছের মত . তবে কারো ভয়ে অন্োয়কে প্রশ্রয় দেই না ... প্রতিবাদ করতে তাড়াহুড়োও করি না ... ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে করি ... কোন ধরেণের বিপদ / দূর্ঘটনায় অস্থির না হয়ে ভেবে চিন্তে কাজে এগোনো উচিৎ ..। সবাই এক মত নাও হতে পারে ...। ভালো থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.