নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা

নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অলৌকিক শরের কাছে প্রার্থনা

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

শর, বিদ্ধ করো এই লোভাতুর আত্মা আমার
বিদ্ধ করো প্রাপ্তির সমূহ হিসেব।

খ্যাতি ও তালিয়ার নেশায় যে কবি লিখতে
বসেছে, তাকে দাও রাশি রাশি তালিয়া সকল,
দাও সোনা ও রূপায় মোড়ানো মেডেলের ঐশর্য;
কিন্তু তাকে কবিতা দিও না।

ক্ষমতার লোভে যে শিক্ষক হয়েছে সাদা বা নীল,
তাকে পদবী ও বাহুবল দাও; দিও না জ্ঞানের সন্ধান।

মসনদে যেতে যে নেতা জনতাকে দিয়েছে ধোঁকা,
সংসদে তাকে পদ দাও; কিন্তু মানুষের ভালোবাসা নয়,
তাকে দাও শুধু ঘৃণা ও ধিক্কার।

শর, বিদ্ধ করো নেশাতুর, লোভাতুর আত্মা সকল;
বিদ্ধ করো, চতুরের সংবিধান।

০২.০৩.১৭

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুবই অর্থসম্পন্ন লেখা, খুব ভালো লাগলো।
সবাই এখন খ্যাতির পেছনেই ছুটে জ্ঞানের পেছনে ছুটে না!!
নেতা সংসদে আসন চায় মানুষের ভালোবাসা নয়।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২০

আফরোজা সোমা বলেছেন: ধন্যবাদ, ধ্রুবক আলো।

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আফরোজা সোমা আপি


যদিও আমি কবি নই তবুও কবিতা লেখার চেষ্টা করি! সেই আমি আর একজনের কবিতা নিজের প্রিয়তে নিয়ে নিলাম!!!!

কেন নিলাম সে টুকুন কি আর বলে বোঝাতে হবে????


প্লাস!:)

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

আফরোজা সোমা বলেছেন: শুকরিয়া, বিলিয়ার রহমান।

আপনার কবিতা ঐশর্যময় হোক। অনেক শুভকামনা রইলো।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কবিতাখানি অনেক ভাল লাগল। অসাধারণ লিখনির এই প্রয়াসটুকু আমার মতো ক্ষুদ্র জ্ঞানি পাঠকের মর্ম উদ্ধার করা বড়ই কঠিন। তাই প্রিয়তে রেখে দিলাম।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও প্রীত হয়েছি।
আপনার কল্যাণ হোক।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

মনে হইতেছে, কোন অজানা অচেনা পূর্নিমাতিথিতে কোন সমুদ্র হইতে মৃতপ্রায় নরসুন্দা নদীর অন্তরাত্নাকে এক নতুন চেতনাশক্তিতে পরিপূর্ন করিয়া তুলিয়াছে।
আপনার কবিতার জোয়ার দেখিয়া ,ভাবিতেছি দেখিতে যাইব,হয়তো আমার শৈশবের প্রিয় নরসুন্দা নদীতেও জোয়ার আসিয়াছে।
কয়েকদিনে অনেকগুলো কবিতা লিখে ফেললেন। সবগুলোই খুব ভাল লাগল।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: নরসুন্দা আপনারও শৈশবের নদী নাকি! কোথায় ছিলেন?

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

আরইউ বলেছেন: প্রিয় আফরোজা, লেখাটার মুল অর্থটা খুব সুন্দর। "চতুরের সংবিধান" এক্সপ্রেশনটা খুব ভালো লেগেছে।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

আফরোজা সোমা বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য এবং আপনার মতামত জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ, আরইউ। ভালো থাকবেন।

৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

কিশোরগঞ্জ সদরেই আমার জম্ন এবং শৈশব কেটেছে, তবে দাদাজান মার যাবার পরেে আর তেমন যাওয়া হয়ে ওঠেনি,তবে শৈশবেই দেখেছি তন্বী নদীটি আপন কূল আর রক্ষা করিতে পারিতেছে না, সকলের সঙ্গেই তাহার যেন একটা বৈরি সম্পর্ক ,দুই ধারের লোকালয় তাহাকে শুধুই গ্রাস করিতেছে, তাহার ক্রন্দন যেন তাহার ভাষার অভাব পুরন করিয়া দেয়, তবে তহার ক্রন্দন আমাকে বেশীদিন শুনিতে হয় নাই, এই ভেবে ভাল বোধ করিতেছি ।

তবে আমার নরসুন্দাকে নদী বলিয়া জানিতাম, আপনি নদ বলিয়া উল্লেখ করেছেন, বা হয়তো আমার নরসুন্দা নদীটি আপনার নরসুন্দা নয়.....

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

আফরোজা সোমা বলেছেন: নরসুন্দাকে তন্বী দেখার কথা নয়। সে ছিল আমাদের দাদা-দাদীদের যৌবনের কালে। আমাদের কালে আশির মাঝামাঝি/ শেষ বা ৯০ এর শুরু থেকে যারা দেখেছে তারা সকলেই তারুণ্য হারানো একটা নদকেই দেখার কথা। তবে, হ্যা তখনো জলের প্রবাহ ছিল। সারাবছরই পানি থাকতো। বৃষ্টিতে থৈ থৈ করতো পানি। বড় রাস্তার ধার পর্যন্ত আসতো বর্ষার জল। আর এখন তো আধুনিকায়ন করে এটিকে পাকাপাকিভাবে ড্রেনের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।

৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: // শর, বিদ্ধ করো নেশাতুর, লোভাতুর আত্মা সকল;
বিদ্ধ করো, চতুরের সংবিধান।//
অনবদ্য লেখনি, মনে গেথেঁ রইল ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

আফরোজা সোমা বলেছেন: ধন্যবাদ, জান্নাত। ভালো থাকবেন।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর লেখা আপুনি। ভাল লাগা অনেক অনেক সাথে ভালবাসা

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

আফরোজা সোমা বলেছেন: শুকরিয়া। আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা আর ভালোবাসা।

৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০২

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আপনি যথার্তই বলেছেন, ৯০ এর দশকে দেখা নরসুন্দাকে কখনই তন্বী বলা যায় না।
তবে আমার জ্ঞান হবার পর এই মৃতপ্রায় নরসুন্দা-কেই আমি নদী বলে জানি, হয়তো তন্বী নদীর মত ছিলনা তার কোন কলধ্বনি, তবুও কি যেন এক আকর্ষনে তার মুখামুখি চুপ করে বসে থাকতাম। সে সুবিস্তীর্ণ রোদে ,আর আমি ক্ষুদ্র তরুছায়ায়। তাই আমার ভালবাসাকে তন্বী না বলিয়া অন্য কি নামে ডাকি বলুন।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: হুমম... তাই :)

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩০

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
অন্য কোথাও লিখবার সুযোগ নেই ,তাই সেই তন্বী নদীটির কথা আপনার ব্লগে আরও কিছু লিখে রাখলুম........

জ্ঞান হবার পর থেকেই তাকে ভালবেসেছি, কিন্তু একসময় সেও আমাকে ভালবাসতে শুরু করে আমার মনে ভয় ধরিয়ে দিলো। ভালোবাসার এরকম মূর্তি সংসারে তো কোনোদিন দেখি নি। বইতে পড়েছি বটে, সেও মেয়ে পুরুষের মধ্যে।
সেদিন আমি বুঝলাম, আমার হৃদয়ের জগতেও একটা বসন্তের হাওয়া আছে, সে যেন কোন স্বর্গ থেকে এসেছে,
গলির মোড় থেকে আসে নি ।
তার এই ভালোবাসার ভিতর দিয়ে আমি আপনার একটি স্বরূপ দেখলাম, যা আমি জীবনে আর কোনোদিন দেখি নি,
সে যেন আমার মুক্তি স্বরূপ। এই বিশ্বসংসারে একমাত্র তার ভালবাসারই কোনো শর্ত ছিল না ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

আফরোজা সোমা বলেছেন: সুযোগ পেলে নিজের বিগত প্রেমকে গিয়ে এক নজর দেখে আসবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.