নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা

নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুয়া ভিক্ষুক: তাদের প্রতি আমাদের মমতা কি কমছে?

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২০

বিবিসি বাংলায় প্রকাশ হচ্ছে আমার ধারাবাহিক কলাম 'জনারণ্যের জার্নাল'। কলামের প্রথম কিস্তিটি ছিল ঢাকার রাস্তায় ভুয়া ভিক্ষুকদের নিয়ে। মানুষকে সংবেদনশীলতাকে পুঁজি করে মানুষ কেন বেছে নিচ্ছে অসদোপায়ে অর্থোপার্জন? এই প্রশ্নটিকে সামনে এনে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে এই কিস্তিতে।

আপনার সময় থাকলে পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।

ঢাকার রাস্তায় ভুয়া ভিক্ষুক: তাদের প্রতি আমাদের মমতা কি কমছে?

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ম্যাডাম, আমার মতে এদেরকে ভিক্ষা দেয়া একেবারেই ঠিক নয় কারণ ভিক্ষা দেওয়ায় এরা ভিক্ষাবৃত্তিতে আরো প্রলুব্ধ হচ্ছে। সর্বোপরি আপনি একজন গুনি মানুষ; আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

আফরোজা সোমা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। তারা আরো প্রলুব্ধ হচ্ছে। আর তাদের কারনে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত অসহায় মানুষেরা।
ভালো থাকবেন।

২| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পড়বো

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

আফরোজা সোমা বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়ে কোনো মতামত থাকলে জানাবেন আশা করছি।

৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আফরোজা সোমা ,




অফিসে আছি বলে লগ-ইন করার ইচ্ছে ও সময় ছিলোনা । কিন্তু আপনার লেখাটি দেখে ও মূল লেখাটি পড়ে লগ-ইন হতে হলো পাছে পরবর্তীতে এমন পোষ্টে মন্তব্য করতে ভুলে যাই কিনা সেই ভয়ে ।
নিঃসন্দেহে ভাবনা জাগানিয়া লেখা ।

আপনার লেখা থেকে কিছু তুলে দিচ্ছি যা সত্যিই বলিষ্ঠ কিছু ভাবনা-----------------

মানুষের করুণাকেও রেহাই দেয়নি ঠগবাজ মানুষেরা।

এই সমস্ত দিনগুলোতেই খুব নিকট থেকে দেখেছি, দিনে যে ভিখিরি হাইকোর্টের মোড়ে হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে ভিক্ষা করে, রাত দশটার পর সেই আবার হাইকোর্টের সামনের ফুটপাথে পাতা বিছানায় আধাশোয়া হয়ে ব্যান্ডেজ খুলতে-খুলতে হাতের আড়মোড়া ভাঙছে। দিনে যে পঙ্গু, রাতে সে দিব্যি দু'পায়ে হাঁটে।

.......তার বিলাপে কেউ বিশেষ গা করেনি। সত্যি বলছি, আমিও না। বরং একটা সময়ে এই বিলাপকারীকে দেখলে আমার মধ্যে কেমন ক্ষোভের জন্ম হতো।

এই প্রতারকদের কারণেই সত্যিকারের বিপদগ্রস্ত ও করুণা প্রার্থী মানুষকেও আমরা সন্দেহের চোখে দেখি।

এই অনৈতিক চর্চাকে এভাবে কতদিন সয়ে যাওয়া যায়? আর এই বাস্তবতার সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে, মানুষের বিলাপের প্রতিও আমরা উদাসীন হয়ে যাচ্ছি। অন্যের কাতর আহ্বানেও সাড়া না দেবার এই ঔদাসীন্য তো একটা ভয়ঙ্কর সামাজিক অসুখ।

এই ক্ষতিটাকে অর্থনৈতিকভাবে টাকার অংকে প্রকাশ করা হচ্ছে না বলেই এটিকে নিয়ে আমরা ভাবছি না।

দরিদ্র হলেই মানুষ নীতিহীন হয়— এমন তো ভাবার কোনো কারণ দেখি না।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: অনেক ব্যাস্ততার মধ্যেও সময় বের করে লেখাটি পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।

৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এটা যে শুধু দেশ হয় তা কিন্তু নয়, লন্ডন সিটিতে এরকম অসংখ্য ভিক্ষুক দেখেছি। এরা এমনভাবে অভিনয় করে মনে হয় রিয়েল। এদের বেশিরভাগই পূর্ব ইউরোপ থেকে আসা জিপসি। বাকিরা স্থানীয় ব্রিটিশ। লন্ডনে বিক্ষাবৃত্তি সম্পূর্ণ বে আইনি হলেও পুলিশ এদেরকে তেমন বাগে আনতে পারে না।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: লন্ডনের ভিক্ষাবৃত্তি আর বাংলাদেশের ভিক্ষাবৃত্তি একই রকম?!

৫| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমার দৃষ্টিতে ইহার সমাধান হইল ইহাদের কাবিখা প্রজেক্টের মতন বিভিন্ন প্রজেক্ট কইরা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করাইয়া খাওয়া- পড়ার ব্যবস্থা করা ! একেবারেই অসমর্থ হইলে আলাদা ব্যবস্থা করা। আরেকটি বিকল্প হইতে পারে সমর্থদের সশ্রম কারাদণ্ড ! ইহাতে প্রকৃতরা উপকৃত হইবে।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: চিন্তাশীল বক্তব্য। হয়তো আমরা সবাই মিলে বিষয়টি নিয়ে ভাবলে, সোচ্চার হলে এর থেকে আমাদের মুক্তি মিলতে পারে।

৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপি লেখাটি পড়েছি। খুব ভালো লেগেছে। এই ধরনের ঘটনার সাথে আমি আজ ৫ বছর ধরে পরিচিত।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুব ভালো থাকবেন।

৭| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে লেখাটা। আমাদের মধ্যবৃত্তের অন্যতম সমস্যাই হলো আবেগকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারা। যে কারণে এই প্রতারকরা দিনের পর দিন সেই আবেগকে ক্যাপিটালাইজ করছে। তিন দিন আগেই ইউটিউবে 'তালাশ' এর একটা পর্ব দেখলাম এই যে রাস্তায় মসজিদ মাদ্রাসার নামে টাকা তোলে, তার উপর। পুরোটাই ভূয়া। উপরন্তু, এই লোকগুলোর সাথে ধর্মীয় কোন বিষয়াদি নেই, সবগুলো বাটপার।

কলাভবনে আমি নিজেও আপনার মতই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। এখনও ক্যম্পাসে গেলে ওই একই ভিক্ষুক মুখগুলোকেই দেখি, যাদেরকে দেখেছিলাম প্রায় ২০ বছর আগে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আত্মসম্মানবোধ থাকতে হবে, জাতিগতভাবে আমাদের ওই জিনিসটাই বেশ কম।

আচ্ছা, বিবিসিতে লেখার কি প্রক্রিয়া?

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: লেখাটি সময় নিয়ে পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


বিবিসিতে লেখার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমি ঠিক ওয়াকিবহাল নই। বিবিসি বাংলার সম্পাদক আমাকে এই কলাম লিখতে অফার করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই আমার লেখা।

ভালো থাকবেন। আপনার কল্যাণ হোক।

৮| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

কাইকর বলেছেন: পড়বো।শুভ কামনা রইলো

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা।

৯| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

জুন বলেছেন: সোনারগাঁ পান্থ পথের মোড়ে বড় বড় চোখ ওয়ালা একটি ছেলেকে কোলে নিয়ে তার মা চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইতো সে প্রায় বিশ বছর আগের কাহিনী । এখন ছেলেটিকে তার তথাকথিত মা কোলে নিতে পারে না কিন্ত তার চিকিৎসার আবেদন চলছেই । আমি মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করি কি এখনো ওর চিকিৎসা করাও নি ! আশাকরি আপনিও তাকে দেখে থাকবেন। এই সব ভুয়া ভিক্ষুকের জন্য প্রকৃত অভাবীরা বঞ্চিত হয় ।
সেদিন বাসা থেকে বেরিয়ে সামান্য এগুতেই এক বৃদ্ধ ভিক্ষুকের সাথে দেখা, রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছে মাথা নীচু করে আপনমনে, পরনে কার দেয়া পুরনো সিল্কের ছেড়াখোড়া মলিন পাঞ্জাবী। আমি পিছিয়ে এসে তাকে সামান্য সাহায্য করলাম। কিন্ত আমার গন্তব্য শপিং সেন্টারের দরজায় বসে থাকা হাত পা ভাঙ্গা ভিক্ষুকটিকে অভ্যাসবশত কিছু দিয়ে তার মুখের দিকে চাইতেই আমার মনে বিন্দুমাত্র কোন দয়ার উদ্রেক হলোনা আফরোজা সোমা যা হয়েছিল প্রথম জনের বেলায়।
সুলিখিত লেখায় অনেক ভালোলাগা ।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

আফরোজা সোমা বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি নিশ্চিত এমন আরো অনেক গল্প আমাদের আছে। ভুয়া ভিখিরিদের কারণে হয়তো অনেকেই নিজেদের সংবদেনশীলতাকে গুরুত্ব না দিতে শিখছি। এর নিশ্চয়ই শেষ হওয়া দরকার।

ভালো থাকবেন।

১০| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

আফরোজা সোমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১১| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: নিমন্ত্রন রেখেছি।
আমার মনে হয় সমাজের একটা দায় থেকেই যায়।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

আফরোজা সোমা বলেছেন: জী, হয়তো থেকেই যায়। অবশ্য যদি কেউ মনে করে আরকি।

অনেক ধন্যবাদ। খুব ভালো থাকবেন।

১২| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: যাই লিঙ্ক থেকে ঘুরে আসি।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: শুকরিয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.