নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা

নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিরো আলম ও আমাদের শ্রেণী বিদ্বেষী মন

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

আমাদের চিন্তাভাবনা কি এখনো তীব্রমাত্রায় ক্লাস নির্ভর বা শ্রেণী সচেতন?

কথাটা মনে এলো হিরো আলমের নির্বাচনী মনোনয়ন ফর্ম তোলার পর 'সুশীল-শিক্ষিত' ও অপেক্ষাকৃত অার্থিকভাবে সচ্ছল নাগরিকদের ফেসবুক প্রতিক্রিয়া দেখে।



পাশাপাশি, মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতেও তাকে দেখা গেলো।

একটি টেলিভিশনের সংবাদ-বিশ্লেষণী এক অনুষ্ঠানের শ্রদ্ধেয় একজন অতিথি হিরো আলমকে জিজ্ঞেস করলেন, ''আপনি তো এম্নিতেই অনেক বিখ্যাত, আবার রাজনীতিতে আসা কোন উদ্দেশ্যে? কী করতে চান রাজনীতিতে?"

আপাতঅর্থে প্রশ্নটি নিরীহই বটে। কিন্তু, 'অনেক বিখ্যাত' শব্দটাতে আমার কান আটকে গেছে। তাছাড়া এই শব্দ-দ্বয় ডেলিভারি দেবার সময় বক্তার স্বরটাও লক্ষনীয়।

বাংলাদেশে শ্রেনী ভেদে হিরো আলমের গ্রহণ যোগ্যতা, তাকে নিয়ে ফেসবুকীয় সুশীলীয় ট্রল ইত্যাদি বিষয়ে যারা অবগত আছেন তারা এই প্রশ্নটির ডেলিভারি শুনতে-শুনতেই অনুভব করবেন যে, প্রশ্নটিও আসলে একধরনের বুলিং-এরই নামান্তর।

হিরো আলমকে এনে সাক্ষাতকারের নামে যেভাবে বিনোদন করা হয়েছে বা সার্কাস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেভাবে কি অন্যান্য তারকা যেমন সঙ্গীতশিল্পী কণকচাপা ও বেবী নাজনীন, চিত্রনায়ক সোহেল রানা, অভিনেতা ডিপজল, নায়িকা কবরী ও ময়ূরী ও অন্যান্যদের এনেও করা হয়েছে বা হবে?

কিংবা আমাদের কোটি মানুষের প্রাণপ্রিয় মাশরাফিকে কি এই প্রশ্নটা করা হয়েছে এভাবে গলা টানতে-টানতে যে, ''আপনি তো এম্নিতেই অনেক বিখ্যাত, আবার রাজনীতিতে আসা কোন উদ্দেশ্যে? কী করতে চান রাজনীতিতে?"

এবারে যারা নির্বাচনের মনোনয়ন কিনেছেন, তাদের মধ্যে মাশরাফির চেয়ে বিখ্যাত কে আর আছেন? তাহলে 'অনেক বিখ্যাত' শব্দ-বন্ধ কি হিরো আলমের চেয়ে মাশরাফিকেই বেশি মানায় না?




হিরো আলমের এমপি হবার যোগ্যতা নাই থাকতে পারে। তাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া নাই হতে পারে। বা চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হলেও সে ভোটে ফেল করতে পারে। সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু একজন নাগরিক হিসেবে 'হিরো আলম' নিজেকে 'এমপি'র আসনে আসীন' ব্যক্তি হিসেবে কল্পনা করতে পারার সাংবিধানিক অধিকার তার আছে। আর নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধানও তাকে দিয়েছে মনোনয়ন ফর্ম তোলার অধিকার।

কিন্তু হিরো আলম 'আনস্মার্ট', 'অশিক্ষিত', 'গরীব' 'ফকিন্নির পুত' 'মুর্খ' (এই কথাগুলো আমি ফেসবুকে এই দুই দিনে হিরো আলমকে নিয়ে লোকের কমেন্টে পড়েছি) তাই সে নির্বাচনের মনোনয়ন ফর্ম কিনতে পারবে না বলেই সাব্যস্ত করেছে আমাদের সুশীল মন।

তাই, আমাদের 'সুশীলীয় সেট অফ ভেল্যুজ' বা মূল্যবোধের ছাঁকনি দিয়ে মেপে আমরা হিরো আলমকে সাব্যস্ত করেছি 'বিলো এভারেজ' বা গড়পড়তার নিচে বলে এবং তাকে সাব্যস্ত করেছি 'নট আপ টু দি মার্ক' অর্থাৎ 'আমার মাপে সে যাচ্ছে না' বলে।

কিন্তু এই সুশীলরাই আবার দেখি সাবোলটার্নদের পক্ষে নানাখানে কথা বলেন। তারাই আবার শ্রেনী-বর্ণ ও জাত্যাভিমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।

আমরা নিম্নবর্গের সংস্কৃতি নিয়ে গালভরা কথা বলি। কিন্তু একজন প্রকৃত নিম্নবর্গের মানুষ যখন নির্বাচনে লড়াই করবার জন্য মনোনয়ন ফর্ম কিনেছেন মাত্র, সেটিই 'সুশীল-শিক্ষিত' সমাজ মেনে নিতে পারছে না।

তাকে নিয়ে আমরা বুলিং করতে ছাড়ছি না। তাকে নিয়ে 'মজা' নিতে ছাড়ছি না। তাকে পরোক্ষে 'র‍্যাগ' দিতে ছাড়ছি না।




হিরো আলমের পক্ষে বা বিপক্ষে আমি নই। সে এমপি হবার যোগ্য না-কি যোগ্য নয় সেই প্রসঙ্গেও আমি আলোচনায় যাচ্ছি না। কিন্তু আমার বলার মূল বিষয় 'শ্রণী বিদ্বেষী মন'। অর্থাৎ অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, আমাদের সুশীল মন কতটা বর্ণবাদী ও শ্রেণী-বিদ্বেষী সেটিই ঠেলে বের হয়ে আসছে হিরো আলমের ঘটনায়।

আপনি ফেয়ার এন্ড লাভলীর বিজ্ঞাপনের বিরোধীতা করেন। কারণ এটি সমাজে বর্ণবাদ ছড়ায় বলে আপনি মনে করেন।

আফ্রিকান বংশোদ্ভুত কাউকে তার গায়ের বর্ণের কারণে কৃষ্ণাঙ্গ বলা হলে সেটি আপনার সুশীল মনে কষ্ট দেয়। সেটিকে আপনার সুশীল মন বর্ণবাদ বলে চিহ্নিত করতে পারে।

আপনি এশিয়ান বলে, আপনার চামড়া বাদামী বলে, সাদা চামড়ার দেশে কোনো বিমান বন্দরে আপনাকে যখন অন্যের চেয়ে বেশী সময় ধরে চেক করার নামে ভোগান্তি দেয়, আপনার পাসপোর্টটা যখন অহেতুক হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে নেড়ে-চেড়ে দেখে, আপনার নামের আগে মোহাম্মদ লেখা দেখে যখন আপনাকে অতিরিক্ত আরো কিছু প্রশ্ন করে ‘হিউমিলিয়েট’ বা ‘অপদস্ত’ করে তখন আপনি বিরক্ত হন এবং এই বিরক্তিকে যৌক্তিক মনে করেন।

কিন্ত হিরো আলম 'শুদ্ধ ভাষায় ঠিক মতন মনোনয়ন শব্দটা উচ্চারণ করতে পারে না' বলে, সে দেখতে 'আনস্মার্ট' বলে 'অশিক্ষিত' বলে তাকে যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করেন, তাকে যখন খারিজ করে দেন তখন কি সেটি বর্ণবাদী আচরণ নয়, মহামান্য?




বাংলাদেশের 'সবচেয়ে খ্যাতিমান ও অভিজাত' একটি বাংলা পত্রিকার একটি খবরেও হিরো আলমের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ হতে দেখলাম। সাক্ষাৎকারটিতে হিরো আলমের বক্তব্যের পুরো অংশ বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায়। আর রিপোর্টারের ভাষা 'মান বাংলায়'।

এই ইন্টারভিউটা পড়েই মাথায় এলো 'বিটুইন দি লাইন্স' কথাটা। ভাবে-ভঙ্গিতে কাউকে সম্মান দেয়ার 'ভং' ধরেও আপত্তিকর কোনো শব্দ ব্যবহার না করে ও কী করে বহু কথা বলে দেয়া যায় তা এই সমাজ জানে।

তাই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিক্রিয়া, মেইনস্ট্রিম গাণমাধ্যমের আচার-আচরণ দেখে মনে হলো, বাংলাদেশে আঞ্চলিক ভাষা আতরাফ বা নিম্নবর্গ বা চাষা-ভুষা বা ছোটোলোকের ভাষায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আঞ্চলিক ভাষা কবে থেকে আতরাফের ভাষায় পর্যবসিত হলো?

বগুড়ার মানুষ যারা আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন তারা সবাই কি আতরাফ? তারা সবাই কি আনস্মার্ট? আপনাদের যাদের আত্মীয়-স্বজন বগুড়ায় আছেন তারা সবাই কি মান বাংলায় কথা বলেন? আর যারা মান বাংলায় কথা বলেন না তাদের সবার নাম কি হিরো আলমের মতন আনস্মার্টদের লিস্টে তোলা হবে?

এই যে, শ্রেণী সচেতনতা, এই যে আপনার 'মানে এবং মাপে' পৌঁছাতে না পারলেই আরেকজনকে 'ডি-ক্লাস' বা শ্রেণীচ্যুত করে দেওয়ার মাধ্যমে তাকে বালখিল্য ও হাস্যস্পদ করে তোলা এটি কি অন্যায় ও নীতিবিরুদ্ধ আচরণ নয়, হে সুশীল-শিক্ষিত সমাজ?

আপনার মতন, ক্লাস-সচেতনতা ও উগ্র সাংস্কৃতিক আধিপত্যের মানসিকতা থেকেই তৈরি হয়েছিল আর্য আর অনার্যের মিথ। এইজন্যই আমাদের মিথের অসুরেরা দেখতে হিরো আলমের মত কালো, খাটো, 'বিদঘুটে'। হয়তো অসুর মানেই হিরো আলমের মতন দাঁত উঁচা।

হে হিরো আলমকে-নিয়ে-ট্রল-করা-সমাজ, আপনার মুখে কি নিম্নবর্গের সংস্কৃতির জয়গান তথা সাবোলটার্ন সোসাইটির কালচারাল ফাইট বা এই ভূখন্ডের মিথের সেলিব্রেটি-অসুর রাবণের পক্ষে গান গাওয়াটা মানায়?

একটু ভেবে দেখবেন।

আমিও প্রকৃতই হিরো আলমের সমাজের একজন। নগরের সুশীল দেবতা আর অশিক্ষিত-গরীব-আনস্মার্ট গেঁয়ো অসুরের এই দ্বিধা বিভক্ত সমাজে আমি আসলে অসুরগোত্রভুক্ত।

আমি কৃষক ও গরিব সমাজের মানুষ। আমার পাড়ার খেলার সাথীরা বড় হয়ে কেউ গার্মেন্টেসে কাজ করতে গেছে, কেউ ওয়ার্কশপ দিয়েছে, কারো কৈশোরে বিয়ে হয়ে গেছে, কেউ রোগে ভুগে মরে গেছে। অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্নরা অর্থনৈতিকভাবে ভালো আছে।

তবে, আমার পাড়ায় খেলার সাথীদের বেশির ভাগই 'মান বাংলায়' কথা বলে না। তারা কথা বলে আঞ্চলিক ভাষায়। আমার বংশেও এলিট বা অভিজাত কেউ নেই; কিউ ছিল না কোনো কালে। তারাও আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। আমার বাবা আমাকে কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় 'পুত' বলে ডাকতেন। আমার মা আজো আমাকে দরদ ঢেলে 'পুত' বলে ডাকেন। 'সুশীল সমাজে' গেলেও আমার মা তার নিজের স্বচ্ছন্দ ভাষায় কথা বলেন। বুলি পাল্টে তাকে 'সুশীলিয় মান-বাংলার-বুলি' নিতে হয় না।

আমি খেটে-খাওয়া পরিবারের মানুষ। আমার আত্মীয়-স্বজনেরাও সব গরীব। আমার বন্ধু-স্বজনদের মতন এবং হিরো আলমের মতন বাংলাদেশে এমন আরো কয়েক কোটি গরীব 'অ-সুশীল' আছেন যারা সুশীলীয় ‘হাই ক্লাস কালচার’ বোঝে না। তারা সুশীলীয় হাই-আর্ট-কালচারের সাথে নিজেদের রিলেট করতে পারেন না। তারা সুশীলদের সাথে ‘এলিয়েনেটেড’ বা বিচ্ছিন্ন বোধ করে। অবশ্য সুশীলরাও যে তাদের সাথে একাত্মবোধ করেন না তার প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অগুন্তি স্ট্যাটাস ও কমেন্ট।

আমার উপর রাগ নিয়েন না। পারলে ক্ষমা-ঘেন্না করে দিয়েন। আর না পারলে সত্য বলার ধৃষ্টতা দেখানোর অপরাধে আমাকে নিয়েও ইচ্ছা হলে ট্রল করতে পারেন। আমিও দেখতে খাটো আর কৃশকায়। আমার থুৎনির দিকটাও দেখতে বানরের সাথে অনেকটা মিল আছে। আমিও হিরো আলমের মতন নিম্নবর্গের বিধায় আমারো কোনো প্রতিরোধ নেই।

নিম্নবর্গের প্রতিরোধ থাকে না বলেই তারা নিম্নবর্গ থেকে যায়। উচ্চবর্গেরা সব অর্জুনের মতন রাজরক্ত বহন করেন। আর হিরো আলমরা সব একলব্য। তাদেরকে আপনাদের সাথে এক পংক্তিতে বসতে না দেয়াই শ্রেয়।

#যতসববেহুদাআলাপ

হিরো আলম ও আমাদের শ্রেণী বিদ্বেষী মন

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

নতুন বলেছেন: আমি আলমের আত্নবিশ্বাসের প্রশংসা না করে পারিনা।

তিনি বত`মানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের চেয়ে আত্নবিশ্বাসী।

আর তাকে এমপি বানালে তিনি অবশ্যই দূনিতি করবেনা এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।

তিনি সন্ত্রাসী করবেনা, তিনি কাউকে ফালাইয়া দিতে হুকুম দেবেনা।

তিনি বেশি পড়াশুনা করেন নাই কিন্তু তার কাছে কিভাবে আত্নবিশ্বাস বাড়াতে হয় সেটা শেখার আছে....

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: হিরো আলমকে নিয়ে চর্চা করাটা্ আসলে আমার লেখার উদ্দেশ্য নয়। তার প্রতি সমাজের অনেক মানুষের একটা সার্টেন টাইপ অফ আচরণ দিয়ে সমাজের একটা প্রবণতা চিহ্ণিত হয়। সেই প্রবণতা নিয়েই আমি লিখেছি।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশে উদার মানুসের বড়ই অভাব।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: হিরো আলমের পক্ষে যেহুতু এতো এতো যুক্তি। এখন কোন না, কোন ভাবে “হিরো আলমকে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী” বানানো যায় কিনা।:)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

আফরোজা সোমা বলেছেন: কোন যুক্তিটা হিরো আলমের পক্ষে? একটু বুঝিয়ে বলবেন, প্লিজ? আর আরেকটু যদি বুঝিয়ে বলতেন যে, এই লেখাটার মূল ফোকাস কী তাহরে কৃতার্থ হতাম।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

রানার ব্লগ বলেছেন: হিরো আলমের সাক্ষাৎকার খানি ইউটিউবে দেখে আসুন তাদের কে বলছি যারা নাক সিটকাচ্ছেন ভদ্রলোক এত নিখুত ভাবে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যা অনেক তালবে আলেম ও পারে না। হিরো আলম তার নিজের ব্যাক্তিত্যকে যে ভাবে ফুটিয়েছেন তা অনেকেই পারেন না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

আফরোজা সোমা বলেছেন: দেখেছি। অতিথির গলা-টানা প্রশ্ন চোখে লাগে।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

দিপু দিপু বলেছেন: আমরা বড় বেশী হিপোক্রিট!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: একজন মানুষকে নিয়ে এভাবে বুলিং করা, তাকে পাবলিকলি হিউমিলিয়েট করা একটা ক্রাইম। কিন্তু এই আচরণটাকে অধিকাংশ ক্রাইমই মনে করছে না! হিরো আলম অযোগ্য, তাকে ভোট দিয়েন না। সে 'ফালতু সার্কাস করে', তার সার্কাস দেইখেন না। দ্যাটস ইট। কিন্তু সে অযোগ্য হলেই তাকে হিউমিলিয়েট ও বুলিং করা যাবে, এ্ই কথা কোন সংবিধানে লেখা আছে? এই বক্তব্যটাই আমি তুলে ধরতে চেয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোকে লেখার মূল ফোকাসটা না পড়ে 'আমার লেখা হিরো আলমের পক্ষে' লিখেছি সাব্যস্ত করে আমাকেও গালিগালাজ করছে।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: হিরো আলমকে ট্রলচারীরা আরো হিরো বানিয়ে দিল! ঐ টিভি চ্যানেল ডিপজলের সাক্ষাতকার যদি দেখাত

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

আফরোজা সোমা বলেছেন: সেটাই। আমাদের মানবিকতা-ও আজকাল অত্যন্ত সিলেক্টিভ।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: :-B

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

আফরোজা সোমা বলেছেন: এক্সপ্রেশানের ব্যাখা বুঝি নাই।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই দেশে হেরো আলম এমপি হয়ে পাশ করে মন্ত্রি হলেও আপত্তি নেই।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: হিরো আলমের পক্ষে বা বিপক্ষে কি আমার কোনো অবস্থান পেলেন?
আমার এই লেখার মূল প্রশ্ন হচ্ছে, একজন ব্যক্তি অযোগ্য বা কম যোগ্য হলেই কি কেউ তাকে হিউমিলিয়েট করতে পারে? তাকে অপদস্ত করতে পারে? হিউমিলিয়েশানের এই চর্চাকে আপনি কি সমর্থন করেন?

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

রাকু হাসান বলেছেন:


হিরো আলমকে নিয়ে আপনার পোস্টের জন্য অভিনন্দন। খুব সুন্দর লিখেছেন । ভালো বলেছেন। ভালো লাগলো । বাঙালির অন্যতম বড় মেডিটেশন হলো একজন হিরো আলম । শুভকামনা ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

আফরোজা সোমা বলেছেন: হিরো আলম আপনার নেতা হবার যোগ্য নন। তার এই অযোগ্যতার কারণে আ্পনি যদি তার ভোটার হয়ে থাকেন তাকে ভোট না দেবার শতবাগ অধিকার আছে। কিন্তু অযোগ্যতার অভিযোগে আপনি কি তাকে হিউমিলিয়েট করার অধিকার রাখেন?

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

রাকু হাসান বলেছেন: সরি *মোটিভেশন

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: উপরের মন্তব্যে কষ্ট পেলে মাফ করবেন,



আসলে আমি বোঝাতে চেয়েছি, বিবিসি বাংলা থেকে শুরু করে.... এই যেমন ধরুন, আপনিও হিরো আলম কে নিয়ে কিছু লিখছেন।অহেতু নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করছেন। হিরো আলমের মুভির ডায়লগ কি কখনো আপনি শুনেছেন? এটা "পাগলের সাথে পাগলামি নয় কী" যেমন,কয়েকদিন ধরে সাংবাদিকরা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই পাগলীমি করছে।পজেটিভ ও নেগেটিভ যেভাবে একটা মানুষকে উপস্থাপন করুন না কেন।এটা বাংলাদেশের কালচার সে বড় সেলিব্রেটি।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

আফরোজা সোমা বলেছেন: মিডিয়ার মানুষেরাও তো সমাজের মানুসিকতাই ধারণ করে, নাকি?

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল প্রথম আলোতে হিরো আলমের সাক্ষাতকার পড়েছি। পড়ে মেজাজ খারাপ হয়েছে।
সবাই তাকে নিয়ে এত হাসাহাসি করে কেন? ছেলেটা নিজের যোগ্যতায় এতদূর এসেছে। ক্ষমতাবান মামা চাচা নেই।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আফরোজা সোমা বলেছেন: সেটাই প্রশ্ন। কেউ আপনি কারো চেয়ে যোগ্যতার বিচারে কম যোগ্য হলেই কি আপনাকে সেই ব্যক্তি হিউমিলিয়েট করার অধিকার রাখে?

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

জেকলেট বলেছেন: এই সকল আশরাফ ভাষিদের ভালো শিক্ষা দিয়েছিলেন একজন আতরাফ ভাষি সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান। খুব সম্ভবত ১৯৯২-৯৩ এর দিকে সাইফুর রহমানকে তা আঞ্চলিক সিলেটি ভাষার জন্য তার দলের ই জনৈক আশরাফ ভাষি ঠাট্টা করছিলেন! জবাবে সাইফুর রহমান বলেছিলেন আমি আরেকটা যে ভাষা জানি তা বল্লে এই সংসদের ৮০% সদস্যই বোধদয় হবে না। আর শুশিলরা তো রিতিমত ভয় পাইত। যোগ-বিয়োগে ভুল করার জন্য এই সকল শু-শিলরা অসংখ্যবার সাইফুর রহমানের কাছে লজ্জা পেয়েছেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আফরোজা সোমা বলেছেন: হাহ হা. ভালো উদাহরণ টেনেছেন। আমাদের বেশির ভাগের মানসিকতা হলো, বাঘের কাছে গেলে বিলাই হয়ে থাকা আর বিলাইয়ের কাছে গেলে বাঘের রূপ ধরা।

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এই লোকটার কথা ভাবলে আমি একই সাথে ব্যথিত, আনন্দিত এবং অবাক হই
সুন্দর শিরোনাম

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আফরোজা সোমা বলেছেন: :)

১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

কাতিআশা বলেছেন: খুব ভালো লাগল লেখাটা!..ভেতরে ভেতরে আমরা সবাই কমবেশি রেসিস্ট!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আফরোজা সোমা বলেছেন: তাই, সকল প্রকার রেসিজমের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

অলিউর রহমান খান বলেছেন: লিখাটি অনেক লম্বা কিন্তু পড়তে এতো ভালো লেগেছে শেষ না করে পারলাম না।
শিক্ষিত ও সুশীল সমাজের মানুষরা চুরি, ডাকাতি, লুন্ঠন নিয়ে ব্যস্ত। তবু বাজারে তাদের দাম আকাশের সমান।
পা চেটে চেটে ময়লাগুলো পরিষ্কারের দায়িত্ব নিয়েছে এ যুগের শিক্ষিত, স্মার্ট, পয়সা ওয়ালা লোকগুলো।
সমাজে হিরো আলমের দাম হয়তো কেজি হিসাবে বিক্রি হবে কিন্তু তার দ্বারা অন্তত সুশীল সমাজের শিক্ষিত, স্মার্ট, বড় পরিবারের লোকদের মতো চুরি, ডাকাতি হবে না।

যোগ্যতার বিচারে সে সমস্ত বড় পরিবার থেকে উঠে আসা শিক্ষিত সুশীলদের চেয়ে হিরো আলমের মান অনেক উপরে।
তার প্রমাণ হিরো আলমের চোখে, মুখে। প্রমাণ তার সরলতায়।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: হয়তো সততার বিচারে হিরো আলমের মান উপরে মনে হচ্ছে। বা হয়তো হিরো আলমের সততা কখনো পরীক্ষার মুখে পড়ার সুযোগই তৈরি হয়নি। কারণ অসৎ হবার মতন বড় সুযোগ হয়তো তার তৈরি হয়নি।

আমার প্রশ্ন হিরো আলমের যোগ্যতা নিয়ে নয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, হিরো আলম অযোগ্য ব্যক্তি হলেই কি তাকে কেউ অপদস্ত বা হিউমিলিয়েট করার অধিকার রাখে?

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: "সাংবিধানিক অধিকার" শব্দদয় পড়ার পরও আমার কাছে ঠিক তেমন অনুভূতি হয়েছিলো, যেমনটা হয়েছিলো আপনার কাছে।

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: উনার করা ১১ নম্বর মন্তব্য এর পর আর কিছু বলার থাকে বলে মনে হয়না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: ১১ নম্বর কমেন্টের নিচে আমি একটা উত্তর দিয়েছি। সময় হলে একটু দেখে নেবেন, প্লিজ।

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: সব মিলিয়ে যেটা বুঝি সেটা হল আমাদের রুচি, রাজনীতি, শিক্ষা, আচার আচরণ সবই অপরিপক্ক। রাজনীতিতে আসার একটা ন্যুনতম ষ্ট্যান্ডার্ড, শিক্ষা ইত্যাদি আর রাখা গেলনা, মমতাজও সংসদ এর সিট দখল করে ছিল, কিন্তু সংসদকে সেবা দেবার জন্য যে ন্যুনতম শিক্ষা তার ছিলনা, এভাবে যারাই আসবে সকলের প্রতি আমার নেতিবাচক ভোট থাকবে, সেটা শ্রেণী বৈষম্য বিচারে নয়, জাতীয় রাজনীতিতে আসার জন্য নূনতম শিক্ষা ও মান চাই, অশিক্ষিত (যার লেখাপড়ার সার্টিফিকেট নেই) কেউ আসলেও যেন তার একটা মান থাকে যে, সে রাজনীতি বুঝে এবং তার অতীত কর্মকান্ড স্বাক্ষ দেবে যে যোগ্য।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

আফরোজা সোমা বলেছেন: আপনি যদি হিরো আলমের ভোটার হয়ে থাকেন তাহলে তার চেয়ে অধিকরতর প্রতিনিধিকে বেছে নেয়ার অধিকার আপনার আছে। অর্থাৎ কম যোগ্য বা অযোগ্য প্রার্থী হিসেবে হিরো আলম ভোট না দেয়ার অধিকার আছে। কিন্তু হিরো আলম কম যোগ্য বলে তাকে হিউমিলিয়েট করার অধিকার কি কারো আছে? কম অযোগ্য হলেই কোনো ব্যক্তিকে বুলিং করা যায় এই কথা কোন আইনে বৈধতা দেয়া আছে? গড়পড়তায় বাঙালী পুরুষেরা ব্রিটিশ ও অ্যামেরিকানদের চেয়ে দেখতে কৃশকায়, কালচে ও কদাকার প্রকৃতির বলে যদি কোনো শাদা চামড়া মনে করে তাহলে সেই সাদা ব্যক্তিরা কি বাঙালী কম সুন্দর পুরুষদের হিউমিলিয়েট করতে পারে?

১৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:১৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: প্রসঙ্গ প্রথম কমেন্ট। আমি আসলে আপনার সাথেই সম্পূর্ণ একমত এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমি বলেছি রুচি, রাজনীতি, শিক্ষা সব অপরিপক্ক। হিরো আলমকে নিয়ে আমি আসলে কিছু পড়তে, ভাবতে চাইনি, তবে তাকে যেভাবে প্রশ্ন করে বিব্রত করা হয়েছে সেটা চরম অশিক্ষিত মার্কা হয়েছে, আমি একটু আগেই একটা ক্লিপ দেখলাম, তাকে প্রশ্নকারী যেভাবে প্রশ্ন করেছে তার চাইতে আমার হিরু আলমকেই যোগ্য শিক্ষিত মনে হয়েছে। হিরু আলম শান্তভাবে উত্তর দিচ্ছিল উল্টো প্রশ্নকর্তী উত্তেজন অনুভব করার মতো অবস্থা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: আপনি আসলে আমার মনের কথাই বলেছেন। "আমি আসলে আপনার সাথেই সম্পূর্ণ একমত" একজন জনপ্রতিনিধির যে মান হওয়া উচিত হিরো আলমের তা নেই। এবং জনপ্রতিনিধির যে মান হওয়া উচিত সেই মানে হয়তো আমার দেশের আশি ভাগেরই সেই মান নেই। কারণ আমিও মনে করি মি। আলমের "রাজনীতি, শিক্ষা সব অপরিপক্ক"। আপনার মতই আমি নিজেও " হিরো আলমকে নিয়ে আমি আসলে কিছু পড়তে, ভাবতে চাইনি"। কিন্তু " তাকে যেভাবে প্রশ্ন করে বিব্রত করা হয়েছে" তাকে নিয়ে যেভাবে বর্ণ-বিদ্বেষী, শ্রেণী বিদ্বেষী, উৎকট-অভব্য, অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, তাকে যেভাবে হিউমিলিয়েট করা হচ্ছে তা অপরাধ। তাই, আমিও লিখতে বাধ্য হয়েছি। এবং আমার লেখাটা হিরো আলমের নির্বাচনী প্রার্থীতার পক্ষ বা বিপক্ষ অবলম্বন করে নয়। আমার লেখাটা হিরো আলমকে নিয়ে আমাদের 'সুশীল' সমাজের অসুশীল আচরণের বিশ্লেষণ এবং সেটিকে প্রশ্ন করা।

সময় নিয়ে এই লেখা পড়া এবং আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন। কল্যাণ হোক।

২০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:০৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি যেহেতু লিখেছেন, হিরো আলমের পক্ষে বা বিপক্ষে আপনি লিখছেন না শুধু তাকে নিয়ে ট্রল করা বা তাকে ছোট করার চেষ্টা নিয়ে আপনার মতামত। ঠিক আছে। তবে তাকে নিয়ে মিডিয়াগুলোরও কেন এত মাতামাতি করতে হবে? আমার তো সমস্যা মিডিয়ার মাতামাতি নিয়ে। সে কে? আপনারই বা তার জন্য সহানুভূতি হবে কেন? সে কি কাজ করছে? তার কোন কাজের জন্য আমরা তার প্রশংসা করব? তার ঐ অশ্লীল জঘন্য মিউজিক ভিডিও গুলোর জন্য? আপনি তার ভিডিও আপনার পিতা মাতা বা সন্তান নিয়ে দেখবেন? তার সংগ্রামকে আমি বাহবা দিলেই আমাকে সুশীল হিসেবে গণ্য করবেন আর তাকে ট্রল করলেই আপনি আমাকে অসুশীল বলবেন?
সবার অধিকার আছে এমপি ইলেকশান করার বা নমিনেশন ফরম কেনার। কিন্তু মিডিয়ার কোন অধিকার নেই যাকে তাকে হাইলাইট করার। সাংবাদিকতার এথিকস কী বলে? সে এম পি গিরি করবে নাকি না করবে সেটা অন্য আরো অনেকের মতই সাধারণ ব্যপার। কিন্তু তাকে নিয়ে বিবিসি, প্রথম আলো সহ সবাই এত মাতামাতি করাতেই আমার আপত্তি। কারণ, আপনি যখন তাকে সেলিব্রিটি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তখনই আমার আপত্তি। আপনি তো তাকে বগুড়ার সাধারণ মানুষ হিসেবে বলছেন না। আপনি বলছেন, হিরো আলম। যত্তসব...

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২০

আফরোজা সোমা বলেছেন: আপনার নামের মধ্যেই লেখা আছে, "বিচার মানি তালগাছ আমার" প্রবচন। আপনার সাথে তর্কে যাওয়া বৃথা। আপনার কল্যাণ হোক।

২১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৪৮

নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: আপনি হিরু আলুমরে বিড়াট ভক্ত, তবে কথা থেকে যায় তার নোংরা নষ্ট অশালীন ভিডিও দেখে কি তার ভক্ত হয়েছেন ? যেমনটি বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনতা !!! হিরু আলুমকে সেজদা করুন। নাউজুবিল্লাহ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.