নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা

নরসুন্দা নদের হাওয়া

আফরোজা সোমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

#মিটু যুগ: কাছা খোলার কাল

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

ভারতীয় সনাতন ধর্ম মতে, সংসারে চার যুগ বিরাজিত ছিল। যথা: সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি।

তবে, অধুনা সংসারে যুগ বা কাল বিভাজনকে আমি ৫ ভাগে বিভক্ত করতে চাই। যথা: সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি ও মিটু যুগ বা কাছা খোলার কাল।



১. সত্য যুগ: এই যুগে সংসারে পাপাচার বলে কিছু ছিল না। দুনিয়া ছিল স্বর্গসম। এই সূত্রে আপনি হয়তো কল্পনা করতে পারেন যে, কল্পনার এই যুগে নারী-নিপীড়নের কোনো ঘটনা ছিল না। আপনি হয়তো আশা করতে পারেন যে, নারী ও পুরুষ সেই কালে পরস্পর পরস্পরকে মানুষ্য জ্ঞান করে আচরণ করতেন।

কিন্তু তা নয়।

নারী ও পুরুষের সম্পর্কের দিক থেকে বিচার করতে গেলে নারীর জন্য সত্য যুগ বলে কিছু ছিল না। কারণ সত্য যুগেও নারী ছিল নিগৃহিত। আজো সেই নিগ্রহের স্বাক্ষী হয়ে আছে ভারতীয় পুরাণ। সত্য যুগে স্বয়ং ইন্দ্র অহল্যাকে ধর্ষণ করেছিলেন। ধর্ষণকাণ্ড নির্বিঘ্ন করবার জন্য তিনি অহল্যার স্বামী মহর্ষী গৌতমের রূপ ধরে এসেছিলেন খালি ঘরে।

দেবতারই যেখানে এই দশা, মুনী-ঋষির স্ত্রী হয়েও যেখানে অহল্যারই রক্ষা নেই, সেখানে সেই কালে খেটে-খাওয়া সাধারণ নারীদের কী ছিল দশা তা হয়তো অনুমেয়।

ধর্ষক ইন্দ্রকে অবশ্য শাপ দিয়েছিলেন অহল্যার স্বামী। সেই শাপে দেবরাজের শরীরে সহস্র যোনী জন্মায়। শরীর ভরা যোনী নিয়ে বেচারা ইন্দ্র কী একটা বিতিকিচ্ছিরি দশায়ই না পড়েন!

ইন্দ্রের পাশাপাশি অহল্যাকেও শাপান্ত করেছিলেন গৌতম। রামের পদস্পর্শ না পাওয়া পর্যন্ত তাই অহল্যা পাথর হয়ে কাটিয়েছেন যুগের পর যুগ।

আজকের দিনেও, ধর্ষকের পাশাপাশি ধর্ষিতার গায়ে যখন পড়ে দোররার ঘা, তাকেও যখন দেওয়া হয় লোকলজ্জা-নিন্দা-অপমান, তখন দ্বিধান্বিত হই। বুঝতে পারি না, ঘটনাটা সত্যযুগে ঘটছে নাকি অহল্যাই সত্য যুগের মিথ্যে মায়া ছেড়ে নেমে এসেছেন আজকের সংসারে!

ভারতবর্ষে বা পৃথিবীতে সত্য যুগ কখনো ছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বটে। তবে, সত্য যুগ যদি পৃথিবীতে আদৌ বিরাজ করে থাকে তাহলে এর নমুনা কেমন হতে পারে?

এই মর্মে উদাহরণ দিতে গিয়ে কেউ কেউ বর্তমান পৃথিবীর নর্ডিক কান্ট্রিগুলোর উদাহরণ দেয়ার চেষ্টা করে থাকেন।

বলে রাখা ভালো, উদাহরণ হচ্ছে কমলা লেবু দিয়ে পৃথিবীকে বোঝানোর প্রচেষ্টা। অর্থাৎ কমলা লেবু আর পৃথিবী এক নয়। তবে, কমলা লেবু বা বাতাবী লেবুর গোলকত্ব দিয়ে ধরিত্রীর গোলকত্ব সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যেতে পারে বৈকি!




২. ত্রেতা যুগ: এই যুগের বড় উদাহরণ সীতা। আহারে সীতা! দেবর লক্ষণের অপরাধে সতী ভাবী সীতাকে অপরণ করে নেয় রাক্ষস রাবণ। বহু লড়াই ও যুদ্ধের পর সীতাকে উদ্ধার করলেও সতীত্ব পরীক্ষার হাত থেকে তার রেহাই মেলেনি।

অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে সীতাকে প্রমাণ করতে হয়েছিল নিজের সতীত্ব। কিন্তু অগ্নিপরীক্ষাও সীতার সতীত্ব নিয়ে সন্দেহ দূর করতে পারে না। সীতা গর্ভধারণ করলে, তিনি দুই পুত্র প্রসব করলে প্রজাকূলে সীতার চরিত্র নিয়ে ঢি ঢি পড়ে যায়। এই অবস্থায় দুই শিশুসহ সীতাকে পাঠানো হয় বনবাসে!

স্বয়ং রাম যেখানে এমন কর্ম করতে পারেন সেখানে আমাদের জাতীয় ক্রিকেটারের আর কী দোষ বলুন! তিনি তো নিজের ফেসবুক পেজে স্ত্রীর সাথে তার বিবাহের দিন থেকে সন্তান জন্ম দেয়ার দিন পর্যন্ত দিন-তারিখের খতিয়ান দিয়েছেন মাত্র! সন্ত্রানসহ স্ত্রীকে তিনি পাঠাননি বনবাসে! অতএব, রামের চেয়ে আমাদের ক্রিকেটার ভালো।

বেচারা সীতা! অগ্নি-পরীক্ষা দিয়েও সতীত্বের পরীক্ষায় সন্দেহাতীতভাবে উত্তীর্ণ হতে না পারায় সিঙ্গেল মাদার হয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি বনবাসে যান! এই যুগের সিঙ্গেল মাদারদের কষ্টটা কি সীতার থেকে কিছু কম হবে, নাকি বেশি? তুলনা করে দেখা যেতে পারে বটে।

অবশ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানা মঞ্জুরও কি খানিকটা সীতা নন? বিদেশে পড়তে গেলে তার সতীপনা নিয়ে কি স্বামীর মনে উদ্রেগ হয়নি সন্দেহের? সেই সন্দেহই কি পরে পর্যবসিত হয়নি রুমানা মঞ্জুরের অন্ধত্ব বরণের ঘটনায়।

রুমানা মঞ্জুরের কাহিনী অন্ধত্ব দিয়ে সমাপ্ত হলেও সীতার কাহিনী আরেকটু বাকি। বনবাসে বহু বর্ষ অতিক্রান্ত করার পর সীতাকে আবার রাম মেনে নেন বটে। কিন্তু এবারেও রাজ্যে ফেরার আগে সীতাকে দিতে বলা হয় অগ্নিপরীক্ষা।

কিন্তু সীতার মন তিতা হয়ে গিয়েছিল সন্দেহবাতিক পতির প্রতি। তাই, ধরিত্রী মাতাকে মিনতি করে সীতা প্রবেশ করেছিলেন মাটির গহ্বরে। হায় সীতা! হায় সীতা! আজো কত সীতা দেবী করে তোমার দু:খ ধারণ!



৩. দ্বাপর যুগ: এই যুগের নিপীড়নের কথা কী বলবো আর! দ্রৌপদীই এ যগের সেরা উদাহরণ। স্বয়ম্বর সভায় রূপবান অর্জুনকে একমাত্র পতি হিসেবে বরণ করে শ্বশুরালয়ে এসে তার পঞ্চস্বামী হয়!

হায়! হায়! নারীর হৃদয় নাই কোনো। সে যে বস্তুসম। হায় বস্তু! হায় দ্রৌপদী! হায়রে উপায়হীনতা!

পঞ্চপাণ্ডবের মা কুন্তী ছেলেদের বলেছিলেন, যা এনেছিস পাঁচ ভাইয়ে মিলে তোরা সব ভাগ-জোক করে নে।

কী বিপত্তি! বস্তু তো নয়। সে যে মানুষ! সে যে মানবী এক! তবু সে বস্তু বলে বিবেচিত হয়। কী হবে উপায়! কী হবে উপায়!

উপায় আর কী! পালা করে পঞ্চপাণ্ডব মানে পঞ্চস্বামীর ঘরে দ্রৌপদী স্ত্রী রুপে ভূমিকা পালন করে যান।

তিনি যে স্বেচ্ছায়, ভালোবেসে পঞ্চস্বামীকে বরণ করেননি মহাভারতের শেষদৃশ্যে তার প্রমাণ রাখা আছে। পঞ্চপাণ্ডব ও দ্রৌপদী যখন মহাপ্রস্থানের পথে ছিলেন তখন সবার আগে মৃত্যু হয় দ্রৌপদীর।

মহাপ্রস্থান পর্বে প্রত্যেকেরই মৃত্যুর একটি করে কারণ উল্লেখ করা হয়। সেখানে দ্রৌপদীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, অর্জুনকে তিনি বেশি ভালোবাসতেন। অর্থাৎ যার ব্যাখ্যা দাঁড়ায় যে, পরিস্থিতির চাপে পড়ে পঞ্চস্বামীর ঘর করলেও মনে-মনে দ্রৌপদী আসলে ছিলেন কেবল একজনার!

ইন্দ্রপ্রস্থের রাণী হয়েও স্বামী-সংসারে এভাবেই বস্তুর মতন কেটেছে পাঞ্চালীর জীবন।

এছাড়া কুরু শত্রুর হাতে তার নিগ্রহের কথা কী বলবো আর! দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ কি আজো ঘটে চলছে না? কিন্তু হায়! এ যুগে সেই কৃষ্ণ কোথায়! ঘাটে-মাঠে-ঘরে-চলন্তবাসের ভেতর যিনি স্বয়ং বস্ত্র হয়ে দ্রৌপদীদের আব্রু ঢেকে দু:শাসনদের ব্রিবত করবেন!


৪. কলি যুগ: এই যুগে দেবলোক আর নরলোক একাকার হয়ে গেলো। এই যুগে ইন্দ্র আর কালা মিয়া আর লাল বাবুর আর কোনো বিভেদ রইলো না। নিগ্রহই এই কালে যুগ-ধর্ম বলে বিবেচিত হয়।

এই যুগে কথা বা কাজে বা ইশারায় বা ইঙ্গিতে জীবনে কখনো না কখনো যৌন নিগ্রহ ঘটান নাই তেমন মানুষ হারিকেন দিয়ে খুঁজে বের করতে হয়।

তবে, সৎ পুরুষ মানুষ যে এই যুগে নাই তা নয়। তারা আছেন। কিন্তু আকছার নিপীড়নের যুগে তাদের কোনো যৌন পীড়নের কাহিনী নাই বলে তাদেরকে তাদের নিপীড়ক ভাই-বেরাদর ও বন্ধুরা আড়ালে ‘হিজড়া’, ‘বেডি-মুইখ্যা’ ও ‘ডরেলা’ বলে ডাকে।

তাই, সৎ পুরুষ লোকেরা এই কালে বেশি আওয়াজ না দিয়ে চুপচাপ থাকে। কারণ পুরুষের সতিত্ব-ও এই কালে নিপীড়ক পুরুষদের কাছে মস্করা, বিনোদন ও রসের বিষয় বলে বিবেচিত হয়।

তবে, এই যুগে নিপীড়নের বিরুদ্ধে কোনো কোনো তেজী, রাগী, ঘাড় ত্যাড়া নারী রুখে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু মধ্যযুগীয় চিন্তায় তাদেরকে ডাইনি বলে বিবেচনা করা হয়। এই যুগের উদাহরন হলেন তসলিমা নাসরীন।

চার্চের বিরুদ্ধে গিয়ে সত্য বলার অপরাধে এক সময় ব্রুনোকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। ব্রুনোর মতই ক্ষমতা বলয়কে চ্যালেঞ্জ করায় গ্যালিলিওকেও পুড়িয়েই মারা হতো বটে। কিন্তু তিনি কায়দা করে মাফ চেয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। জোয়ান অফ আর্ককেও পুড়িয়ে মেরেছিল কলি কালের ধর্মাবতারেরা।

তসলিমা নাম্নী ডাইনিকে অবশ্য পুড়িয়ে মারা হয়নি। তাকে শুধু তার মাতৃভূমি থেকে বিতাড়ন করা হয়েছিল। তাই, কলিকালের এই ডাইনির লেখায় বারবার এসেছে তার জন্মভূমি ব্রহ্মপুত্রের তীরে এসে বসে একটু নিজের মনে কেঁদে প্রাণ জিরোবার ব্যাকুলতা।




৫. #মিটু যুগ বা কাছা খোলার কাল: এই যুগে ঝাঁকে ঝাঁকে নারীরা তসলিমার মতন ডাইনি হয়ে যায়। তসলিমার মতন চরিত্রহীন হয়ে যায়।

ইউরোপ-অ্যামেরিকা-বাংলা-ভারতসহ পৃথিবীর সবখানেই কোমলমতী অহল্যারা স্বেচ্ছায় তসলিমার মতন মুখরা হয়ে যায় ডাইনি হয়ে যায়।

আর ডাইনিরা 'নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ' করতে থাকে বলে নিপীড়কদের ভক্ত-মুরিদ-আশেকান-সাগরেদরা প্রচার করতে থাকে।

কিন্তু এই কাছা খোলার কালে সংসার দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।

এই কালে সতি পুরুষরাও এসে তসলিমাদের সাথে ডাইনি ক্যাম্পে যোগ দেয়। কারণ নিপীড়িত নারীদের মতন সতি পুরুষদের বাকও আসলে এতোকাল ছিল রুদ্ধ। তাই, কাছা খোলার কালে ডাইনি নারীদের মতন তারাও লুচু ইন্দ্রদের কাছা খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে ডাইনিদের পক্ষ নেয়; ডাইনিদের সাহস যোগায়।

অতএব, বলা যায় মিটু যুগ বা এই কাছা খোলার কালই সকল যুগের মধ্যে নারীদের জন্য তুলনামূলক অনুকূল।

কেননা, এই যুগে বুকের পাথর সরিয়ে অহল্যারা কথা বলছে। বস্ত্র ধরে কবে কোথায় টান মেরেছিল কোন দু:শাসন সেই কাহিনী হ্যাশট্যাগ মিটু লিখে দিকে দিকে অসংকোচে প্রকাশ করছে দ্রৌপদী সকল। কাছা খোলার এই কালে সীতাদের সতীত্বের অগ্নিপরীক্ষা নেবার বদলে এখন সতি পুরুষদেরই বসতে হচ্ছে সতীত্বের অগ্নিপরীক্ষায়।

এই পরীক্ষায় বোনাস নাম্বার পেয়ে পাশ করে যাবার বিধান স্বয়ং ইন্দ্রের জন্যে-ও নেই। তাই, এ কালের ইন্দ্ররাও ভীত। কখন যে কার গায়ে কার শাপে সহস্র যোনী জন্মাবে সেই ভয়ে ইন্দ্রেরা ইয়া নাফসী ইয়া নাফসী জপছেন।

লক্ষণ বড় ভালো ঠেকছে। ইন্দ্রদেরই যদি এই দশা হয় তবে, যদু-মধু-রাম-শ্যামেরা একটু তো নড়ে চড়ে বসবেই।

১৭ই নভেম্বর ২০১৮

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন:

ওসুরই ভালো, সমীতাকে কয়েক মাস বন্দী করে রাখার পরও ধর্ষণ করে নি।

রামেরা কাপুরুষ! ভন্ড।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

আফরোজা সোমা বলেছেন: হাহ হাহ হা.।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ..... কবিতা ছাড়াও আপনি অনেক বিচিত্র বিষয় নিয়ে লিখেন এবং ভাল লেখেন।
আপনার জানার পরিধিও অনেক।

এই লেখোর মূল কথা ধরতে পেরেছি বোধ হয়।

তবে 'কলিযুগ' এখনো শেষ হয়নি, এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি!!!!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

আফরোজা সোমা বলেছেন: হুমম। কলিকাল বলেই নারীরা সব স্বেচ্ছায় ঝাঁকে ঝাঁকে ডাইনি হয়ে যাচ্ছে। ;)

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সতি পুরুষ এর ব্যপারটা ক্লিয়ার করলে হয়ত সামগ্রিক ভাবার্থটা বুঝতে সুবিধা হত।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

আফরোজা সোমা বলেছেন: সতি নারী বলতে আমরা যা বুঝি সতি পুরুষ বলতেও এখানে তা বোঝানো হয়েছে।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার এই লেখাটা মারাত্মক হয়েছে। আপনি নিশ্চয় মহাভারত কিংবা রামায়নের আসল ভারশন পড়েছেন? ভালো ভাবে পড়লে প্রথম ৪ যুগ আরো ভালো ভাবে আসতো! দ্রৌপদির বস্ত্র হরন টা ভুলে গেলেন কিভাবে? এর চেয়ে আর কি লজ্জাজনক হতে পারে?

তবে বর্তমানে ভারতে যা হচ্ছে সেটার সাথে এদের বিকৃত ভাবে চলাফেরাও কিছুটা দায়ী। নিজের সংস্কৃতি ছুড়ে ফেলে দিয়ে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি আকড়ে ধরে এরা নিজেদের সমাজ টাকে পুরোপুরি ধংশ করে দিয়েছে। ইন্টারনেটের একটা জরিপে সেদিন দেখলাম পরকীয়া করার কানাডিয়ান একটা ওয়েব সাইটে ভারতীয়দের একাউন্ট প্রায় ৭০ ভাগ, অবাক হলেও সত্য মেয়েদের একাউন্টই বেশী! এসব সমাজে এই রকম হবে না কোথায় হবে! কেউ যদি নিজেকে পন্য বানাতে চায়, টাও আবার এই রকম লোভনীয় পন্য, গ্রাহকের কি আসলেও অভাব হবে??????????????
সময়পোযুগি একটা লেখা দেবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল


১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

আফরোজা সোমা বলেছেন: জী, ভাই। বস্ত্রহরণ ভালো উদাহরন। কিন্তু যেখানে পঞ্চ হিরো নিজেরাই নায়িকার জন্যে ভিলেন সম সেখানে ভিলেন আর কতখানি ভিলেন হবে! তবু, সমাজের মানসিকতা বুঝতে বস্ত্রহরণ গভীর গুরুত্ববাহী উদাহরন।

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: দেখা যাচ্ছে- সব যুগেই নারীরা ভালো অবস্থায় ছিল না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: অর্থাৎ সব যুগেই লুচু পুরুষ ছিল। তবে, কালে কালে গ্রহণযোগ্যা ও লুচুদের প্রতি নিপীড়িতদের মনোভাব পাল্টাতে দেখা যাচ্ছে।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: B-)) :`> B:-/ কাছা খোলার পরের যুগ কেমন হতে পারে?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: ভাই, আমি নস্ত্রা দামো না। ভবিষ্যৎ বর্ণনা করতে পারি না।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

আফরোজা সোমা বলেছেন: ধন্যবাদ। বাকিটা পড়েন নাই কেন?

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!

ঠিক ঠিক!

পোস্টটা পড়ার পরে ভেবে দেখলাম আসলেও চার যুগ পেরিয়ে এসেও সনাতন আজও আছেই!

তবে মাঝে মাঝে একটু উলটে যায়।

তখন খবর হয়ে যায়।

এই পোস্ট আমার কাজে লাগবে। মানে খবর করতে ! :)

তাই প্রিয়তে.....

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

আফরোজা সোমা বলেছেন: যদি কোনোভাবে এই পোস্ট আপনার কাজে আসে তো এরচেয়ে বড় আনন্দ লেখক হিসেবে আমার আর কী হতে পারে! আসলেই যদি কোনো কাজে আসে জানাবেন তো। জানতে আগ্রহী হয়ে রইলাম।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

আফরোজা সোমা বলেছেন: শুকরিয়া। পড়ার পর কোনো মতামত, মন্তব্য কিছু তৈরি হয় নাই?

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

পুকু বলেছেন: আরেকটু সংযোজন করলে বোধহয় ভাল হোতো তাহোলো অন্যের কাছা খোলা ও তথাকথিত আঁতেলদের আসল চেহারা উন্মোচন যেমন আমাদের দেশে এম জে আকবরদের স্বরুপ দর্শন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

আফরোজা সোমা বলেছেন: কাছা খোলার ভেতর দিয়েই তো চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে। যাদের চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে তাদের কাছার তলে লুকানো মানিক আর চেহারার মধ্যে কি বড় কোন ফারাক দেখতে পান পাননি।

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কাছা খোলার কাল চলছে বোধহয়!!!!!!

ব্যতিক্রমী পোস্ট।+

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

আফরোজা সোমা বলেছেন: তাই তো মনে হয়। কাছা খোলার কাল।

ভালো থাকবেন।

১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০

বোরহান উদদীন রাব্বানী বলেছেন: অনেক অভিমান লুকিয়ে থাকে একটি কথায়, তোমার যা ইচ্ছা করো ...

১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এ যুগের নারীরা,
পুরুষ কে , কি ভাবে ছলাকলায় নাকানি চুবনি দেয়া যায় তা শিখে ফেলেছে ।
আমি তো মনে করি, ছেলেদের পোষ্টার নিয়ে দাড়াঁনো উচিৎ "মি টু " লিখে ।

....................................................................................................

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

আফরোজা সোমা বলেছেন: লেখন, ভাই। লেখেন। সব অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়া উচিত। অন্যায় অন্যায়ই। এর বিরুদ্ধে সবখানে আওয়াজ উঠাতে হবে।

১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১০

অগ্নিবেশ বলেছেন: জাপানে ছেলেরা উন্নত ব্যক্তিত্বের অধিকারী তারা এখন সঙ্গী নির্বাচন করাকে ঝামেলা মনে করছে, এবং বিভিন্ন পুতুলের সাথে জিং জিং খেলছে বা জিং জিং খেলতেই চাচ্ছে না। এদিকে জিং জিং খেলতে ইচ্ছুক মেয়েরা সঙ্গী না পেয়ে বিদেশী ছেলেদের বেছে নিচ্ছে। কিন্ত আবার কয়েক দশক আগেই জাপানিজ পুরুষদের মনোরঞ্জন করত কোরিয়া, চায়না, ফিলিপিন, থাই এর মেয়েরা, এ যেন উল্টো পুরান। এখন আর শারীরিক শক্তিকে বিবেচনা করে কাউকে শক্তিশালী বলা হয় না, সে দিক থেকে বিচার করলে মেয়েরাও বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তারাও খুব শীঘ্রই চালকের আসনে বসবে এবং ইচ্ছামত জিং জিং খেলতে চাইবে। তখন আবার ছেলেরাও মি টু মি টু বলে চেল্লাবে। মোল্লারা বলবে কেয়ামতের আলামত, হিন্দুরা বলবে কলিকাল।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

আফরোজা সোমা বলেছেন: তখন নিপীড়নকারী নারীর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। তবে, এখনকার নিপীড়কদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী মিটু দাঁড় করাতে পারলে, নারীরা নিপীড়ক হবার আগে হয়তো একটু ভাববে।

১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: কাছা খুলাখুলি চলিতে থাকুক ! আমরা যুদ্ধিষ্ঠিরদের লুকোনো মানিক দেখিয়া নয়ন সার্থক করি ! :P

পামেলা এন্ডারসন অবশ্য দ্রৌপদীদের গিভ এন্ড টেক পলিসির কথাও বলিতেছেন !! :(

পুরুষের কাছা খোলার পরের যুগে পুরুষরাও মি ঠু ধরিবে ! তখন কি উপায় হইবে ? নারীদের তো কাছাই নাই !!! :D

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

আফরোজা সোমা বলেছেন: সব নিপীড়নকারীর, সব অন্যায়কারীর কাছা খুলে দেয়া উচিত। নিপীড়নকারীর পরিচয় সে নিপীড়নকারী। লৈঙ্ড়িক পরিচয় এই ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি। তবে, মি টু আন্দোলনের একটা লৈঙ্গিক চেহারা পাওয়া গেছে এই কারণে যে, এ্‌ই নিপীড়ক মাত্রই পুরুষ এবং নিপীড়ত মাত্রই নারী আর নিপীড়নের মূল বিষয় লৈঙ্গিক পরিচয়।

আর নারীদের কাছা নাই যেমন ঠিক, তেমনি কাছা আছে তা-ও ঠিক। কাছাকে রূপক অর্থে নিলেই ঝামেলা খতম। আর যদি পুরুষদের জন্যে কখনো মি টু লেখার যুগ এসে হাজির হয় তখন দেখবেন যুগের জন্য দরকারী ভাষা যুগই মুখে যুগিয়ে দেবে।

ভালো থাকুন। কল্যাণ হোক।

১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

ফেইরি টেলার বলেছেন: একটি ব্যপার লক্ষণীয় - মিটু'তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবাই অতীতে " সেক্যুলার " ঘরণার বলেই পরিচিত ছিলেন , নারীবাদের পক্ষে বেশ বলিষ্ঠও ছিলেন এবং ধর্মকে নারী অধিকারের অন্তরায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে আসছে ,সুখের কথা কোন হুজুর নেই এ লিস্টে !

দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলুন এসব পুরুষরুপী কাপুরুষদের বিরুদ্ধে, মুসলিমরা আপনাদের সাথে আছে


২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

আফরোজা সোমা বলেছেন: একটু ইতিহাস ঘাটাঘাটি করে দেখবেন। অ্যামেরিকায় এই শতকের শুরুর দিকে খ্রীস্টান পাদ্রীদের বিপক্ষে গণহারে শিশুদের যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই দেশের গণমাধ্যম এই ক্ষেত্রে বিশেষ শক্ত অবস্থান নিয়েছিল। আমাদের দেশেও হুজুরদের যে এমন দেদার কাহিনী নাই, তা নয়। কিন্তু অনুমান করি, জানের ভয়ে কেউ তাদের নিয়ে এখনো লিখছে না। অ্যামেরিকায় তো খ্রীষ্টান-হুজুরদের মুরিদেরা অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক বা অভিযোগকারীদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েনি। কিন্তু এই দেশে সেই গ্যারান্টি কে দিবে?

১৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৫

ফেইরি টেলার বলেছেন: কিন্তু অনুমান করি, জানের ভয়ে কেউ তাদের নিয়ে এখনো লিখছে না।

অনুমানের ভিত্তিতে অপবাদ আরোপ সমিচীন কি ? বাঘা বাঘা সেক্যুলার ধর্ষকদের ব্যপারে কিছু বললেন না হতাশ হলাম ।

সকল পার্টির মধ্যেই অত্যাচারী থাকে । কিন্তু যখন কোন সম্প্রদায়ের শীর্ষ ব্যক্তিরা অপকর্মের ধারক বাহক হন তখন সে পার্টি সম্পর্কে গভীরভাবে বিবেচনা করা উচিত

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

আফরোজা সোমা বলেছেন: আশা করি আপনি 'অনুমান' আর 'দাবি' শব্দের পার্থক্য করতে পারেন।
সব অন্যায় নিয়ে কথা বলা উচিত। সবার অন্যায় নিয়ে কথা বলা উচিত।

১৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

বলেছেন: রাবণ একজন সতী পুরুষ - সুযোগ পেয়েও সে সীতাকে ধর্ষণ করেনি। অন্তত লুইচ্চা দেবরাজ ইন্দ্রের চেয়ে ভালো।

সীতা এবং দ্রৌপদী জাস্ট বলির পাঁঠা। কোন কিছুতেই তাদের কিছু করার নেই - কেবল পরিস্থতির শিকার হওয়া ছাড়া।

যে কৃষ্ণ দ্রৌপদীকে ধর্ষিত হবার হাত থেকে রক্ষা করেছে, সেই কৃষ্ণই কি বাল্যকালে স্নানরত গোপী বধুদের কাপড় চুরি করে পালিয়ে যেত না?

তসলিমা নাসরীনের প্রতি আপনার এত দরদ কেন বুঝলাম না। সে তার 'লজ্জা' উপন্যাসে নিজ মাতৃভূমিকে অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিল - এটা জানেন?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

আফরোজা সোমা বলেছেন: লেখেন। যেখানে যা অন্যায় আছে সব নিয়ে লেখেন। যে লিখতে পারে সে লেখা দিয়ে সমাজের অন্যায়ের বিরোধীতা করবে। সমাজকে ন্যায়-ভিত্তিক হবার পথে এগিয়ে নেবে। যার রাজনৈতিক নেতা হয়ে সমাজ বদলের স্বপ্ন আছে সে সেই পথে বদলাবে। সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবে। আপনিও করুন। সবার অন্যায় নিয়ে কথা বলুন।

১৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৪

চিত্রাভ বলেছেন: "....A thousand reforms have left the world as corrupt as ever, for each successful reform has founded new institution, and this institution has bred its new and congenial abuses. What from of society, then we strive for ?" Perhaps this search is endless and it is the thread of our journey .....

২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২

পুশকিন বলেছেন: আপনার লেখা বেশ ভালো লাগলো। পুরাণ ও আধুনিকতার মিশেলে সত্যিই অপরিবর্তনশীল ইস্যু কে নিয়ে এসেছেন।
বহু দিন পর ব্লগে এসে এমন লেখা পাব আশা করি নি। ধন্যবাদ ।।।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

আফরোজা সোমা বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা। বড় একটা লেখা। তবু, সময় নিয়ে পড়েছেন। ভালো থাকবেন।

২১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

রাফা বলেছেন: সব উদাহারন'তো একটি বিশেষ ধর্মের উপর দিয়ে চালিয়ে দিলেন।অন্য ধর্মের কিছু থাকলে ভালো হইতো।প্রতিবাদ অব্যাহত থাকুক।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

আফরোজা সোমা বলেছেন: রাবণের মতন আমার যেদিন দশটা মাথা হবে সেদিন অন্য ধর্মগুলো নিয়েও লিখবো। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.