নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগল বলে অনেকেই , আনকোরা , সাধারণ , মাঝে মধ্যে অসাধারণ। লেখার অভ্যাস নেই কিন্তু মাঝে মধ্যেই তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।

অগ্নিঝরা আগন্তুক

কেন?

অগ্নিঝরা আগন্তুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ : মুহাম্মদ : দি মেসেন্জার অফ গড [২০১৫]

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪০

মুভি রিভিউ : মুহাম্মদ : দি মেসেন্জার অফ গড [ ২০১৫ ].



যদিও মুভি রিভিউ সচরাচর লেখা হয় না তবু এই মুভিটির রিভিউ লেখা থেকে নিজেকে সংবরণ করতে পারলাম না। মুভিটি যদিও খুব বেশি আলোচিত নয় , কারণ , হলিউড , বলিউডের জয়জয়কার এই উপমহাদেশে এবং সম্প্রতি এটি অনলাইনে রিলিজ পেয়েছে এবং আমাদের দেশে বলিউড , হলিউড ছাড়া কোনো ভিনদেশি মুভি হলগুলোতে রিলিজ পায় অথবা পেয়েছে কিনা আমার জানা নেই। যাই হোক , মুভি রিভিউ শুরু করা যাক।

মুভিটি মুহাম্মদ [স.] এর বাল্যকাল নিয়ে রচিত একটি চমৎকার আত্মজীবনীমূলক ছবি এবং আমার দেখা অন্যতম সেরা। মুভিটির সিনেমাটোগ্রাফি , মিউজিক , অভিনয় সব ছিল ১০০ তে ৯৮ পাওয়ার যোগ্য। তাই মুভিটি সিনেমাটোগ্রাফি ক্যাটেগরিতে অ্যাওয়ার্ডও লাভ করে।
৭ম শতকে মুহাম্মদ [স.] কে নিয়ে কুরাইশ বংশীয় নেতা এবং মুহাম্মদ [স.] এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব এর সংগ্রাম এবং তাদের পালনীয় ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে উভয় পক্ষের নিরলস সংগ্রামের পথচলা , এই নিয়েই কাহিনী আবর্তিত হয়। প্রথম দৃশ্যে , আবু সুফিয়ান , বনু আবদে শামস গোত্রের প্রধান নেতা , মুহাম্মদ [স.] এর ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে বলে , সে এই ধর্ম থেকে কোনো লাভ পাচ্ছে না এবং সে মুহাম্মদ [স.] এর চাচা আবু তালিবের সঙ্গে এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করে তাকে জানিয়ে দেয় , তাকে সহযোগিতা না করা হলে এবং তাদের সাথে এক হয়ে না চললে , আবু তালিবের সাথে তাদের যুদ্ধ অনিবার্য , তাকে একটি সময় বেঁধে দেয়া হয় চিন্তা ভাবনা করার জন্য. এর মাঝেই চাচা আবু তালিব মুহাম্মদ [স.] এর বাল্যকাল এর কথা চিন্তা করতে থাকেন।

দৃশ্যে , কুরআনে বর্ণিত ''সূরা ফিল'' এর কাহিনী সচিত্র দেখানো হয় , মুহাম্মদ [স.] এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব আবরাহা হস্তী বাহিনীর কাছ থেকে কাবা শরীফ রক্ষায় মহান আল্লাহ'র কাছে প্রার্থনা করেন। দৃশ্যে , আবাবিল পাখির কাবা শরীফকে রক্ষা এবং আবরাহা হস্তী বাহিনীকে গুটিয়ে দেয়ার দৃশ্য অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

এই যুদ্ধের পরপরই মা আমেনা এর কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে একটি সন্তান , যার নাম রাখা হয় , মুহাম্মদ। যদিও তার নাম রাখা নিয়ে তাদের গোত্রের মধ্যে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয় , পরে দাদা আব্দুল মুত্তালিব এবং চাচার সমঝোতায় ''মুহাম্মদ'' নাম নির্ধারিত হয়। মুভিটির দৃশ্যগুলো হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।

মুহাম্মদ [স.] মা আমেনা অথবা তার সমগোত্রের কারো বুকের স্তন্য পান করছিলেন না , ব্যতিক্রম ছিলেন শুধুমাত্র মা হালিমা। তার কাছেই পরবর্তীতে শিশু মুহাম্মদ [স.] কিছুকাল থাকেন এবং এদিকে কুরাইশ বংশীয় নেতারা ঘোষণা করেন , কোনো বাচ্চার জন্ম মাথার পেছনে একটি বিশেষ চিহ্ন নিয়ে হলে সেই বাচ্চাটি বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হবে এবং বাচ্চাটিকে খুঁজে বের করতে তাদের গোত্রে ঘোষণা দিয়ে দেয়া হলে , দাদা আব্দুল মুত্তালিব মুহাম্মদ [স.] এর বিপদ টের পেয়ে তাকে মা হালিমার সাথে তাদের গোত্রে পাঠিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন এবং এ সংবাদ পেয়ে মা আমেনা ভেঙে পড়েন , তার কোলের সন্তানকে এভাবে দূরে চলে যেতে হবে , তিনি মানতে পারছিলেন না।

কিন্তু এরমাঝেও শিশু থেকে বাল্যকাল এ পদার্পন করা মুহাম্মদ [স.] কে বিপদ পিছু ছাড়ছিলো না। মা হালিমা একবার অসুস্থ হলে , তাকে বৈদ্য এবং মূর্তি দিয়ে সুস্থ করে তোলার ব্যাপারটি মুহাম্মদ [স.] মানতে না পেরে মূর্তি গুলো সরিয়ে দেন এবং মা হালিমা ''মুহাম্মদ'' এর সংস্পর্শে এসে সুস্থ হয়ে উঠেন। এই ব্যাপারটি বৈদ্যরা জেনে ফেলে এবং তাদের সঙ্গীদের দিয়ে মুহাম্মদ [স.] এর খোঁজ নেয় , কিন্তু মা হালিমা তাদের রুখে দেন পরবর্তীতে আরো বড় বিপদ টের পেয়ে মা হালিমা তার স্বামী হারিস কে খবর দেয় সেদিনই রাতে আবার মুহাম্মদ [স.] কে ছিনিয়ে নিতে সেই গোত্রের সৈন্যদের সাথে হারিস এবং জায়েদের লড়াই হয়। হারিস সিদ্ধান্ত নেন , মুহাম্মাদকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসবেন , কেননা এই জায়গা তার জন্য আর নিরাপদ নয়। মা হালিমা এতে ভেঙে পড়েন।

মা আমেনা তার সন্তানকে আবার ফিরে পেয়ে খুশি হন। মুহাম্মদ [স] এরপর কিছুদিন মা আমেনার সান্নিধ্যে ছিলেন কিন্তু এরপরের কাহিনী আরো করুন হয়ে উঠে যখন মা আমেনা এবং দাদা আব্দুল মুত্তালিব তাকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান। মারা যাবার আগে দাদা আব্দুল মুত্তালিব , মুহাম্মদ [স.] এর সমস্ত দায়িত্ব চাচা আবু তালিবের নিকট দিয়ে যান।

এরপর , মুহাম্মদ [স.] বিভিন্য জায়গায় হিজরত করেন , বিভিন্য ধর্মযাজকেরা তার সম্বন্ধে ভবিষ্যৎ বাণী করেন এবং মুহাম্মদ [স] বিভিন্ন জায়গায় কুসংস্কার এবং কু-প্রথা বিলোপে সোচ্চার হয়ে উঠেন , বাল্যকালেই।

কুরাইশ বংশীয় আবু সুফিয়ানের ধর্মকে প্রত্যাখ্যান এবং কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে মুভির প্রথম অংশের সমাপ্তি হয়।

মুভিটির সিকুয়েল হবে আরো ২ টো , যেখানে মুহাম্মদ [স.] এর পুরো জীবনী সচিত্র দেখানো হবে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে , মুভিটিতে মুহাম্মদ [স.] এর মুখচ্ছবি এবং ভয়েস দেখানো/ শোনানো হয়নি এর পরিচালক : মাজিদ মাজিদি , এ.আর. রহমান মুভিটির মিউজিক কম্পোজার। মুভিটির রিভিউ এখানে আমি সংক্ষেপে বর্ণনা করলাম এর কাহিনী নির্মাণশৈলী এবং চিত্রনাট্য আরো মুগ্ধ করবে যে কাউকে।

মুভির ডাউনলোডলিংক : Click This Link

টর্রেন্ট : Click This Link

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৩

আব্দুর রহিম p.t বলেছেন: ডাউনলোডের জন্য কি টাকা পে করতে হবে!?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৫

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: না ভাই , পাইরেটেড ডাউনলোডে কোনো টাকা পে করতে হয় না। #:-S

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



রিভিউ চমৎকার হয়েছে। মুভিটি নিশ্চয় দেখব।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৮

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মুভিটা দেখতে হবে !


শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২১

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: সবারই দেখা উচিত মুভিটি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৭

আব্দুর রহিম p.t বলেছেন: মোবাইলে ডাউনলোড হচ্ছে না। ইউটিউবের লিংক থাকলে দিন প্লিজ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৯

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ইউটিউবে পুরো মুভি পাবেন না । পুরো মুভিটি তুর্কি ভাষায় করা , Dubbed ভার্শন এখনো রিলিজ হয়নি। এক্ষেত্রে ইংলিশ সাবটাইটেল ছাড়া উপায় নেই।
তবু লিংক দিয়ে দিলাম Click This Link

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: দেখবেন মুভিটি আশা করি।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:১১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেখবো ছবিটি।।। ধন্যবাদ।।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

নিমপাতা১২ বলেছেন: এই মুভিটি অর্ধেক দেখে আর দেখা হয়নি কারন এর বাংলা সাবটাইটেল বের হচ্ছে, অসাধারন গ্রাফিক্্র।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ২:৪২ ঘন্টার এর মুভি। সময় নিয়ে দেখে ফেলুন।

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

ধুতরার ফুল বলেছেন: নবী রাসুলদের নিয়ে মুভি,নাটক সিনেমা বানানো নিসেধ,তেমনি দেখাও নিষেধ।
যেকোনো ধরনের নাটক কিংবা সিনেমা দেখাই পাপ। তবে নবী রাসুল কিংবা আল্লাহর অলীদের নিয়ে মুভি বানানো কিংবা দেখা চরম অন্যায়।

কিন্তু আফসোস!!! সবাই দেখার জন্য হাস ফাস করতেছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০২

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: মুভিটি সকল বিধি নিষেধ মেনেই তৈরী করা হয়েছে , ইসলামের এই দুর্দশার যুগে , যার মাধ্যমে সব মানুষের প্রতি একটি মেসেজ পৌঁছাবে , ইসলাম শুধুমাত্র শান্তি চায় , যুদ্ধ নয় , ইসলামের সত্য রূপটি সবাই জানবে ; তাতে ক্ষতি অথবা গুনাহ'র কোন কারণ দেখি না। বিবেক বলে যদি কিছু থাকে , সেটা কাজে লাগান।

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "মুভিটি সকল বিধি নিষেধ মেনেই তৈরী করা হয়েছে , ইসলামের এই দুর্দশার যুগে , যার মাধ্যমে সব মানুষের প্রতি একটি মেসেজ পৌঁছাবে , ইসলাম শুধুমাত্র শান্তি চায় , যুদ্ধ নয় , ইসলামের সত্য রূপটি সবাই জানবে ; তাতে ক্ষতি অথবা গুনাহ'র কোন কারণ দেখি না"

ম্যুভিটি এখনও দেখিনি বলে কোন মন্তব্য করতে পারছি না। কিন্তু সরাসরি নবী রাসুল (সা)দের নিয়ে ম্যুভি তৈরী করা আমার কাছেও ততটা পছন্দনীয় নয়। ম্যুভিতে যেসব সংলাপ হয়ে থাকে তা কখনো ১০০ ভাগ সঠিক হতে পারে না কারন এটা ম্যুভি। এই কারনে আমি ইউসুফ জুলেখা সিরিয়ালটি দেখিনি। হ্যা, মুসলিম হেরিটেজকে কেন্দ্র করে নির্মিত তুর্কী এবং ইরানী ম্যুভিগুলো অবশ্যই ভাল লাগে এবং সেরকম ছবির আবেদন সবার কাছেই রয়েছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩১

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: নবী রাসূলদের অবয়ব অথবা মুভি তৈরী করে যদি মানবজাতির কাছে ইসলামের পরিচয় তুলে ধরা হয় , তবে তাতে দোষের কিছু দেখি না । আল্লাহ , কোরান , হাদিস এবং হুকুম-আহকাম নাজিল করেছেন ঠিকই , কিন্তু মাঁনবজাতিকে সঠিক-ভুল বুঝে চলার মতো জ্ঞান দান করেছেন। ইসলামে কোনো কিছুই মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়নি। তবে , যদি মনে করেন , মুভি দেখার মাধ্যমে আপনার বড় রকমের ইনফ্লুএন্সড হবার সম্ভাবনা রয়েছে , তবে , আপনার মুভি অথবা এসব সিরিয়েল না দেখাই বেটার। একটি ব্যাপার উল্লেখ না করলেই নয় , ''পরিচালক মাজিদ মাজিদি ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লেখা, সংশোধন ও চূড়ান্ত করার আগে বড় বড় বিশেষজ্ঞ আলেমের সাথে আলোচনা করেন যাঁদের সকল মাযহাব ও চিন্তাধারার আলোকে মহানবী (সা.)-এর জীবনীর ওপর লেখা পুস্তকের ওপর গভীর পাণ্ডিত্য রয়েছে।''

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দেখতে হবে।

ভালো মুভি না দেখা এক ধরনের বঞ্চনা।
বঞ্চিত হতে চাই না।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: তা তো অবশ্যই। দেখে ফেলুন সময় করে।

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বাংলাই ডাবিং হয়নি

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ইংলিশ সাবটাইটেল ছাড়া আপাতত উপায় নেই ।

১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: হারাম তরিকায় ইসলাম প্রচারও হারাম ! পিশাব দিয়া কাপড় পরিষ্কার করিলে যেমন পাক হইবে না, তেমনি ইসলাম নিয়ে নাটক, সিনেমায় ইসলামের কোন উপকারতো হইবেই না বরং ফেতনা তৈরী হইবে ! শেষ পর্যন্ত ইসলামরে রামায়ণ ,মহাভারত বানাইবে, ইসলাম বিদ্বেষীদের ব্যাঙ্গ বিদ্রুপের বিষয় হইবে !

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: যার যেমন ভাবনা। হারাম তরিকা হলে , বড় বড় ইসলামিক স্কলাররা মুভিটি তৈরির জন্য অনুমোদন দিতেন না। উপরের একটি কমেন্টে আমি আগেই বলেছি , ''পরিচালক মাজিদ মাজিদি ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লেখা, সংশোধন ও চূড়ান্ত করার আগে বড় বড় বিশেষজ্ঞ আলেমের সাথে আলোচনা করেন যাঁদের সকল মাযহাব ও চিন্তাধারার আলোকে মহানবী (সা.)-এর জীবনীর ওপর লেখা পুস্তকের ওপর গভীর পাণ্ডিত্য রয়েছে।''

আসলে ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে আমাদের গোঁড়ামি এবং নিজের কমন সেন্স ব্যবহার করতে না পারার দরুন মুসলিম জাতির আজ এই অবস্থা।

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: যার যেমন ভাবনা।
জী ! ঠিকই বলেছেন ! আমি মডার্ন প্রোটোটাইপ ইসলামের অনুসারী না ! ১৪০০ বছর আগেকার যে ইসলাম তাহার অনুসারী।

হারাম তরিকা হলে , বড় বড় ইসলামিক স্কলাররা মুভিটি তৈরির জন্য অনুমোদন দিতেন না।
কোন সব ইসলামী স্কলার অনুমোদন দিয়াছে আর কাহারা হারাম বলিয়াছেন তাহা বিবেচ্য বিষয়। উভয়ে এক ঘরানার নহে নিশ্চয়ই ! শিয়া হইলে তো কথাই নাই। উপমহাদেশের আলেমদের আলেম মনে করেন কিনা কে জানে ! তাহাদের মতে হারামই !

উপরের একটি কমেন্টে আমি আগেই বলেছি , ''পরিচালক মাজিদ মাজিদি ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লেখা, সংশোধন ও চূড়ান্ত করার আগে বড় বড় বিশেষজ্ঞ আলেমের সাথে আলোচনা করেন যাঁদের সকল মাযহাব ও চিন্তাধারার আলোকে মহানবী (সা.)-এর জীবনীর ওপর লেখা পুস্তকের ওপর গভীর পাণ্ডিত্য রয়েছে।''
শিয়া ইরানের মাজিদি বানাইয়াছে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লামের জীবনী ভিত্তিক মুভি ! বিশ্বাসযোগ্যতার আর কোনো মাপকাঠির প্রয়োজন আছে কি ? শিয়াদের হাতে ইসলাম আর বানরের হাতে খন্তার মধ্যে পার্থক্য আছে কি ?

আসলে ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে আমাদের গোঁড়ামি এবং নিজের কমন সেন্স ব্যবহার করতে না পারার দরুন মুসলিম জাতির আজ এই অবস্থা।
জী ! গোড়ামি মুক্ত হইয়াই তো মডার্ন ইসলাম আসিয়াছে ! উহা প্রোটোটাইপই হইয়াছে , আসল আর থাকে নাই !
আর কমন সেন্স খুব একটা কমন নহে তাহা মডার্ন ইসলামিস্টদের দেখিলেই পরিষ্কার হইয়া যায় ! গোড়ামি মুক্ত হইতে হইতে উহারাতো ইসলামকে বানরের রুটি ভাগ করার মতন কাটছাট করিতেছে !

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২১

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: জী ! ঠিকই বলেছেন ! আমি মডার্ন প্রোটোটাইপ ইসলামের অনুসারী না ! ১৪০০ বছর আগেকার যে ইসলাম তাহার অনুসারী।

মডার্ন প্রোটোটাইপ ইসলাম বলে কিছু একটা আছে , এটার ব্যাপারে আমি আজ আপনার কাছ থেকে শুনলাম ! ইসলাম চিরকালই একটি মডার্ন ধর্ম ছিল , আছে এবং থাকবে। কারণ , এই জীবনবিধানে মানবজাতির সকল কিছুর সমাধান অত্যন্ত সূক্ষাতিসূক্ষ ভাবে দেয়া হয়েছে। যা আজও মানুষ অনুসরণ করে।

কোন সব ইসলামী স্কলার অনুমোদন দিয়াছে আর কাহারা হারাম বলিয়াছেন তাহা বিবেচ্য বিষয়। উভয়ে এক ঘরানার নহে নিশ্চয়ই ! শিয়া হইলে তো কথাই নাই। উপমহাদেশের আলেমদের আলেম মনে করেন কিনা কে জানে ! তাহাদের মতে হারামই !

শিয়া , সুন্নি ব্যাপারে তর্কে যেতে চাই না , শুধুমাত্র মাজিদ মাজিদি তার এক ইন্টারভিউ তে এই সকল প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন , তার জবাবটি কোট করছি ,

Mr Majidi, could you tell what sources – Sunni or Shia – you used while creating the film about Prophet?

''This film is based on legends about Prophet. Both Sunni and Shia sources were used. I set a goal to unite the Muslim community. This is why I did not think whether it was a Sunni or Shia film. It is a common outlook of the Muslims.

neither Shia nor Sunni sources directly ban to demonstrate the face and appearance of Prophet''

শিয়া ইরানের মাজিদি বানাইয়াছে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লামের জীবনী ভিত্তিক মুভি ! বিশ্বাসযোগ্যতার আর কোনো মাপকাঠির প্রয়োজন আছে কি ? শিয়াদের হাতে ইসলাম আর বানরের হাতে খন্তার মধ্যে পার্থক্য আছে কি ?

শিয়া , সুন্নিদের মধ্যে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। কিন্তু ভাই মুভিটি যদি দেখে থাকেন , তবে সেখানে মুহাম্মদ [স.] কে সশরীরে দেখানো ছাড়া [ মুভিতে মুহাম্মদ [স.] এর মুখচ্ছবি এবং ভয়েস দেখানো/ শোনানো হয়নি ] আর কোনো ব্যাপারে মতপার্থক্য থাকার কথা নয়। বরং এটি সব মানুষের কাছে একটি বার্তা মুহাম্মদ [স.] এবং ইসলামের পিউরিটি এবং শান্তির ধর্ম হিসাবে। এ বিষয়ে পরিচালক মাজিদ মাজিদির বক্তব্য কোটি করছি ,

The film only shows the prophet from the side or back, yet many religious institutions still objected to this depiction. What’s your take on this? And why did Al-Azhar refuse to watch the film?

MM: '''For my part, I respected the religious belief that prohibits any visual depictions of the prophet’s face. I did not allow myself to ruin this belief held firmly by 1.7 billion Muslims. Every Muslim has own impression and imagined picture of the prophet, and it has to be respected.

As for Al-Azhar, I do respect their sensitivity towards the prophet’s image. But allow me to ask them the following questions: what is our responsibility as Muslims in the face of this depiction of Islam as violent in the West? How do we alter this negative image of Islam? And how do we show international opinion that Islam is indeed a religion of peace and love? Until when are we to remain silent in the face of offences against the prophet? And do we respond to such offenses with violence as what happened in the Charlie Hebdo attack? Or do we orchestrate a civilised response, employing culture and arts to show who the prophet really was?'''

জী ! গোড়ামি মুক্ত হইয়াই তো মডার্ন ইসলাম আসিয়াছে ! উহা প্রোটোটাইপই হইয়াছে , আসল আর থাকে নাই !
আর কমন সেন্স খুব একটা কমন নহে তাহা মডার্ন ইসলামিস্টদের দেখিলেই পরিষ্কার হইয়া যায় ! গোড়ামি মুক্ত হইতে হইতে উহারাতো ইসলামকে বানরের রুটি ভাগ করার মতন কাটছাট করিতেছে !


ইসলামকে আপনি নিজেই পষ্চাদমুখী , ব্যাকডেটেড বলে চালিয়ে দিলেন। আগেই বলেছি , ইসলাম কখনোই কলি যুগের ধর্ম ছিল না , এটি সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি আধুনিক জীবন বিধান।

১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: যার যেমন ভাবনা।
জী ! ঠিকই বলেছেন ! আমি মডার্ন প্রোটোটাইপ ইসলামের অনুসারী না ! ১৪০০ বছর আগেকার যে ইসলাম তাহার অনুসারী।

হারাম তরিকা হলে , বড় বড় ইসলামিক স্কলাররা মুভিটি তৈরির জন্য অনুমোদন দিতেন না।
কোন সব ইসলামী স্কলার অনুমোদন দিয়াছে আর কাহারা হারাম বলিয়াছেন তাহা বিবেচ্য বিষয়। উভয়ে এক ঘরানার নহে নিশ্চয়ই ! শিয়া হইলে তো কথাই নাই। উপমহাদেশের আলেমদের আলেম মনে করেন কিনা কে জানে ! তাহাদের মতে হারামই !

উপরের একটি কমেন্টে আমি আগেই বলেছি , ''পরিচালক মাজিদ মাজিদি ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লেখা, সংশোধন ও চূড়ান্ত করার আগে বড় বড় বিশেষজ্ঞ আলেমের সাথে আলোচনা করেন যাঁদের সকল মাযহাব ও চিন্তাধারার আলোকে মহানবী (সা.)-এর জীবনীর ওপর লেখা পুস্তকের ওপর গভীর পাণ্ডিত্য রয়েছে।''
শিয়া ইরানের মাজিদি বানাইয়াছে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লামের জীবনী ভিত্তিক মুভি ! বিশ্বাসযোগ্যতার আর কোনো মাপকাঠির প্রয়োজন আছে কি ? শিয়াদের হাতে ইসলাম আর বানরের হাতে খন্তার মধ্যে পার্থক্য আছে কি ?

আসলে ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে আমাদের গোঁড়ামি এবং নিজের কমন সেন্স ব্যবহার করতে না পারার দরুন মুসলিম জাতির আজ এই অবস্থা।
জী ! গোড়ামি মুক্ত হইয়াই তো মডার্ন ইসলাম আসিয়াছে ! উহা প্রোটোটাইপই হইয়াছে , আসল আর থাকে নাই !
আর কমন সেন্স খুব একটা কমন নহে তাহা মডার্ন ইসলামিস্টদের দেখিলেই পরিষ্কার হইয়া যায় ! গোড়ামি মুক্ত হইতে হইতে উহারাতো ইসলামকে বানরের রুটি ভাগ করার মতন কাটছাট করিতেছে !

১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: যার যেমন ভাবনা।
জী ! ঠিকই বলেছেন ! আমি মডার্ন প্রোটোটাইপ ইসলামের অনুসারী না ! ১৪০০ বছর আগেকার যে ইসলাম তাহার অনুসারী।

হারাম তরিকা হলে , বড় বড় ইসলামিক স্কলাররা মুভিটি তৈরির জন্য অনুমোদন দিতেন না।
কোন সব ইসলামী স্কলার অনুমোদন দিয়াছে আর কাহারা হারাম বলিয়াছেন তাহা বিবেচ্য বিষয়। উভয়ে এক ঘরানার নহে নিশ্চয়ই ! শিয়া হইলে তো কথাই নাই। উপমহাদেশের আলেমদের আলেম মনে করেন কিনা কে জানে ! তাহাদের মতে হারামই !

উপরের একটি কমেন্টে আমি আগেই বলেছি , ''পরিচালক মাজিদ মাজিদি ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লেখা, সংশোধন ও চূড়ান্ত করার আগে বড় বড় বিশেষজ্ঞ আলেমের সাথে আলোচনা করেন যাঁদের সকল মাযহাব ও চিন্তাধারার আলোকে মহানবী (সা.)-এর জীবনীর ওপর লেখা পুস্তকের ওপর গভীর পাণ্ডিত্য রয়েছে।''
শিয়া ইরানের মাজিদি বানাইয়াছে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লামের জীবনী ভিত্তিক মুভি ! বিশ্বাসযোগ্যতার আর কোনো মাপকাঠির প্রয়োজন আছে কি ? শিয়াদের হাতে ইসলাম আর বানরের হাতে খন্তার মধ্যে পার্থক্য আছে কি ?

আসলে ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে আমাদের গোঁড়ামি এবং নিজের কমন সেন্স ব্যবহার করতে না পারার দরুন মুসলিম জাতির আজ এই অবস্থা।
জী ! গোড়ামি মুক্ত হইয়াই তো মডার্ন ইসলাম আসিয়াছে ! উহা প্রোটোটাইপই হইয়াছে , আসল আর থাকে নাই !
আর কমন সেন্স খুব একটা কমন নহে তাহা মডার্ন ইসলামিস্টদের দেখিলেই পরিষ্কার হইয়া যায় ! গোড়ামি মুক্ত হইতে হইতে উহারাতো ইসলামকে বানরের রুটি ভাগ করার মতন কাটছাট করিতেছে !

১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: যার যেমন ভাবনা।
জী ! ঠিকই বলেছেন ! আমি মডার্ন প্রোটোটাইপ ইসলামের অনুসারী না ! ১৪০০ বছর আগেকার যে ইসলাম তাহার অনুসারী।

হারাম তরিকা হলে , বড় বড় ইসলামিক স্কলাররা মুভিটি তৈরির জন্য অনুমোদন দিতেন না।
কোন সব ইসলামী স্কলার অনুমোদন দিয়াছে আর কাহারা হারাম বলিয়াছেন তাহা বিবেচ্য বিষয়। উভয়ে এক ঘরানার নহে নিশ্চয়ই ! শিয়া হইলে তো কথাই নাই। উপমহাদেশের আলেমদের আলেম মনে করেন কিনা কে জানে ! তাহাদের মতে হারামই !

উপরের একটি কমেন্টে আমি আগেই বলেছি , ''পরিচালক মাজিদ মাজিদি ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লেখা, সংশোধন ও চূড়ান্ত করার আগে বড় বড় বিশেষজ্ঞ আলেমের সাথে আলোচনা করেন যাঁদের সকল মাযহাব ও চিন্তাধারার আলোকে মহানবী (সা.)-এর জীবনীর ওপর লেখা পুস্তকের ওপর গভীর পাণ্ডিত্য রয়েছে।''
শিয়া ইরানের মাজিদি বানাইয়াছে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লামের জীবনী ভিত্তিক মুভি ! বিশ্বাসযোগ্যতার আর কোনো মাপকাঠির প্রয়োজন আছে কি ? শিয়াদের হাতে ইসলাম আর বানরের হাতে খন্তার মধ্যে পার্থক্য আছে কি ?

আসলে ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে আমাদের গোঁড়ামি এবং নিজের কমন সেন্স ব্যবহার করতে না পারার দরুন মুসলিম জাতির আজ এই অবস্থা।
জী ! গোড়ামি মুক্ত হইয়াই তো মডার্ন ইসলাম আসিয়াছে ! উহা প্রোটোটাইপই হইয়াছে , আসল আর থাকে নাই !
আর কমন সেন্স খুব একটা কমন নহে তাহা মডার্ন ইসলামিস্টদের দেখিলেই পরিষ্কার হইয়া যায় ! গোড়ামি মুক্ত হইতে হইতে উহারাতো ইসলামকে বানরের রুটি ভাগ করার মতন কাটছাট করিতেছে !

১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মডার্ন প্রোটোটাইপ ইসলাম বলে কিছু একটা আছে , এটার ব্যাপারে আমি আজ আপনার কাছ থেকে শুনলাম ! ইসলাম চিরকালই একটি মডার্ন ধর্ম ছিল , আছে এবং থাকবে। কারণ , এই জীবনবিধানে মানবজাতির সকল কিছুর সমাধান অত্যন্ত সূক্ষাতিসূক্ষ ভাবে দেয়া হয়েছে। যা আজও মানুষ অনুসরণ করে।

যাক আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ হইলো ! মডার্ন প্রোটোটাইপ ইসলাম বলিয়া কিছু নাই এবিষয়ে একমত। তবে এখনকার ফেসবুক মুফতি , ছাগু , শিয়া , সালাফি এবং তাহাদের মতাদর্শীরা ধর্ম নিয়া যে গরুর রচনা শোনাইতেছে তাহাকেই মডার্ন প্রোটোটাইপ ইসলাম বলিয়াছি , যাহা ইসলাম নহে। ইসলাম অবশ্যই যুগোপযোগী, তাই বলিয়া গোলআলু নহে যে মৌলিক ফর্ম কাটছাট করিয়া আধুনিক বানাইতে হইবে !

শিয়া , সুন্নি ব্যাপারে তর্কে যেতে চাই না

জী ! আপনি যাইতে চাহিবেন না ইহাই স্বাভাবিক ! মুভিটি প্রমোট করিতে হইলে আপনাকে ইহা ভুলিতে হইবে ! আজ যদি ছাগুরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে মুভি বানাইতে চাহে , বা ইহুদিরা হিটলারের জীবনী ভিত্তিক মুভি বানাইতে চাহে সেগুলো যতটুকু বিশ্বাসযোগ্য হইবে , শিয়াদের দ্বারা হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসালামের জীবনী ভিত্তিক মুভি বানাইতে চাহিলে ততটুকুই বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার কথা !


শিয়া , সুন্নিদের মধ্যে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। কিন্তু ভাই মুভিটি যদি দেখে থাকেন , তবে সেখানে মুহাম্মদ [স.] কে সশরীরে দেখানো ছাড়া [ মুভিতে মুহাম্মদ [স.] এর মুখচ্ছবি এবং ভয়েস দেখানো/ শোনানো হয়নি ] আর কোনো ব্যাপারে মতপার্থক্য থাকার কথা নয়। বরং এটি সব মানুষের কাছে একটি বার্তা মুহাম্মদ [স.] এবং ইসলামের পিউরিটি এবং শান্তির ধর্ম হিসাবে।

আপনি বোধহয় আমার বক্তব্যই বোঝেন নি ! যেখানে সিনেমা , নাটক নির্মাণই ইসলামে অনুমোদিত নয়, সেখানে নবী রাসূলদের নিয়া মুভি বানানো , সেটাকে ইসলাম প্রচার বা ইসলামকে পিউরিটি বা শান্তির ধর্ম হিসেবে উপস্থাপনের মাধ্যম হিসেবে কিভাবে অনুমোদিত হইতে পারে? কি দেখানো হইয়াছে আর কি হয় নাই তাহার প্রশ্ন তো পরে ! আমাদের উপমহাদেশের উলামা হজরতগন ইহাকে হারাম বলিয়াছেন। অবশ্য আপনি যদি তাহাদেরকে আলেম মনে করেন ! যদি না মনে করেন তাহলে কিছু বলার নাই !

ইসলামকে আপনি নিজেই পষ্চাদমুখী , ব্যাকডেটেড বলে চালিয়ে দিলেন। আগেই বলেছি , ইসলাম কখনোই কলি যুগের ধর্ম ছিল না , এটি সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি আধুনিক জীবন বিধান।

১৪০০ বছর আগের ইসলাম বলতে আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লাম ও তাহার সাহাবীগণ যে মূলনীতির উপর ইসলামকে রাখিয়া গিয়াছিলেন তাহাকে বুঝাইয়াছি ! এখনকার সালাফি , শিয়া , ফেবুর মুফতি , পাংকু মাওলানাদের গরুর রচনাকে বোঝাই নাই। আপনি যদি ১৪০০ বছর আগের আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লাম ও তাহার সাহাবীগণের মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত ইসলামকে পষ্চাদমুখী , ব্যাকডেটেড বা কলি যুগের ধর্ম বলেন তাহলে আমার কিছু বলার নাই।

পরিশেষে বলিতে চাই , গোনাহকে গোনাহ মনে করিয়া নফসের বা শয়তানের কুমন্ত্রণায় গোনাহ করা এক কথা আর গোনাহকে হালাল মনে করিয়া গোনাহ করা এক কথা নহে।

যেহেতু আমি ধর্ম বেত্তা নহি তাই এবিষয়ে আর কোন মন্তব্য করিব না !


০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: অত বিস্তারিত রিপ্লাই দেয়ার সময় ,সুযোগ না থাকায় দিতে পারলাম না। একটা কথাই বলবো , শিয়া , সুন্নি দের প্রসঙ্গ না টেনে এনে মুভিটিকে পজিটিভলি দেখার চেষ্টা করুন , মুভিটিতে কি দেখানো হয়েছে এবং তাতে কারও পথভ্রষ্ট অথবা চরিত্র বিদ্ধংসী কোনো কিছু দেখানো হয়েছে কিনা সেটা আগে বিচার করুন। পান থেকে চুন খসলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে , গুনাহ হবে , এ ধরণের চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসুন।

১৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

Borhan Sorkar বলেছেন: যেহেতু রাসূল (সাঃ) এর ভয়েস মুখচ্ছবি দেখানো হয়নি, তাহলে দেখতে সমস্যা কি, আমি মদিনা হিজরত পর্ব দেখেছি, সম্ভবত এটা ইরানি কোন পরিচালকের, অসাধারণ ছিলো!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.