নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগল বলে অনেকেই , আনকোরা , সাধারণ , মাঝে মধ্যে অসাধারণ। লেখার অভ্যাস নেই কিন্তু মাঝে মধ্যেই তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।

অগ্নিঝরা আগন্তুক

কেন?

অগ্নিঝরা আগন্তুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হোক

১২ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

নির্যাতিত হয়ে, জেল খেটে সৌদি থেকে ফিরলেন ৪১ নারী

দেশের অনেকগুলো ইস্যুর মধ্যে একটি অন্যতম ইস্যু হচ্ছে সৌদিতে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে পাঠানো নারী শ্রমিকদের নির্যাতিত হওয়া। আজ এ সম্বন্ধে আরো একটি নিউজ দেখে বোঝা গেলো এখনো নিরাপদ নয় সৌদিতে অবস্থিত বাংলাদেশী নারী শ্রমিকেরা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের আরো সুক্ষ দৃষ্টি কামনা করি এবং এই ইস্যুটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে সৌদিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সৌদি সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হোক।


মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

চোরাবালি- বলেছেন: ভাই আগে আমাদের নিজের দেশেরটা করি। যে সকল দালালেরা পাঠাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কি আজও কোন ব্যাবস্থা হয়েছে ??

১২ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: বাংলাদেশ সরকার থেকে এ নারী শ্রমিকদের পাঠানো হচ্ছে। দালালদের ব্যাপারটা এখানে মুখ্য নয়।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে আমরা সমস্যার শুরুতে না গিয়ে সমস্যার শেষে এসে সমস্যার সমাধান করতে চাই। আমি কি বলতে চাইছি তা বলবার আগে কিছু পয়েন্ট বলে নেই, না হলে আবার লোক জন উল্টা ভাববেঃ
১. না, সব সৌদী ভালো না
২. হ্যঁা, অনেক ধরণের নির্যাতন হতে পারে, আমি অস্বীকার করছি না
৩. অবশ্যই সৌদী সরকারের সাথে আমাদের সরকারের কথা বলা উচিৎ

সমস্যার শুরুটা হয় আমাদের দেশে। একজন সৌদী নাগরীক যদি একজন ফিলিপিনো কাজের মেয়েকে তার বাসায় কাজের লোক হিসাবে আনতে চায়, তাকে ৫-৭ পেজ এর একটি চুক্তিতে সই করা লাগে। এতে যা যা থাকে তার মধ্যে প্রতিদিন সকালে কি খাবে, দুপুরে কি খাবে, রাত্রে কি খাবে, সাপ্তাহিক ১দিন বাধ্যতামূলক ছুটি, এই ছুটির দিনে আবার তাকে শপিং মলে গাড়িতে পৌছে দিয়ে আসা-নিয়ে আসা, তাকে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া, এমনকি সেটা দিনে ন্যুনতম কত সময় তাও উল্ল্যেখ থাকে। আর বেতন তো আছেই ১৫০০ রিয়াল+। আবার কোন সৌদী তাকে নিতে চাইলে আগের রেকর্ড কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি দেখা হয়।

আর আমাদের দেশে? বাপের নাম, স্বামী (যদি থাকে) নাম, মায়ের নাম, ঠিকানা, সৌদীতে কার কাছে যাচ্ছে... ব্যাস! কোন চুক্তি নাই। বেতন ৮০০ রিয়াল বা তার কাছাকাছি!

এই জিনিষ গুলি যে যাচ্ছে, তার পক্ষে কোন ভাবেই ঠিক করা সম্ভব নয়, সম্ভব সরকারের পক্ষে, সরকার সেটা করছে না।

আবার সৌদীতে পৌছালে এখানে প্রতিটি এলাকাতে ইসলামী কালচারাল সেন্টার বা দাওয়া সেন্টার থাকে, সেখানে তার ভাষাভাসি অন্তত একজন লোক থাকে, যে সকল সুযোগ সুবিধা দেখার কথা। এখানের ফিলিপিনো কমিউনিটি, পাকিস্তানী কমিউনিটি, ইন্ডিয়ান কমিউনিটির এই সব কাজ কাম দেখলে মাথা ঘুরে যাবে। কোন সমস্যা হলেই এই সেন্টারে ফোন।

আমাদের বাংলাদেশীরা করে না কেন? তাদের আগে থেকে ট্রেনিংও দেওয়া হয় না, আবার এখানে আসবার পর তাকে কেউ এইসব শেখায়ও না! ফলে বেশীরভাগ বাংলাদেশীই জানেনা যে বিপদে পড়লে কি করতে হবে, কোথায় যেতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে পাঠানোর আগে একটা ট্রেনিং হয় ৩-৭ দিনের। আমার কাছের কিছু লোককে এই ট্রেনিং করাতে হয়েছে দেখে আমি জানি যে এই ট্রেনিং সেন্টারের কি করুণ দশা। প্রথমদিন হাজিরা, শেষ দিন সার্টিফিকেট। ব্যাস, মধ্যের দিন গুলি নাই। কোন ট্রেনিং নাই।

এবার আসেন সৌদীদের বিষয়ে। নির্যাতন যা হয়, তার ১০%ও সৌদীরা করে না! অবাক হচ্ছেন? হ্যঁা, ঘটনা এমনটাই। ঐযে ৮০০ রিয়ালে লোক আনতে পারছে, এটার সুযোগ নেয় কিছু মিসরীয়, ইয়েমেনী, সিরিয়ান নাগরীকেরা। অনেকেই হয়ত জানেন না যে এখানে কি পরিমান মিসরীয় ইয়েমেনী, সিরিয়ান নাগরীকেরা থাকে। তাদের পরিবারেরা থাকে। আবার কিছু বদ লোক তো অবশ্যই আছে, যারা এই কম বেতনে লোক পেয়ে নিয়ে আসে, পরে করে ক্যাচাল।

এর কি বিচার নাই? অবশ্যই আছে! কিন্তু হচ্ছে না কেন? প্রথম অংশেই আলোচনা করেছি। একটা মেয়েকে এনে নির্যাতন করে দেশে পাঠায় দেয়, মেয়ে না নেয় সেন্টারের সহযোগীতা, না নেয় পুলিশের সহযোগীতা। এখানেই বাধে সমস্যা।

অনেকেরই আবার ধারণা যে সৌদী পুলিশ নাকি আজনবী (বিদেশী)দের বিষয়ে উদাসীন! এইটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। অন্তত আমার নিজের, আমার বড় ভাইয়ের সহ আরও বহু মানুষের চাক্ষুস প্রমান পাবার পর আমাকে কেউ পিটালেও আমি বিশ্বাস করবো না। মাত্র একটা উদাহরণ দেই; ২ বা ৩ বছর আগে আমার ভাবীর আম্মাকে এক সৌদী গাড়ির ধাক্কায় ফেলে দিয়েছিলো, তার হাতের কনুই ছিলে গিয়েছিলো। যে ধাক্কা দিয়েছিলো সে অত্র অঞ্চলের পুলিশের প্রধান কর্মকর্তার আপন ভাইপো, তারপরও তাকে জেলে যেতে হয়েছে; হসপিটালের ফিস দিতে হয়েছে, তাকে ক্ষতিপুরণ দিতে হয়েছে এবং সর্বশেষ ঐ ছেলের বাবা তার ছেলেকে মাত্র ৭দিন জেল খাটানোর জন্য (যদিও জেল ৩০দিন হবার কথা ছিলো, আন্টি মাফ করে দিয়েছিলেন) তাকে একটা আইফোন গিফট করেছিলেন।

এরপরও অনেক কথা থেকে যায়। আমরা শুধু সৌদীদের দোষ ধরতেই ওস্তাদ; দেশের ভিতরেই যে কি পরিমান গৃহকর্মী নির্যাতিত হচ্ছে, তার খবর কেউ রাখে? বড় বড় ক্রিকেটার-সাংবাদিক-উচ্চ পদস্থ কর্ম কর্তারা যে খুনতি পুড়িয়ে ছ্যাকা দিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে কি আমাদের মাথা ঘামানোর কোন দরকার নাই?

সৌদী সরকারের জবাবদিহিতা বহুত পরে, আগে আমাদের নিজেদের দেশের থেকে বের হবার আগে সব কিছু ঠিক করতে হবে।

১২ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য। বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়ে নমনীয়তাই এই সেক্টরে এত অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলা তৈরী করেছে। শ্রমিক পাঠানোর পূর্বের কাজগুলো যাতে সঠিকভাবে নিয়ম মেনে করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে আপনি বললেন , মিশরীয় সিরিয়ান নাগরিকদের কথা , যত কিছুই হোক তারা সৌদিতে নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করছে , তাই অপরাধ করলে সেটা তাদের উপর সৌদির নাগরিক হিসাবেই বর্তাবে। তারা কোনো অনিয়ম অপরাধ করলে সেটা সৌদি সরকারের নজরদারির অভাবকেই দোষারোপ করা শ্রেয় আমার কাছে মনে হয়। কারণ, এই অনিয়মগুলো একদিন নয় , অনেকদিন যাবৎ হয়ে আসছে।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই ঘটনার পরও দেখবেন কিছুদিন পর আবার এক দল মেয়ে যাবে সৌদি। নির্যাতনের স্বীকার করে তারা কাঁদতে কাঁদতে আসবে।

গত ত্রিশ বছর ধরে এমনই হচ্ছে।

১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০১

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: বাংলাদেশ সরকার থেকে ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত এগুলো বন্ধ হবে না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য রাজীব ভাই।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: ১। সৌদীরা অন্য কোন দেশের নাগরীককে নাগরীকত্ব দেয় না।
২। অভিযোগ পেলে সৌদী পুলিশ সহজে কাউকে ছাড়ে না।
৩। আমার নিজের দেখা অন্তত ৩বাংলাদেশী নারী কোন কারণে দেশে যেতে চায়, নির্যাতনের কথা বলে, কিন্তু পুলিশের কাছে যেতে চায় না, আবার কোন কারণও দেখাতে পারে না! এটা অবাক করবার মত এবং ভাববার মত বিষয়।


আমাদের দেশের ভিতর যে অত্যাচার গুলি হচ্ছে, সেগুলি নিয়েও কি আমাদের কথা বলা উচিৎ না? কারণ সৌদীতে যতটুকু হচ্ছে, দেশে কমসেকম তার ১০০০ গুন বেশী হচ্ছে!

১২ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: তাদের নির্যাতনের মাত্রা এতটাই বেশি থাকে যে তখন সেই শ্রমিকদের বোধশক্তি কাজ করে না। অনেক শ্রমিক ভারসাম্য হারিয়ে দেশে ফেরত আসে।
অভিযোগ পেলে সৌদি পুলিশ কাউকে ছাড়ে না তবে এত বছর যাবৎ এই নির্যাতন হয়ে আসছে , তারা অবশ্যই এই ব্যাপারে অবগত হয়েছে !! তবে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন বলবেন মশাই ??
সৌদির মানুষেরা চিরকাল বর্বর ছিল এবং এখনো আছে।
শেষের দিকে যা বললেন ভাই না হেসে পারলাম না। ধরলাম নিজের দেশে হচ্ছে কিন্তু অন্য দেশ যখন আপনার দেশের নাগরিকদের খোঁড়া , লুলা বানিয়ে দেশে ফেরত পাঠায় তখনও মুখে আঙ্গুল গুঁজে বসে থাকবেন ? নিজ দেশকে মর্যাদা দিতে শিখুন ।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অভিভাবক ছাড়া নারীর বিদেশে যাওয়াটাই তো রিস্ক। সে রিস্ক নিতে গেলে শরীরের রিস্কও তো থাকতে পারে! যেখানে বাংলাদেশেই কোন ঘরে সাহেব থাকলে বুয়া কাজ করতে যায় না! সৌদিতে নারীদের না পাঠানোর জন্য বছরের পর বছর প্রবাসীরা মানা করছে, তবুও কেউ শুনছে না। টাকার অভাব বা লোভের কারণে মেয়েরা যাচ্ছে সেখানে। আগে নিজেদের লোভ কমাতে হবে...

১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: কথা কিছুটা হলেও সঠিক কিন্তু তারা শ্রমিক নিয়ে তার অপব্যবহার করবে তা তো হতে দেয়া যায় না আর নারী শ্রমিক শুধুমাত্র যে বাংলাদেশ থেকেই যাচ্ছে তা নয় , ফিলিপাইন , ইন্দোনেশিয়ার অনেক নারী শ্রমিক সেখানে কাজ করে।

১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: তারা ফিলিপিনো ইন্দো নারীদের অত্যাচার নির্যাতন করতেও ছাড়ে নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.