নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুমানার সাথে আট টা বছর ও সারথির অতৃপ্ত আত্মা

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬

মরলে আমি অবশ্যই ভূত হব। কারন আমার আত্মা অতৃপ্ত। আমি নিজেই মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই, এই ভেবে যে একটা মানুষ এতটা অতৃপ্ততা নিয়ে কিভাবে বেচে থাকতে পারে। অতৃপ্ততা নিবারনের জন্য আমি কি না করেছি- নেশা করেছি, মরতে গিয়েছি, বিয়ে করেছি, কিন্তু অতৃপ্ততা আমার কাটে নি। অবশ্য বিয়েটা আমার শুধু অতৃপ্ততা কাটানোর একটা কৌশল ছিলনা, এটা ছিল আমার এক ধরনের প্রতিশোধ। আমার সব থেকে প্রিয়, সব থেকে ভালবাসার মানুষটার উপর সাড়া জীবনের চরম একটা প্রতিশোধ।

রুমানার সাথে আমার প্রথম পরিচয় আজ থেকে নয় বছর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন আমি প্রথম বর্ষের ছাত্র। রুমানা এসেছিল তার মামার সাথে, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে। তার মামা মতিউর আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল। তার মামার মাধ্যমেই পরিচিত হলাম রুমানার সাথে। রুমানাকে পরীক্ষা দিতে যত ধরনের সহায়তা করা দরকার, করতাম। কেন জানি এই মেয়েটার প্রতি আমি ধীরে ধীরে দূর্বল হতে শুরু করলাম কিন্তু আমার তখন করার কিছু ছিলনা কারন আমি সুমীর সাথে এংগেইজড ছিলাম। দূর্বলতা যে শুধু আমার মধ্যে ছিল বিষয়টা তেমন নয়। রুমানার মধ্যেও আমি, আমার প্রতি দূর্বলতা অনুভব করি। এবং সেটা ছিল আমার থেকে হাজার গুন বেশি তীব্র। কিন্তু আমি তাকে কখনো বলতে পারতাম না যে আমি আরেক জনের সাথে এংগেইজড। রুমানা আমাকে প্রায় প্রতি দিন ই ফোন দিত আর নানা ভাবে তার ভালবাসা জাহির করত। আর আমি সমানে তাকে না করে যেতাম, কারন আমি সুমির কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার কোন পথ পাচ্ছিলাম না। এভাবে রুমানা তার, ভালবাসা জাহির করে চলে ৪ মাস। একদিন যখন আমি আমার নিজ চোখে, সুমির সাথে তার দুলাভাইয়ের অবৈধ সম্পর্কের প্রমান পেলাম সেদিন আমি তাকে ত্যাগ করলাম। অবশ্য আমি চাচ্ছিলাম ই এমন কিছু একটা হোক যাতে আমি সুমীকে ছাড়তে পারি। এটা অবশ্য রুমানার জন্য নয়। সুমীর ব্যাপারে আজে বাজে কথা শুনতে শুনতে আমি রীতিমত বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। সুমির সাথে তার দুলাভাইয়ের অবৈধ সম্পর্কের কথা ও আমি নানা ভাবে শুনতাম অনেক আগে থেকেই, কিন্তু সেভাবে পাত্তা দিতাম না, কিন্তু যখন এর প্রমান আমি স্বচক্ষে পেলাম তখন আমি তাকে আর ধরে রাখি নাই। সুমী অনেক কান্নাকাটি করছিল, বার বার বলছিল সে এমনটা আর জীবনে করবেনা কিন্তু আর আমি তাকে ক্ষমা করি নাই।

এই ঘটনার দুই মাস পরে আমি রুমানার সাথে সম্পর্কে জড়াই রীতিমত তার জোরাজুরিতে। ভেবেছিলাম এই মেয়ে যখন এত কান্না কাটি করছে আপাতত তার সাথে জড়াই, পরে এক সময় তাকে ছেড়ে যাব। এবং এখান থেকেই শুরু হয় আমাদের ভালবাসার কাহিনী।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে রুমানার চান্স হয় নাই। সে গিয়ে ভর্তি হয় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে। ঢাকা শহরে সে ছিল আত্মীয়হীন। আর তাই আমি হয়ে উঠি তার পরমাত্মীয়। আমি কখনো তার প্রেমিক, কখনো বাবা, কখনো অভিভাবক কিংবা কখনো মা। রুমানা ঢাকা শহরে কিছু চিনত না। আমি তাকে আঙ্গুল ধরে ধরে নিয়ে ঘুরতাম ঢাকা শহরের এই গলি, সেই গলি। এই রাস্তা সেই রাস্তা। প্রতিদিন জাহাঙ্গীরনগর থেকে এসে তার সাথে দেখা করতাম। প্রেম করতাম, বাজার করতাম ও অন্যান্য প্রয়োজন পূরন করতাম তার। আর সে আমার জন্য রান্না করত। সেই খাবার আমি কখনো তার ওয়েটিং রুমে, কখনো পার্কে আবার কখনো হলে নিয়ে এসে খেতাম। খুব বেশি দিন আমি হলে থাকতে পারি নাই। আমি হলে না থেকে, ঢাকায় মেস করে থাকতাম শুধু তার জন্য। সাড়াটা সময় আমি দুশ্চিন্তায় থাকতাম। যদি আমি হলে থাকি আর তার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমি কিভাবে দ্রুত গিয়ে হাজির হব তার পাশে। আর তাই রুমানার কাছেই থাকা আমার।

রুমানা ও আমাকে প্রচন্ড রকম ভালবাসত। পৃথিবীতে সে ২য় কোন পুরুষ চিনত না আমি ছাড়া। যেমনটা আমি ২য় কোন নারী চিনতাম না। খুব উপভোগ করতাম আমি তার ভালবাসাটা। ধীরে ধীরে আমি এত বেশি জড়ায়া গেছলাম রুমানার সাথে যে আমার প্রতিটা নিঃশ্বাস শুধু রুমানার কথা বলত, জীবনে সে ছাড়া অন্য কাউকে আমি কল্পনাতেও আনতে পারতাম না। আমাদের প্রতি রাতের বিনোদন ছিল ঝগড়া। এমন একটা রাত নাই যে আমরা ঝগড়া করতাম না। ঝগড়া হলে অথবা সে অসুস্থ হলে আমি সারা রাত তার হলের/ হোস্টেলের সামনে গিয়ে বসে থাকতাম। এই ভেবে বসে থাকতাম যে যদি আমাকে তার দরকার হয় তাহলে অথবা তাকে এটা দেখাতে যে দেখ আমি তোমার সাথে ঝগড়া করি ঠিকই কিন্তু কত্তটা ভালবাসি? এভাবে রাতে বসে থাকতে গিয়ে আমাকে যে কত বার পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে অথবা উঠিয়ে দিয়েছে তার কোন ইয়ত্ত্বা নেই। রুমানার বান্ধবীদের কাছে আমি ছিলাম খুব প্রিয় একজন মানুষ। তাদের ভাষায় একটা মানুষ কিভাবে এত ভালবাসতে পারে? তারা আমাকে ডাকত জানু ভাইয়া। আমাদের দুই পরিবার ও আমাদের বিষয়টাকে মেনে নিয়েছিল। আমার মার কাছে রুমানা ছিল খুব প্রিয়। রুমানাও আমার মাকে খুব পছন্দ করত। রুমানারা দুই বোন ছিল, তাদের কোন ভাই ছিল না তাই তার মা আমাকে নিজের ছেলেই মনে করত। আর রুমানার বোন, ভাইয়া বলতে বলতে অজ্ঞান ছিল। এভাবেই চলছিল আমাদের ছোট্ট একটা সংসার। তখন আমার সামনে শুধু একটাই লক্ষ্য, কোন রকম পাস করে একটা চাকুরী জুটিয়ে রুমানাকে ঘরে তুলে নেয়া। আমি কখনো কল্পনাও করি নাই যে মেয়েটা আমাকে এত এত ভালবাসে সে আমাকে এভাবে নিঃস্ব করে দিয়ে একদিন চলে যাবে।

আমাদের সম্পর্কে ৫ বছরের মাথায় আমাদের জীবনে একটা দূর্যোগের মত সুমনের আবির্ভাব ঘটে। সুমন, রুমানার আগের প্রেমিক। আমার সাথে সম্পর্কে জড়ানোর আগে সুমনের সাথে রুমানার এক বছর সম্পর্ক ছিল। কি একটা কারনে সুমন রুমানাকে ছেড়ে চলে যায়। এবং তারপর রুমানা আমার সাথে জড়ায়। আমার সাথে জড়ানো পাঁচ বছর পর, একদিন সুমনের সাথে রুমানার নিউ মার্কেটে দেখা হয়। তাদের কি কথা হয় আমি জানি না। কিন্তু রুমানা পাগল হয়ে যায় তার সাথে দেখা করার পর। আমাকে সে আর মেনে নিতে পারছিল না। ফোন অফ করে অন্য একটা নাম্বার দিয়ে সুমনের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলত। আমার সাথে দেখা করত না। আমি শুধু রুমানার পুরান নাম্বারে ফোন দিতাম, আর সেটা বন্ধ পেয়ে কান্নাকাটি করতাম। তার বান্ধবীদের ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করতাম। ছোট বাচ্চা হয়ে গিয়েছিলাম আমি। হাউ হাউ করে কাঁদতাম। আর আমার কান্না দেখে রুমানার বান্ধবীরা পর্যন্ত হতবাক হয়ে যেত। এরপর আমি রুমানার সামনে গিয়ে অনেক কান্নাকাটি করে সেবারের মত আমাদের সম্পর্কটা রক্ষা করি। আমি পড়াশুনা শেষ করলাম, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী পেলাম। আমাদের সম্পর্ক সাড়ে সাত বছরে পৌছল। এই আড়াই বছরে আর একটা বারের জন্য ও সুমন আমাদের জীবনে ফেরে নি। এখন শুধু অপেক্ষা আমাদের বিয়ের। আমি একবার কাবিনের প্রস্তাব দিলেও রুমানা রাজী হয়নি। তার কথা হল সে পড়াশুনা শেষ করবে। আমিও অপেক্ষা করতে লাগলাম। এবার আবারো আমাদের জীবনে সুমন চলে আসল। এবার ও রুমানা সুমনকে ছাড়া কিছু বোঝে না। আমাকে সে আবারো একেবারেই সহ্য করতে পারছিল না। সে আমার কাছ থেকে মুক্তি চাচ্ছিল। আমি পূর্বের ন্যায় আবারো কান্নাকাটি, অসুস্থ হওয়া ইত্যাদি শুরু করলাম তার সামনে, কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছিলনা। আমি তার মাকে পর্যন্ত ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করতাম আর আমার কান্না দেখে তার মা, বোন সকলেই কাদত। কিন্তু সে সুমনকে ছাড়া কিছুই বোঝে না। বুঝলাম আমি আসলে এই ৮ টা বছরে রুমানাকে সেই পরিমান ভালবাসা দিতে পারি নাই, যেটা সুমন দিতে পেরেছে ৮ দিনে। তাকে ছেড়ে দিলাম। তাকে ছেড়ে দিতে আমার কলিজাটা ছিড়ে যাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল আমি এইখানেই আমার জীবনের শেষ, কিন্তু উপায় নেই। জোড় করে এসব হয় না। আমার সারা জীবনের কষ্টের বিনিময়ে সে সুখী হোক না। নতুন একটা জীবন শুরু করলাম। শুধু নেশা করে অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে লাগলাম কারন আমি এটা মেনে নিতে পারছিলাম না যে আমার একটা দিন রুমানাকে ছাড়া কাটবে, সে আজ অন্য কারো। এই ৮ টা বছরে এমন একটা ঘন্টা নেই যে আমি রুমানার সাথে কথা না বলে থেকেছি। এখন সে একই কথা, আরেক জনের সাথে বলছে। কিছুটা এমন যে সারা জীবন নিজের অধিকারে থাকা সব চেয়ে প্রিয় জিনিসটা অন্য কারো দখলে চলে গেলে এবং সেটার জন্য কোন দাবী করতে না পারলে যেমন হয় আরকি। আমার নেশা ছেড়ে গেলেই হু হু করে কাঁদতাম, একা লাগত, খুব ভয় লাগত আমার। আমার অবস্থা দেখে আমার বাবা কাদত, আমার মা কাদত, কাদত ছোট ভাইটাও। অবস্থা যখন খুব খারাপ, মা রুমানাকে ফোন দেয়, রুমানার বাড়িতে আমার বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় কিন্তু কোন কাজ হয় না। তাই আমার বাবা এবং মা সিদ্ধান্ত নেন আমাকে বিয়ে দেবেন। বিয়ে দিলে আমার সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমি রাজী হই না। আমার এক কথা রুমানাকে ছাড়া আমি বাচব না, তোমরা আমাকে কয়দিন বাচায়া রাখবা এভাবে? এর মাঝে আমি একদিন মদ খেয়ে পাগলামী করে, প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ি। তিন দিন জ্ঞান নাই। যখন আমার জ্ঞান ফেরে, দেখি আমি হসপিটালে, বোনটা চিৎকার করে কাঁদছে আর বলছে আমার ভাইকে আমি ফেরত চাই। সেদিন আপাকে কথা দেই, তোর ভাইকে ফেরত পাবি, দেখিস আপু আমি কখনোই তোদের বিরক্ত করব না। সুস্থ হয়ে নেশা করা ছেড়ে দিলাম। রুমানার বান্ধবীদের কাছ থেকে শুনতাম রুমানা এবং সুমনের প্রেমের কথা, ডেটিং এর কথা। কলিজাটা আমার ছিড়ে যেত তখন, আমি হাসতাম মানুষের স্বার্থপরতা ও নির্মমতা দেখে। ভাবতাম একটা মানুষ কিভাবে এত্ত বেইমান হতে পারে। ভাবতাম আচ্ছা সে যে আমাকে এত্ত এত্ত ভালবাসত, তার কি একটা বার ও মনে হয় না, আমি কিভাবে বেচে আছি? কিভাবে একটা মানুষ আরেক জনকে এত্ত কষ্ট দিয়ে নিজে এত সুখ ভোগ করতে পারে? এত কিছুর পরও আমি জানতাম রুমানা একদিন আমার কাছে ফিরবে, ৬ মাস তার জন্য অপেক্ষা করি। নানা ভাবে তার বান্ধবীদের দ্বারা তাকে আমার দিকে ফেরানোর চেষ্টা করি কিন্তু কোন লাভ হয় না। প্রায় আমি ফোন দিয়ে সুমনের পায়ে ধরতাম, ধরে বলতাম সুমন ভাই, আপনার রুমানাকে না পেলে কিছু যায় আসবে না কিন্তু আমাদের আট বছরের একটা সম্পর্ক নষ্ট হলে, দুটো জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। সুমনের এক কথা, আমাকে বলে লাভ নেই, রুমানাকে বলেন। সে আপনার কাছে যেতে চাইলে আমার কোন আপত্তি নাই। আমার নিজেকে খুব অসহায় লাগত, যার জন্য সারাটা জীবন এত কিছু করলাম, এত্ত ভালবাসলাম তাকে ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে আরেক জনের কাছ থেকে। খুব তুচ্ছ লাগছিল নিজেকে, এত ছোট আমি কখনো কারো কাছে হইনি। কিন্তু অবাক করার ব্যাপার হল, সুমনের কাছ থেকে পাওয়া এসব অপমান আমার গায়ে লাগছিল না। একবার মনে হয়েছিল সুমন নামের এই কীটটাকে খুন করে ফেলি, কিন্তু তাকে আমি ক্ষমা করে দেই কারন আমার ঘরের লোক ই ঠিক ছিলনা, পরকে কি বলব?

রীতিমত তাড়াহুড়া করে আমি বিয়ে করলাম, না দেখেই বিয়ে। কারন আমি ততদিনে শোক ভূলে, ঘৃনায় প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠেছি। আমি চেয়েছি, রুমানা আমার জীবনে কোনদিন ফিরতে চাইলে আমি না করতে পারব না, আর বিয়ে করে ফেললে, আমি চাইলেও যেন কিছু না করতে পারি। তার প্রতি আমার সারা জীবনের প্রতিশোধ হবে এটা। তারাহুরা করে বিয়েতে বসলাম। আমার বউ ও আমাকে দেখে নাই, আমিও তাকে দেখি নাই। না দেখেই কবুল।

আমার বিয়ে ৬ মাস পর রুমানার ফোন- আমাকে ক্ষমা কর। আমি আসলে বুঝি নাই। সুমন আমার মোহ ছিল, কিন্তু আমি তোমাকেই ভালবাসি। তুমি তোমার বউকে ডিভোর্স দাও। চল আমরা পালিয়ে যাই। আমি তাকে উত্তর দেই- অসম্ভব। তুমি আটটা বছর আমার কাছে থেকে, এই সিদ্ধান্ত নিতে পারনি যে আমার সাথে বাকী জীবন থাকবা কিনা, আর যে মেয়েটা আমাকে না দেখে, না জেনে, না শুনে আট মিনিটে আমার সাথে সারাটা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমি ছাড়বো কিভাবে???

বিয়ে করেছি ঠিকই কিন্তু রুমানাকে ভূলতে পারিনাই। ভুলতে আমি তাকে কখনোই পারবনা। আর তাই তাকে মৃত ঘোষনা করেছি নিজের কাছে। তার কথা মনে হলেই নিজেকে বলে উঠি, মৃত মানুষ ফিরবে কি করে?

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

পৃথিবীর আলো বলেছেন: প্রেমরে ক্ষেত্রে মেয়েরা সবসময় দোটানায় থাকে। কেন জানি একজনের কাছে স্থির হতে পারে না। সব সময়ই আরও ভাল কিছু খুঁজে। ছেলেদের মধ্যে এই প্রবণতাটা একটু কম।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি জানি আপনি অনেক কষ্ট করে এত্ত বড় একটা লেখা পড়েছেন। জানিনা সব মেয়েদের খবর, শুধু একজনের খবর বলতে পারি, সে দোটানায় ছিল। সে যার কাছে গিয়েছে আমি কিন্তু এখন তার থেকে অনেক অনেক বেশি ভাল অবস্থানে আছি। হয়তবা তখন ছিলাম না।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

ঘাষফুল বলেছেন: কাহিনি যদি সত্যি হয়..পড়িয়া মেজাজ টা গরম হই্য়া গেল.....আপনার উপর। আপনার নিয়ত টা ভাল ছিল না। আর কাহিনি টাও কেমন যেন..... কোন ডিপার্টমেন্টে পড়তেন ভাই?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: কাহিনীতে কি সমস্যা দেখলেন ভাই। নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়তাম। ব্যাচ জিজ্ঞেস করবেন না আশা করি। নিয়তের শুরুর দিকে সমস্যা ছিল স্বীকার করেছি অবলীলায়। কিন্তু পরে তো তাকে পাগলের মত ভালবেসেছি, জড়ানোর পর একটা মুহুর্তের জন্যো তো ছল করি নাই।

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

পৃথিবীর আলো বলেছেন: আপনার মত এতটা না হলেও কাছাকাছি একটা ঘটনা আমারও আছে। মাঝে মাঝে শেয়ার করতে মনে চায়। আবার ভাবি, থাক কি লাভ? লিখতে গেলে সব আবার মনে পড়ে যাবে। এর চেয়ে যা বর্তমান তা নিয়েই সুখে থাকি। মেয়েরা সবসময়ই সঠিক পুরুষ বাছাই করতে ভূল করে এবং যখন বুঝতে পারে সে কি হারিয়েছে, তখন আর ফেরার পথ থাকে না। এই কারেণেই বেশিরভাগ মেয়েরা আজকে সংসারে অসুখী। আপনি ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ পৃথিবীর আলো। আসলে আমারো ইচ্ছা হয় নাই এই বিষয়টা শেয়ার করার। শুধু মনে হয়েছে আমার ব্যাথার তীব্রতা আমি লিখে কিংবা বলে বোঝাতে পারব না কাউকে। এরপর ও হঠাত লিখে ফেললাম সংক্ষেপে। যাই হোক আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯

সুমন কর বলেছেন: লেখার মাঝে গ্যাপ দিলে পড়তে সুবিধা হতো। তাই পুরোটা পড়িনি।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২

অগ্নি সারথি বলেছেন: আসলে কি সুমন ভাই, আমি লিখেছি ঠিকই কিন্তু আমার কাছে প্রতিটা স্মৃতি অনেক নির্মম। লেখার মাঝে শুধু মনে হচ্ছিল কেন লিখতে বসলাম আবার। কেন পুরান স্মৃতিকে টেনে আনছি। লেখা শেষ করার অনেক তাড়া ছিল, আসলে বাচতে চাচ্ছিলাম এসব থেকে। যাই হোক, মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

ঘাষফুল বলেছেন: নিশ্চয় ৩৩?

জাস্ট ফরগেট ইট।

তবে আপনার পাগলামিটা অনেক বেশি হয়ে গেছিল...কোনো ছেলে/মেয়েরই এত পাগল হওয়েটা ঠিক না। কারণ পরে কষ্ট পেতে হয়। মনে কষ্ট রেখেন না। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন তবে দেখবেন আর কষ্ট লাগবে না। :)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি এক্সটেনশনে থাকতাম। প্রথমে কিছুদিন এস এস বি তে ছিলাম।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পড়লাম ভালো খারাপ দুইটাই লাগল, যাই হোক বৈজ্ঞানিক ভাবে বলতে পারি আপনার প্রকৃত প্রেম আপনার স্ত্রীর সাথেই হবে :) :)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: দোয়া করবেন ভাই যেন তাই হয়।

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২২

কালোপরী বলেছেন: আপনার নতুন জীবন সুখের হোক

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪০

অগ্নি সারথি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ছোট্ট পরী।

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

আকিব আরিয়ান বলেছেন: বউয়ের সাথেই থাকেন ভাই আর একটা কথা, মেয়ে জাতির একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা জন্মের পর থেকে প্রতিটা কাজে কনফিউজড আর হ্যাজিটেশনে থাকে!
তাদের কনফিউশন আর হ্যাজিটেশনের পাল্লায় পড়ে ছেলেদের লাইফ হেল হয়ে যায়।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪১

অগ্নি সারথি বলেছেন: জ্বি আকিব ভাই, আল্লাহ্‌ আমাকে খুব চমৎকার একটা বউ দিয়েছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন ভাই।

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

আকিব আরিয়ান বলেছেন: অবশ্যই দোয়া রইলো :) সুখী হোন আপনারা, স্যাক্রিফাইজ কম্প্রোমাইজ করে রিয়ালাইজ করেন রিলেশনটা, অনেক মজবুত হবে বন্ধন

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫১

অগ্নি সারথি বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ আকিব ভাই।

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

ঝটিকা বলেছেন: আপনার বউ এর জন্য খুব খারাপ লাগছে। তার জীবনে হয়ত আপনিই প্রথম, অথচ তার জীবনটা এক অর্থে প্রেমহীনই রয়ে যাবে।

তুমি আটটা বছর আমার কাছে থেকে, এই সিদ্ধান্ত নিতে পারনি যে আমার সাথে বাকী জীবন থাকবা কিনা, আর যে মেয়েটা আমাকে না দেখে, না জেনে, না শুনে আট মিনিটে আমার সাথে সারাটা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমি ছাড়বো কিভাবে???

এটা খুব ভালো লাগল।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি খুব বেশি চেষ্টা করে যাচ্ছি, তাকে যেন কোন কিছু থেকে বঞ্চিত না হতে হয়। কিন্তু এরপর ও মাঝে মাঝে অনেক আবেগ আর কাজ করতে চায় না জানেন। যাই হোক দোয়া করবেন।

১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

সংবিধান বলেছেন: হৃদয় দেয়া রিস্কি ব্যাপার।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: হ রে ভাই, ছ্যাকা বস্তুডা আরো রিস্কি।

১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৩

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
প্রতিশোধ, ছেড়ে যাব, এগুলোতো ভাল না।

শুভ কামনা। আমার বিরিয়ানি দেন :P

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২২

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি জানি ভাল না এসব কিন্তু আসলে একটা মানুষকে কত বার সুযোগ দেয়া যায় বলতে পারেন? এরপর ও যখন সেই মানুষটা বার বার কলিজা ছিড়ে দেয় তখন কি করতে হয়, বিশ্বাস করেন আমার জানা ছিল না।

কেমন আছেন আপনি?
আপনার জন্য আমার বিরিয়ানী রান্না করাই ছিল।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: পোস্ট কই? কেন?

১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩১

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
না, আপনার ডিসিশান ঠিক আছে। ওকে ভুলে যান।

পোষ্ট ভাল লাগে না, তাই নাই।

বিরিয়ানী তো অনেক ভাল হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ :-B

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ। বিশ্বাস করেন বিরিয়ানী অন্য কোথাও থেকে আনাই নাই, একেবারে নিজের হাতে তৈরি :-P :-P :-P

১৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: শুভজন্মদিন দিদি। :) :) আসুন কেক কাটি

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি দিদি নই, দাদা। কেকের জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৪

অপ্রচলিত বলেছেন: খুব করুণ কাহিনী ভাই। অগোছালো ভাবে লিখেছেন, তবে ভালো লাগল।

জীবনটাকে আবার নতুন করে শুরু করুন। চেষ্টায় সব সম্ভব। ইতিবাচকভাবে ভাববেন সর্বদা। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য। ভালো থাকুন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

ফারজানা আখি বলেছেন: কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিনা । সো স্যাড ।
আল্লাহ্‌ আপনাদের দাম্পত্য জীবনে সর্বোচ্চ শান্তি , সুখ ও স্বস্তি দিন ,আমীন ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ফারজানা।

১৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঙ্কু বলেছেন: মানসিকভাবে অনেক খারাপ সময় পার করেছেন। প্রেমের ক্ষেত্রে মানুষ অনেক সময়ই নিজের আবেগকে যথাসময়ে নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। রুমানাকে ভুলে গিয়ে নতুন জীবনকে উপভোগ করুন।

শুভ জন্মদিন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আপনার জন্মদিন মিস করেছি :( :( :( হ্যাপি বিলেটেড বার্থডে !:#P

ভোট দিতে গিয়েছিলেন? :-0 B:-/

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: জন্মদিনটা আসলে আমাদের পরিবারে সেভাবে ঘটা করে পালন করার রেওয়াজ নেই। এরপর ও স্পেশাল কিছু মানুষকে আশা করেছিলাম ব্লগে, ফেসবুকে যারা আমাকে উইশ করবে। হতাশ হয়েছি :( :( :( :( যাউকগা দেরীতে হলেও তো কেউ করেছে। ধন্যবাদ।
ভোট দিতে যাব কেমনে? আমার বাড়ি দিনাজপুরে, কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাই সেই আসনে। এরপর ও লম্বা একটা ছুটি পাওয়ায় বাড়ি যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু বিরুধী দল যেভাবে সব কিছু অবরুদ্ধ করে রেখেছে তাতে করে কেমনে কি?
আপনাকে বোঝাতে পারবনা ঢাকা শহরে কিভাবে বাস করছি আমরা। বুথে টাকা নাই, পাম্পে তেল নাই, বাজারে তরকারী নাই, রাস্তায় পর্যাপ্ত যানবাহন নাই, জীবনের গ্যারান্টি নাই আরো কত কি? পুরাই বিরক্ত জানেন।
আপনার খবর বলেন?

১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
দেশের এই অবস্থায় সবাই মনে হয় ভুলে গেছে জন্মদিনের কথা।

আমি আম্মুর সাথে খাবার দাবাড় কিনতে গিয়েছিলাম। এখন নির্বাচনের খবর দেখি টিভিতে। আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম বাংলাদেশে থাকলে আমাকে ভোট দিতে দিত নাকি। ভোটকেন্দ্র আমাদের বাসা থেকে এক মিনিটের রাস্তা। বলতে গেলে আমাদেরই স্কুল। আম্মু বলল, না =p~

আমার অনেক দিন ধরে ছুটি। ঘুম থেকে উঠি সকাল ১০ টায়। আমার ফ্রেন্ড বলেছে কালকে থেকে সকাল ৮ টায় কল দিয়ে ঘুম ভাঙ্গাবে :P

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: অগ্রীম শুভ সকাল মোবারক :-P

২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৫

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
অ টঃ আপনি একটা ছাগু টাইপের ব্যক্তিকে ডিফেন্ড করেন, অবাক হলাম।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: ব্লগে মনে হয় তার সাথেই আমার সবথেকে বেশি ঝগড়া হয়েছে। তার ছাগু হওয়ার কারনে। অনেক অনেক গালাগালি করেছে সে আমাকে, আমিও করেছি। এখানে আমি তাকে ডিফেন্ড করি নাই। সে না হয়ে অন্য কেউ হলেও আমি এটা করতাম। আমি অবাক হয়েছি মডারেশনের নির্বুদ্ধিতা দেখে। মডারেশন কিভাবে আরেকজনের প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে একজন ব্লগারকে ব্যান করে। আর সব থেকে মেজাজ খারাপ হইছে ত্রিশনকুর স্টিকি পোস্ট দেখে। এমন অবস্থা তার পোস্টের কমেন্টে সব ভাল মানুষের হাট বসে গেছে। যেটাকে কাজে লাগালো আরেকজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.