নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!
গুরু তার শিষ্যের সাথে দেশভ্রমনে বের হয়েছে। ঘুরতে ঘুরতে এক দেশে গিয়ে দেখে সেখানে তেলের যে দাম, ঘিয়েরও একই দাম। বড় বাড়ির যেই ভাড়া ছোট ঘরেরও সেই ভাড়া। শিষ্য তো বেজায় খুশি --- সেখানেই বিলাস জীবন যাপনের আয়োজন করতে লাগলো। গুরু নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে বললেন যেই দেশে কোন ন্যায় নীতি নাই সেই দেশ বিপদজনক। এখানে তোমার থাকার কোন মানে নাই। আমি চললাম -- এই বলে সে নিজ দেশে ফিরে এল।
এদিকে সেই দেশে একদিন এক চোর ধরা পড়লো, বিশাল আয়োজনের বিচারে সেই দেশের রাজা দেখেন যে চোর ব্যাটা বেজায় শুকনা-পটকা হাড্ডিসার আধমরা চেহারার গরীব লোক। 'এই ব্যাটাকে শুলে চড়ানো দেখতে মজা হবে না –
তাই তিনি প্রহরীকে নির্দেশ দিলেন মোটা তাজা দেখে একটাকে ধরে নিয়ে আসতে, চোরের বদলে ওটাকে শুলে চড়ানো হবে।
ঐদিক দিয়ে যাচ্ছিলো সেই গুরুর সেই শিষ্য, সে আবার এ কয়দিনে ঘি, মাখন খেয়ে খেয়ে গায়ে গতরে বেশ দারুন নাদুষ নুদুস হয়ে গিয়েছে। প্রহরীরা গিয়ে তাঁকেই ধরে নিয়ে আসলো । এরকম একটা সাইজ দেখে রাজাতো মহা খুশি। রাজা তাকে শুলে চড়ানোর নির্দেশ দিলেন। কোন ওজর আপত্তি অনুনয় বিনয়ে কাজ হল না। দুপুরে তাকে শুলে চড়ানো হবে সেজন্য আয়োজন চলছে, আর ওকে একটা খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে। ঘটনাক্রমে শিষ্যকে খুঁজতে গুরু সেই সময়ে সেখানে উপস্থিত হলেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তিনি সেই দেশের রাজাকে গিয়ে বললেন-- এই ব্যাটার কাছে আমি অনেক টাকা পাই, একে তাই কষে কিছু কানমলা দিতে চাই। রাজা তো এতে আরো মজা পেলেন। বললেন, যাও কানমলা দিয়ে আস। কাছে গিয়ে কানমলা দিতে দিতে গুরু শিষ্যের কানে কানে বললেন, যে দেশে তেল আর ঘিএর একই দাম, নিয়ম নীতি নাই, সেই দেশে চোর আর নির্দোষেও পার্থক্য থাকবে না তা তো স্বাভাবিক, এখন বাঁচতে চাইলে আমার কথামত কাজ কর -- বলে কিছু টেকনিক শিখিয়ে দিল।
শিষ্য কিছুক্ষণ পর পর ব্যাকুল দৃস্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে সূর্য দেখতে লাগলো। রাজার কৌতুহলের সাথে জিজ্ঞেস করল। আকাশে কি দেখ? জবাবে শিষ্য বললো 'দয়া করে ঠিক দ্বিপ্রহরে আমাকে শুলে চড়াবেন কারণ ঐ সময়ে শুলে চড়ে মরলে সোজা স্বর্গে যাওয়া যাবে বলে শাস্ত্রে লেখা আছে' --- --- রাজা সেই ফাঁদে পা দিলো আর স্বর্গের লোভে নিজেই শুলে চড়ে বসলো।
কয়দিন ধরে মেজাজটা পুরাই খিচড়ায়া আছে। বাড়ি থেকে কিছু লিচু নিয়া আসব ঢাকা শহরে নিজের এবং কাছের কিছু মানুষের জন্য। কিন্তু না। ভয়ে কোন বাস, কুরিয়ার আর লিচু বহন করছে না। কারন হয়রানীর ভয়। আম, লিচু দেখলেই প্রশাসন নাকি বাসের ড্রাইভার, সুপারভাইজার, হেল্পারদের নানা ভাবে হয়রানী করছেন তাই তারা আর আম, লিচু কোনভাবেই গাড়িতে তুলছেন না। বড়ই বিপদে পড়েছি। আর আমার মা, ছেলেটা এবার আম, লিচু কিচ্ছু খেল না বলতে বলতে পাগল প্রায়। ওরে সরকার তোরে বুঝাইব কিডা যে আমার গাছের ফলে আমরা ফরমালিন দেই না। আফসুস আমার গাছের লিচু পইচ্চা গেল!!!!!
ফরমালিনের নামে ঢাকা শহরের মানুষকে আম, লিচু থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে সরকার। এখন আম আর আপেলের দাম সমান। ঠিক আছে মাইন্যা নিলাম। জনস্বাস্থ্য নিয়া সরকারের অখন মাথা ব্যাথার অন্ত নাই। কিন্তু কিছুদিন আগেও সরকারের এত্ত বড় মাথা একটা বারের জন্য কেন ব্যাথা করে নাই এই ফরমালিন নিয়া। দিনের পর দিন অসাধু ব্যবসায়ীরা ঢাকাবাসীদের ফরমালিন খাওয়াইতে খাওয়াইতে একেকটা মানুষকে ফুল ফরমালিনের ট্যাংকি বানায়া ফালাইছে।
সরকারের এহেন উদ্দ্যেগকে প্রথমে আমি সাধুবাদই জানাইছিলাম কিন্তু যখন খবরে দেখলাম, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেশন সিস্টেম’ পরীক্ষায় ভারতের ফল এবং সবজি মানোত্তীর্ণ হতে না পারার কারনে ভারতীয় আম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তখন থেকেই সন্দেহটা শুরু হল। এরপর যখন আবার শুনলাম ই ইউ র সেই নিষিদ্ধ করা আম বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ শুরু করেছে তখন বুঝলাম আমার বাড়ির আম, লিচু আমি কেন খেতে পারি না? দেশের ঠাকুর ছাড়ি, বিদেশের কুকুর ধরি। সেলুকাস!!! সত্যিই কি বিচিত্র এই দেশ।
আমি বুঝি না দাদাদের স্বার্থ রক্ষার্থে তারা আর কি কি করতে চায়? কেন? এটা কি শুধুই অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করার একটা প্রয়াস, একটা ভিশন/ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার প্রয়াস? যদি তাই হয়ে থাকে তবে এর খেসারত কেন বারে বারে আমাদের দিতে হয়.......
২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০
অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা...
২| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০
মদন বলেছেন:
২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
অগ্নি সারথি বলেছেন: খিক।
৩| ২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: তিনি যত দ্রুত স্বর্গে যান ততই পৃথিবীর মঙ্গল। দুনিয়াতে সবচাইতে দুর্ণীতিবাজ অদক্ষ অপদার্থ অশিক্ষিত পুলি.... বাংলাদেশের!
২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: হ রে ভাই এইসব অপদার্থের দলকে আবার কিছু বলতে গেলেই হান্দায়া দেওনের ডর দেখায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঐ রাজারতো স্বর্গের লোভ ছিল-বলে সেযাত্রা শিষ্য বেঁচে গেল!
আমাগো রাজা স্বর্গের লোভে পড়লেওতো তেমনি জাতি বাঁচত
কে আছিস.. রাজারে স্বর্গের লোভ দেখা