নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদ্যে বিষঃ একটা নীরব গনহত্যার আরেক নাম!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯



লেখায় প্রবেশের পূর্বে চলুন একটা তালিকা দেখে নেয়া যাকঃ

চালঃ ক্যাডমিয়াম; আটাঃ চক পাউডার; পোল্ট্রি গোশত ও ডিমঃ সহনীয় মাত্রার ৩/৪ গুণ বেশি ক্রোমিয়াম; গরুঃ স্টেরোয়েড টেবলেট; মাছ, গোশত, দুধ ও ফলঃ ফরমালিন; কৃত্রিম দুধঃ খাওয়ার সোডা, বিষাক্ত পারক্সাইড, বিষাক্ত ক্যামিকেল; সয়াবিন তেলঃ পাম অয়েল; সর্ষে তেলঃ মরিচের গুঁড়া, সাবান তৈরির ক্যাস্টার অয়েল ও ক্যামিকেল ঝাঁঝ; গাওয়া ঘিঃ মিষ্টিকুমড়া-গাজর, রঙ, ফ্লেভার ও প্রিজারভেটিভ; মরিচের গুঁড়াঃ ইটের গুঁড়া; ধনে গুড়াঃ কাঠের গুঁড়া, ধানের ভূষি; হলুদঃ বিষাক্ত ক্যামিকেল, সীসা; মুড়িঃ ইউরিয়া; গুড়ঃ হাইড্রোজ; চানাচুর, বিস্কুট, সমোচা, প্যাটিসঃ গাড়ির পোড়া মবিল; মিনারেল ওয়াটারঃ লিড, ক্যাডমিয়াম, জিঙ্ক; শাকসবজিঃ কীটনাশক;
কলা, মাল্টা, আপেল, আঙ্গুর, খেজুর, আম, সেমাই, নডুলস, আনারস, টমেটোঃ ফরমালিন।


আশা করি উপরের তালিকাটা দেখেছেন। দৈনন্দিন প্রতিটি ভোগ্যপন্যের পাশে তাতে মেশানো ভেজালের নামটি উল্লেখ করা হয়েছে। আপাতত আমার যতগুলো মনে পড়েছে সেগুলোই লিখেছি কিন্তু এই তালিকা এতই বিশাল যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এমন কোন ভোগ্য পন্য নেই যেটায় উচ্চমাত্রায় ভেজাল মেশানো নেই। এটা ঠিক ভেজাল নয় বরং প্রানঘাতি। গত বছর জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইন্সটিউট সারাদেশ থেকে ৪৩টি ভোগ্যপণ্যের মোট ৫ হাজার ৩৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে৷ আর বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, তাদের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে খাবারের তালিকাভুক্ত ৪৩ ধরনের পণ্যেই ভেজাল পাওয়া গেছে৷ ভেজালের পরিমাণ গড়ে শতকরা ৪০ ভাগ৷ এর মধ্যে ১৩টি পণ্যে ভেজালের হার প্রায় শতভাগ। তাহলে বোঝেন অবস্থাটা!

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ আমিরুল মোর্শেদ খসরু বলছেন, "সম্প্রতি শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে, যা আগে কখনও দেখা যেত না। এসব ভেজাল খাদ্যের কারণে প্রথমে ডায়রিয়া বা বমিভাব বেশি দেখা দেয়। যা দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারে রূপ নিচ্ছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে খাদ্যনালীতে ক্যান্সার, লিভার বা ব্লাড ক্যান্সার, মেয়েদের জরায়ুতে ক্যান্সারের প্রবণতা অনেক বাড়ছে, যা আগে খুব কম দেখা মিলত। চিকিৎসায় প্রমাণিত হয়েছে এগুলোর মূল কারণ হচ্ছে খাদ্যে ভেজাল। শিশুদের খাবার হিসেবে যা দেয়া হচ্ছে তাকে বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। এর প্রভাব শুধু শিশুদের নয়, সব মানুষের ওপর পড়ছে কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। যখন ধরা পড়ছে তখন এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কোন উপায় থাকে না।"

ফেসবুকে কিছু ছবি সমেত কামাল ভাইর (আপনারা তাকে চিনবেন না, সে আমার পরিচিত) একটা পোস্টে আমার চোখ আটকে গেল! হুবহু তুলে দিলাম!
"ঘুনে ধরা সমাজ, নষ্ট আর মিথ্যার প্রতিযোগিতার রাষ্ট্রে বিশ্বাসের দিন শেষ, এ আমার বাংলাদেশ. দেশে অসংখ্য খাটি সরিষার তেল থাকলেও কেউ কাউকে আর বিশ্বাস/ভরসা করতে পারছেনা তাই ইনোভেটিভ আইডিয়া এখন ঢাকার রাস্তায়.নগদে খাটি সরিষার তেল. চোখের সামনে ভাঙানো দামও হাতের নাগালে, 200টাকা কেজি"

ছবিগুলোঃ




বস্তুত পুরো দেশের মানুষ ভোগ্য পন্যের উচ্চমূল্য আর ভেজাল নামক বিষ খেতে খেতে অতীষ্ট হয়ে উঠেছে। স্বল্প টাকায় তারা ভালো এবং নির্ভেজাল পন্য খুঁজছে। আর তাই হয়তোবা এমন ভ্রাম্যমান আধুনিক সরিষার তেলের ঘানি কিংবা রাজধানীর কাঁচা বাজারের ভেতরে ছোট ছোট হাউস তথা পুকুর বানিয়ে জ্যান্ত রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, কালবাউস মাছ দেদারছে বিক্রি হবার দৃশ্য আমাদের চোখে পড়ছে।


আপনারা ভ্রাম্যমান আদালতের কথা ভাবছেন, আমি জানি। খাদ্যে ভেজাল বা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর অভিযোগে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ তে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া খাদ্য নিয়ে মিথ্যা বিজ্ঞাপন, নিবন্ধন ছাড়া খাদ্যপণ্য বিপণন, ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত কাউকে দিয়ে খাদ্য বিক্রি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। বলা হচ্ছে, ১৯৫৯ সালের বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ নামে পরিচিত এ সংক্রান্ত প্রচলিত আইনটি অনেক দিনের পুরনো হওয়ায় তাতে অপরাধীর শাস্তির মাত্রা যথেষ্ট নয় বিধায় একটি কঠোর আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতেই প্রণীত হয়েছে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩। প্রশ্নটা হচ্ছে আইনটি কতটুকু কঠোর কিংবা আইনের পুরোদস্তুর বাস্তবায়ন না থাকলে সেই আইন কতটা কঠোর হতে পারে? মাঝে মাঝে যে দু-একটা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে না, বিষয়টা তেমন নয় হচ্ছে তবে সেটা পর্যাপ্ত নয়। আমার তো মনে হয়, খাদ্যে বিষ মেশানোতে অনেক বড় একটা চক্র কাজ করে এবং অনেক বেশী শক্তিশালী এই চক্রটি। এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গার শক্তি কিংবা সাহস আমাদের ভ্রাম্যমান আদালতগুলোর রয়েছে কি? সেটা একটা মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন!

২০০৮ সালে চীনে মেলামাইন মিশ্রিত দুধ খেয়ে কমপক্ষে ৬ শিশুর মৃত্যু এবং প্রায় ৩ লাখ লোক অসুস্থ হয়ে পড়ে। গোটা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে ওই ঘটনা। এরপর থেকেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংগ্রাম করে আসছে চীন। কঠোর দমনাভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বিবৃতি অনুযায়ী শুধু ২০১১ সালের প্রথম ছয় মাসে খাদ্যে ভেজালের কারণে চীন ২ হাজারের বেশি মানুষকে প্রেপ্তার করেছে, পাশাপাশি বেশ কয়েক টন ভেজাল খাদ্য আটক করা ছাড়াও এবং ৫ হাজারের বেশি কোম্পানি বন্ধ করে দিয়েছে। এবং কি বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো শুকরের মাংস বিক্রির দায়ে একজনকে মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। আর ফলাফলটা আজকে চীনের খাবার দাবার শতভাগ ভেজালমুক্ত।

বিগত দশটা বছরে, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের যে চিত্র তা সত্যিই অনেক প্রশংসার দ্বাবিদার! আমার যদি ভূল না হয় তবে, ২০১৯ এ নির্বাচনী ইশতেহারে কোন দলের কোথাও আমি খাদ্যে ভেজাল মেশানোর বিরুদ্ধে সংগ্রামের উল্লেখ পেলাম না যেটা সত্যিই উদ্যেগজনক। ক্ষুধামুক্ত আগামীর বাংলাদেশের মূল চ্যালেঞ্জই হবে কিন্তু খাদ্যে ভেজাল! আর এই ভেজাল হতে রেহাই, আমরা কেউ পাবো না।

বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক!

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের একটা মন্ত্রনালয় আছে না? নিরাপদ খাদ্য । তারা করে কি?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: এতদিন তো তারা শুধু হুংকার আর মাছি মারাতেই ব্যাস্ত ছিল! এখন আর কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছি না।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২১

সবজি মামা বলেছেন: এতো কিছুর পরও আমরা আছি ঢাকা বাসির পাশে ভেজাল মুক্ত বাজার সদাই পৌঁছে দিতে - সবজিমাম.কম

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২২

অগ্নি সারথি বলেছেন: মাইরালা!

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৯

আরইউ বলেছেন:
সেদিন একটা ইউটিউব ভিডিও দেখছিলাম বরফ কী করে তৈরী হয়। দেখে খুব খারাপ লেগেছে। ওসব জায়গায় তৈরী বরফ রাস্তার পাশ থেকে শুরু করে বড় রেস্তোরা সব জায়গায় ব্যাবহার হচ্ছে!

আমি ফার্স্ট হ্যান্ড দেশের অবস্থা জানিনা, তাই প্রশ্ন করছিঃ কেউ যদি ২/৩ গুন বেশি দাম দিয়ে হলেও স্বাস্থ্য সম্মত খাবার/ফল/শাক সব্জি কিনতে চায় তবে তা কি সম্ভব? গ্রামেও কি একই অবস্থা?

ভালো থাকুন, অগ্নি!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমার মনে হয় সম্ভব না বিশেষত সবজীর ক্ষেত্রে! কারণ উচ্চ পরিমানের কীটনাশক সবজী ক্ষেতেই মেরে দেয়া হয়, আর এটা গ্রামেই হয়। রাজশাহীর একটা গ্রামে আমি কীটনাশক মেরে টমেটো পাকানো আর রংপুরে কলা পাকাতে দেখেছি। সূতারাং নো চান্স, পুরো দেশ পইচা গেছে।
ধন্যবাদ ভ্রাতা !

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ভাই বলে কি হবে । আপনি আমি যত ই বলি না কেন ।

তারা বলবে কাজ হবে , হচ্ছে ও চলছে । একটূ সময় লাগবে । অথচ এগুলো হওয়া উচিত দ্রুত যাতে জনগন এসব থেকে মুক্তি পায় তার জন্য কাজ করা ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: কথা বললে শুধু হবে না, এই কথা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সেই কথা এগিয়ে নিয়ে যাবার লোকটা নাই! আর যারা লংকায় যাচ্ছে, যাওয়া মাত্র তারা রাবন হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ অপু!

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভেজাল ধরা পড়ার সাথে সাথে ভেজালকারীকে মৃত্যুদণ্ড না দিলে এসব থামবে না।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: এটাই হওয়া উচিত!

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

শেখ মফিজ বলেছেন: মানুষের মানূযত্ব নষ্ট হয়ে গেছে ।
আমি যখন ব্যবসায়ি তখন আমি ভেজাল করি ।
আমি যখন ক্রেতা তখন আমি সমালোচনা করি ।
যারা ভেজাল দিচ্ছে তারা তো আমরাই ।
সরকারের যে মানুষগুলো দেখভাল করবে তারাও তো আমরাই ।
আমাদের নিজেদেরই সংশোধিত হতে হবে ।
সরকার উদ্যেগ নিলে জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে ।
ফরমালিনের নামে ভালো মাছ কি নষ্ট করেনি ।
রাজশাহীর আম নষ্ট করে নি ।
বেশী বুঝতে গিয়ে জনগণের ক্ষতিও করে ফেলে আমলারা,
ফলে অভিযান মাঠে মারা যায় ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত ভ্রাতা! এজন্য শক্ত আইনের শক্ত প্রয়োগটা জরুরী!

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এতদিন তো তারা শুধু হুংকার আর মাছি মারাতেই ব্যাস্ত ছিল! এখন আর কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছি না।

আমি নিরাপদ খাদ্য অফিসে যাই মাঝে মাঝে। ইনশালাহ এ বিষয় নিয়ে আলাপ করবো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! আমাদের যার যার অবস্থান হতে সামান্য সোচ্চার হলেই হয়তোবা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ পৃথিবী সম্ভব।

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




তারা তো লংকায় যাওয়ার আগে অনেক কিছু বলে

হেন করেংগা তেন করেং গা

তারপর যেয়ে নিজেই হয়ে যান দশ মাথা ওয়ালা

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: ক্যানভাসে মেঘময় রাম ও রাবণ
দুধরঙে রাবণ চন্দনচর্চিত
রাবণ রাবণে বিলীন
যুদ্ধাবসান...!



সীতার দশদিক খুলে যায়
রাবণরঙে রাবণ আঁকা থাকে চিরকাল।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট।

সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪০

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন ল!

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪

সুমন কর বলেছেন: মাঝে মাঝে বলি, "আমরা বাঙালী সব ভেজাল খেয়েও বেঁচে থাকি, সব হজম হয় !!!" X(( X(( এর থেকে আমরা কোন দিন মুক্তি পাব না। সরকার কঠোর হলে ভিন্ন কথা কিন্তু সেটা হবে কি !! X((

আজকাল চীনে খাবার শতভাগ ভেজালমুক্ত !! অথচ ওরা ভেজাল আর কৃত্রিম খাদ্য বানাতে ওস্তাত !! X((
+।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: আজকাল চীনে খাবার শতভাগ ভেজালমুক্ত !! অথচ ওরা ভেজাল আর কৃত্রিম খাদ্য বানাতে ওস্তাত !! -এটা ঠিক বলেছেন সুমন দা! তারা ভেজাল আর কৃত্রিম খাদ্য বানাতে ওস্তাদ। আবার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ওয়াইনও চীনেই তৈরি হয়। আমার তো মনে হয় তারা ভিন্ন ভিন্ন দেশকে টার্গেট করে ভিন্ন ভিন্ন পন্য তৈরি করে, এখন যেই জাতি যেটা খোঁজে তারা সেটাই সাপ্লাই দেয়! এটা অবশ্যই তাদের অত্যন্ত অর্থনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচায়ক।
মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন!

১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৩

হাবিব বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট।
ভালো লাগলো........

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ!

১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পরিকল্পনায় দূরদর্শিতার অভাব।
আমরা পরিবেশ নিয়ে ভাবি না ভাবি না ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্বাস্থ নিয়ে.......
আমারা থাকি ক্ষমতার প্রতিযোগিতায়.....

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: এটা খুবই দুঃখজনক!

১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আমি তো এই সরিষার ভ্যান থেকেই তেল কিনি ওরাও কি ভেজাল করে??

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: সরিষাও ভেজাল হতে পারে তবে মেশিনে ভেজাল নেই! আপনি তাদের সরিষাটা নখ দিয়ে খুটবেন, এরপর যদি দেখেন সরিষা বীজের ভেতর অংশটা হলুদ রঙ এর তবে ঠিক আছে! তেলে ভেজাল নেই! শুভকামনা।

১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চীনের মত দু একটা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী না করা গেলে আমাদের এই বিষক্রিয়া র মাঝে ই যেতে হবে।
কেউ বাঁচবে না, যতই অরগানিক নামদিক, এগুলো স্রেফ আই ওয়াশ।

ভালো পোস্ট।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপা! নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ তে সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছর জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা। অন্তত একটা গনহত্যার বিচার এটা নয়। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড এবং এর যথাযথ প্রয়োগ চাই।

১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

পুলক ঢালী বলেছেন: মাদকের মত ভেজালকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করা দরকার। খাদ্যে ভেজালকারী আর গুলি করে হত্যাকারীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই তাই শাস্তিটাও সেভাবে দেওয়া উচিৎ।
আমার ঘরের অবোধ শিশুটিকে ভেজালকারীরা মরনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যারা এদের প্রতি সহনশীল আচরণ করে "দেখছি দেখবো" বলে তাদেরকেও শাস্তি দিতে হবে । খাদ্যে ভেজালকারীদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখানো দরকার। X(( X((

সুন্দর পোষ্ট দিয়েছেন অগ্নি সারথি । ধন্যবাদ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: শাস্তি মৃত্যুদন্ড! সেটা যেই হোক না কেনো।
ধন্যবাদ জানবেন পুলক ঢালী!

১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: আমার মনে হয় এ সব অত্যাচার সহজে বন্ধ হবার নয়, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এই পোড়ার দেশে একবার যা চালু হয়ে যায় তা আর বন্ধ হবার নয়। আমরা আম-জনতা কিছুদিন হাউকাউ করি, এর পর নতুন একটি ইস্যু তৈরি হয়ে যায় বা করে ফেলে আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে চালিত করে, ফলে আমরা ভুলে যাই আগের ব্যাপারটা। এ সব সমস্যা থেকে মুক্তির একটাই উপায়, কিনে খাওয়া বন্ধ, যে যেভাবে পারেন নিজ নিজ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিজ উদ্যোগে চাষ করে খান। কিন্তু ব্যাপারটা কি আদৌ সম্ভব এই পোড়ার শহরে? তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কি? আমাদের ভবিষ্যৎ যাই হোক নতুন যে প্রজন্ম এখন শিশু অথবা অনাগত, তাদের অবস্থা কি হতে পারে ভাবলেই শিউরে উঠে শরীরের সব লোম। সুন্দর একটি দরকারী পোষ্ট পড়ে অনেক ভাল লাগল।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

অগ্নি সারথি বলেছেন: হাউ-কাউ করে ঝিমিয়ে পড়া আমজনতাকে নিয়ে একটা কঠিন মুভমেন্ট জরুরী হয়ে পড়েছে! আমরা ক্ষমতায় ভাগ চাই না বরং চারটা খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে চাই!

১৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

নীলপরি বলেছেন: কতো মানুষ ঠিকমতো খেতেই পান না । আর যারা পায় তারাই বা কী খাচ্ছে নিজেরাই জানে না । তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোর এরকমই অবস্থা ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত নীলপরি! তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অবস্থা খুব নাজুক কিন্তু প্রশ্নটা এসে যাচ্ছে মধ্য আয়ের বাংলাদেশের! শতভাগ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন বাংলাদেশের খাবারে শতভাগ ভেজাল মিশ্রিত।

১৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট......

ভালো লাগলো..


বাংলাদেশে ভেজাল বাদে উপায় নেই :((

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ! আর্কিওপটেরিক্স।
বাস্তবিক এ দেশে ভেজাল বাদে উপায় নেই।

১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪২

বাংলার মেলা বলেছেন: এইসব ভেজাল ঠেকানোর কোনই উপায় নেই। সরকার পারে কেবল জনগণকে সতর্ক করতে, এদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যাওয়ার মুরোদ সরকারের নেই।

পচে গেছে, গলে গেছে টাইপ মন্তব্য দিয়ে যারা ব্লগ ভারাচ্ছেন, তাদের প্রতি আমার বিরক্তি প্রকাশ করে গেলাম। এই আমি পল্টন মোড়ে এক ভেজাল আম কারবারীকে নগদে ৩/৪টা লাত্থি মেরেছিলাম - ঘুষিতে দু'টা দাঁত আলগা করেছিলাম এক ফলওয়ালার ঝুড়ি থেক ধোঁয়া উঠতে দেখে। এরকম রাগ বা জিদ যদি দেখাতে না পারেন - আপনারা নীরব দর্শক হিসেবে মানুষের ক্ষতিই করবেন। দুই একটাকে নগদে লাত্থি দিন - অন্তত ১০/১২ জন শুধরে যাবে। তারা অন্তত এটুকু বুঝবে যে অন্যায় করে সব সময় পার পাওয়া যায়না।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: সরকারের উচিত এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা।
ভেজাল আমের কারবারীর প্রতি আপনার প্রতিবাদ কিংবা ক্ষোভটা বুঝতে পারছি তবে এটা কোনভাবেই ইতিবাচক কোন রিয়েকশন নয়। বরং আইনের সঠিক প্রয়োগই পারে এই সর্বনাশ হতে জাতিকে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে। ধন্যবাদ ভ্রাতা!

২০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট।
অপরাধী যেদিন পার পেয়ে যাবে ততদিন ভবিষ্যৎ বদলাবে না।

ধন্যবাদ অগ্নি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

অগ্নি সারথি বলেছেন: ভবিষ্যৎ বদলাবে না সেদিন এটাই সব থেকে বড় দুঃশ্চিন্তা! এখনই সময়, কঠোর ভাবে দুষ্টের দমনের।
ধন্যবাদ ভ্রাতা!

২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৩

বাংলার মেলা বলেছেন: আইনের সঠিক প্রয়োগ সাময়িকভাবে জনগণকে একটু সচেতন করবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই সমস্যা সমাধান করতে হলে জনগনকেই উদ্যোগী হতে হবে। এঈ অনাচারের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সরকারের যেসব কর্মকর্তা এসব ধরার দায়িত্বে আছে, তাদের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা ও থাকার জন্য বিদেশে চলে যায়। তাদের খরচ জোগায় এসব ভেজাল কারবারীরা। তাই সরকারের কাছ থেকে আইনের প্রয়োগ কখনোই আশা করা যাবেনা।

২২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের একদম শেষে বলেছেন, "বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক"! - কোথায় বিপ্লব, কোন বিপ্লবের কথা বলেছেন?
খাদ্যে ভেজাল এবং বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানোর অপরাধে মৃত্যুদন্ডই যথাসমীচীন দন্ড। এমনকি ১৪ বছরের কারাদন্ডের বিধানটিও যদি সরকার একটু কঠোরভাবে প্রয়োগ করতো, তাহলেও কাজে আসতো। এখন তো ভেজালকারীদের 'চিত্ত শঙ্কাহীন', কাজেই তারাও এক কথায় অপ্রতিরোধ্য।
জনসচেতনতামূলক পোস্টে প্লাস + +।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.