নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!
আগের পর্বের লিংকঃ
কর্ণ পিশাচিনী! পর্বঃ এক (ক)
কর্ণ পিশাচিনী! পর্বঃ এক (খ)
দুই. (ক)
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুম, রাঙ্গামাটি!
টেবিলের উপরে কাঁচের পিরিচ ঢেকে রাখা পানিভর্তি স্বচ্ছ কাঁচের গ্লাস হতে, এক চুমুকে অর্ধেক পানি সাবাড় করে বাকী অর্ধেক পানি সমেত গ্লাসটি সেমিনারে অংশগ্রহনকারীদের দিকে তুলে ধরে আবারও তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করলেন যুলকারনাইন ইসলাম। তার অর্ধেক পানি ভর্তি গ্লাস উঁচু করে ধরা দেখে সেমিনারে অংশগ্রহনকারীগন পাহাড়ী যুবক-যুবতীদের অনেকেই ভেবেছিলেন খুব সম্ভবত তিনি এবার গ্লাস অর্ধেক শূন্য কিংবা অর্ধেক পূর্ন টাইপ কোন প্রশ্ন করে বসবেন। উপস্থিতিকে কিঞ্চিৎ হতাশ করে দিয়ে সেই প্রশ্নে না গিয়ে, মুখে ঈষৎ হাঁসি ঝুলিয়ে যুলকারনাইন ইসলাম জিজ্ঞেস করে বসলেন, "আমি যে পানি ভর্তি গ্লাসটি ধরে রয়েছি, সেটির ওজন কেউ বলতে পারবেন?" তার এমন প্রশ্নে কিঞ্চিৎ হতভম্ভ হয়ে পরে পুরো ক্লাস। আর যাই হোক এমন একটা প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তারা। একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে, ইতি-উতি দেখে কেউ কেউ অবশ্য বলছিলেন, দুইশ গ্রাম-আড়াইশ গ্রাম-তিনশ গ্রাম-চারশ গ্রাম ইত্যাদি ইত্যাদি! প্রায় আট-দশ জন হতে উত্তর নেবার পর যুলকারনাইন বলা শুরু করলেন, "আমার কাছে এই গ্লাসের সঠিক ওজন কোন মূল্য রাখে না বরং এখানে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল ঠিক কতটা সময় আমি এটি ধরে রাখতে পারছি। আমি যদি গ্লাসটি এক মিনিট কিংবা দুই মিনিট ধরে রাখি তবে এটা মোটামুটি হালকা আমার কাছে! আমি যদি এটিকে বিরামহীন ভাবে এক ঘন্টা ধরে রাখি তবে এটি আমার হাতে ব্যাথা তৈরি করতে পারে। আবার যদি আমি বিরামহীন ভাবে পুরো একদিন এই অর্ধ পানির গ্লাস আমার হাতে ধরে রাখি তবে আমার হাতে প্রচন্ড ব্যাথা হবে, হাত অনুভূতিহীন ঠেকতে পারে এমনকি প্যারালাইজড পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এখানে একটা বিষয় খেয়াল করবেন, গ্লাস ধরে রাখবার প্রত্যেকটা সময়ের ক্ষেত্রে এখানে গ্লাসের ওজনের কোন তারতম্য হয় নাই বরং পরিবর্তন হয়েছে সময়ের দৈর্ঘের। সময় যত দীর্ঘ হয়েছে গ্লাসের ওজন ততই ভারী ঠেকেছে এবং পরিণামে তা ভয়াবহ বিপদ ডেকে এনেছে।
আপনাদের জীবনের দুঃখ, ভয়-ভীতি, ক্ষোভ, হতাশা, দুশ্চিন্তা, টেনশন কিংবা চাপ এসকল বিষয়ও এই অর্ধ পানি ভর্তি গ্লাসটির মতই। খুব সামান্য সময় সেগুলো নিয়ে যখন আপনি ভাবছেন তখন সেগুলো আপনাকে কোন পীড়াই দিতে পারেনা। আপনার ভাবনা, অনুশোচনা, পরিতাপ কিংবা টেনশনের মাত্রা যখন সামান্য দীর্ঘায়িত হচ্ছে তখন সেটা পীড়ায় পরিণত হচ্ছে আর যখন সেই দীর্ঘায়িত সময় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে তখন সেটি আপনার জন্য শুধু পীড়া নয় বরং দীর্ঘ এক যন্ত্রনা বয়ে নিয়ে আসতে পারে, মুহুর্তেই শেষ করে দিতে পারে আপনার জীবনকে। প্রিয় অংশগ্রহনকারীবৃন্দ, একারনেই আমাদের জীবনের দুঃখ, ভয়-ভীতি, ক্ষোভ, হতাশা, দুশ্চিন্তা, টেনশন, চাপ ইত্যাদি বিষয়গুলোকে ঝেড়ে ফেলে দেয়া খুব জরুরী। সেগুলো হতে উত্তরনের উপায় নিয়ে ভাবা যেতে পারে সামান্য কিছু সময় কিন্তু পরের দিন পর্যন্ত সেটি বয়ে নিয়ে যাওয়া হবে রীতিমত আত্মঘাতী।"
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী যুবক-যুবতীদের জন্য টানা দুই ঘন্টা ব্যাপি সাইকো-সোস্যাল সাপোর্টের লেকচার প্রায় শেষের দিকেই ছিল। শেষ বারের মত যুলকারনাইন ইসলাম তার হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে অংশগ্রহনকারীদের উদ্দেশ্যে তার সহজাত এবং সাবলীল ভঙ্গীতে জিজ্ঞেস করলেন, "এ্যনি কোয়েশ্চেন! মাই ডিয়ার পার্টিসিপেন্টস?" হলরুমের চেয়ারগুলোর শেষ সারি হতে দুই সারি সামনের চেয়ারে বসা হ্যাংলা-পাতলা একজন পাহাড়ী যুবক কতকটা ভয় আর সংকোচ মিলিয়ে হাত তুলে বসে। তার ভীত হাত তোলা দেখে যুলকারনাইন তাকে উৎসাহ যুগিয়ে প্রতি উত্তর করে, জ্বি প্লিজ! আপনার প্রশ্ন বলুন। 'স্যার আপনি কি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন?'- হ্যাংলা-পাতলা একজন পাহাড়ী যুবকের এমন প্রশ্নে রীতিমত হকচকিয়ে যায় যুলকারনাইন ইসলাম কারন ঈশ্বরের প্রতি তার বিশ্বাস আদৌ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর যে তার কাছেও নেই এবং এই সময় এমন প্রশ্নের জন্য কোন ভাবেই প্রস্তুত ছিলনা সে! নিজেকে যথা সম্ভব সামলিয়ে নিয়ে পাহাড়ি যুবককে তার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সামনে থাকা টিস্যু বক্স হতে একটা টিস্যু পেপার হাতে নিয়ে চশমার কাঁচ মুছতে মুছতে, যুলকারনাইন পাল্টা প্রশ্ন করে বসে- "মনোঃসামাজিক সহায়তার ক্লাসে আপনার হঠাৎ এমন প্রশ্ন মনে আসবার কারনটি কি আমি জানতে পারি?" জুলকারনাইনের পাল্টা প্রশ্নে বেশ ঘাবড়ে গেলেও ছেলেটি তার চোখ এবং মুখের অভিব্যাক্তি অবিচল রেখেই উত্তর করে, "স্যার আমি বিশ্বাস করি! ঈশ্বরের অস্তিত্ব কিংবা অস্তিত্বহীনতাকে প্রমান করবার জন্য বিজ্ঞানের সর্বোত্তম শাখাটিই হলো পদার্থ বিদ্যা। অন্য কোন শাখা দিয়ে এত সুনিপুন ভাবে এটি প্রমান করা সম্ভব নয়। আর আপনার সম্পর্কে আমি যতদূর জেনেছি, পদার্থ বিদ্যা আর হিউম্যান সাইকোলজি এই দুইয়ে আপনার জ্ঞানের পরিধি অগাধ এবং দুটোর সংমিশ্রন ঘটিয়ে আপনি অনেক বড় বড় রহস্যের উন্মোচন করেছেন।"
পাহাড়ি যুবকের কথা শুনে কিছু সময়ের জন্য যুলকারনাইন রুপপুরের মহামায়া আশ্রমে হারিয়ে গিয়েছিল, যেখানে বন্ধুবর শ্রী শ্রী নারায়ন গোস্বামী তাকে ঈশ্বরের অস্তিত্ব বোঝাতে গিয়ে মহা বিস্ফোরনের তিন মিনিট সময়, এটম আর এনার্জির চির অস্তিত্ব বুঝিয়েছিলেন। "ভুল বলেছি স্যার!"- এমন শব্দে যুলকারনাইনের ঘোর কাটে। আবারও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, "দেখুন! এই মহাবিশ্ব একটা অদ্ভুত জায়গা এবং মানুষ এখানে নিরন্তন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে মহাবিশ্বে তার অবস্থান বুঝে উঠবার জন্য। তবে এটা সত্য! বিজ্ঞান মতে এই মহাবিশ্ব তৈরি করবার জন্য কোন স্রস্টার প্রয়োজন নাই। এটা বিজ্ঞান বলছে, আমি বলি নাই কিন্তু!" যুলকারনাইনের উত্তরে যুবকটি যে খুশি হতে পারে নাই সেটা তার চোখ মুখের অভিব্যাক্তি দেখেই পরিস্কার বোঝা যাচ্ছিল! অসন্তোষ মাখা চোখ মুখ নিয়ে সে আবারও জিজ্ঞেস করে, "কিন্তু স্যার! পদার্থ বিদ্যা শুধু বলছে, শক্তির সৃষ্টি কিংবা ধ্বংস নেই......!"
জুলকারনাইন জানে পাবলিক পরিসরে ঈশ্বর সংক্রান্ত এমন কথাবার্তা বেশ ঝুকিপূর্ন এবং সাইকো-সোস্যাল সাপোর্ট ক্লাসে তো পুরোপুরি নিষিদ্ধ সে বিষয়ক আলোচনা। ছেলেটিকে তার প্রশ্ন আর না বাড়াতে দিয়ে হাসতে হাসতে তাকে থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করে, "আপনার নাম কি?" ছোট্ট করে ছেলেটি উত্তর করে, "জ্বি! অংসাথুই মারমা!" নিজের নাম বলবার সাথেই সে তার সম্পুরক প্রশ্ন জুড়ে দেয়, "আপনি কি ভূতে বিশ্বাস করেন স্যার?" ছেলেটির প্রশ্নগুলো যেমন পাবলিক পরিসরে ঝুকিপূর্ন ছিল তেমনি তা ভরা মজলিসে যুলকারনাইনের জানাজানির পরিধিকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছিল! ছেলেটি নিতান্তই চালাক এবং সে জানে যুলকারনাইন এখন তার প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য। যদি উত্তর না দেয় তবে যে মানুষগুলোকে সে এতক্ষন কাউন্সেলিং করল সেগুলো তাদের নিকট মূল্যহীন হয়ে যাবে। কতকটা বিরক্ত হয়ে যুলকারনাইন তাকে উত্তর করে,"শোন ছেলে! এই ঈশ্বর এবং ভূত মানুষের ভয় এবং অনিশ্চয়তা হতে উৎপন্ন। প্রতিটা মানুষ নাথিংনেস তথা তার অস্তিত্বহীনতাকে ভয় পায়! আর এই অস্তিত্বহীনতার ভয় হতেই জীবনের পরবর্তী জীবন, আত্মা, স্বর্গ-নরক ইত্যাদি ধারনা গুলো চলে আসে। পৃথিবীতে হাজারো ধর্ম, বিশ্বাস, ঈশ্বর সংক্রান্ত ধারনা রয়েছে। এর মাঝে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা কিংবা আদৌ কিছু রয়েছে কিনা আমার জানা নেই।" অংসাথুই আরও কি যেন বলতে চেয়েছিল কিন্তু তাকে থামিয়ে দিয়ে, ধন্যবাদ জানিয়ে হল রুম ত্যাগ করে যুলকারনাইন।
(চলবে)
১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: প্রাচীনকালে আরব উপদ্বীপে যুলকারনাইন পরিচিত ছিলেন মূলত অল্প বয়সী উচ্চ ক্ষমতাধর একজন শাসক হিসেবে। কুরআন শরীফের সূরা কাহাফে 'যুলকারনাইন' সম্পর্কিত বর্ণনা আছে। যেখানে আল্লাহ্ ঘোষনা করেছেন,"তারা আপনাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুনঃ আমি তোমাদের কাছে তাঁর কিছু অবস্থা বর্ণনা করব। আমি তাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের কার্যোপকরণ দান করেছিলাম। অতঃপর তিনি এক কার্যোপকরণ অবলম্বন করলেন। অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।"
যুলকারনাইন মূলত পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে বেড়িয়ে নির্যাতীত, বঞ্চিত, শোসিত লোকদের মুক্তি এনে দিতেন। কুরআনের বর্ননা অনুযায়ী অরুণাচলে, যেখান থেকে সূর্য উদিত হয় সেখানে ইয়াজুজ, মাজুজের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন যুলকারনাইন। কুরআনের তাফসিরকারীদের অনেকের মতে তিনি একজন নবী ছিলেন আবার গবেষকদের কেউ কেউ মনে করেন কুরআনে বর্ণিত জুলকারনাইন হলেন বস্তুত আলেকজান্ডার, সাইরাস দ্যা গ্রেট কিংবা হিমায়ার সাম্রাজ্যের একজন শাসক।
যুলকারনাইন মূলত নজরবন্দী সিরিজের নায়ক! প্রথম বই নজরবন্দী পরলে বিশদ জানতে পারবেন তার সম্পর্কে। নজরবন্দী গল্পের নায়ক যুলকারনাইন ইসলাম ছুটে চলছেন গ্রাম হতে গ্রামে, শহর হতে শহরে বঞ্চিত, শোসিত মানুষের মুক্তির সনদ হাতে করে। যেখানে সমাজ/ধর্ম ব্যাক্তির চোখে জ্বীন, ভূত, পীর-ফকির, তন্ত্র-মন্ত্রের ভেলকি লাগিয়ে ব্যাক্তির নজর তথা অন্তর্দৃষ্টির যৌক্তিক চিন্তা-ভাবনার পথ রুদ্ধ করে রেখেছে, যুলকারনাইন সেখানেই ছুটে চলেছেন মুক্তির বারতা হাতে করে।
নজরবন্দীঃ
লাগ ভেলকি লাগ! চোখে মুখে লাগ!
শৈশবে যখন আমরা যাদুখেলা দেখতে যেতাম, তখন প্রায়শই যাদুকরকে যাদু খেলায় প্রবেশের পূর্বে 'লাগ ভেলকি লাগ! চোখে মুখে লাগ! প্রভৃতি প্রতীকী যাদুশব্দ আওড়াতে শুনতাম। ধারনা করা হত, যাদুকর একধরনের যাদুমন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দর্শকের চোখে মুখে 'ভেলকি' লাগিয়ে দিয়ে দূর্দান্ত সব যাদু খেলা প্রদর্শন করতেন। দর্শকের চোখে লাগিয়ে দেয়া এই ভেলকি-ই হল মূলত নজরবন্দী! নজরবন্দী তথা চোখে ভেলকি লাগিয়ে দেবার মাধ্যমে একভাবে দর্শকের নজর তথা অন্তর্দৃষ্টির যৌক্তিক চিন্তা-ভাবনার পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয় এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ঘটনার পেছনের কারনের সঠিক ব্যাখ্যা না জেনে, নানান ভূল কিংবা অসমাপ্ত ব্যাখ্যায় চালিত হয়ে সমাজের মানুষগুলোও একভাবে তাদের নিজেদের নজরকে তথা বিবেক-বোধ কে রুদ্ধ করে রাখে। সমাজ ব্যাক্তির চোখে ভেলকি লাগিয়ে রেখে, সমাজের প্রয়োজনে, সমাজের মত করে, সত্য নির্মান করে দেয়। সেই সত্যই ব্যাক্তির জীবন দর্শনের একমাত্র পাথেয় হয়ে ওঠে, এর বাইরে গিয়ে ভাবনার অবকাশটুকু তার নষ্ট হয়ে যায়। আর তাই ভূত-প্রেত-অশরীরী, তন্ত্র-মন্ত্র ইত্যাদি কাল্পনিক স্বত্বাগুলো তাদের জীবনে অনেক বেশী জীবন্ত হয়ে ওঠে। ন জ র ব ন্দী গল্পে লেখক চেষ্ঠা করেছেন, হাজার বছর ধরে চর্চিত হয়ে আসা যাদুবিদ্যার নেপথ্যের সত্য উদঘাটনের নিমিত্ত্বে একজন সত্যিকারের তান্ত্রিকের খোঁজ জারি রেখে সমাজের মানুষের ভৌতিক তথা অতি-প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতাগুলোর মনো-বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা-বিশ্লেষন হাজির করবার। গল্পের পুরোটা সময় চেষ্ঠা করা হয়েছে, গল্পের ভেতরে একটা আকাংক্ষা তৈরি করে পাঠককুলের জানাজানির স্তর তথা জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করবার। আর এ কারনেই গল্পের সাথে সঙ্গত ভূত-জ্বীন, তন্ত্র-মস্ত্র, স্বপ্ন ব্যাখ্যা, নিম্ন বর্গীয় মানুষের গল্প, সুফিজম, কমিউনিজম, পদার্থ বিদ্যা, এবং আরো বিস্তর বিস্তর তথ্যের সন্নিবেশ ঘটেছে। ন জ র ব ন্দী- কে আমি বই বলবার চেয়ে অনেক বেশী নলেজ পিস বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। একটা গল্পের ভেতর দিয়ে কিভাবে পাঠকের যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে দেয়া যায় তার অনন্য উদাহরন এই নলেজ পিস, আমি তো বলব এটি একটি মাস্ট রিড প্রযোজনা। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন প্রিয় জাদিদ ভাই, প্রকাশিত হচ্ছে 'এক রঙা এক ঘুড়ি'র ব্যানারে।
১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪২
অগ্নি সারথি বলেছেন:
২| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জুলকারনাইন হলেন বস্তুত আলেকজান্ডার।
তিনি আমাদের নবী ছিলেন। আমি দুলকারনাইন/যুলকারনাইন/জুলকারনাইন সম্পর্কে জানি। আমি এ বিষয়ে বেশ পড়ালেখা করেছি। রাশার ও পার্শিয়ান বইও পড়েছি খুব প্রয়োজনেই পড়েছি। আধুনিক যুগের গবেষক ও পন্ডিতদের মতে কুরআনে উল্লিখিত জুলকারনাইনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক সম্ভাব্য ৩ টি চরিত্র নির্দেশ করা হতে পারে, যারা হলেন ; আলেকজান্ডার
সাইরাস দি গ্রেট, হিমায়ার সাম্রাজ্যের একজন শাসক।
জুলকারনাইনের প্রাচীর: এই প্রাচীরটির সঠিক অবস্থান জানা যায়নি। এ সম্পর্কে নানা মতবাদ প্রচলিত। একটি মতবাদ অনুসারে, কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী অরুণাচলে, যেখান থেকে সূর্য উদিত হয় সেখানে ইয়াজুজ, মাজুজের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন জুলকারনাইন। আর সে স্থানটি পাহাড়ের প্রাচীরের মাঝখানে। এই বর্ণনার সাথে মিলে যায় এমন একটি দেয়াল রয়েছে কাসপিয়ান সাগর উপকূলে। ইতিহাসবিদদের দ্বারা স্বীকৃত যে এ দেয়াল তৈরি করেছিলেন আলেকজান্ডার। যা তৈরি করতে লোহা ও তামা ব্যবহৃত হয়েছে। সেখানে একটি তোরণ রয়েছে যেটি ‘কাসপিয়ান গেট’ বা আলেকজান্ডারের গেট নামে পরিচিত। দারিয়াল এবং দারবেন্ত নামে দুটি শহরে এর ব্যপ্তি। দারিয়াল রাশিয়া এবং জর্জিয়ার সীমান্তে অবস্থিত। এটিকে বলা হয় কাজবেক পাহাড়ের পূর্ব প্রান্ত। দারবেন্ত রাশিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত একটি শহর। কাসপিয়ান সাগরের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে নির্মীত এ দেয়ালটি তোলা হয়েছে দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে। এ পাহাড় দুটিকে বলা হয় পৃথিবীর উঠান। আলেকজান্ডার নির্মীত এ দেয়ালের উচ্চতা ২০ মিটার এবং এটি ৩ মিটার (১০ ফুট) পুরু।
জুলকারনাইন এবং ইসলাম অনুসারে তার নবীত্ব: অনেকে বলেছেন তিনি নবী ছিলেন। আবার অনেকে বলেছেন তিনি নবী ছিলেন না তিনি ছিলেন আল্লাহ'র একজন অলি এবং ন্যায়পরায়ন বাদশা। আবার ইবনে কাসির তার তাফসীরে ইবনু কাসিরে লিখেছেন: তিনি যে আল্লাহ তায়ালার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন এটা কাসফ বা ইলহাম এর ধারা সম্ভব নয়। হয় তিনি নবী ছিলেন নাহয় তার আমলে কোন নবীর উপস্তিতি ছিল। অনেকে মনে করেন তিনি হজরত খিজির (আঃ) এর আমলের বাদশাহ ছিলেন এবং খিজির (আঃ) ছিলেন তার উজির। হজরত ইব্রাহিম (আঃ) সাথে একসাথে হজ্জ করেন।তারপর ইব্রাহিম (আঃ) তার জন্য দুয়া করেন। আল্লাহ তায়ালাই সর্বাধিক জ্ঞাত। তথ্য সূত্রঃ তাফসীরে মারেফুল কুরআন।
কুরআনে জুলকারনাইন সম্পর্কিত বর্ণনা: কুরআন শরীফের সূরা কাহাফের আয়াত নম্বর ৮৩-১০১ অংশে জুলকারনাইন সম্পর্কিত বর্ণনা আছে। নবী হিসেবে জুলকারনাইনের নাম উল্লেখ নেই যদিও কিন্তু তিনি নবী ছিলেন না এমনটিও বলা হয়নি। বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাকে সকল বিষয়ে পথনির্দেশ বা দিকনির্দেশ এবং/অথবা কার্যপোকরণ দিয়েছেন। তিনি এরপর দুটি পথ অনুসরণ করেন। এর মধ্যে এক পথে গিয়ে তিনি ইয়াজুজ মাজুজের হাতে অত্যাচারিত এক জাতির দেখা পান। তিনি তাদের জন্য গলিত তামার তৈরি একটি প্রাচীর বানিয়ে দেন। সূরা কাহাফ ৮৩-৮৬ নম্বর আয়াতে নিম্নরূপ বর্ণিত আছে।
"তারা আপনাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুনঃ আমি তোমাদের কাছে তাঁর কিছু অবস্থা বর্ণনা করব।
আমি তাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের কার্যোপকরণ দান করেছিলাম। অতঃপর তিনি এক কার্যোপকরণ অবলম্বন করলেন।অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।"
জুলকারনইন পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে বেড়াতেন নির্যাতীত, বঞ্চিত, শাসকের হাতে শোসিত লোকদের মুক্তি দিতেন। কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী অরুণাচলে, যেখান থেকে সূর্য উদিত হয় সেখানে ইয়াজুজ, মাজুজের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন জুলকারণাইন। আর সে স্থানটি পাহাড়ের প্রাচীরের মাঝখানে। সূরা কাহাফের ৯৩ হতে ৯৮ নম্বর আয়াতে জুলকারনাইনের এই প্রাচীর নির্মাণের উল্লেখ আছে। ধারণা করা হয় এই জাতি ধাতুর ব্যবহার জানতো। তারা হাপর বা ফুঁক নল দ্বারা বায়ু প্রবাহ চালনা করে ধাতুকে উত্তপ্ত করে গলাতে পারতো এবং তারা লোহার পিন্ড ও গলিত তামাও তৈরি করতে পারতো। জুলকারনাইন তাদের প্রতিরোধ প্রাচীর তৈরি করার জন্য উপাদান ও শ্রম সরবরাহ করতে বললেন। তারা নিজেরাই জুলকারনাইনের আদেশ মত দুই পর্বতের মাঝে শক্ত লোহার প্রাচীর বা দ্বার তৈরি করলো।
আমি অবস্যই অবস্যই নজরবন্দী বইটি সংগ্রহ করবো।
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: ঠিক আছে! আপনার জানাজানির লেভেল অনেক যুলকারনাইনকে নিয়ে।
নজরবন্দী সংগ্রহ করবার ইচ্ছা পোষন করবার জন্য ধন্যবাদ। খুব সম্ভবত বইটি মার্কেট আউট। প্রথম বই হলেও প্রচুর সাড়া পেয়েছিলাম। আমার হাতে নিজের দুই কপি রয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এক কপি পাঠিয়ে দেবো!
ধন্যবাদ!
৩| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অহল্যা প্রসঙ্গ: বিশ্ব শান্ত হোক। সময় ও সুযোগ করে আপনি কক্সবাজার মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরে আসবেন আমি যাবত্বীয় ব্যবস্থা নিবো। আপনি যা জানতে পারবেন তাতে আশা করি আরেকটি বই লেখার বা ভাবনার মজাদার ইস্যু পাবেন। এছাড়া আরেকটি তথ্য দিচ্ছি মহাভারত খ্যাত কর্ণের বর্ম নিয়ে যা আমরা পড়েছি তা ঘটনার সত্যতা আছে। আপাতত এটুকু এখানে বলছি প্রত্নতত্ত্ববিদরা আজো বর্ম খোঁজ করছেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০০
অগ্নি সারথি বলেছেন: মহাভারত খ্যাত কর্ণের বর্ম নিয়ে যা আমরা পড়েছি তা ঘটনার সত্যতা আছে। আপাতত এটুকু এখানে বলছি প্রত্নতত্ত্ববিদরা আজো বর্ম খোঁজ করছেন।- কি বলেন? আমি অবশ্যই আসবো ভাই! বিশ্ব শান্ত হবার প্রতীক্ষায় রইলাম।
৪| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লেখা । লেখা ভালো লেগেছে।
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৩
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! আসলে চেষ্ঠা করছি এই গল্পের মধ্য দিয়ে পুরো মারমা জন-জীবন, কুসংস্কার আর পাহাড়ী রাজনীতির স্বরুপ উন্মোচন করবার। একটা অলৌকিক ঘটনাকে ধর্ম এবং বিজ্ঞানের যৌথ প্রচেষ্ঠায় সমাধান করবার প্রয়াসও থাকছে।
৫| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০০
মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: পানির গ্লাস সংক্রান্ত আলোচনার মতো মিলে এমন আলোচনা বিসিএস ক্লাসে হয়েছে। লোক প্রশাসনের স্যার রা উল্টো করে কথা বলেন। এবং লেখায় লোক প্রশাসনের স্থান কাল মিল পাচ্ছি - “জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুম, রাঙ্গামাটি”
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৫
অগ্নি সারথি বলেছেন: গাজী সাহেবের কসম করে বলছি, আমি বিসিএস পাস করি নাই।
৬| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার একটা বই পেতে যাচ্ছি। ঠাকুরমাহমুদ ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে শিহরিত হলাম। আশা করি পরিস্থিতি শান্ত হলে অবশ্যই আরেকবার আদিনাথ মন্দিরে আসব। আসলে কত কিছু যে জানার আছে, এটা বলে শেষ করা যাবে না।
আমি প্রত্যাশা করি, আপনার বইটি পাঠক প্রিয়তা পাক এবং বইটির প্রকাশনা যেন মানসম্মত হয়।
১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
অগ্নি সারথি বলেছেন: আদিনাথ মন্দিরে একলাই যাইয়েন না ভাই! আমারেও সাথে নিয়ে। আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। প্রকাশনা নিয়ে ফাইনালি আপনি যা বলেন সেটাই মেনে নিয়েছি এ পর্যন্ত, আগামীতে আরেকবার কথা বলে নেবো আপনার সাথে।
ধন্যবাদ ভাই!
৭| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাই দ্য ওয়ে, আপনার পোষ্টের মাধ্যমের ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের আশেপাশে কত যে গুনী মানুষ আছেন, তা কখনও প্রকাশিত হলে আমরা নিজেরাই অবাক হতাম। হয়ত তেমন একজন মানুষ হচ্ছে ঠাকুর ভাই, যিনি পর্দার আড়ালে থাকতেই পছন্দ করেন। আবারও জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: পর্দার আড়ালে থাকা গুনী মানুষটাকে আমার পক্ষ থেকেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
৮| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই। শুভ জন্মদিন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
আর একটা কথা পুরো পোষ্ট আমি পড়ি নাই। তবে ২ নং মন্তব্য টা পুরো পড়েছি।
১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা হা! ধন্যবাদ ভাই।
৯| ১২ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
কল্পদ্রুম বলেছেন: এ পর্বটাও পড়লাম।আমি নিজে ঈশ্বর দর্শন নিয়ে সন্দিহান।ফলে কেউ আচমকা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে গল্পের যুলকারনাইনের মত গেঁড়াকলে পড়ে যাই।ঠাকুরমাহমুদ ভাই এবং আপনার মন্তব্যগুলো পড়লাম।আপনার জন্য শুভকামনা।ঠাকুর মাহমুদ ভাইয়ের জন্য সমবেদনা।তিনি আরো এক বছর বৃদ্ধ হলেন।
১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা হা! আপনার জন্য অনেকগুলো শুভকামনা রইল।
১০| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ এগুচ্ছে ...
১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২০
অগ্নি সারথি বলেছেন: আপা! দোয়া রাখবেন।
সাবধানে থাকবেন।
১১| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৫
ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো এগুচ্ছে..........
নিরন্তর শুভকামনা।
১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন ভ্রাতা!
১২| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি ক্ল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রিয় সামহোয়্যারইন ব্লগের প্রতি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি অগ্নি সারথি ভাই তথা মহাভারত কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অর্জুনের সারথি “অগ্নি সারথি” যিনি ভগবান কৃষ্ণ যিনি ভগবান বিষ্ণুর অবতার আর ভগবান বিষ্ণু? - বিষ্ণু পুরাণ সে আরেক মহা প্রলয়ের ইতিহাস। *আদিনাথ মন্দিরে অনেক গোপন রহস্য লুকানো আছে।
কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই ও অগ্নি সারথি ভাই, আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনিও নিরাপদে থাকবেন ভাই।
১৩| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নতুন যাত্রায় শুভকামনা
দারুন জমে উঠেছে....
+++
১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১০
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ গুরু!
১৪| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি,
ভাবছিলুম, এ পর্যন্ত লেখা সব পর্ব পড়ে একত্রে মন্তব্য করবো। কিন্তু প্রথম পর্ব ১ (খ) শেষ করে এখানে এসে দারুন কিছু বিষয় জানা হলো। পোস্টে যুলকারনাইন ইসলামের লেকচার যেমন আকর্ষক তেমনি আকর্ষক ঠাকুরমাহমুদ এর মন্তব্যগুলি। গল্পের পোস্টে এমন আলোচনা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম।
জুলকারনাইন সম্পর্কে কোরআনের উদ্বৃতি জানা ছিলো, কিন্তু আপনার ও ঠাকুরমাহমুদের কথোপকথন থেকে অনেক না জানা বিষয় জানা হলো। ধন্যবাদ দু'জনকেই।
১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাই, সব থেকে মজার বিষয়টা হলো যুলকারনাইন সম্পর্কিত উপরোক্ত আলোচনা কিংবা মন্তব্য গুলো দুটি উপন্যাসের (না নজরবন্দী, না কর্ণ পিশাচিনী) কোনটিতেই নেই। এই উপন্যাসে সাইকোলিজক্যাল সাস্পেন্সের সাথে সাথে মারমা জীবন সংস্কৃতি আর পাহাড়ি রাজনীতির আগা গোড়া উন্মোচন করবার চেষ্টা করছি বেশ সাবধানে ভাই।
আপনার মন্তব্য, অনুপ্রেরনা ভাই! ধন্যবাদ জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
যুলকারনাইন নামটি পছন্দ হয়েছে। গল্প গরম গরম নান রুটির মতো মজাদার মনে হয়েছে।