![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসি বাংলাদেশ। ---বিদ্বেষ আমার রক্তে নেই, কিন্তু মেয়েরা সুন্দর পোশাক পড়বেনা, এটা আমি মানতেই পারি না।--- ভালোবাসি পৃথিবীর অনেক কিছু যা কিছু সুন্দর। ভালোবাসি ডানা মেলা মুক্ত বিহঙ্গ। ভালোবাসি ভাবতে। ভালোবাসি মন-প্রাণ খুলে হাসতে। ভালোবাসি নীল আকাশ আর বৃষ্টির রিম-ঝিম। ভালোবাসি সমুদ্রের গর্জন আর সভ্যতার নাগপাশে বন্দী মানবজীবন। ভালোবাসি উর্দ্ধমুখী নিঃসংগতা আর ভালোবাসি বেকার যুবক।
নারী। মানবজাতির প্রতি বিধাতার শ্রেষ্ঠ উপহার। বিধাতা, তোমায় শত কোটি সালাম তুমি স্বর্গ হতে নারীকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছ। স্বর্গের এই অপ্সরীকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছ বলেই পৃথিবী এত মধুময়। পৃথিবী নামের ফুলবাগানের শোভা হচ্ছে নারী। নারী হচ্ছে আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন। যে নারী হাসাতে পারে, যে নারী কাঁদাতে পারে, যে নারীর জন্য জীবন উৎসর্গ করা যায় কি করে মানুষ তার প্রতি নির্যাতনের হাত প্রসারিত করতে পারে। যেখানে প্রেম নেই, ভালোবাসা যেখানে বিদায় নিয়েছে, সেখানেই নারী নির্যাতনের শিকার।
নারী নির্যাতন রোধ করতে হলে পুরুষশাসিত সমাজে পুরুষদের দৃষ্টিভংগি উন্নত করতে হবে। নারীর প্রতি তাদের ভালোবাসা জাগ্রত করতে হবে। নারী-প্রেমের মাহাত্ম্য তাদেরকে শেখাতে হবে।
শিক্ষা ও শক্তিহীন নারীরাই যে কেবল সমাজে নির্যাতন নিস্পেষনের শিকার হয় বিষয়টি তা নয়। আমাদের সমাজের অনেক উঁচু স্তরেও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, ঘটছে। পত্রিকায় প্রায়ই দেখা যায়- নাম উল্লেখ নাইবা করলাম- ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষক সর্বস্তরের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নারী নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ত। বোঝা যাচ্ছে শিক্ষার প্রকৃত তাৎপর্য অনুধাবনে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি।
আমাদের এই কন্যা-জায়া-জননীরা তো কেবল ভোগ্যপন্য নয়, কেবল সেবাদাসবৃত্তির জন্যই ধরায় তাদের আগমন ঘটেনি। পৃথিবীর প্রথম মানুষ ‘'আদম'’ স্বর্গের চরম সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও ঐশ্বর্যের মধ্যে থেকেও সংগীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। তার কষ্ট বুঝতে পেরে ঈশ্বর ‘'হাওয়া’'কে (Eve) তার সংগী হিসেবে দিলেন।
নারী পুরুষের অর্ধাংগী; এ কথা মানুষের কানে কানে, হৃদয়ের গহীনে পৌছে দিতে হবে। নারীজাতির মর্যাদা বিধান ব্যতিরেকে পৃথিবীর কোন জাতি মর্যাদার আসন লাভ করতে পারেনি, আজকের এই যুগে এই সত্য আরো প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। নারীকে অন্ধকারে রেখে আমরা কখনই জাতি হিসেবে সফলতার মুখ দেখতে সক্ষম হবনা। কবি নজরুলের ‘নারী’ কবিতায় এই বিষয়েরই ইংগিত পাওয়া যায়,
কোন কালে একা হয়নিক জয়ী পুরুষের তরবারী
প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে, বিজয়ী লক্ষী নারী।
নজরুলের মত আমরা যদি নারীকে নিয়ে প্রেম ও ভালোবাসার গীত রচনা করতে না পারি, আমরা যদি প্রত্যয়দৃপ্ত কন্ঠে প্রিয়াকে কাছে ডাকতে না পারি, যদি প্রিয়াকে বলতে না পারি,
মোর প্রিয়া হবে এস রাণী
দেব খোঁপায় তারার ফুল।
জ্যোৎস্নার সাথে চন্দন দিয়া মাখাব তোমার গায়
রামধনু হতে লাল রঙ ছানি আলতা পরাব পায়।
তাহলে আমাদেরকে রবীন্দ্রনাথের ‘হৈমন্তী’র মত করে বুকের রক্ত দিয়ে দ্বিতীয় সীতা বিসর্জনের কাহিনী লিখতে হবে।
নচিকেতা কিংবা কুমার বিশ্বজিৎ নারীর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য অসাধ্য সাধন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আরো কত শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক নারীর মর্যাদা উর্দ্ধে তুলে ধরতে গিয়ে কত কবিতা, গান কিংবা সাহিত্য রচনা করেছেন। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির জগৎবিখ্যাত ‘মোনালিসা’র সেই মায়াবী হাসি মুহূর্তেই সকলের প্রাণে নারীর প্রতি ভালোবাসা ও প্রীতির আবেশ বুলিয়ে দেয়। নারীর প্রতি ভালোবাসা পুরুষের একটি বড় গুণ। এই গুণ না থাকলে পুরুষের মধ্যে পশুত্ব চলে আসা অস্বাভাবিক গণ্য হবেনা। নারী জাগরণের পথিকৃৎ রোকেয়া সাখাওয়াত বলেছেন, ‘জাগো গো ভগিনী’। ডাঃ লুৎফর রহমান স্বগোতক্তি করেছেন,
“নারী তো পুরুষের বন্ধু। আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বিপদ ঝঞ্ঝার চাপে পড়ে কাঁপছ, কাছে তোমার পত্নী রয়েছে; তার হাত ধরলে তোমার বুকে বিপুল উৎসাহ আসবে। একার পক্ষে সে আঘাত সহ্য করা তোমার সম্ভব হতো না”।
নারীকে যে নির্যাতন করে সেতো পশু, বরং পশ্বাধম, নরকের কীট। সে মানব সমাজে স্থান পাওয়ার যোগ্য নয়। তাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন। সেখানে সুচিকিৎসার ফলে যদি তার মানসিক অবস্থার উন্নতি হয়ে তবেই কেবল তাকে সভ্য সমাজে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে নতুবা হাসপাতালের বেডে শুয়েই তার পাপের প্রায়শ্চিত্য হওয়া উচিত।
আমাদের দেশে নারীরা কেবল শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয় ত নয় বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা মানসিক নিপীড়নের শিকার। কত পরিবারে নারীরা স্নেহ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের বোঝা নিয়ে বেঁচে আছে, তার খবর আমরা কয়জন রাখি। স্বামী কর্তৃক নিগ্রহ, সন্তানদের অবাধ্য আচরণ নারীর মর্মবেদনার কারণ ঘটায়। কোন কোন ক্ষেত্রে নারীকে কর্তৃত্বশীল আচরণ করতে দেখা গেলেও এই গ্রাম বাংলার শত শত পরিবারে নারীরা মানসিক যাতনায় আক্রান্ত হয়ে ক্রমান্বয়ে জীবনকে নিঃশেষ করে দেয়। শারীরিক নির্যাতনের খবর যদিও পত্রিকায় কিংবা গণমাধ্যমে আসে, কিন্তু এই মানসিক নির্যাতনের ভয়াবহতার খবর আমরা খুব কমই জানতে পারি।
একটু লক্ষ্য করলেই আমরা দেখতে পাই, নারী নির্যাতন সংঘটনের পেছনে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কিংবা রাজনৈতিক কারণ যতটা না ভূমিকা রাখে, তারচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে নির্যাতনকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির মানসিক দৈন্য। এই সমাজে নারীকে নির্যাতনের কারণ এই যে, এই সমাজের মনুষ্যত্ব মরে গেছে, যৌবন চিরসমাধি লাভ করেছে। কেননা যে সমাজে যৌবনের জয়যাত্রা বিদ্যমান, সেখানে নারী নির্যাতনের মতো জঘণ্য অনাচার কিছুতেই চলতে পারে না। অতএব যুবকদেরকে জাগ্রত হতে হবে। যুবকরাই পারবে নারীজাতিকে চরম লাঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা করতে।
এ কথা সর্বজন বিদিত যে, শুধু মুখের কথা কিংবা কোন শক্ত আইনের নারী নির্যাতন প্রতিহত করা সম্ভব হবেনা যদি আমাদের মন-মানসিকতা কিংবা বিবেক-বুদ্ধি ও চেতনাকে বিকশিত করা না যায়। এজন্য প্রয়োজন বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ।
শুধু নারী সচেতনতা ও নারী শিক্ষা বৃদ্ধি করলেই নারী নির্যাতন বন্ধ হবেনা। নারীর পাশাপাশি পুরুষ সমাজেও সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। পুরুষকেও সুশিক্ষিত করতে হবে।
পাঠ্যপুস্তকে নারীকে প্রেম-ভালোবাসা ও মর্যাদার মুর্ত প্রতীক হিসেবে তুলে ধরতে হবে। পত্র-পত্রিকা, চিত্রজগতসহ সকল গণমাধ্যমে আকর্ষনকারী উপায়ে নারীর মর্যাদা তুলে ধরতে হবে, নারীকে মর্যাদাশীলভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
একজন নাম না জানা নারী শিল্পীর গানের কয়েকটি কলি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে,
কেউ কয়না নারীদের কথা, সবাই গায় পুরুষের গান
মুক্তিযুদ্ধে মা বোনেদের কতই অবদান।
সর্বশেষ যে কথাটি বলে লেখার ইতি টানতে চাই তাহল, ছোট্ট এই সবুজ-শ্যামল সোনার বাংলাদেশে রাজনীতি নিয়ে যে পরিমাণ শক্তির অপচয় ঘটে তার একটি অংশ যদি নারী নির্যাতন প্রতিরোধের আন্দোলনে ব্যয় করা সম্ভব হতো- যদিও অনেক কঠিন কথা বলে ফেলেছি- তাহলে আশা করা যায় যে এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি থেকে আমাদের সমাজ, আমাদের জাতি মুক্তি লাভ করবে।
ভালোবাসা পৃথিবীর সব নারীর প্রতি
বেকার যুবক।
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৩
ফায়ারউলফ বলেছেন: একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বগুড়ার সাবান ফ্যাক্টরি
বিদেশী কোম্পানির ওপর নির্ভরতা বাড়ছে
আবুল কালাম আজাদ বগুড়া অফিস
সরকারের কাস্টমস বিভাগের হয়রানি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, কাঁচামাল সরবরাহে জটিলতা, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানামুখী সঙ্কটে বগুড়ার সাবান ফ্যাক্টরিগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকার দেশীয় এসব প্রতিষ্ঠানের দিকে নজর না দিলে এক সময় সবই বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে দেশের লন্ড্রি সাবান শিল্প সম্পূর্ণ বিদেশনির্ভর হয়ে পড়বে বলে শিল্পসংশ্লিষ্টদের ধারণা।
উত্তরাঞ্চলের মধ্যে বগুড়ায় সবচেয়ে বেশি লন্ড্রি সাবান প্রস'তকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বগুড়ায় তৈরি সাবান উত্তরাঞ্চলের সব জেলার চাহিদা মেটায়।
সাবান প্রস'তকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, এক সময় শুধু বগুড়া শহরেই ২২টি লন্ড্রি সোপ ফ্যাক্টরি ছিল। কিন' দিনে দিনে নানা সঙ্কটে পড়ে ১১টি বন্ধ হয়েছে। বন্ধ সোপ ফ্যাক্টরির মধ্যে রয়েছে আনোয়ার সোপ ফ্যাক্টরি, পপুলার সোপ ফ্যাক্টরি, ইসলাম সোপ ফ্যাক্টরি, নাজিয়া সোপ ফ্যাক্টরি। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর তাদের অস্তিত্বও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ফ্যাক্টরির জায়গায় বাড়িঘরসহ নানা স'াপনা গড়ে উঠেছে। তাই এক সময় যেসব স'ানে শত শত শ্রমিক-কর্মচারীর উপসি'তিতে এলাকা মুখরিত ছিল সেখানে আজ অন্য পরিবেশ বিরাজ করছে। বর্তমানে চালু ১১টি ফ্যাক্টরির মধ্যে রয়েছে নিউ শাহসুলতান সোপ ফ্যাক্টরি, নর্থবেঙ্গল সোপ ফ্যাক্টরি, ইয়াছিন সোপ ফ্যাক্টরি, আহসান সোপ ফ্যাক্টরি, মুক্তি সোপ ফ্যাক্টরি। চালু এসব ফ্যাক্টরিও এখন নানামুখী সঙ্কটে নিপতিত। তাই এসব ফ্যাক্টরি এখন রুগ্ন হয়ে পড়েছে।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় লন্ড্রি সোপ ফ্যাক্টরি নিউ শাহসুলতান সোপ ফ্যাক্টরি। শহরের জয়পুর পাড়ায় ১৯৭৩ সালে ব্যক্তি উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান মাইজভাণ্ডারি শিল্প কারখানাটি গড়ে তোলেন। এখানে বর্তমানে ৭০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। এ লন্ড্রি সাবান উত্তরাঞ্চলের সব জেলায় বাজারজাত হয়। সাবান তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় কস্টিক সোডা, চর্বি, সোডিয়াম সিলিকেট, নারকেল তেল। এসব উপাদান সয়াবিন তেল রিফাইনারি কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এসব কাঁচামাল দিয়ে বিভিন্ন মানের ও রঙের লন্ড্রি সাবান প্রস'ত করা হয়।
এ সাবান বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হয়।
নিউ শাহসুলতান সোপ ফ্যাক্টরির ম্যানেজার গিরেন বাবু বলেন, আমাদের সাবানের ক্রেতা গ্রামের গরিব মানুষ। কারণ নামকরা দেশী ও বিদেশী কোম্পানির সাবানের দাম বেশি।
ফ্যাক্টরির ব্যবস'াপনা পরিচালক ফরিদ আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, সাবান শিল্প নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। অন্যতম সমস্যা হলো বিদ্যুতের লোডশেডিং, সময়মতো কাঁচামাল সংগ্রহে সমস্যা ও কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানি ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। সরকার এ শিল্পের দিকে নজর দিলে দেশীয় এ শিল্প খাতটি আরো সম্প্রসারিত হতে পারে। এতে মানুষের কর্মসংস'ানের সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে। না হলে দেশীয় এ শিল্প খাত বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, আমরা শতকরা দুই ভাগ লাভ করলেও সরকারকে ভ্যাট ও আয়কর দিতে হয় ১৫ ভাগ। কাস্টমস বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যেই কারখানায় গিয়ে অবৈধ অর্থ দাবি করেন। এতে প্রতিবাদ করলে পরে হয়রানি করা হয়। এদিকে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া উচিত।
এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আজিজুর রহমান মাইজভাণ্ডারি বলেন, এ কোম্পানির পেছনে আমার সারা জীবনের পরিশ্রম ও সাধনা রয়েছে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক, কাস্টমসের হয়রানি বন্ধ, উপাদানের শুল্কমুক্ত সুবিধাসহ সরকার সুদৃষ্টি দিলে স'ানীয় এ শিল্প খাত আরো প্রসারিত হবে।
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৩
ফায়ারউলফ বলেছেন: একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বগুড়ার সাবান ফ্যাক্টরি
বিদেশী কোম্পানির ওপর নির্ভরতা বাড়ছে
আবুল কালাম আজাদ বগুড়া অফিস
সরকারের কাস্টমস বিভাগের হয়রানি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, কাঁচামাল সরবরাহে জটিলতা, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানামুখী সঙ্কটে বগুড়ার সাবান ফ্যাক্টরিগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকার দেশীয় এসব প্রতিষ্ঠানের দিকে নজর না দিলে এক সময় সবই বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে দেশের লন্ড্রি সাবান শিল্প সম্পূর্ণ বিদেশনির্ভর হয়ে পড়বে বলে শিল্পসংশ্লিষ্টদের ধারণা।
উত্তরাঞ্চলের মধ্যে বগুড়ায় সবচেয়ে বেশি লন্ড্রি সাবান প্রস'তকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বগুড়ায় তৈরি সাবান উত্তরাঞ্চলের সব জেলার চাহিদা মেটায়।
সাবান প্রস'তকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, এক সময় শুধু বগুড়া শহরেই ২২টি লন্ড্রি সোপ ফ্যাক্টরি ছিল। কিন' দিনে দিনে নানা সঙ্কটে পড়ে ১১টি বন্ধ হয়েছে। বন্ধ সোপ ফ্যাক্টরির মধ্যে রয়েছে আনোয়ার সোপ ফ্যাক্টরি, পপুলার সোপ ফ্যাক্টরি, ইসলাম সোপ ফ্যাক্টরি, নাজিয়া সোপ ফ্যাক্টরি। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর তাদের অস্তিত্বও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ফ্যাক্টরির জায়গায় বাড়িঘরসহ নানা স'াপনা গড়ে উঠেছে। তাই এক সময় যেসব স'ানে শত শত শ্রমিক-কর্মচারীর উপসি'তিতে এলাকা মুখরিত ছিল সেখানে আজ অন্য পরিবেশ বিরাজ করছে। বর্তমানে চালু ১১টি ফ্যাক্টরির মধ্যে রয়েছে নিউ শাহসুলতান সোপ ফ্যাক্টরি, নর্থবেঙ্গল সোপ ফ্যাক্টরি, ইয়াছিন সোপ ফ্যাক্টরি, আহসান সোপ ফ্যাক্টরি, মুক্তি সোপ ফ্যাক্টরি। চালু এসব ফ্যাক্টরিও এখন নানামুখী সঙ্কটে নিপতিত। তাই এসব ফ্যাক্টরি এখন রুগ্ন হয়ে পড়েছে।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় লন্ড্রি সোপ ফ্যাক্টরি নিউ শাহসুলতান সোপ ফ্যাক্টরি। শহরের জয়পুর পাড়ায় ১৯৭৩ সালে ব্যক্তি উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান মাইজভাণ্ডারি শিল্প কারখানাটি গড়ে তোলেন। এখানে বর্তমানে ৭০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। এ লন্ড্রি সাবান উত্তরাঞ্চলের সব জেলায় বাজারজাত হয়। সাবান তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় কস্টিক সোডা, চর্বি, সোডিয়াম সিলিকেট, নারকেল তেল। এসব উপাদান সয়াবিন তেল রিফাইনারি কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এসব কাঁচামাল দিয়ে বিভিন্ন মানের ও রঙের লন্ড্রি সাবান প্রস'ত করা হয়।
এ সাবান বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হয়।
নিউ শাহসুলতান সোপ ফ্যাক্টরির ম্যানেজার গিরেন বাবু বলেন, আমাদের সাবানের ক্রেতা গ্রামের গরিব মানুষ। কারণ নামকরা দেশী ও বিদেশী কোম্পানির সাবানের দাম বেশি।
ফ্যাক্টরির ব্যবস'াপনা পরিচালক ফরিদ আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, সাবান শিল্প নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। অন্যতম সমস্যা হলো বিদ্যুতের লোডশেডিং, সময়মতো কাঁচামাল সংগ্রহে সমস্যা ও কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানি ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। সরকার এ শিল্পের দিকে নজর দিলে দেশীয় এ শিল্প খাতটি আরো সম্প্রসারিত হতে পারে। এতে মানুষের কর্মসংস'ানের সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে। না হলে দেশীয় এ শিল্প খাত বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, আমরা শতকরা দুই ভাগ লাভ করলেও সরকারকে ভ্যাট ও আয়কর দিতে হয় ১৫ ভাগ। কাস্টমস বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যেই কারখানায় গিয়ে অবৈধ অর্থ দাবি করেন। এতে প্রতিবাদ করলে পরে হয়রানি করা হয়। এদিকে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া উচিত।
এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আজিজুর রহমান মাইজভাণ্ডারি বলেন, এ কোম্পানির পেছনে আমার সারা জীবনের পরিশ্রম ও সাধনা রয়েছে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক, কাস্টমসের হয়রানি বন্ধ, উপাদানের শুল্কমুক্ত সুবিধাসহ সরকার সুদৃষ্টি দিলে স'ানীয় এ শিল্প খাত আরো প্রসারিত হবে।
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৫
মনে নাই বলেছেন: নারীরা না থাকলে কবি সাহিত্যিকরা কি যে করত!!!! (হয়তো না খেয়ে মারা যেত)।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৩
বেকার যুবক বলেছেন: হয়তো মারা যেত। কিন্তু আমি নিশ্চিত মানব সভ্যতার বিকাশ হতোনা। আর আমরা......
৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪১
ফায়ারউলফ বলেছেন: লুল...
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৪
বেকার যুবক বলেছেন: লিলুলা বাতাস
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫০
ুুপাংশুল বলেছেন: কেউ কয়না নারীদের কথা, সবাই গায় পুরুষের গান
মুক্তিযুদ্ধে মা বোনেদের কতই অবদান।
এই গানটির এমপিথ্রি ভার্সানটা কি আছে আপনার কাছে?থাকলে লিঙ্ক দিলে কৃতার্থ হবো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১০
ফায়ারউলফ বলেছেন: প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে
সোম, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১২, ১ ফাল্গুন ১৪১৮
আইন প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী এডভোকেট সমর চন্দ্র ভৌমিক দৈনিক ইত্তেফাকে রবিবার প্রকাশিত ‘সরাইলে আইন প্রতিমন্ত্রীর এপিএসের মন্তব্যে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা’ শীর্ষক সংবাদের কিছু অংশের প্রতিবাদ করেছেন। এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, তিনি গ্রাম্য সালিশে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু কোন কটূক্তি করেননি। সমর চন্দ্র ভৌমিক আরও জানান, আইন প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (এপিএস) নন, ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবেদকের বক্তব্য:আমাদের সরাইল সংবাদদাতা জানান, সালিশ বৈঠকে এডভোকেট সমর চন্দ্র ভৌমিকের মন্তব্যের যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণাদি তার কাছে রয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ সত্য।