নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহানবীর(সাঃ) সুন্নাহ এবং আহলে বায়েতের(নবী পরিবারের আঃ) ধারা-১

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯

গ্রন্থবদ্বকরনঃআল-বালাগ ফাওন্ডেশন,

অনুবাদঃমুঃ মতিউর রহমান।



রাসুলাল্লাহ(সাঃ) বলেছেনঃ

“আল্লাহতায়ালা সেই ব্যক্তিকে সমৃদ্বি দান করুন যে আমার বানী শ্রবন করলো,সেটা মুখস্ত করলো,অনুধাবন করলো এবং সেটা অপরাপর লোকদের কাছে পৌছে দিল,যেমনটি সে আমার কাছে শুনেছিল;তবে জ্ঞান বহনকারী ব্যক্তি প্রাজ্ঞ না-ও হতে পারে,এবং হয়তো কোন ব্যক্তি অধিকতর বিদ্বান ব্যক্তির কাছে জ্ঞানকে পৌছে দিতে পারে “(জয়নুদ্দিন আমিলী,’আল-দিরায়া’,পৃঃ১১৩)।


আল-কুরানের পর মহানবীর(সাঃ) জীবনাচরন,সুন্নাহ হচ্ছে শরিয়াহ আইনের ২য় উৎস যার উপর মুসলমানেরা তাদের বিচার,আইন এবং মুল্যবোধ সম্পর্কীয় বিষয়ের জন্য নির্ভরশীল । কুরানের সীমা নির্দেশ,ব্যাখ্যা প্রদান বা বিশদীকরন ও সুষ্পষ্টীকরনের,এবং এর আইন-বিধান প্রনয়ন সম্পকীয় বিষয়াবলী,আদরশিক ও শিক্ষা সম্প্রকিত ধারনা-বিশ্বাসের ও বিষয়বস্তুর বাস্তব সুনির্দিষ্ট রুপ প্রদানের চাবিকাঠি হচ্ছে এই সুন্নাহ।

কুরানের আয়াতের প্রতিটি শব্দ ‘আকল’,প্রজ্ঞা এবং ঐশী বিধানের এক একটি মুল্যবান রত্ন।‘ওহী’র(ঐশী বানী) ধারক হিসাবে মহানবী(সাঃ) এই ঐশী বানীর যথার্থ অর্থ ও উদ্দেশ্য এবং এর উচ্চমরযাদাপূর্ণ বস্তুনিষ্ঠতা ও অভীষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত ছিলেন।

এক কথায়,সুন্নাহ হল বারোমেসে ঝরনার মত যাকখনো শুকিয়ে যায় না।ইহা চিরন্তন সত্য-কোন দিক হতেই মিথ্যা যার ধারের কাছে আসতে পারে না।সুন্নাহ হলো জীবন সম্প্রকিত আইনের প্রায়োগিক/ব্যবহারিক প্রকাশ ও মানবজাতির সুখ-শান্তির নিরদেশনা। ইহা কুরানের মতই চিরস্থায়ী।মহান আল্লাহতা’য়ালা বলেছেনঃ

“ .....রাসুল তোমাদিগকে যা দেয় তা তোমরা গ্রহন কর এবং যা হতে তোমাদিগকে নিষেধ করে তা হতে বিরত থাক.....”(সুরা হাসরঃ৭)।

“ নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যেই রয়েছে উত্তম আদরশ,তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরন করে “(সুরা আহযাবঃ২১)।

“...আর কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে,তবে তাকে আল্লাহ ও রাসুলের দিকে ফিরিয়ে দাও.....”(সুরা নিসাঃ৫৯)।

আহলে বাইত(আঃ) এবং তাঁদের তাফসীর,হাদিস,ফেকাহ,আইন-বিধান ও আদর্শের উজ্জ্বল আলোকিত পথ যারা অনুসরন করতেন তারা আল্লাহর এই সকল নির্দেশ কঠোরভাবে মেনে চলতেন। সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার নাজিলকৃত ওহী ও মহানবীর নিরভেজাল সুন্নাহর সংরক্ষনের/হেফাজতের স্বার্থে আহলে বাইত নিরন্তর সঙ্গগ্রাম করেছেন নির্যাতন সহ্য করেছেন,জেল-জুলুমের মুখোমুখি হয়েছেন এবং এমন কি শাহাদাত বরন করেছেন,কিন্তু তদুপরি দৈনন্দিন জীবনে উহাদের বাস্তব প্রয়োগ মুসলমানদের কাছে অবিচলভাবে উপস্থাপন করেছেন।

অনেক ধার্মিক ব্যক্তির জীবনে যা দেখা যায় আহলে বাইতের জীবন-পথ তেমন ফুলশয্যা বিশিষ্ট ছিল না।তাঁদের ছিল মুনাফিক ও ভন্ড প্রতিপক্ষ, ইসলামের বিরুদ্বে প্রতিহিংসা যাদের অন্তর ছাপিয়ে প্রবাহিত ছিল।মহানবীর সুন্নাহকে বিকৃত ও পরিবর্তিত রুপ দেওয়ার জন্য এসব হাতুড়ে লোকেরা মুসলমানের মুখোশ ধারন করেছিল।ঐশী বানী কুরানের অর্থ রুপায়নকল্পে ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপনের মাধ্যমে সাধারন মুসলমানদেরকে ভ্রান্ত পথে চালিত করতে বিন্দুমাত্র সুযোগও তারা হাতছাড়া করেনি।তাদের অশুভ রুপরেখা বাস্তবায়নের জন্য তারা এমন কি রচনা করেছিল জাল/মিথ্যা হাদিস।

বর্ণিত কুচক্রান্তের বিপরীতে নবীজীর নির্ভেজাল সুন্নাহ সঠিকভাবে সংরক্ষনের ব্যাপারে আহলে বায়েতের ভুমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিপ্রেক্ষিতে রাসুল্লাহর হাদিস অত্যন্ত সতর্কতার সাথে রক্ষা করার ও বিশ্বস্ততার সাথে অপরের কাছে পৌছে দেয়ার ব্যাপারে তাঁদের কারযভুমিকা ছিল অনন্য সাধারন।

ফলত তাঁরা একইভাবে ইসলামের বিদাতের বিরুদ্বে ও সকল ধরনের বিচ্যুতি বা বিকৃ্তির বিরুদ্বে সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন।উজ্বল আলোকবর্তিকা আল-কুরান যে কোন ধরনের মিথ্যা বর্ণনা থেকে মুক্ত এবং রাসুলের(সা) উপর যেরুপে অবতীর্ণ হয়েছিল অত্যন্ত বিস্ময়করভাবে সেই আদিরুপেই ইহা সংরক্ষিত রয়েছে।হাদিসের সত্যতা নিরুপনের জন্য মুসলমানের প্রতি কুরানকে মান্দন্ড হিসাবে ব্যবহার করার জন্য তাঁরা তাগিদ দিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে তাঁরা কুরান ও নবীজীর সুন্নাহ অকৃ্এিম আনুগত্য করার সপক্ষে ভুমিকা রেখেছেন।



“ আমিই কুরান অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্য আমিই উহার সংরক্ষক ”(সুরা হিজরঃ৯)।

এ থেকে সুষ্পষ্ট হয় যে, আল্লাহতায়ালা যে কোন ধরনের দুষন হতে তাঁর অহীর সংরক্ষনের দায়িত্ব তাঁর নিজের কাছেই রেখেছেন।

এভাবে কুরান লক্ষ্যনীয়ভাবে অক্ষত এবং কুচক্রীদের জালকরন বা বিচ্যুতির হাত হতে মুক্ত রয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে আমিরুল মু’মিনিন ইমাম আলী(আঃ) বলেনঃ

“পাপ সংগঠনের বুনিয়াদ হল কারযে পরিনত করা হয় এমন সব অভিলাষ, এবং বিদআত প্রবর্তনের নিরদেশাবলী।এগুলো আল্লাহর গ্রন্থ আল-কুরানের বিপরীত।ইহা করা আল্লাহর দ্বীনের বিরোধী হলেও তাদের ব্যাপারে লোকেরা পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করে।যদি বাতিল বা অন্যায় ভেজালহীন এবং মিশ্রনমুক্ত থাকতো,তবে যারা এর তালাশে থাকে তাদের নিকট হতে ইহা আড়ালের মধ্যে থাকতে পারতো না।আর হক যদি বাতিলের মিশ্রন হতে বাতিলের মিশ্রন হতে ভেজালহীন থাকতো,তবে যারা এর(হক) প্রতি ঘৃনা পোষন করে তারা নীরব হয়ে যেতো।যাহোক,যা হয়েছে তা হলো এখান থেকে কিছু নিয়ে সেখান থেকে কিছু নিয়ে অত”পর দুটো একত্রে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।এই পরযায়ে শয়তান তার সুহ্রদদের পরাভুত করে ফেলে,এবং তারাই কেবল বেচে যায় যারা পূর্ব হতেই আল্লাহর হেফাজতের আওতায় থাকে “(মুহাম্মাদ আল-বাকির বিহবুদি,সহিহ আল-কাফি,ভল্যুম-১,পৃঃ৮,সংস্করনঃ১৪০১ হিজরী)।







একদা ইমাম সাদিক(আঃ)এর কাছে আবু বাসির নামে তাঁর একজন সাহাবা জিজ্ঞেস করলোঃ’সাধারনত কারো কারো মনে কোন কোন বিষয়ের উদ্রেক হয় যার সুষ্পষ্ট উল্লেখ কুরানেও নেই,মহানবীর সুন্নাহতেও পাওয়া যায় না।এরুপ বিষয় কুরান ও সুন্নাহর কোন সুত্রের সাথে সম্পৃক্ত করে বর্ণনা করা যায় কি-না’।ইমাম(আঃ) জবাব দিলেনঃ

“না,কারন যদি তুমি যথার্থ হও তুমি এর জন্য কোন পুরস্কার পাবে না,আর যদি তুমি ভুল করো তবে মহান আল্লাহর বিরুদ্বে তোমার মিথ্যাচার “(মুহাম্মাদ আল-বাকির বিহবুদি,সহিহ আল-কাফি,ভল্যুম-১,পৃঃ৯,সংস্করনঃ১৪০১ হিজরী)।

রাসুলাল্লাহ(সাঃ) বলেছেনঃ “ প্রত্যেক বিদয়াত গুনাহ,আর প্রত্যেক গুনাহ জাহান্নামের দিকে চালিত করে”।

আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়া’ফুর বলেন যে, নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি বরনিত হাদিস ও কতিপয় সন্দেহভাজন ব্যক্তি বর্ণিত হাদিসের বর্ণনার মধ্যে পার্থক্য দেখা দেয়;এ ব্যাপারে একদা তিনি ইমাম সাদিক(আঃ)কে জিজ্ঞাসা করেন। ইমাম(আঃ) জবাবে বলেনঃ

“যদি তোমার কাছে একটি হাদিস উপস্থিত হয় যা কুরান বা রাসুলের(সাঃ) হাদিস দ্বারা সমরথিত হয় তাকে গ্রহন করো,অন্যথায় যে ইহা বহন করে সেই এর অধিক যোগ্য(এর দায়-দায়িত্ব তারই)”( মুহাম্মাদ আল-বাকির বিহবুদি,সহিহ আল-কাফি,ভল্যুম-১,পৃঃ১১,সংস্করনঃ১৪০১ হিজরী)।

আইয়ুব ইবনে হুর বলেনঃ “আমি আবু আব্দুল্লাহকে(ইমাম আল-সাদিক) বলতে শুনেছিঃ “সবকিছুর আদি উৎস(তথ্য প্রমান) কুরান ও সুন্নাহ থেকে অনুসন্দ্বান করা উচিত এবং যে হাদিস কুরান দ্বারা সমর্থিত হয় না নিশ্চিতভাবেই তা জাল/মিথ্যা(মুহাম্মাদ আল-বাকির বিহবুদি,সহিহ আল-কাফি,ভল্যুম-১,পৃঃ১১,সংস্করনঃ১৪০১ হিজরী)।


আইয়ুব ইবনে রাশিদ ইমাম আল-সাদিক(আঃ) হতে উদ্বৃত করে বলেন,তিনি বলেছেনঃ “ যে হাদিস কুরানের দ্বারা সমরথিত হবে না ,তা জাল/মিথ্যা।

ইমাম আল-সাদিক(আঃ) রাসুলাল্লাহ(সাঃ)এর বিবরন হতে উদ্বৃত করে বলেন,নবীজী বলেছেনঃ “ মুসলমান সমাজের মধ্যে মতবিরোধের সময়য় যে আমার সুন্নাহ অনুসরন করবে তার জন্য র‍্যেছে একশত শহীদের পুরস্কার” ( তাবরাসি, ‘মিশকাত আল-আনোয়ার’অধ্যায়ঃআল-ইকিদা বিল সুন্নাহ’)।

একদা এক ব্যক্তি ইমাম আলীর(আঃ) কাছে আসলেন এবং সুন্নাহ,বিদয়াত,উম্মাহ ও ফেরকার অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন।ইমাম জবাবে বললেনঃ

সুন্নাহ রাসুল্লাহ(সাঃ) যা করেছেন,বিদয়াত হলো যা তাঁর(রাসুলাল্লাহর) পরে উদ্ভাবিত হয়েছে,উম্মাহ হল নেককার বান্দাগন যদিও তারা সংখ্যায় স্বপ্ল,এবং ফেরকা হল বাতিল তারা সং্খ্যাগরিষ্ট “(তাবরাসি, ‘মিশকাত আল-আনোয়ার’অধ্যায়ঃআল-ইকিদা বিল সুন্নাহ’)।

অন্য একটি বরননায় ইমাম আলী(আঃ) বলেনঃ

“সুন্নাহ ২ ধরনের।শরিয়ত মোতাবেক বাধ্যতামুলক(ওয়াজেব) সুন্নাহঃহেদায়াতকে মেনে চলা এবং গুনাহকে পরিহার করা;এবং ঐচ্ছিক (মুবাহ) সুন্নাহঃযার প্রতিপালন সদ্গুনের কিন্তু যার অবহেলা কোন গুনাহের কারন নয়”( তাবরাসি, ‘মিশকাত আল-আনোয়ার’অধ্যায়ঃআল-ইকিদা বিল সুন্নাহ’)।

ইমাম আল-সাদিক ইমাম আলী(আঃ)কে উদ্বৃত করে বলেছেনঃ

“প্রতিটি সত্যের একটি বাস্তবতা র‍য়েছে,এবং প্রতিটি সঠিক কর্মপদ্বতির রয়েছে একটি ‘নুর।যা কিছুই কুরানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় তাকে গ্রহন কর,এবং যা কিছু এর সাথে গড়মিলের হয় তা বর্জন কর “।

তিনি আরো বলেনঃ “তাঁর উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক!যে মিথ্যার পরশবিহীনভাবে রাসুলাল্লাহর উদ্বৃতি বর্ণনা করে,লোকদের দ্বারা আক্রান্ত হলেও(তাবরাসি, ‘মিশকাত আল-আনোয়ার’অধ্যায়ঃআল-ইকিদা বিল সুন্নাহ’)।

আমিরুল মু’মিনিন ইমাম আলী(আঃ) বলেন যে, তিনি রাসুল্লাহকে বলতে শুনেছেনঃ

“যদি কোন হাদিস ত্রুটি ও মতদ্বৈততা সহকারে তোমার সামনে আসে,এবং এর কোন অংশ অন্য অংশের সাথে পরস্পর বিরোধী হয়,তবে তা আমার হাদিস নয় এবং আমার নামে বর্ণনা করা হলেও উহা আমি বলিনি।যদি কোন হাদিস তোমাদের সামনে আসে যার অংশসমুহ পরস্পরকে সত্যায়ন করে,তবে তা আমারই হাদিস এবং আমিই উহা বলেছি।যে আমার ইন্তেকালের পর আমার জিয়ায়ারত করলো যে সে আমার জীবিত অবস্থায় আমার সাথে সাক্ষাত করলো;এবং যে আমার জিয়ারত করলো পুরুথথান আমি তার জন্য সাক্ষ্য ও পরযবেক্ষক হবো “(তাবরাসি, ‘মিশকাত আল-আনোয়ার’অধ্যায়ঃআল-ইকিদা বিল সুন্নাহ’)।

তিনি(আঃ) মুহাম্মাদ ইবনে মুসলিমের নিকট আরো বলেছেনঃ “হে মুহাম্মাদ,যখন কোন হাদিস তোমাদের নিকট আসে,তা ধার্মিক বা বদকার যার মাধ্যমেই আসুক,কুরান দ্বারা সমর্থিত হলে তা গ্রহন করো;আর যখন কোন হাদিস তোমাদের নিকট আসে,তা ধার্মিক বা বদকার যার মাধ্যমে আসুক,কুরানের সাথে বিরোধপূর্ণ হলে তা গ্রহন করো না(তাবরাসি,’মিশকাত আল-আনোয়ার’ অধ্যায়ঃ ‘আল-ইকিদা বিল সুন্নাহ’।)।

এভাবে আহলে বাইতের(আঃ) ধারা ও তাঁদের কর্মপদ্বতির মধ্যে,আর কুরানের সাথে সুন্নাহর নিয়ামতের সম্পর্কের মধ্যে এবং শরীয়ত ও আইন-বিধান প্রনয়নে ও মুসলিম উম্মাহর সামাজিক ও ধর্মীয় জীবন বিনির্মাণে রাসুল্লাহর সুন্নাহকে প্রত্যক্ষ করা যায়।

আহলে বাইতের এই তাত্বিক পদ্বতি-বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা নিম্নোক্ত উপসংহারে উপনীত হতে পারিঃ

১/মহানবীর(সাঃ) উপর আরোপিত যে কোন বানী,আমল বআ শিক্ষা আল্লাহর কিতাবের সাথে মিলিয়ে দেখে সেগুলো সঠিক না মিথ্যা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।যদি সেটা কুরানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়,তবে তা সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে,কিন্তু যদি সেই বক্তব্য আল্লাহর কিতাবের সাথে বিরোধী হয় তাহলে সেটাকে সুন্নাহ বলে গন্য করা যাবে না।

২/ কুরান ও সুন্নাহ-এই দুটো হচ্ছে শরীয়ত,আইন-বিধান,সংশোধন কারযাবলী,আচার-আচরন এবং জীবনপদ্বতির উৎস।পদ্বতিগত তাত্বিক অনুশাসন বা আদর্শিক বিশ্বাস যা-ই হোক না কেন সবকিছু অতি অবশ্যই কুরান ও সুন্নাহর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে,এবং তাহলেই কেবল তা আল্লাহর শরীয়তী বিধানের অংশ হিসাবে আইনে পরিনত হবে ও পবিত্র বিধান হিসাবে স্বীকৃত হবে।কিন্তু বিশ্বাস বআ বিধান যাই হোক না কেন তা যদি কুরান ও সুন্নাহর বিরোধী হয় তবে তা গন্য হবে বিদয়াত, বিপথগামীতা (গোমরাহী), এবং মিথ্যাকথন হিসাবে।

৩/সুন্নাহ বিষয়টি প্রতিষ্টিত ও সরবসম্মত,যার অধিকারী নিঃসন্দেহে কেবল্মাত্র মহানবী(সাঃ) এবং যা কুরান দ্বারা সমর্থিতেই ধরনের সুন্নাহ অবশ্যই মাপকাঠি হিসাবে গন্য হবে।যে সকল হাদিস ও বর্ণনার সত্যাসত্য প্রশ্নের মুখোমুখি ইহা সেগুলোকে পরীক্ষা করার ও যাচাই-বাছাইয়ের একটি উপায় হিসাবে গন্য হয়।এই মানদন্ডে যা কিছু বিরোধী পাওয়া যাবে তা পরিত্যাজ্য হবে।এই প্রক্রিয়ায় আহলে বাইতের(আঃ) ধারা মহানবীর পবিত্র সুন্নাহর প্রতি আচরনের পদ্বতি নির্ধারণ করেছেন।

...চলবে

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২০

সত্য কথা বলি বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজীদে সাহাবাদের ক্ষেত্রে "রাদিয়াল্লাহু আনহুম" ব্যবহার করেছেন,(দলীল: ৫:১১৯, ৯৮:৮, ৯:১০০,৪৮: ১৮,) কিন্তু এই শিয়ারা সাহাবাদের ক্ষেত্রে "(আঃ) " ব্যবহার করে। এর দ্বারা প্রমাণ হয় তারা কুরআন মানেনা এবং মানতে ইচ্ছুকও নয়।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

আল-মুনতাজার বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজীদে সাহাবাদের ক্ষেত্রে "রাদিয়াল্লাহু আনহুম" ব্যবহার করেছেন ?
>> আপনি কি সত্য কথা বলছেন?

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৫

ব্লগার রানা বলেছেন: কুরআন এ না বললেও আপনি সাহাবাদের (আ) কি যুক্তিতে বলেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.