নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহানবীর(সাঃ) সুন্নাহ এবং আহলে বায়েতের(নবী পরিবারের আঃ) ধারা-৩ ও ৪

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

সুন্নাহর শ্রেনীবিন্যাস-৩



বিজ্ঞ আলেমগন সুন্নাহকে নিম্নরুপে শ্রেনী বিন্যাস করেছেনঃ

১/বানীসমুহঃ মহানবীর(সাঃ) হাদিস,খুতবা,দাওয়াত এবং চিঠিপত্র এর অন্তভুক্ত।

২/আমলঃ লোকদের সাথে তাঁর আচরন,বা এবাদাত সম্পন্ন করার আনুষ্টানিকতা সম্পর্কিত মহানবীর(সাঃ) সকল ধরনের কর্ম ক্রিয়া।

যেহেতু মহানবী(সাঃ) পাপ ও ভুলত্রুটি হতে মাসুম(নিষ্পাপ) ছিলেন,তাই তাঁর প্রতিটি কথা এবং কাজই ছিল তাঁর(নবুয়তী) ধারার ও জ্ঞানের সীলমোহর বা দলিল,এবং উহা আল্লাহর নির্দেশরুপে গন্য।কাজেই তাঁর আমল ওয়াজিব(ফরজ) এবং নফল এই ২ শ্রেনীতে বিভক্তঃ

ক) ওয়াজিব(ফরজ)ঃ প্রত্যহ ৫ ওয়াক্ত সালাত,হজ্বব্রত পালন,রমজান মাসের রোজা,অন্যায়ের প্রতিরোধ ও ন্যায়ের প্রসার-এগুলো সকল মুসলমানের জন্য প্রতিপালন ও অনুশীলন করা ওয়াজিব, এবং এগুলোর প্রতি অবহেলা করা অন্যায় হিসাবে গন্য।

খ)মুস্তাহাবঃ রাসুল্লাহর(সাঃ) কতিপয় আমল যেগুলো ওয়াজিব নয় তবে অনুমতিপ্রাপ্ত।এগুলো মুস্তাহাব নামে পরিচিত।এগুলোর মাধ্যমে মুসলমানেরা তাদের আমলের উৎকরষতা অর্জন করতে পারে।

গ) মুবাহঃ মহানবীর(সাঃ) সময়কালে কোন লোকের কোন কাজের ব্যাপারে মহানবীর নীরবতা এবং কোন বিষয় তিনি জানেন অথচ তিনি তার প্রত্যাখ্যান করেননি এমন বিষয় তাঁর সুন্নাহর মধ্যে গন্য করা হয়।এগুলো মুবাহ নামে পরিচিত।যেমন- কিছু কিছু সামাজিক রীতিনীতি ও ব্যক্তিগত আমল।এসকল সামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রতি নবীজীর নীরবতাকে সম্মতির প্রমান হিসাবে গন্য করা হয়।এই কারনে মুসলমানেরা চাইলে এগুলো তাদের আমলের জন্য প্রশংসাযোগ্য বলে গন্য করতে পারে।



আহলে বাইতের ইমামগন রাসুলের(সাঃ) হাদিসের বর্ণনাকারী-





আহলে বাইতের ইমামগন ধর্মে বিদয়াত প্রচলন বা কিয়াস সমর্থন করার ব্যক্তি ছিলেন না।তাঁরা ছিলেন মহানবীর(সাঃ) হাদিসের বর্ণনাকারী এবং তাঁর সুন্নাহর বাস্তবায়নকারী।আর একারনে তারা কেবল তা-ই করতেন যা সুন্নাহর অন্তরভুক হিসাবে গন্য ছিল।তাঁরা হাদিস বর্ণনা করতেনঃসন্তানগন তাঁদের পিতৃপুরুষগনকে উদ্বৃত করে সরাসরি পুরবপুরুষ রাসুলাল্লাহ(সাঃ) হতে।ইমাম সাদিক(আঃ) বলেনঃ

“আমার হাদিসের বর্ণনা আমার পিতার বর্ণনা হতে,এবং আমার পিতার বর্ণনা আমার পিতামহের বর্ণনা হতে,এবং আমার পিতামহের বর্ণনা তাঁর পিতার বর্ণনা থেকে,আর তাঁর পিতার বর্ণনা হচ্ছে আলী বিন আবি তালিবের(আঃ) বর্ণিত হাদিস হতে এবং আলী বিন আবি তালিবের(আঃ) হাদিস হচ্ছে রাসুল্লাহর(সাঃ) হাদিস।আর রাসুলাল্লাহর(সাঃ) হাদিস হচ্ছে মহামহিম আল্লাহপাকের পক্ষ হতে”(আল্লামা সাইয়েদ মুহসিন আমিলী কতৃক বরনিত, ‘আয়ান আল-শিয়া’,ভ-১,পৃঃ৫)।

কুতাইবা বলেন যে,একদা কোন ব্যক্তি ইমাম আস-সাদিককে(আঃ) একটা প্রশ্ন করলো এবং প্রয়োজনীয় জবাব পেয়ে গেল।লোকটি আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করলো,যদি এরকম এরকম ঘটনা হয় তাহলে তাঁর মতামত কি হতো?ইমাম(আঃ) জবাব দিলেনঃ

“ থামো!আমি তোমাকে যা বলেছি,তা বলেছি রাসুল্লাহর(সাঃ) পক্ষ হতে। ‘আপনার মতামত কি’ দলের লোক আমরা নই” (কুলায়নি রাজী,’আল-উসুল মিন আল-কাফি,ভল্যুম-১,পৃঃ৩৪/বইটির মার্জিনে বলা হয়েছেঃসে যখন জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিল””আমাকে আপনি আপনার মতামত বলুন,আপনার ধারনা বা ইজতেহাদ/সিদ্বান্ত যেখান হতে ভাল মনে করেন।ইমাম(আঃ) তাকে ধারনা করার ব্যাপারে নিষেধ করলেন,বললেন যে,তাঁরা নিশ্চিতভাবে স্থির বা আস্থাশীল না হয়ে কোন কথা বলেন না,তাঁরা তা-ই বলেন যা তাঁরা সরবশ্রেষ্ট নবীর(সাঃ) নিকট থেকে পেয়েছেন)।

এই ঘটনাকে উল্লেখ করে শায়খ বাহাই বলেনঃ

“আমাদের সকল হাদিস,নগন্য সংখ্যক ব্যতিক্রম বাদে,আমাদের ১২ ইমামের(আঃ) নিকট পৌছে যায়,এবং তাঁদের মাধ্যম রাসুল্লাহর(সাঃ) নিকট,যেহেতু তাঁদের জ্ঞানের ধারা এসেছে তাঁর আলোক উৎস হতে” [শায়খ বাহাই,ইন্তেকাল ১০৩০ হিজরী,আল-ওয়াজিজা(হাদিস বিজ্ঞানের সাধারন নীতিমালা,পৃঃ-২২]।

শায়খ বালাঘী বলেনঃ

“এভাবে,আহলে বাইতের মাসুম ইমাম হতে উদ্বৃত সকল হাদিসের সনদ রাসুল্লাহর নিজের পরযন্ত সন্দ্বান পাওয়া যায়,এবং সেগুলো ধর্মীয় অনুশাসনের উৎস’’।

তাঁদের রহমত প্রাপ্ত জীবন ছিল একদম রাসুলাল্লাহ(সাঃ) পরযন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ও ধারাবাহিকভাবে পরস্পর সংযুক্ত;তাঁদের ধারাবাহিকতার মধ্যে কোথাও কোন ফারাক বা বিচ্ছিন্নতা ছিলনা।তাঁদের ভুমিকা ছিল সদা সক্রিয়।আহলে বাইত ইসলামের মৌ্লিক আকিদা-বিশ্বাস সং্রক্ষন ও এর অনুশাসনের বাস্তব প্রয়োগ উপস্থাপন করে ইসলামের নমুনা হয়ে উঠেন।এর মাধ্যমে তাঁরা গঠন করেন একটি শিক্ষাকেন্দ্র ও উপস্থাপন করেন ইসলামী জীবনাচরনের জীবন্ত নমুনা।

চলুন,তারপর রাসুলাল্লাহর(সাঃ) হাদিস বর্ণনার ধারা যারা অব্যাহত রেখেছিলেন সেই আহলে বাইতের ইমামগনের রহমতের বংশলতিকার প্রতি আমাদের দৃষ্টিনিবদ্ব করা যাক,যাতে অনুসন্দ্বিতসু পাঠকবর্গকে তাঁদের বৈজ্ঞানিক ও বৈ্ধ মরযাদা সম্পর্কে পরিচিতি ঘটানো যায়।

১/ইমাম আলী বিন আবি তালিব(আঃ)ঃ ২৩ বছরের কুরান লেখক হস্তী ৩০ সনে মক্কায় জন্মগ্রহন করেন।ফজরের নামাজরত অবস্থায় খারেজী আব্দুর রহমান ইবনে মুলজিম দ্বারা বিষাক্ত তরবারী দ্বারা মাথায় মারাত্নক আঘাতপ্রাপ্ত হবার ২ দিন পর হিজরী ৪০ সনের ২১শে রমজান কুফায় (ইরাক) শাদাত বরন করেন।ইরাকের নাজাফে তাঁর মাজার অবস্থিত যা জিয়ারাতের একটি কেন্দ্র।

২/ হিজরী ৩ সনে মক্কায় জন্মগ্রহন করেন।হিজরী ৪০ সনে মুয়াবিয়া তাঁকে ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য করেন।মুয়াবিয়ার ইবনে আবু সুফিয়ানের নির্দেশে বিষ প্রয়োগের দরুন হিজরী ৫০ সনে তিনি শাহাদাত বরন করেন।

৩/ইমাম হুসাইন বিন আলী(আঃ)ঃহিজরী ৪ সনে মদীনায় জন্মগ্রহন করেন।হিজরী ৬১ সনের ১০ই মুহাররম ইরাকের কারবালার ময়দানে ৭২ জন বিশ্বাসী অনুসারীর এক ক্ষুদ্র দলসহ ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়ার সেনাদলের হাতে তিনি অত্যন্ত নিরমমভাবে শাহাদাত বরন করেন।কারবালায় এই সাইয়েদুশুহাদার মাজার অবস্থিত।বিশ্বের সকল মুসলমানদের কাছে ইহা জিয়ারাতের একটি সুপরিচিত স্থান।

আমরা ইতোমধ্যে এই কীর্তিমান ব্যক্তিত্রয়ের সর্বোত্তম অবস্থান সম্পরকে কুরান ও মহানবীর সুন্নাহর আলোকে আলোচনা করেছি।রাসুলাল্লাহর(সাঃ) ওফাতের বিষাদের পর ইমাম আলী এবং তাঁর ২ সন্তান ইমাম হাসান এবং ইমাম হুসাইন,মুসলমানদেরকে অব্যাহতভাবে শিক্ষা প্রদান শুরু করলেন।এপথে চলতে গিয়ে তাঁরা অশেষ নিরযাতন যন্ত্রনা ভোগ করেন এবং এমন কি ইসলামের ঘৃ্নিত শত্রুদের হাতে শাহাদাত বরন করেন।কিন্তু মহানবী হতে শুরু হওয়া রহমতের ধারা কারবালায় তাঁর প্রপৌ্ত্র হোসাইনের শাদাতের দরুন স্তব্দ্ব হয়ে যায় নি।ইসলাম মুসলমানদের কল্যানের জন্য এ নিরবিচ্ছিন্ন ধারার অগ্রযাত্রা একমাত্র জীবিত সন্তান আলীর(ইমাম সাজ্জাদ) মাধ্যমে অব্যাহত রয়েছে

......চলবে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.