নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ ও ইমাম আলীর (আঃ) দৃষ্টিভঙ্গি

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

ইমাম আলী (আঃ) এর চিন্তাদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গি সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক গ্রন্থ নাহজুল বালাগা’র বিশ্লেষণমূলক আলোচনা। নাহজুল বালাগায় হযরত আলী (আঃ) এর স্বরূপটা এমন একজন ইনসানে কামেলের মতো ফুটে ওঠে যিনি সত্ত্বার বিস্ময় ও রহস্যের গূঢ়ার্থ সচেতন এবং যিনি দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যের সকল রহস্যকে খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেন। আল্লাহ তায়ালা এবং তাঁর গুণাবলী এমন এক বিষয় যা নাহজুল বালাগায় বারবার বর্ণিত হয়েছে। আলী (আঃ) আল্লাহর বর্ণনা অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহ্যভাবে দিয়ে মানুষের চিন্তা-আবেগ-অনুভূতিকে এমন এক অনন্ত সত্যের সাথে পরিচিত করিয়ে তোলেন যে সত্য সম্পর্কে আমরা সবাই নিজেদের উপলব্ধি অনুযায়ী তাঁকে চিনতে পারি এবং যাঁর অপার দয়া ও রহমতের ছায়ায় আমরা জীবন যাপন করি।

হযরত আলী (আঃ) ৪৯ নম্বর খোৎবায় লিখেছেন,সকল প্রশংসা আল্লাহর। যিনি সকল গোপন বস্তু সম্পর্কে অবহিত এবং সত্ত্বার সকল প্রকাশ্য বস্তুই তাঁর অস্তিত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছে। কখনোই কারো চোখের সামনে তিনি প্রকাশিত হন না। যে চোখ দিয়ে তাকে দেখে না, সেও তাঁকে অস্বীকার করতে পারে না। যে হৃদয় তাঁকে চিনেছে সেও তাকে দেখতে পায় না। তিনি এতো মহান, মর্যাদাবান এবং উন্নত যে তাঁর সঙ্গে তুলনা করার মতো কোনো কিছুর অস্তিত্বই নেই। আবার তিনি সৃষ্টিকূলের এতো কাছে যে, কোনো কিছুই তাঁর চেয়ে বেশি কাছের হতে পারে না।

আলী (আঃ) এর দৃষ্টিতে আল্লাহ হলেন সকল সত্ত্বার উৎস এবং সৃষ্টির সবকিছু তাঁর কাছ থেকেই উৎসারিত। আকাশ এবং যমিনে যা কিছু আছে সবকিছুই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে সৃষ্টি করেছেন। আর সৃষ্টিকূল যেহেতু তাঁর সাথেই সম্পর্কিত,সেহেতু সকল বস্তুই তাঁর মর্যাদা এবং তাঁর একত্বের লেশপ্রাপ্ত। আল্লাহর বান্দাগণ তাঁর সক্ষমতা,তাঁর কৌশল এবং তাঁর দয়া-দাক্ষিণ্যের কাছে অনুগত ও আত্মসমর্পিত। যদিও বান্দাদের আনুগত্যের কোনো প্রয়োজনীয়তা আল্লাহর কাছে নেই। বরং আনুগত্য বান্দার নিজের মর্যাদা বা সৌভাগ্যের জন্যেই প্রয়োজন।

আলী (আঃ) জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন তারা যেন আল্লাহকে সময় এবং স্থানের সীমিত গণ্ডির মাঝে অবরুদ্ধ বলে মনে না করে কিংবা তাঁকে কেউ যেন নিজের সাথে তুলনা না করে। আল্লাহকে চেনার জন্যে তাঁর সৃষ্টির বিস্ময়ের প্রতি মনোনিবেশ করলেই তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব,বিশালত্ব এবং মহান মর্যাদার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবে। নাহজুল বালাগায় তিনি মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন- হে যথার্থ কাঠামোযুক্ত সৃষ্টি!হে মায়ের পেটের অন্ধকারে লালিত সত্তা! সৃষ্টির শুরুতে তুমি ছিলে কাদার তলানি। তারপর তুমি নির্দিষ্ট একটা সময় আরামের একটি জায়গায় সুরক্ষিত ছিলে। সেই মায়ের পেট থেকে তোমাকে বের করে এমন এক পৃথিবীতে আনা হয়েছে যেই পৃথিবীকে তুমি ইতোপূর্বে দেখো নি এবং লাভের পথ কোন্টা-তাও জানতে না। তাহলে চুষে চুষে মায়ের দুধ খাওয়া কে শেখালো? দরকারের সময় ডাকা বা চাওয়ার পন্থাটি তোমাকে কে শেখালো?

তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি তার নিজের বর্ণনায় ভারসাম্য রক্ষা করতে অক্ষম সে নিঃসন্দেহে তার প্রতিপালকের প্রশংসার ক্ষেত্রে আরো বেশি অক্ষম। আলী (আঃ) অপর এক বর্ণনায় বলেছেন মানুষের সুখ-শান্তি আর সুস্থিতির মূল উৎস হলেন আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহকে খোঁজার জন্যে তাই মানুষ তার আধ্যাত্মিক শক্তি,তার জ্ঞান-বুদ্ধি,বিচার-বিবেচনাকে কাজে লাগায় যাতে খোদার প্রেমের রেকাবিতে পা রাখা যায় এবং তাঁর নিকটবর্তী হয়ে অমোঘ শক্তি লাভ করা যায়। তিনি নিজে আল্লাহর প্রেমের রশ্মিতে মহান স্রষ্টার সান্নিধ্যে এতো উর্ধ্বে পৌঁছেন যে,এই পৃথিবী এই জীবন তাঁর কাছে খুবই তুচ্ছ বিষয় ছিল এবং সবসময় আল্লাহর প্রশংসা বাণী তাঁর মুখে হৃদয়গ্রাহী শব্দে গুঞ্জরিত হতো। বলা হয় যে,রাত ঘনিয়ে আসলে কিংবা আঁধারের পর্দা নেমে আসলে প্রতিটি মুহূর্তই আল্লাহর বিশেষ প্রশংসার মুহূর্ত।

আসলে আলী (আঃ) আল্লাহকে এতো গভীরভাবে চিনতেন যে স্বয়ং রাসূলে খোদা (সা) তাঁর প্রশংসা করতেন। সেইসাথে রাসূল চাইতেন জনগণ যেন তাঁর ওপর কথা না বলে কেননা আলী (আঃ) হলেন আল্লাহর প্রেমে বিমোহিত।

আমরা নাহজুল বালাগায় বিধৃত আলী (আঃ) এর মূল্যবান কিছু বক্তব্য শুনে আল্লাহর মহান কিছু বৈশিষ্ট্যের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পেয়েছি। আসলে নাহজুল বালাগা হচ্ছে বিশ্বের প্রতিপালক সম্পর্কে বা তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে জানার জন্যে সমৃদ্ধ একটি ভাণ্ডার।

আলী (আঃ) তাঁর বক্তব্যে আল্লাহ এবং মানুষের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে মূল্যবান অনেক কথাই বলেছেন। আলী (আঃ) যে খোদার কথা বলেছেন তিনি শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ কিংবা মানুষের সাথে অপরিচিত কেউ নন। তিনি জীবিত এবং সচেতন। মানুষের সাথে তাঁর কথাবার্তা বিনিময় হয়। তিনি মানুষকে নিজের প্রতি আকর্ষণ করেন এবং তিনি তাদের আন্তরিক প্রশান্তি ও সন্তুষ্টির উৎস। সকল সৃষ্টিই নিজের অস্তিত্বের গভীরে তার সাথে গোপন রহস্যের সূতোয় বাঁধা। তাদের সবাই আল্লাহর প্রশংসায় লিপ্ত। অন্যভাবে বলা যায়,নাহজুল বালাগায় আল্লাহ খুবই প্রিয় সত্ত্বা-মানুষের ভালোবাসার মূল উৎস। কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ীঃ তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তিনি তোমাদের সাথেই আছেন।

এ কারণেই হযরত আলী (আঃ) আল্লাহকে চেনার উপায়গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন। আল্লাহর নিদর্শনগুলো নিয়ে ভালোভাবে চিন্তা করা,অন্তরের সকল কালিমা দূর করে স্বচ্ছতা ও পবিত্রতা আনা,সত্ত্বার গভীরে ডুবে যাওয়া,আল্লাহর জিকির করা ইত্যাদিকে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির ভিত্তি বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইমাম আলী (আঃ) সত্ত্বাকে আল্লাহর সৃষ্টি বলে মনে করেন এ অর্থে যে বিশ্ব হলো সৃষ্ট বস্তু আর আল্লাহই তাকে তাঁর নিজস্ব কৌশলে সৃষ্টি করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো যে আল্লাহ যা সৃষ্টি করার কথা ভাবেন তা-ই সৃষ্টি হয়ে যায়। তিনি সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞানী মহান স্রষ্টা।

যে ব্যক্তি আল্লাহকে খুঁজে বেড়ায় তাকে ইমাম আলী (আঃ) বলেন সে যেন কোরআনে কারিমের প্রতি মনোনিবেশ করে। কেননা মানুষের চিন্তাশক্তি সীমিত। সে তার নিজের অপূর্ণ চিন্তা দিয়ে একাকী আল্লাহর মতো মহান সত্ত্বাকে খোঁজার মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে পারবে না। আলী (আঃ) বলেন-হে প্রশ্নকারী! যথার্থ দৃষ্টি দাও! কোরআন আল্লাহর যেসব গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করছে তার প্রতি আস্থাশীল হও! তাঁর হেদায়েতের আলো থেকে উপকৃত হও! যা কিছু আল্লাহর কিতাব,নবীজীর সুন্নাত এবং অলী-আউলিয়াদের হেদায়েতের পথ থেকে দূরে রাখে এবং শয়তানের প্ররোচনা যাদের নিত্যসঙ্গী তাদের ত্যাগ করো। ঐশী আদর্শের শিক্ষকগণ জ্ঞানের পথে সদা অটল-অবিচল ছিলেন।

আলী (আঃ) আল্লাহর একত্বের ব্যাপারে বহু প্রমাণ অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন এবং তারপর তাঁর আনুগত্য করা আমাদের জন্যে ফরয বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো স্মরণ করিয়ে দেন যে,মানুষ খুবই দুর্বল এবং অক্ষম সৃষ্টি এবং তাই মানুষের উচিত সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করা, তার নাফরমানী করা থেকে বিরত থাকা এবং তার সন্তুষ্টির জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করা। এ প্রসঙ্গে ইমাম আলী (আঃ) তাঁর ছেলে ইমাম হোসাইন (আঃ) এর উদ্দেশ্যে বলেছেন-জেনে রোখো হে আমার সন্তান! আল্লাহর যদি কোনো অংশীদার বা শরিক থাকতো তাহলে তাঁর নবীরাও তোমার কাছে আসতো। তুমি তাদের শক্তির নিদর্শন দেখতে এবং তাদের কর্মনৈপুন্য ও গুণাবলী সম্পর্কে জানতে। কিন্তু খোদা তায়ালা এক এবং একক সত্ত্বা। যেমনটি তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন-তাঁর নিরঙ্কুশ একাধিপত্যে কারো কোনো রকম অংশিদারিত্ব নেই এবং তাঁর শক্তি নিঃশেষ হবার নয়।

তাঁর অস্তিত্ব সবসময় ছিল এবং তিনি সকল কিছুর শুরু তবে তাঁর জন্যে শুরু বলে কিছু নেই। সবকিছুরই সমাপ্তি আছে কিন্তু তাঁর কোনো সমাপ্তি নেই। মানুষ তাঁর শক্তি সম্পর্কে যতোটুকু চিন্তা করতে পারে প্রকৃতপক্ষে তিনি তার চেয়েও অনেক উর্ধ্বে। এখন যেহেতু এই উপলব্ধি বা বোধ তোমার হয়েছে তাই আল্লাহর প্রতি অনুগত হও। তাঁর শাস্তিকে ভয় করো এবং তাঁর রাগের কারণগুলোকে পরিত্যাগ করো। কেননা খোদা তায়ালা তোমাকে পুণ্যকাজ ছাড়া আর কোনো কিছুর আদেশ দেন নি এবং মন্দকাজ ছাড়া অন্য কোনো কিছুর ব্যাপারে নিষেধ করেন নি।

আলী (আঃ) আল্লাহকে গভীর প্রেম ও আধ্যাত্মিকতার সাথে চিনতেন এবং তাঁর ভালোবাসা পোষণের ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে অগ্রগামী ছিলেন। তাঁর বিখ্যাত একটি বক্তব্য হলো-হে খোদা! তোমার বেহেশতের লোভে কিংবা তোমার জাহান্নামের ভয়ে আমি তোমার ইবাদাত করি নি,বরং তোমাকে ইবাদাতের উপযুক্ত এবং প্রশংসার যোগ্য জেনেই তোমার ইবাদাত করেছি। তিনি বিনীতভাবে এবং যথার্থ আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর সান্নিধ্যের জন্যে বেদনাহতের মতো মোনাজাত করতেন। রাতের অন্ধকারে যখন সবাই গভীর নিদ্রায় ডুবে যেতো তখন তিনি আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়ে গুঞ্জন করতে করতে বলতেন-হে খোদা! তুমি তো তোমার সকল প্রিয় বান্দার দুঃসময়ের সঙ্গী এবং যারা তোমার ওপর নির্ভর করে তাদের অভাব-অভিযোগের ব্যাপারে তুমি তো সবই জানো। হে খোদা! আমার জন্যে তুমি যা কিছু যথার্থ মনে করো তার নির্দেশনা দাও! আমার অন্তরকে উন্নতি-অগ্রগতির দিকে এবং পূর্ণতার দিকে ধাবিত করো-কেননা;এই অনুগ্রহ তোমার হেদায়াতের বাইরে নয়।(সূত্র:রেডিও তেহরান)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

বাংলার হাসান বলেছেন: হযরত আলী (আঃ) কেমনে হইলেন?

যদ্দুর বিদ্যা পেটে আছে সেই মোতাবেক জানি যে, (আঃ) শুধু মাত্র নবীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

আল-মুনতাজার বলেছেন: হযরত আলী(আঃ) হচ্ছেন রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ১২ ইমামের ১ম ইমাম এবং নবী পরিবারের সদস্য।নবী পরিবারের সদস্যের নামের শেষে "আঃ" বলা তাঁদের হক।

২| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

আল-মুনতাজার বলেছেন: আল্লাহ ও হযরত আবুবকর,ওমর ও ওসমানের(রাঃ) দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে কেউ কিছু লিখবেন কি?

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হে খোদা! তুমি তো তোমার সকল প্রিয় বান্দার দুঃসময়ের সঙ্গী এবং যারা তোমার ওপর নির্ভর করে তাদের অভাব-অভিযোগের ব্যাপারে তুমি তো সবই জানো। হে খোদা! আমার জন্যে তুমি যা কিছু যথার্থ মনে করো তার নির্দেশনা দাও! আমার অন্তরকে উন্নতি-অগ্রগতির দিকে এবং পূর্ণতার দিকে ধাবিত করো-কেননা;এই অনুগ্রহ তোমার হেদায়াতের বাইরে নয়।

হয়রত আলী করম আল্লাহু অজহুর এই বইয়ের অনুবাদ পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। বারবার পাঠ করেও যেন তৃপ্তি মেটেনা।
মনে হয় বোঝার কোন একটা শব্দ বা বিষয় বা ভাবনা কি ছুটে গেল। আমি কি সথ্যিই বুঝতে পেরেছি যা বলা হয়েছে? এরকম ভাবনায় মুগ্ধতায় আবার পড়ি আবার....

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

আল-মুনতাজার বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।নাহাজুল বালাগাহ হচ্ছে অতীব মুল্যবান একটি বই।এই বইটি আমাদের সবার পড়া উচিত।আপনি সঠিক কাজ ক্রেছেন।জাজাকাল্লাহু খইরান।আমি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাই,যদি সম্ভব হয় ইমেইল ঠিকানাটা দিলে যোগাযোগ করবো।দোয়া চাই।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, এই মুহুর্তে আমি তেহরানে আছি। শিয়াদের আকিদা সম্পর্কে বলুন, তারা কি রাসূল(সঃ) কে শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করে?

সংক্ষেপে আকিদা সম্পর্কে বলুন, কাল জুমার দিন, মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে পারব কি না বা এখানকার মানুষের জবাই করা মুরগী বা পশু খেতে পারব কি না?

এদের দেখলাম মাটির চাকার উপর সেজদা দেয়, এটা কেন?

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আল-মুনতাজার বলেছেন: আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।
ইরানের ১২ ইমামিয়া শিয়াদের আকিদা হচ্ছে খাটি মুসলমানদের আক্কিদা যা কিনা বিশ্বের সমস্ত জ্ঞানী আলেমগণ স্বীকার করেন । রাসুল(সাঃ) পবিত্র মাটি,পাথর,গাছের পাতা ইত্যাদির উপর সেজদা করতেন।তাই কোরানী রাষ্ট্র ইরানের ভায়েরা যে ধারায় ইসলাম পালন করছে সেটি হচ্ছে সথিক ধারা।আর হ্যা ১২ ইমামিয়া শিয়ারা রাসুলকে(সাঃ) শেষ নবী হিসাবে মানে।আপনার হয়তো ধারনা আছে যে,শিয়ারা আলীকে নবী মানে।কথাটি এক্কেবারে মিথ্যা ,হযরত আলী(আঃ) হচ্ছেন রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ১২ ইমামের ১ম ইমাম,২৩ বছরের কোরান লেখক,হাফিজ-ই- কোরান,শেরে খোদা,রাসুকের(সাঃ) সমস্ত যুদ্বের বিজয়ী সেনাপতি।।

৫| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

ব্যান্ড পার্টি বলেছেন: শিয়া মতালম্বীরা নাকি সুরা ইউসুফকে কুরআনেয় অংশ মনে করে না .... এই বিষয়ে জানতে চাই

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

আল-মুনতাজার বলেছেন: ভাই আসসালামু আলাইকুম।আপনার ধারনাটি সুন্দর মিথ্যা।আপনি যদি কষ্ট করে ধানমন্ডি ইরানিয়ান কালচারাল সেন্টারে গিয়ে অনেক ইরানী কোরান শরিফ পড়ে দেখে আসেন তবে আপনার মিথ্যা ধারনাটযাবে।(০১৭১২১৬৯৪৯১) হয়ে যাবে।

৬| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আরেকটা কথা, এরা আলী (রাঃ) কে ছাড়া অন্যান্য খলিফাকে অপছন্দ করেন কেন?

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

আল-মুনতাজার বলেছেন: এরা রাসুলের(সাঃ) সুন্নাতকে অবমাননা করেছে,রাসুলের সুন্নাতকে পরিবর্তন করে ফেলেছে।রাসুলের(সাঃ) সহী হাদিসঃআমার পরে ১২ জন ইমাম পরযন্ত ইসলাম সমুন্নত থাকবে এবং বনী হাশিম থেকে।এই ১২ ইমামের মধ্যে ১ম ৩ খলিফার নাম নাই।

৭| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।

[email protected]

আপনার মেইলের অপেক্ষায়।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.