![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।
১)ইমাম জয়নুল আবেদীন(আঃ) এর হাদিসঃ “ ঐ সমস্ত লোক,যারা গায়বাতকালে ( লোকচক্ষুর আড়ালে)ইমাম মাহদীর ইমামতিতে বিশ্বাসী এবং তাঁর আবির্ভাবের অপেক্ষায় আছেন,তারা প্রত্যেক যুগের মানুষের তুলনায় উত্তম অবস্থায় আছেন।মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে এমন বুদ্বি-বিবেক ও মারেফাত দান করেছেন,যার ভিত্তিতেই তাদের কাছে ইমাম মাহদী(আঃ)র গায়বাতও হচ্ছে ইমামের আবির্ভাবের মতোই একটি বিষয়।এই সমস্ত লোককে ঐ সমস্ত মুজাহিদদের সমতুল্য সাব্যস্ত করা হবে যারা রাসুল্লাহর(সাঃ) উপস্তিতিতে তরবারী দ্বারা যুদ্ব করতেন।এরাই হলেন আমার মুখলেস এবং সত্যিকারের অনুসারী।এরাই হলেন সেই সমস্ত ব্যক্তি যারা প্রকাশ্য এবং গোপনে মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করে থাকেন”(কামালুদ্দিন,-আসসাদুক,পৃঃ ৩০২)।
২) হযরত ইমাম জাফর সাদেক(আঃ) এক হাদিসে ইরশাদ করেনঃ “ আমাদের কায়েমের অনুসারী যারা,তারা তাঁর গায়বাতকালে তাঁর আবির্ভাবের জন্য অপেক্ষা করছে এবং আবির্ভাবের পর তাঁর আনুগত্য করবেন-তাদের সম্পর্কে কি আর বলবো,তাঁরাই হলেন আল্লাহর ওলি,তাঁদের কোন চিন্তা নেই এবং তাদের কোন দুঃখ কষ্টও নেই”(কামালুদ্দিন,-আসসাদুক, অধ্যায়-৩৩,পৃঃ-৫৪)।
উপরে উল্লেখিত হাদিসের মধ্যেও ইমাম মাহদীর(আঃ) অপেক্ষাকারিদের উচ্চ মর্যাদার কথা লক্ষনীয়।গায়বাতকালে এবং আবির্ভাবের পর অনুসারীদের ২টি গুরুত্বপুর্ন ও বিশেষ বৈশিষ্ট বয়ান করা হয়েছে।গায়বাতে সত্যিকারের অপেক্ষা ও আবির্ভাবের পর তাঁর পুর্নাংগ আনুগত্য,এই দুই বৈশিষ্ট অর্জন করার পর মানুষ আল্লাহর ওলিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে,যাদের কাছ হতে দুঃখ,কষ্ট এবং সমস্ত দুর্দশা দূর হয়ে যাবে।
৩)গায়বাতকালে ইমাম মাহদীর(আঃ) ইমামতির আকিদা পোষোনকারী মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের আরও মারেফাত ও বৈশিষ্টের বিষয়ে জানার জন্য ঐ সমস্ত কথার প্রতি দৃষ্টিপাত করা উচিত,যেগুলো ইমাম জাফর সাদেক(আঃ) নিম্নোক্ত হাদিসে বয়ান করেছেনঃ ”তাকওয়া,পরহেজগারি,চারিত্রিক সৌ্নদ্ররযাবলী হলো অপেক্ষার বৈশিষ্ট।আর যে ব্যক্তি ইমাম মাহদীর(আঃ) অপেক্ষা করছে,তার মধ্যে উক্ত বৈশিষ্টাবলী থাকা বাঞ্ছনীয়”(গায়বাতে নো’মানী,পৃঃ২০০ এবং মুন্তাখাবুল আসার,পৃঃ৪৯৭।
৪) ইমাম জাফর সাদেক(আঃ)এর অপর একটি হাদিসের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে উক্ত বিষয়ের গুরুত্ব ও সুক্ষানুভুতি আরও ষ্পষ্ট হয়ে যায়ঃ “ যারা মাহদীর হুকুমতের অপেক্ষা করতে করতে ইহজগত ত্যাগ করবে,তারা তো ঐ লোকগুলোর মত হবে যারা তাঁর কাছে উপস্থিত থাকবে।“কিছুক্ষন পর তিনি(আঃ) আবার বললেনঃ “ আল্লাহর কসম এরা হলো ঐ সমস্ত লোকের মতো যারা রাসুলাল্লাহর(সাঃ) সামনে শাহাদাতের মর্যাদায় ভুষিত হয়েছেন”।কিছুক্ষন পর তিনি আবার বললেনঃ “ বরং তারা ঐ সমস্ত লোকের অন্তর্ভুক্ত যারা হযরত মাহদীর(আঃ) সহচর হবেন এবং তরবারি চালনা করবেন”(মুন্তাখাবুল আসর,হাদিস নং-১৩,পৃঃ৪৯৮)।
৫) ইমাম জাফর সাদেক(আঃ) আরো বলেনঃ
“নিশ্চয়ই যখন আমাদের মাহদীর আবির্ভাব হবে জমিন মহান প্রতিপালকের নুর দ্বারা আলোকিত হয়ে যাবে এবং মানুষ সুর্যের আলো থেকে বেপরোয়া হয়ে যাবে”( বিহারুল আনোয়ার,খন্ড-৫২,পৃঃ৩৩৭।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মো কবির বলেছেন: এই তো আপনারা কেমন সুন্নত মানেন প্রমানে হয়ে গেলো,
নবীজি বলেছেন বললে বুঝতাম, ইমাম জয়নুল আবেদীন(আঃ),
হযরত ইমাম জাফর সাদেক(আঃ) এরা কি নবি ছিলেন, হয়তো আপনাদের নবী ছিলেন এরাই, তাই এরা যা বলেছে তাই মানুন। এগুলোই আপনাদের সুন্নাত।
গজব হউক সেই সব লোকদের উপর যারা মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করছে।