নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুরা তাওবা,আয়াত # ১২ এবং

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

সঠিক তাফসীর ও মিথ্যা তাফসিরঃ

কোরান তাফসীরের মূলনীতিঃ
কোরান তাফসীর করতে হবে কোরান দিয়ে এবং সহী হাদিস দিয়ে।এর বাইরে কেউ যদি তাফসীর করেন তবে তা সঠিক হবে না।কাকতালীয় ভাবে কোন তাফসীরকারকের তাফসীর যদি সঠিক তাফসীরের সাথে মিলেও যায়,তবে তাফসীরকারক কোন সাওয়াব পাবে না।ার সহী হাদিস সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।রাসুল(সাঃ) বলেছেন,যে হাদিসটি কোরানের আয়াতকে সমর্থন করে না,সেটিকে দেয়ালে ছুড়ে মার অর্থাৎ সেটি জাল হাদিস।



“ এবং তারা যদি অঙ্গীকার করার পর তাঁদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং তোমাদের ধর্মের ব্যাপারে(১) বিদ্রুপ করে,তবে অবিশ্বাসীদের বিরুদ্বে যুদ্ব কর।কেননা,তাঁদের প্রতিজ্ঞার কোন মুল্য নেই,যাতে তারা নিরস্ত হয়।“

সঠিক তাফসীর(১)ঃ
হজরত ইবনে আব্বাস হতে বর্নিত হয়েছে যে, কাফিরদের নেতা বলতে আবু সুফিয়ান,হারিছ,সাহল ও আকরামা উদ্দিষ্ট।হযরত হুযায়ফা হতে বর্নিত হয়েছে,তারা রাসুলের(সাঃ) জীবদ্দশায় স্বরুপে প্রকাশিত হয় নি এবং তাঁদের বিরুদ্বে আল্লাহর এক ওলী ও বন্দ্বু সঙ্গগ্রাম করবেন।এ কারনে জামাল যুদ্বে হজরত আলী(আঃ) আয়াতটি তেলাওয়াত করেন এবং বলেন, ‘আমাকে রাসুলাল্লাহ(সাঃ) বলেছেন যে,” তুমি ‘নাকেসীন;(ওয়াদা ভঙ্গকারী দল-জামাল যুদ্বের উদগাতা ও আয়োজকরা যারা হজরত আলীর হাতে বায়াত করে তা ভং করেছিল),কাসেতীন( বিদ্রোহীরা অর্থাৎ ধর্মদ্রোহী যে দলটি সিফফিন যুদ্বে হজরত আলীর খেলাফতের বিরুদ্বে দাড়িয়েছিল) এবং মারেকীন( খারেজী বিদ্রোহীরা যারা নাহরাওয়ান যুদ্বে হজরত আলীর বিরুদ্বে যুদ্ব করেছিল)এর বিরুদ্বে যুদ্ব করবে”।

মওলানা মউদুদীর মিথ্যা তাফসিরঃ

পূর্বাপর আলোচনা থেকে স্বতস্ফূর্তভাবে একথা বুঝা যাচ্ছে যে, কসম, অঙ্গীকার ও শপথ বলতে কুফরী ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করার অংগীকারের কথাই এখানে বুঝানো হয়েছে। কারণ এদের সাথে এখন আর কোন চুক্তি করার প্রশ্নই ওঠে না। আগের সমস্ত চুক্তিই তরা ভংগ করেছে। তাদের অংগীকার ভংগের কারণেই আল্লাহ ও তার রসূলের পক্ষ তেকে তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিষ্কার ঘোষণা শুনিয়ে দেয়া হয়েছে। একথাও বলা হয়েছে যে, এ ধরনের লোকদের সাথে কেমন করে চুক্তি করা যেতে পারে৷ এ সাথে এ নির্দেশও দেয়া হয়েছিল যে, এখন তারা কুফরী ও শিরক ত্যাগ করে নামায কায়েম করবে ও যাকাত আদায় করবে, একমাত্র এ নিশ্চয়তা বিধান করলেই তাদের ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। এ কারণে এ আয়াতটি মুরতাদদের সাথে যুদ্ধ করার ব্যাপারে একেবারেই দ্ব্যর্থহীন আদেশ স্বরূপ। আসলে দেড় বছর পরে হযরত আবু বকর সিদ্দীকের (রা) খিলাফত আমলে ইসলাম বর্জনের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছিল এখানে সেদিকেই ইংগিত দেয়া হয়েছে। এ আয়াতে ইতিপূর্বে প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।অতিরিক্ত ও বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন আমার বই ইসলামী আইনে মুরতাদের শাস্তি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.