নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম,রাজনীতি

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।

আল-মুনতাজার

আমি মুয়াবিয়ার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত পরিত্যাগকারী রাসুলের(সাঃ) শিয়া।শিয়া মানে অনুসারী।আমি আল্লাহর অনুসারী,রাসুলের(সাঃ) অনুসারী।ডঃ তিজানী সামাভী বলেন,শিয়ারা রাসুলের(সাঃ) সুন্নত পালন করছে।

আল-মুনতাজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান যে আয়াতের শানে নুজুলে ৪ লক্ষ দিরহামের বিনিময়ে ছদ্মবেশী সাহাবী সামরাহ বিন জুনদাবকে ক্রয় করেন এবং তাকে (সামরাহ বিন জুনদাব) দিয়ে রেওয়ায়েত করান যে, উপরে উল্লেখিত আয়াতটি হযরত আলীর(আঃ) হত্যাকারী আব্দুর রহমান ইবনে মুলজিমের শানে নাজিল হয়েছে

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১২



সুরা বাকারা ,আয়াত# ২০৭

“ এবং মানুষের মধ্যে এমনও আছে,যে আল্লাহর সন্তোষ লাভের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত বিক্রয় করে দেয় এবং আল্লাহ(এরুপ) বান্দাদের প্রতি অনুগ্রহশীল”।(১)

সঠিক তাফসীরঃ(১)
যখন মক্কার কাফিররা সম্মিলিতভাবে রাসুল(সাঃ)কে হত্যা করার পরামর্শ করে তাঁর ঘর অবরোধ করল এবং আল্লাহ তাকে অবহিত করলেন তখন তিনি হিজরতের উদ্দেশ্যে হযরত আলী(আঃ)-কে বললেন, ‘কাফিররা আমাকে শয্যায় হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে।তুমি আমার স্থানে শুয়ে নিজেকে চাদরে ঢেকে ঘুমিয়ে থাক যাতে তারা মনে করে যে,আমি ঘুমাচ্ছি এবং বাড়ি থেকে বের হয়ে যাইনি’।হযরত আলী(আঃ) বললেন, ‘আমি বেচে থাকি বা না থাকি,আপনার নিরাপত্তা অবশ্যই কাম্য’।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ হযরত আলীর(আঃ) প্রশংসায় আয়াতটি অবতীর্ন করেন।রাসুলাল্লাহ(সাঃ০ বলেন যে, আল্লাহ জিব্রিল ও মিকাইল(আঃ)-এর প্রতি প্রত্যাদেশ পাঠালেন, ‘আমি তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব রচনা করেছি এবং একের পরমায়ু অপরের থেকে বেশী করেছি।তোমাদের মধ্যে কে এমন আছ যে, নিজ আয়ু নিজ ভাইকে দিয়ে দেবে’।কিন্তু উভয়েই অস্বীকার করলেন।তখন আল্লাহ তাঁদের বললেন, আমি আমার ওলী আলী এবং আমার নবী মুহাম্মাদের মধ্যে ভ্রাতৃ্ত্ব রচনা করেছি।তাকিয়ে দেখ,আমার ওলী আমার নবীর জন্য কীরুপে নিজ জীবন উতসর্গ করতে উদ্যত হয়েছে এবং নবীর শয্যায় নির্ভয়ে ঘুমিয়ে আছে।তোমরা উভয়ে এখন পৃথিবীতে অবতরন কর এবং আলীকে শত্রুদের থেকে রক্ষা কর’।একথা শুনেই তারা উভয়ে পৃথিবীতে আগমন করলেন এবং জিব্রিল(আঃ) আলীর(আঃ) মাথার দিকে এবং মিকাইল(আঃ) তাঁর পায়ের দিকে বসলেন।তখন জিব্রিল(আঃ) হযরত আলীকে(আঃ)উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করলেন, ‘হে আবু তালিবের সন্তান!ধন্যবাদ।আপনার তুলনা কোথায় আছে যে, স্বয়ং আল্লাহ নিজ ফেরেস্তাদের কাছে আপনার কারনে গর্ব করেছেন’।(তাফসীরে ফাখরুদ্দিন রাজী,তাফসীরে সালাবী এবং ইমাম গাজ্জালী রচিত ইহইয়াউ উলুমুদ্দিন দ্রষ্টব্য)।
মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান উক্ত আয়াতের শানে নুজুলে ৪ লক্ষ দিরহামের বিনিময়ে ছদ্মবেশী সাহাবী সামরাহ বিন জুনদাবকে ক্রয় করেন এবং তাকে (সামরাহ বিন জুনদাব) দিয়ে রেওয়ায়েত করান যে, উপরে উল্লেখিত আয়াতটি হযরত আলীর(আঃ) হত্যাকারী আব্দুর রহমান ইবনে মুলজিমের শানে নাজিল হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.