নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহমাদ-২০০৫

আহমাদ-২০০৫

আহমাদ-২০০৫

নাই

আহমাদ-২০০৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক গো. আজম, কাদের মুল্লা এক সাইদি না ফাইদির জন্য শাহবাগিস্ট দের এতো বড় র্স্পধা হয়ে গেছে ? - নবীর সুন্নাহ দারি টুপির অপমান ও বঙ্গবীর কদের সিদ্দিকিকে রাজাকার বলা।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫২

মুক্তি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশ ছেড়ে সবাই যখন পালিয়ে যাচ্ছিল, কাদের সিদ্দিকি তখন স্থানিয় মুক্তিকামি মানুষদের সংঘটিত করে, দেশের মাটিতে থেকে, পাকবাহিনীর সাথে মোকাবেলা করে ছিল । কাদের সিদ্দিকির সেই কাদেরিয়া বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল ১৮ হাজারের উপরে। যুদ্ধ শুরুর আগে যাদের কাছে ১টি অস্রও ছিল না যুদ্ধ শেষে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ১ লক্ষ অস্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়েছিলেন । আর এ কারনেই তিনি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে বঙ্গবীর খেতাপ পেয়েছিলেন। ১৮ হাজার কাদেরিয়া বাহিনীর কাছে ৮শ বা ৮ হাজার শাহবাগি কিছুই না - আজকের বাংলাভিশনের ফ্রন্টলাইন টোকশোতে এমনটি বলছিলেন সাবেক প্রধান মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশিদ। টোকশোতে আরও উপস্থিত ছিলেন সয়ং বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি। কাজী ফিরোজ বলতেছিলেন "বঙ্গবীর হয়তো নিজের প্রশংসা নিজে করতে পারবে না, তাই আমিই তার কথা বলছি"



অথচ, আজ কতিপয় বিপতগামি - পথভ্রষ্ট তরুন সমাজ, তাদের সেই বির্তকিত শাহবাগ আন্দোলন থেকে সাধীনতার সেই মহান বীরকে রাজাকার বলে আক্ষায়িত করে। কত বড় র্স্পধা । ধিক্কার জানাই সেই শাহবাগিস্টদের। তারা কোথাকার কোন লেখকের উক্তি ধরে বলে, "একবার মুক্তিযুদ্ধা আজীবন মুক্তি যুদ্ধা না কিন্তু একবার রাজাকার আজীবন রাজাকার " ।. উক্তিটি করেছিলনে আমাদের সকলের পরিচিত লেখক হুমায়ন আজাদ উনার প্রতি পূর্ন শ্রদ্ধারেখেই বলতে চাই আজ যদি বঙ্গবীররা বা মুক্তি যুদ্ধারা মুক্তি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন না করতেন তাহলে আপনি হুমায়ন আজাদ, হুমায়ন আজাদ হতে পারতেন না। আপনার এই উক্তিটিও উক্তি হতো না। এই উক্তিটির অপব্যবহার হতো না। তাই ৭১-এর আমল বিবেচনায় আপনাকে কোথাকার কোন লেখক বলতো হলো।



আজ যারা, তরুন আজ যারা হুজুগে গা ভাচ্ছো, আজ যারা স্ট্যাটাস থাকবে না ভেবে শাহবাগিস্ট হচ্ছো তাদের কাছে অনুরোধ, কোনো কিছু করা আগে বুঝে শোনে করবে, কোনো কিছু বলার আগে বুঝে শোনে বলবে নিজেদের অন্যের দ্বারা ব্যহিত হতে দেবে না।



আজ শাহবাগিস্টরা সারা দেশে হিংসা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফল দেখা যাচ্ছে পুলিষের গুলিতে র্নিবিচারে পাখির মতো মানুষ হত্যা । এক দিনে ১০০ জনের মতো হত্যা । যা গত ১ যুগের মধ্যে এমনটি ঘটেনি সেই মার্কিনীদ্বারা আফগান ইরাক হমলার সময়ই এমটি দেখাগিয়েছিল। আজ সেই হত্যাকে হত্যা বলা হচ্ছে না বলা হচ্ছে জামাত শিবির নিধন করা হয়েছে। জামাত শিবির বলে কি এরা মানুষ নয় ?? হয়তো এরা ব্রেইন ওয়াস হয়েছে তাই বলে কি এদের ন্যায়বিচার পাবার অধীকার নাই ?? একজন সাইদী-না ফাইদীর জন্য কেন ১০০ জন নিরিহ নিরঅপরাধ মানুষ প্রান হারবে ?? কেন একজন সাইদীকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা গেল না কেন তাকে বিচের কঠগরায় রাখা হলো আর নিরিহ মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হলো ও হচ্ছে ?? পাখিও এখন এভাবে শিকার করা যায় না যেভাবে সরকারে পেটুয়া বাহীনি আজ জামাত শিবির ট্যাগ দিয়ে মানুষ মারছে।



বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি বললেন, পুলিস হেলমেট পরা থাকে, বুলেট প্রুফ জেকেট পরা থাকে, তাদের হাতে অস্র থাকে । তাদের দ্বায়িত্ব জনগনকে নিয়ন্ত্রনে রাখা, তাদের উপর ইটপাটকেল নিয়ে চড়াও হলেই গুলি চালিয়ে দেওয়া নয়। যে পুলিস নিজের জনগনর খুবকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, নিজের আত্ন রাক্ষা করতে পারে না তার উচিত পদত্যাগ করে চাকরি ছেড়ে দেওয়া। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিয়ে জনগনকে পেটানো তাদের দ্বায়িত্ব নয়।



সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিুযুদ্ধা কাজী ফিরোজ রশিদ আরও বলেন যে, "আজ শাহবাগের আন্দোলনে আরও দেখা যায় যে তারা দারি-টুপি পরিয়ে রাজাকারের পথিকৃতি বানিয়ে তাতে ফাসির দড়ি ঝুলিয়ে শিশু ও তরুনদেরকে কু শিক্ষা দিচ্ছে। তিনি বলেন সেই সময় কয়জন রাজাকারের দারি টুপি ছিল ?? কাদের মুল্লা যখন রাজাকর ছিল তার তখান দারি ছিলনা টুপিও ছিল না, সে নামাজও পরত কিনা তারও ঠিক ছিল না। কিন্তু আজ আমাদের নবীর সুন্নাত এই দারি-টুপিকে অপমান কারা হচ্ছে ।" সমগ্র ক্ষেত্রে রাজাকারের অভিনয় ও ছবি গুলোতে রাজাকার মনে দারিটুপি ওয়ালা লোক দেখানো হচ্ছে কিন্তু কু-খ্যাত রাজাকারদের সাকা দারি টুপি নাই , কাদের মুল্লারও সেই সময় দারি টুপি ছিল না। সাইদির একটু ছবি দেখা যায় সেটাতেও সেই সময় তার দারি টুপি ছিল না । ফেসবুকে মাঝে মাঝে রাজাকারদের শপথ নেওয়ার একটা ছবি দেখা যায় সেখানেও দেখবেন, কয়জন রাজাকারের দারি টুপি ছিল ?? তরুন প্রজম্মের কাছে আহব্বান আপনাদের মা-বাবাদের কাছে জিগেস করবেন সেই সময় কয়জন রাজাকেরর দারি টুপি ছিল ?? সেই সময় কোনো ভাল মানুষই রাজাকারে যুগ দেয় নাই গ্রামের চুর ছেসড়া গুলাই রাজাকারে যুগ দিয়েছিল তারা নামাজ রোজা দারি টুপির ধারা কাছেও ছিল না । তাই এক গোলম আজমের দারি টুপি রাজাকারের সিম্বল হতে পারে না । এটা নবীর সুন্নতের অবমাননা । কারা আজ এসব করছে ?? তাদের ব্যাকগ্রান্ড দেখুন, খুজ নিন তাদের সর্ম্পকে । কারা আজ শিশুদের কে শেখাচ্ছে দারি টুপে মনেই জামাত-শিবির রাজাকার ?? এরা কারা ?? খুজ নিলে দেখেত পাবেন এরা বামপন্থি কমিউনিস্ট নাস্তিক ধর্মবিদ্দেশী । এরা শুধু রাজনীতিক পরিবেষ ঘোলা করতে পারে কিন্তু কখনওই পরিপূর্ন ভাবে রাজনীতিক মাঠ দখল করতে পারে না । আজ আওয়ামীলিগে এদের সংখ্যাই বেশি তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলিগ, জাতিয় চার নেতার আওয়ামীলিক, কাদের সিদ্দিকির আওয়ামীলিগ, তোফায়েল আহমেদের আওয়ামীলিগ, আব্দুর রাজ্জাকের আওয়ামীলিগ আর নাই , আজকের আওয়ামীলিগ নাস্তিক (ভালমানুষ) নুরুফ ইসলাম নাহিদের আওয়ামীলিগ, এক কালের বাম মতিয়া চৌধুরির আওয়ামীলিক, আরেক চু- সুরুন্জিতের আওয়ামীলিগ, বেহায়া ইনি , দিলিপ বড়ুয়া, এরাই আজ আওয়ামীলিগ চালাচ্ছে এরাই আজ শেখ হাসিনাকে উপদেশ দিচ্ছে । আর তাই দেশ একে একে গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । শাহবাগ নাটক সাজানো হয়েছে দেশে হিংসা বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সত্যিকারের আওয়ামীলিগারা আজ নিরব বেদনায় ভুগছেন কিছু বলতে বা সইতেও পারছেন না, এ পারে ও পারে কোনো পারেই যেতে পারছেন না। বামীয় আওয়ামী দারা কৃত অপকর্ম আজ তোফায়েল আহমেদের মতো আওয়ামীলিগকে সংসদের দারিয়ে ডিফেন্ড করতে হয়। দেশ কোথায় যাচ্ছে ভেবেছেন কি একবারও ??



তাই আমি আবার বলবো কোনো হুজুগে কান দেবেন না নিজেকে হুজুগে জড়াবেন না। ছদ্ববেশে অনেক ফায়বাজ আবার চার পাশে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ঘুরোঘরি করছে। আর আপনি হয়তো ভাছেন তাদের সাথে না থাকলে আমার স্ট্যাটাস থাকবেনা, চেতনা থাকবে না তাই তাদের সাথে গা মিলাই। শাহবাগ যেয়ে মুক্তি যুদ্ধা হই, অথচ কারা যেন টিএসসিতে কয়টিল ফুটুলো শিবির আসছে বলে গুজব ছড়ালো তখন নাকি কথিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধাদের অনেকেই দৌরে ফালতে গিয়ে একে অনের সাথে ধাক্কা লেগে, ড্রেনে পরে আহত হয়েছেন। এই তাদের দ্বিতীয় মুক্তি যুদ্ধ এই তাদের সাহস । সরাকরি নিরাপত্তায় রাস্তা বন্ধ করে দুটি বড় হাসপাতালের রাস্তা আটকিয়ে রেখা তারা শাহবাগিস্ট হয়েছে তারা দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তি যুদ্ধা হয়েছে, তাদের নেতা প্রজন্মের জন্য ব্লগারবন্ধু ইমরান এইচ সরকার । কিন্তু তারা সত্যিকারে মুক্তিযুদ্ধাদের সমস্যান করতে যানে না যানে শুধু হিংসা বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিতে।

তাই আজ থেকে তাদের (শাহবাগিস্টদের) উপর আমার সর্বশেষ সর্মথন টুকুও আমি উঠিয়ে নিচ্ছে।



বিদায় শাহবাগ

গো হেল শাহবাগিস্ট



--------------------------------------------------------



যুদ্ধাপরাধের বিচারে আমার কোনো দ্বিমত নাই। এদের আপরাধ প্রমানিত হলে এদের শিরচ্ছেদ করা হোক। এদের বাপ-দাদা পাক মিলিটারিদেরকেও এনে বিচার করা হোক। এক জন সাইদি একজন গোলাম আজমের বিচারিক মৃত্যুর জন্য শত শত নিরিহ মানুষের অবিচারিক মৃত্যু আমার কাছে কোনো ভাবেই কাম্য নয়। আমি যদি ক্ষমতায় থাকতাম এদের বিচারের মুখোমিখুও করতাম না অনেক আগেই কোর্টমাশলে দিয়ে দিতাম। ব্রাশ ফায়ার করে এদের হত্যা করা উচিত ছিল যেহেতু এদের অপরাধ প্রমানিত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

সরোজ রিক্ত বলেছেন: হুমায়ন আহমেদ না, হুমায়ন আযাদ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: শিওর নাকি ??

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৪

আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: সরি তহালে । আমি আরও শেনেছিলাম হুমায়ন আহমেদ স্যার বলছেন । তাই কথাটা শোনে আমার খুব খারাপ লাগছিল।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৫

আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: সরি তহালে । আমি আরও শেনেছিলাম হুমায়ন আহমেদ স্যার বলছেন । তাই কথাটা শোনে আমার খুব খারাপ লাগছিল।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৯

১৯৭১-বাংলাদেশ বলেছেন: কাদের সিদ্দিকি, তিনি ৭১এ মহৎ কাজ করেছেন। এটা আমরা সবাই জানি।
কিন্তু তিনি এখন সেই চেতনাই নাই। তার আগের কাজের সাথে এখন কোন মিল নাই। সে এখন রাজাকারের মতই আচারণ করছে।

অনেক রাজাকার তো এখন ভাল ভাল কাজ করছেন...তো ???
যদি ও এগুলো ভণ্ডামি... কারণ সাইদির মত মানুষ কি করে ফোনে...

আমরা সবই জানি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.