নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিনের কোন শেষ নেই । এ এক অনন্ত ধারা....।

রক্তাক্ত-আমি

খুব বাজে স্বভাবের স্বর্থপর একটা বদ্ধ পাগল মানুষ আমি ! আমাতে কারো সুখ খুঁজতে নেই ! অনেক ইচ্ছা হয় ভালবাসবার, কিন্তু ভয় হয় মর্যাদা রক্ষার, তাই ভালবাসার সাথে আমার আঁড়ি, মাঝে মাঝে ভালবাসা আমাকে ধিক্কার দেয়, আমি প্রতিবাদ করতে পারিনা, মুখ বুজে মাথা নুইয়ে শুধু সয়ে যাই । অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি সৌন্দর্যে, একটু পরেই ঘোর কাটে, বুঝি সে আমার নয় ! এভাবেই কেটে যায় আমার না পাবার রিক্ত হস্ত জাগরিত প্রহরগুলো, আর দিবা - সে তো নিশির অপেক্ষার ব্যস্ততায় ! তাই অতৃপ্তির কষাঘাতকে অমরলোকীয় মেনে ভেতর থেকে কেউ বলে ওঠে - এই বেশ ভাল আছি ! জানি ভাল থাকতে নেই, ভাল মানুষ ভাল থাকেনা, নিজেকে ভাল বলে কখনো মনেও করিনা । শত বিপত্তির মাঝেও এই একটা সান্তনামূলক বাণীর গর্ভেই সন্তুষ্টি খুঁজে পাই । বার বার বাহুল্য দোষে দুষ্ট আমি, তাই বর্জনীয়, ঘৃণ্য, আর ভাগ্যের কাছে তো বার বারই অপদস্ত, নিগৃহিত, বিতাড়িত । খুব আশাবাদী, ওটাই বারবার সঞ্জীবণী শক্তি জুগিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে আমায় । বুঝেছি ভালবাসা না দিলে ভালবাসা পাওয়া যায় না, তাই তো এ জীবনে আর ভালবাসা হল না । ঝলসে যাওয়া এক নাগরিক আমি ।

রক্তাক্ত-আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্লীজ, প্লীজ, প্লীজ, কেউ এড়িয়ে যাবেন না ।।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৯

মাথার মধ্যে আগুন জ্বলছে। অক্ষমতায় সমস্ত হাত পা কাপছে।

আমি নিশ্চিত স্ট্যাটাস টি পড়ার পরে আপনার মাথার মধ্যেও আগুন ধরে যাবে।



ফেসবুকের এক ভাই একটু আগে মেসেজ দিলেন।

পুরো মেসেজ টা এখানে তুলে দিচ্ছিঃ

"ভাই, আপনার কাছে একটা হেল্প চাই। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে আমার এক বোন (কাজিন) আজ প্রথম ক্লাস করতে গেছে, আইটি ডিপার্টমেন্টে, ফার্স্ট ইয়ার।

ভাই! বোনটা আমার সারাদিন কাঁদল, কাঁদল আমার খালা...

কিছুই করতে পারলাম না ভাই!

ও জাহানারা হলে থাকে।

ওর ডিপার্টমেন্টের বড় আপুরা ওকে ডেকে শারিরীক এবং মানসিকভাবে লাঞ্চিত করে আধমরা করে দিয়েছে।

ওর বড় আপুরা ওকে বলেছে ক্লাসের বড় ভাইদের কাছে গিয়ে তোমার ব্রেস্টের মাপ দিয়ে আসো...ভাই! সব বলতে পারছিনা।

কাল ঐ বড় আপুরা সবাইকেই হলে থাকতে বলেছে, হল ছাড়া যাবেনা। আজ নাকি ওরা কেবল মাংস "ধুইছে", কাল "কশাবে"!

ভাই, আমাদের প্রভাবশালী কোনো মামা/খালু নেই।

আপনি তো ব্লগে লিখেন, এত বড় একটা গ্রুপ চালান-

আপনি চাইলে হয়ত কিছু করতেও পারেন।

আপনার ও বোন আছে, দয়া করে একজন ভাই হিসাবে একটু হেল্প করেন ভাই..."



ক্লাসের প্রথমদিন নতুনদের উপর র‍্যাগিং নতুন কিছু নয়।

প্রথমে র‍্যাগিং দিয়ে শুরু হলেও পরে ভার্সিটির বড় ভাই/নেতাদের মনোরঞ্জনে শরীরটাও বিকিয়ে দিতে হয় টিকে থাকতে হলে।

খবরের কাগজে/ব্লগে এগুলো নিয়ে পড়তে পড়তে অনেকের কাছে হয়ত ডাল-ভাতের মত হয়ে গেছে ব্যাপার টা।

কিন্তু মনে রাখুন-

আজ অন্য কারো বোন লাঞ্ছিত হচ্ছে, কাল হতে পারে আপনার বোন/আত্নীয় টিও।

ফ্রেন্ডলিস্টের সবার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, যে যেভাবে পারেন প্লীজ হেল্প করেন!

আপনাদের ফ্রেন্ডলিস্টে জাহানীরনগর ইউনিভার্সিটির কেউ থাকলে প্লীজ এগিয়ে আসুন।

আগামীকাল ঐ বোনটির লাঞ্ছিত হওয়া যেভাবে পারেন বন্ধ করেন।

আর একটি মেয়েও যেন লাঞ্ছিত না হয়, আর একটি মেয়ের স্বপ্ন যেন অঙ্কুরেই শেষ না হয়ে যায়।



সংগৃহীত

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০

খেয়া ঘাট বলেছেন: যারা করে র‌্যাগিংয়ের কালচার,
ওরা মানুষ নয়, ওরা জানোয়ার।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫১

মিনহাজুল হক অনিক বলেছেন: ঘটনা পুরোপুরি না জেনে শুধু স্ট্যাটাস পড়ে এইরকম একটি বৃহৎ ব্লগে তা শেয়ার করা ঠিক হয়নি!!! আমি যতটুকু জানি এই রকম মোটেও কিছু ঘটেনি। আর ওই মেয়ে শুরু থেকেই ক্লাসে নার্ভাস ছিল। এমনকি তার কান্না দেখে তার এক সিনিয়র আপু তাকে পানি পর্যন্ত খাইয়েছে।

আর আজ সিনিয়র আপুরা সবাইকে হলে থাকতে বলেছে তার কারন হল, নতুনদের আগমন উপলক্ষে তাদেরকে খাওয়ানো হবে,তাই। র‍্যাগিং এর জন্য না।

আর ব্রেস্টের মাপের কথা পুরাই ভিত্তিহীন।

এখানে সবার জানা উচিত যে, র‍্যাগকে এখন ভার্সিটি ও সমর্থন করেনা এবং এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, যার সাইনবোর্ড আপনারা জাগাঙ্গীরনগর ভার্সিটিতে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন।

আমি যতদূর জানি ঘটনা এইরকম কিছুই ঘটেনি, যা ওই মেয়ে বলেছে। কিন্তু সে কেন এইরকম বলেছে তা বোধগম্য না। যারা চাক্ষুষ দেখেছে আপনি তাদের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩০

খান মেহেদী ইমাম বলেছেন: ভাই জা শেয়ার করেছেন তার সত্যতা কতটুকু। তবে ভাই এটা ঠিক র‍্যগিং এক্তা নোংরা ব্যপার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.