![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবাদিকদের ওপর আরও বোমা মারা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ফরহাদ মজহার। এক সময়ের কথিত প্রগতিশীল এবং বর্তমানে চরম সাম্প্রদায়িক এই এনজিও ব্যবসায়ী দাবি করেন, সাংবাদিকরা পক্ষপাতদুষ্ট, গণবিরোধী এবং গণতন্ত্রবিরোধী। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাংবাদিকরাই দায়ী। সাংবাদিক নেতারা ফরহাদ মজহারের এই বক্তব্যকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং উস্কানিমূলক আখ্যায়িত করে বিচার দাবি করেছেন।
একুশে টেলিভিশনে গত সোমবার রাতে টকশোতে ফরহাদ মজহার সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিষোদ্গার করেন। সংবাদ মাধ্যমের ওপর জামায়াত জোটের হামলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এসব পটকা ফুটানো কমই হয়েছে। আরও বেশি বোমা মারা উচিত ছিল। একই টকশোতে জাতীয় পার্টি নেতা কাজী ফিরোজ রশিদও সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি। আমি যখন দেখব কোন সংবাদ মাধ্যম আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে তখন ওইখানে প্রতিঘাত করার অধিকার আমার রয়েছে। দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টার মনির হায়দারের পরিচালনায় টকশোতে জাসদের আসম আবদুর রবও উপস্থিত ছিলেন। তিনি অবশ্য সাংবাদিকদের প্রতি বিষোদ্গারে শরিক হননি। টকশোর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, এ ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মিডিয়ার ওপর আক্রমণ বাড়ছে। ফরহাদ মজহারকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। তিনি কেন এই সময় এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ফরহাদ মজহারের বক্তব্য চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন। তিনি এ ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় মিডিয়ার ওপর আক্রমণ বাড়ছে। তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া যে টেলিভিশনে বক্তব্য দিয়েছেন আশা করি সেই টেলিভিশন কর্তৃপক্ষও ফরহাদ মজহারের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন। মঞ্জুরুল আহসান বলেন, প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সম্পাদকীয় নীতি রয়েছে। সেই নীতি অনুযায়ী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। কোন ব্যক্তি একটি গণমাধ্যমের নীতির সঙ্গে একমত নাও হতে পারেন। তার মানে এই নয় যে, সেই গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরতে হবে। সেই গণমাধ্যমকে ধ্বংস করতে হবে। ফরহাদ মজহার বিভিন্ন সময় বলেছেন তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি বিশ্বাসী। তবে তিনি একাত্তর টিভি নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার বক্তব্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ বলেন, ফরহাদ মজহারের এ ধরনের বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে ছিন্নমূল বুদ্ধিজীবীতে পরিণত হয়েছেন। ফরহাদ মজহারের বক্তব্য দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। একুশে টিভিতে তিনি যে বক্তব্য প্রদান করেছেন, সেই বক্তব্যের মাধ্যমে ফরহাদ মজহার গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রের জন্য অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। কেন তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান এ সাংবাদিক নেতা।
ঢাকা সাব এডিটর কাউন্সিলের সভাপতি এনায়েত ফেরদৌস বলেন, ফরহাদ মজহার গণমাধ্যম নিয়ে যে কথা বলেছেন সেটা কোন সুস্থ মানুষের কথা নয়। তিনি অসুস্থ মানুষের মতো কথা বলেছেন। তার এ ধরনের বক্তব্য প্রতাহার করে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এনায়েত ফেরদৌস আরও বলেন, ফরহাদ মজহার বিভিন্ন সময়ে বিতকির্ত বক্তব্য দিয়ে মিডিয়ায় আসতে চান। এটা তার কোন কৌশলও হতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকা অফিস লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়। একাত্তর টেলিভিশন, দেশ টেলিভিশন, ভোরের কাগজ, বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর ইত্যাদি অফিস লক্ষ্য করে বোমা ও ককটেল হামলা করা হয়। এসব হামলায় গণমাধ্যম কর্মীরা আহত হন। একাত্তর টেলিভিশন কার্যালয়ের সামনে বোমা হামলায় চ্যানেলটির সিনিয়র নিউজ এডিটর জাকারিয়া আকন্দ বিপ্লব ও ক্যামেরা পারসন আলমগীর হোসেন আহত হন। এরই মধ্যে ফরহাদ মজহার গণমাধ্যম নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য প্রদান করেন।
সংবাদ মাধ্যম সম্পর্কে ফরহাদ মজাহার ও কাজী ফিরোজ রশিদ যে বক্তব্য রাখেন তা ছিল এমনইÑ কাজী ফিরোজ রশীদ এই যে টেলিভিশন চ্যানেলের ওপর যে উপর্যপুরি হামলা হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু তার সঙ্গে আমরা বলতে চাই যে আপনারা যারা সংবাদকর্মী আপনাদের কাছ থেকে জনগণ কিন্তু নিরপেক্ষতা আশা করে। আমি যখন দেখব.....
মনির হায়দার- আমরা কি পক্ষপাতিত্ব করছি বা নিরপেক্ষতা হারিয়েছি? মানে আমরা গণমাধ্যম কি নিরপেক্ষ নই?
কাজী ফিরোজ রশীদ- অবশ্যই... আর না হলে কেন এই হামলা হবে? আমি এটা বলতে চাই যে, আমি যখন দেখব, আমি রাজনীতি করি, আমার প্রতিপক্ষ সংবাদপত্র, সংবাদকর্মী বা চ্যানেল দাঁড়িয়ে গেছে তখন ওইখানে প্রতিঘাত করার সমস্ত অধিকার কিন্তু ওই যাদের বিরুদ্ধে তারা দাঁড়ায়, প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তাদের থাকে। কারণ এরা তো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামছে। এক সময় বিটিভিকে বলা হতো সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্স। উনি লিখছেন, এই ফরহাদ মজহার সাহেব আছেন, সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্স। এখন তো খালি গোলামের বাক্স হয়ে গেছে! কি দুর্ভাগ্য!!। সাহেবও নাই বিবিও নাই শুধু গোলাম, হায় হায় রে বিটিভি !! কি দৈন্যদশা !!
এই যে সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত এ সমস্ত বড় বড় চোরদের দেখি ওখানে বসে কথা বলে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত... তারা ওখানে বসে কথা বলে। কোথায় দেশের অবস্থা আজকে? তারপর অন্য চ্যানেলের কথা আমি বলব না, কিন্তু আমি সবাইকে বলতে চাই, যে দেখেন আপনাদের.... দেশের প্রতি যেমন সবার একটি ভালবাসা আছে, দায়িত্ববোধ আছে, আপনারা যার যার দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্বের বাইরে গেলে কিন্তু এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।
মনির হায়দারÑ জি... জনাব ফরহাদ মজহার...
ফরহাদ মজহার- জি আমি আপনাকে... একটা হচ্ছে প্রথমত, সংবাদ মাধ্যম সম্পর্কে এটা একটা সত্য কথা যে, বাংলাদেশে এখনকার যে গণমাধ্যমগুলো তারা নিরপেক্ষ তো নয়ই, একই সঙ্গে তারা গণবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যদি কাউকে দায়ী করতে হয়, মানে আমি আপনাদের থেকে ভিন্নরকম বলব... আমি তাদেরই দায়ী করি। আপনি আজকে এই যে বিরোধী মতকে আপনি দমন করছেন এবং ক্রমাগত আপনি গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে কোন বিরোধী চিন্তাকে আপনি হাজির করতে দিচ্ছেন না। আপনি অল্প কিছু ব্যক্তিকে, যেমন টকশোতে ধরুন, অল্প কিছু ব্যক্তিকে যে ক্রমাগত পুতুলের মতো তাদের আপনি দেখাচ্ছেন সারাদেশের জনগণের কাছে, সমাজে যে আরও বহু শ্রেণী এবং শক্তি আছে, এখানে যে বিরোধী দল বলে একটা আছে, তাদের যে পক্ষে কথা বলার, তাদের বক্তব্য হাজির করার আপনি কোন পরিস্থিতি রাখছেন না... তো এটা তো স্বভাবতই এটা শেষ হবে বোমাবাজিতে। কারণ আপনি যখন কাউকে কথা বলতে বন্ধ করে দেবেন, স্বভাবতই এটা শেষ হবে সন্ত্রাসে। কারণ আপনি তো আমার কথা বলতে... আপনি তো সন্ত্রাস গড়ে তুলেছেন। তাহলে বাংলাদেশে সন্ত্রাস শুরু করেছে গণমাধ্যম। এটা পরিষ্কার বুঝতে হবে আমাদের।
ফিরোজ ভাইয়ের কথা থেকে ধরে নিয়ে আমি বলব এটা আমাদের প্রত্যেককে উপলব্ধি করতে হবে। আশা করি গণমাধ্যমের লোকও শুনছে। আমি বাংলাদেশের অনেকগুলো গণমাধ্যমকে পরিষ্কার টেলিফোনে বলেছি, আপনারা সন্ত্রাসী, আপনারা এ দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আপনাদের টেলিভিশনে আমি যাব না। অনেকগুলো গণমাধ্যম তো দুর্বৃত্ত, দুর্নীতিবাজদের গণমাধ্যম।
কাজী ফিরোজ রশীদ- উৎসাহ দিচ্ছে...।
ফরহাদ মজহার- আমি মনে করি এটা বুঝতে হবে আমাদের। আমি তো মনে করি এই পটকা ফোটানোটা খুব কমই হয়েছে। মূলত আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল। কারণ যে কোন দেশে এরকম পরিস্থিতিতে অনেক বেশি রেজিস্টেন্স জনগণের কাছ থেকে ঘটে। এটার পক্ষে আপনি দেখবেন যে জনগণ...।
মনির হায়দার- তাহলে আমরা কি এদেশে থাকব না? এটা যদি আরও ক্রমবর্ধমান হারে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে?
ফরহাদ মজহার- খুবই ভাল প্রশ্ন করেছেন। আমরা বলতে আপনি কাকে বোঝাচ্ছেন?
মনির হায়দার- নাগরিক
ফরহাদ মজহার- না আপনি নাগরিক নন। কারণ আপনি নাগরিক হলে প্রথম আপনার উচিত ছিল দাবি করা, গণমাধ্যমে আমাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া। আজকে আমরা কথা বলছি। আজকে বাংলাদেশের একজন সংবাদপত্রের সম্পাদক জেলে। আমি যখন কথা বলছি, তখন দিগন্ত টেলিভিশন বলে একটা টেলিভিশন যেটা বিরোধী দলের কথা বলত, সেটা বন্ধ- অন্যায়ভাবে। আমি যখন কথা বলছি, ‘আমার দেশের’ প্রেসকে আপনি বন্ধ করেছেন অন্যায়ভাবে। আমি যখন কথা বলছি ইসলামিক টিভি বন্ধ, আমি যখন কথা বলছি চ্যানেল ওয়ান বন্ধ। তো আপনি এটার কি ব্যাখ্যা করবেন? আপনার কারা গণমাধ্যমের লোক?
মনির হায়দার- আপনাদের এই চ্যানেলগুলো তো প্রচলিত সরকারের বিরোধিতা করত বেশি বেশি।
ফরহাদ মজহার- যাই করুক না কেন। আজকে যদি সরকারের পক্ষে নয় আমি বিরোধিতা করব। তাদের কথা বলার অধিকার আছে। যেই কণ্ঠস্বরগুলো অন্যদের রিপ্রেজেন্ট করে, অন্যদের কথা বলে। সে যেই দলেরই হোক না কেন। আপনি তো তারই গণতান্ত্রিক অধিকার মানছেন না! আপনারা গণমাধ্যমই মানেন না। অন্যদের কথা বাদ দেন। আপনার গণমাধ্যমের কর্মীরা আপনারা কখনও আজকে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন কি? দাঁড়াননি। আপনারা কি আজ দিগন্ত টিভির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন? দাঁড়াননি। আপনার কি ইসলামিক টিভির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন? দাঁড়াননি। আপনারা চ্যানেল ওয়ানের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ? দাঁড়াননি।
তাহলে আপনাদের তো বোমা মারাই উচিত...
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
ওপেস্ট বলেছেন: বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের এক অংশের বিবৃতির জবাবে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়েছে।
সরকার সমর্থক ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বিবৃতির জবাবে আজ (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। ফরহাদ মজহার বলেন, "ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একটি অংশের বিবৃতি দেখে আমি স্তম্ভিত, বিমূঢ় এবং হতবাক। সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ খুবই দুঃখজনক। গণমাধ্যমের ওপর কেন এই ধরণের হামলা হয়, আমি ২৮ অক্টোবর রাতে ‘একুশের রাত’ টকশোতে তারই ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ হাজির করেছি। কিন্তু সে বিশ্লেষণ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তারা নিজেরা নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করলেই বুঝবেন। তারা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে এই বিষোদগার করছেন।"
তিনি বলেন, "আমি সুস্পষ্টভাবে সেদিনের টকশোতে বলেছি, ‘আমি এর আগে যে বোমার কথা বলেছি এই অর্থে কথাটা বলেছি যে আমি স্বভাবতই কখনই চাইব না কেউ পটকা, নিন্দা বা ঢিলও যেন গণমাধ্যমের ওপর ছুঁড়ুক। এটা কথার কথা, rhetoric। আলোচনা করার জন্য, যাতে আমরা বুদ্ধিজীবীরা গণমাধ্যমের কর্মীরা বুঝতে পারি যে, এই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া একমাত্র দায়ী নয়। আমরা আমাদের ভুমিকার কারণে আজকে এই পরিস্থিতি আমরা তৈরি করেছি।"
ফরহাদ মজহার বলেন, "টেলিভিশন টক শোতে আমি কী বলেছিলাম তা পর্যালোচনা না করে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ যে অসহনশীল বক্তব্য দিয়েছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। একজন নাগরিকের শুধুমাত্র টেলিভিশনের একটি টক শোতে একটি বিশ্লেষণমূলক বক্তব্যকেই বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সকল হামলার জন্য দায়ী করা সাংবাদিক নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। সাংবাদিকের কাজ হচ্ছে সত্য উদ্ঘাটন করা, কিন্তু তারা নিজেরাই মিথ্যাচার করছেন।"
তিনি আরও বলেন, "গণমাধ্যমের ওপর দুঃখজনক হামলার যে ব্যাখা ও বিশ্লেষণ আমি করেছি তার সঙ্গে তারা একমত না হলে ভিন্ন ব্যাখ্যা হাজির করতে পারেন। কিন্তু সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তা না করে আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের দাবিই শুধু করছেন না, আমার কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন। তারা এতোই প্রতিহিংসাপরায়ন হয়েছেন যে, সারাদেশের সাংবাদিকদের ওপর হামলার জন্য আমাকে এককভাবে দায়ী করে আমাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্যাতনের জন্য উস্কানি ও হুমকি দিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতার যে নজির তারা সৃষ্টি করেছেন তা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে কলংকজনক, নিন্দনীয় ও প্রতিহিংসামূলক অধ্যায় হিসেবে চিরকাল চিহ্নিত হয়ে থাকবে।" বিবৃতিতে নিজের নিরাপত্তা হুমকির মুখে বলেও দাবি করেন ফরহাদ মজহার।
গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে 'উস্কানিমূলক' বক্তব্য রাখার অভিযোগে গতরাতে কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পুলিশ।
গতকাল তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছিলেন, ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক নেতারাও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। এরপরই তার বিরুদ্ধে জিডি করা হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: পবিত্র আইন-আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, প্রত্যাখ্যান করে ৩ মাস ঢাকার সড়ক পথ অচল করে শাহবাগের নামে যে মাৎসন্যায় চললো এবং তাতে সরকার ও গণমাধ্যম কাধে কাধ মিলিয়ে সংগ্রামের যে রঙ্গ মঞ্চ তৈরি করেছিল---সেখানেই অনেক কিছু বুঝা হয়ে গেছে জনগণের ।
ঠিক কখন সড়ক পথ দখল করে রাখাটা দেশপ্রেম আর আদালতের রায় অবমাননা করে শ্লোগান দেয়াটা মুক্তিযুদ্ধ--সেই ধারাটাও পরিষ্কার।