![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের মত দক্ষিণ এশিয়ার একটি গণতান্ত্রিক ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র। সুতরাং অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে একটি জনসমর্থিত সংবিধান রয়েছে এবং সবাই সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সংবিধান বহির্ভূত কোন প্রকার বিধান মানতে জনগণ নারাজ। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ইহার অধীনে নির্বাচন, এটি একটি আলোচিত ও সমালোচিত কলঙ্কিত বিধান, নিুে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় দেশপরিচালনার কূফলগুলো উল্লেখ করা হল।
প্রত্যেক দেশের অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক হুমকি স্বরূপ।তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতান্ত্রিক বর্হিভূত, কারণ এটা জনগণের সমর্থনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় না। ফলে জনগণের মধ্যে একটা ভীত সন্ত্রস্থ কাজ করে এবং সারাদেশেব্যাপি কঠিন সমালোচনার সম্মুখীন হয়।
তত্তাবধায়ক সরকার মানে দেশের অস্থিরতা ও নৈরাজ্য পরিস্থিতির মাধ্যমে জনগণের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গণতন্ত্র নামক প্রতিষ্টানের একটি বড় ব্যধি যা পরবর্তীতে ইহার প্রতিফল সমস্ত উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের উপর দারুণভাবে প্রভাব ফেলে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ জনগণ এ সরকারের উপর পরিপূর্ণ আস্থা রাখতে পারেনা। অতএব জনগণের মধ্যে একটা সন্দেহ প্রবণতার কাজ করে।
যেসব বিশেষ ব্যক্তিবর্গ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত সেসব ব্যক্তিবর্গ উচ্চশিক্ষিত হলেও রাষ্ট্র পরিচালনা করার মত তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই ফলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে পরবর্তী সরকারের উপর প্রেসার পড়ে ও দেশ গঠনে কঠিন সমস্যার সম্মুখিন হয়।
দেশের অভ্যন্তরীন ব্যবসা, বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ থাকেনা, দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতি, মুদ্রাস্ফিতী, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ব্যহতসহ জটিল সমস্যার সম্মুখিন হয়ে পড়ে।
উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহ এ অবৈধ সমকারকে কোন প্রকার সহায্য সহযোগিতা থেকে বিরত থাকে ফলে আমদানী ও রপ্তানীর পরিমান শূন্যে নেমে আসে, ফলে জনগণ কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়ে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হল কৃষি সম্পদ। কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে সকল উপকরণ কৃষির নাগালের মধ্যে রাখা বড় জরুরী কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন কৃষির উপর সুদৃষ্টি না রাখার কারণে দেশে জিডিপির পরিমান একেবারে কমে আসে ফলে দেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে ভগুর হয়ে পড়ে। ফলে কৃষক হতাশার দিন কাটায়।
অপরপক্ষে জনগণ তার মৌলিক অধিকার হারিয়ে ফেলে বিশেষ করে চলাফেরার স্বাধিনতা, বাক্ স্বাধিনতা এমনকি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। এহেন পরিস্থিতিতে জনগণ এ ধরণের সরকার চাইনা বরং দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন হওয়ার মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক মনোভাব সচল রাখা সম্ভব।
এ ধরণের সরকার স্বল্প সময় আসে বলে উপদেষ্টাগণ কম সময়ের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষন করে যাতে তারা আরো অধিক সময় ক্ষমতায় থাকতে পারে এবং অল্পকিছুদিনের তারা বিভিীন্ন নিয়মবিহির্ভূত কাজে জড়িয়ে পড়ে। আর সেসব কাজকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পূর্বের দলীয় সরকারের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন ও জুলুম করে ও তাদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসায়ে নিজেদের অবস্থানকে ঠিক রাখে। যাহাতে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে না পারে। অতএব তত্ত্বাবধায়ক সরকার কখনো মঙ্গলজনক নয় বরং একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে যখন রাষ্ট্র নামের যন্ত্র পরিচালিত হয় ঠিক একই সময়ে কিছু সরকারী কর্মকর্তা বিহঙ্গের মত উড়তে থাকে এবং যা ইচ্ছা তাই করতে থাকে বলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যহত হয় এবং তারা বিভীন্ন দূর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে। সুতরাং নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে সরকার গঠনে ইহার খারাপ প্রভাব পড়ে।
অতএব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার অল্পসময়ের মধ্যে যেসব পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যাই তা গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এসে সেসব পরিস্থিতিকে সামলিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে দীর্ঘ সময় লেগে যাই যাহা পরবর্তীতে সরকার বিভিন্ন রোষানলে পড়ে জনগণের দ্বারা সমালোচিত হয় ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাতির জন্য কলঙ্কময়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পরবর্তীসময়ে আইনাশৃঙ্খলা চরম অবনতির দিকে যেতে থাকে কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা, কর্মচারী বেপরোয়া হয়ে ওঠে এমনকি তারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মূলত এক নামফলক মাএ। এর পিছনে রয়েছে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিরক্ষা বাহিনী, যে বাহিনী তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে একধরণের জিম্মি করে দেশ পরিচালনা ও সকল প্রকার কলকাঠি নাড়ায়। আর সে কলকাঠি এমন বিপদসংকুল যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হতবিম্ব হয়ে পড়ে। ফলে দেশ সামরিক বাহিনীর হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অতএব, পরিশেষে এ কথা বলতে চাই যে আর নয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। কারণ, এরিস্টটলের ভাষায় constitution is the way of life. তাই এই মতবাদকে সফল করতে হলে সংবিধান অনুযায়ী সকল কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা জরুরী। এজন্য চাই জনসচেতনতা, তাই গান্ধিজী বলেছেন, conscious is the great weapons to solve all problems. অতএব, জনসচেতনতার মাধ্যমে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করে তত্ত্বাবসরকারকে বাতিল করে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাকে অব্যাহত রেখে রাষ্ট্রকে সুষ্ঠ পথে পরিচালিত করে দেশগঠনে গুরুত্বপূর্ন পালন করা সকলের দায়িত্ব ও কতৃর্ব্য।অতএব সকলের বুঝতে আর বাকি নাই যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আশীর্বাদ না অভিশাপ?
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০
আহমেদ রশীদ বলেছেন: সেমিবস দেখছি খেলা নিয়েই ব্যস্ত আছে, এখন বাংলাদেশে যে খেলা চলছে এটা এখন দেখার বিষয়।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
বিজন শররমা বলেছেন: দালালী করার জন্য কত মিথ্যা কথা বলতে হয়, বিবেক নামের মানুষের অন্তরের পরিচালককে কেমন করে মেরে ফেলতে হয়, এই লেখা তার প্রমান ।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: সেমিবস হাছা কতা কইছেন । আহমেদ রশীদ বাই লী করেন তাই এই পু্স্ট ।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯
শাহীন উল্লাহ বলেছেন: গত দুই বছরের তত্বাবধায়ক সরকারকে কে ভয় পেয়েছে?????
জিজ্ঞেস করুন???? যারা দুর্নিতী করেছে তারাই ভয় পেয়েছে------------
তাহলে কি আমরা দুর্নিতি পরায়ন একটি দেশ চাই???
আর যে রাজনীতিবিদ রা চলি্লশ বছরে একটা নির্বাচন করতে পারে না, তাদের কাছ থেকে আর কি আশা করা যায়???
দুর্নিতি আর অন্যদেশের চামচামি????
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
চারশবিশ বলেছেন: আপনার নোটটা ছাত্রদের খুবই কাজে লাগবে
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২০
এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: আমি ভাই রাজনীতির অতশত বুঝি না তবে সত্যি বলতে আমি যেটা অনুধাবন করেছি গতবার ফকরুদ্দিনের সময়টাতে সবচাইতে সুখী ছিল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। (অবশ্য দূর্নীতিবাজ জন্য ছিল সবচেয়ে খারাপ সময়)
..............
এই আওয়ামী আর বিএনপি যাই বলেন দুটোই দেশের জন্য সার্বিকভাবে ক্ষতিকর। (জামাত,চাচা এদের তো নামই মুখে আনা যায় না)
.............
এবারও ভোটটা না ভোটে দিতে হবে সম্ভবত।
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২
~*~নির্ঘুম~*~ বলেছেন: তা দাদা কত পেলেন এই পোস্টের জন্যে :>
৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
বিডি আমিনুর বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে হারুন বাইয়ের কথা মনে পড়ে যায় ।
১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
রবিউল ৮১ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম জ্ঞান পাপী কাদের বলা হয়।
১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
তিক্তভাষী বলেছেন: বাংলাদেশে একটি জনসমর্থিত সংবিধান রয়েছে!
কিভাবে জানলেন? গনভোট নিয়েছিলেন? তত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সমস্ত জরীপ কিন্তু উল্টো কথা বলছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২
সেমিবস বলেছেন: দূর্নীতিবাজরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভয় পাবেই এটা জানা কথা
আপনার জন্য রাজনীতি নয়, খেলায় আসুন
Click This Link