নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগই কি সমস্যার সমাধান?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০

সোমবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরপরই জামায়াত-বিএনপির পূর্ব ঘোষিত সংঘাত সন্ত্রাসের চাকা পুরোদমে সচল হয়ে গেছে। সারাদেশে গাড়ি পুড়ছে, থানা পুলিশ আক্রান্ত হচ্ছে, রেল লাইনের ফিস প্লেট আর স্লিপার তুলে ট্রেন লাইনচ্যুত করে যাত্রী আহত করছে, ট্রেনের বগি আর রাজনৈতিক দলের অফিসে আগুন দিচ্ছে, আওয়ামী লীগের মিছিলে গুলি ছুঁড়ছে, আগুনে পুড়িয়ে নিরীহ শ্রমজীবী মানুষ মারছে। এই তাণ্ডবের প্রথম দিন কুমিল্লায় একজন বিজিবি সদস্য পিকেটারদের হামলায় নিহত হয়েছেন। এর আগেও পিকেটার নামক এই সন্ত্রাসীদের হামলায় তেরোজন পুলিশ, একজন বিজিবি আর একজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। পুলিশের সাথে সংঘাতে মানুষ মরছে, দেশের লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী তাদের পরীক্ষা দেয়া হতে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের তাণ্ডবের প্রথম দিন সাতজন মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। এর আগে অবশ্য মির্জা ফখরুল সাহেব ঘোষণা করেছেন হরতালের দিন দুই একটা গাড়ি পোড়ালেই হবে না, যে মুহূর্তে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে সেই মুহূর্ত হতে বিএনপির হাজারে হাজারে সোনার ছেলেকে রাস্তায় নেমে এসে নগর লোকালয়ে অগ্নিসংযোগ করে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে হবে। সেই ধ্বংসযজ্ঞ এখন শুরু হয়েছে। এইসব ভয়ংকর সন্ত্রাসকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আর যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আখ্যায়িত করেছেন শান্তিপূর্ণ গণবিস্ফোরণ হিসেবে। তারা বলেই যাচ্ছেন- তাদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবিকে সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে সুতরাং তাদের বিজয় অনিবার্য। গত ২২ তারিখ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ দলের ব্যানারে জামায়াত শিবিরের একটি সমাবেশ হয়েছিল। সেই সভায় আবার দুর্ভাগ্যজনকভাবে সভাপতিত্ব করেছিলেন একাত্তরের একজন মুক্তিযোদ্ধা, সাদেক হোসেন খোকা। সেই সমাবেশে মহানগর জামায়াতের একজন সিকি নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ হুঙ্কার দিয়ে ঘোষণা করেছেন তাদের নেতা কাদের মোল্লার রায়ের কিছু হলে ৫৫ হাজার বর্গমাইলে আগুন জ্বলবে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মিরপুরের কসাই হিসেবে খ্যাত কাদের মোল্লার ফাঁসির হুকুম হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে কোন সময় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হবে এবং তা হলে আইন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই রায় কার্যকর হবে। সুতরাং বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষ সারাদেশে আগুন জ্বলা দেখতে এখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে অপেক্ষা করছে।



১৮ দলীয় নেতৃত্বাধীন বিএনপি দু'বছর আগে আন্দোলনের নামে এই পর্যায়ের সর্বগ্রাসী সন্ত্রাস শুরু করেছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বেআইনী ঘোষিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে। বিএনপিতে আইন বিশেষজ্ঞের অভাব নেই। আদালত যে রায়ে বলেছে এমন একটি সরকার ব্যবস্থা (ত্রয়োদশ সংশোধনী) সংবিধানের মূল কাঠামোর (নধংরপ ংঃৎঁপঃঁৎব) পরিপন্থী তা কীভাবে সংবিধানে পুনঃস্থাপন করা সম্ভব তা তারা পরিষ্কার করে কখনো বলেন না। তারা বলেন- এটি একটি মীমাংসিত ইস্যু ঠিক যেমন করে তাদের মিত্র জামায়াত বলে যুদ্ধাপরাধের বিষয়টা মীমাংসিত ইস্যু। প্রথমে এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনের সময় বলা হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় তিনটি সংসদ নির্বাচন হতে হবে। ১৯৯১-এর নির্বাচনের পর পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাই ১৯৭২-এর সংবিধানে ফিরে গিয়েছিল এবং বাকি দুই টার্ম নিয়েও কেউ তেমন একটা উচ্চবাচ্য করেনি কারণ এটা ধারণা করা হয়েছিল যে গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধারের জন্য তিনজোট যে আন্দোলন করেছে তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বেগম জিয়া দেশ পরিচালনা করবেন। কিন্তু তিনি মাগুরা উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা তছনছ করা শুরু করলেন এবং তা ঢাকা-১০ ও মিরপুর উপ-নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তখন আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে আওয়ামী লীগের অধীনে আন্দোলনের সূত্রপাত হলো এবং তা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদে গৃহীত হলো। ২০০৬ সালে এসে আবার বেগম জিয়া এই ব্যবস্থাকেও বারটা বাজালেন যার ফলে এক-এগারোর আবির্ভাব এবং দু'বছর একটি সেনাশাসিত সরকার দেশের মানুষের উপর চেপে বসলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যদি মামলা না হতো হয়তো এই ব্যবস্থা এখনো বহাল থাকতো। ১৯৯১ সাল হতে শুরু করে চারটি সংসদ নির্বাচন এরকম সরকার ব্যবস্থার অধীনে সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয়ত আর একটি বিষয় বিএনপির নেতারা এবং কোন কোন সুশীল সমাজের পণ্ডিতজনেরা প্রায়শ বলে থাকেন যে উচ্চ আদালত নাকি আগামী দুই মেয়াদের জন্য বেআইনী হওয়া সত্ত্বেও এই ব্যবস্থা বহাল রাখতে বলেছেন। এটি একট কুতর্ক। এই মামলাটি ২০০৫ সালে জনৈক এ্যাডভোকেট এম সলিমউল্লাহ রীট মামলা হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়ের করেন। তিনি তার মামলায় ত্রয়োদশ সংশোধনী(তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) সংবিধানে অন্তর্ভুক্তিকরণ চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, অন্য কিছু নয়। সুতরাং তর্কিত বিষয় ছিল এই সংশোধনীটি বৈধ কী না সে বিষয়ে, অন্য কোন বিষয় নয়। নানা ধাপ পার হয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয় 'অতএব, সংবিধানের (ত্রয়োদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯৬, ২০১১ সালের ১০ মে তারিখ হইতে ভাবীসাপেক্ষ ভাবে (ঢ়ৎড়ংঢ়বপঃরাবষু) অসাংবিধানিক তথা অবৈধ ঘোষণা করা হইল।' রায়ের বাইরে আদালতের অনেকগুলো পর্যবেক্ষণ আছে। পর্যবেক্ষণ সাধারণত বাধ্যতামূলক হয় না (হড়হ নরহফরহম)। এমন একটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে 'উপরোক্ত নীতিসমূহের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সাময়িকভাবে শুধুমাত্র পরবর্তী দু'টি সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে থাকিবে কি না সে সম্বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জনগণের প্রতিনিধি জাতীয় সংসদ লইতে পারে।' প্রথমত যে মুহূর্তে উচ্চ আদালতের রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করা হয়েছে সেই মুহূর্ত হতে নির্বাচন ব্যবস্থা আপনা-আপনি ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফেরত গেছে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে বিষয়টি শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে অন্য আরো একাধিক বিষয়ের সাথে সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। রায়ে বিজ্ঞ আদালত তার পর্যবেক্ষণে আরো বলেছেন 'জাতীয় সংসদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিদেরকে বাদ দেওয়ার জন্য আইন প্রণয়ন করিতে পারে, কারণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার স্বার্থে তাহাদিগকে সম্পৃক্ত করা বাঞ্ছনীয় নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধুমাত্র জনগণের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্যগণ দ্বারা গঠিত হইতে পারে, কারণ জনগণের সার্বভৌমত্ব ও ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র, প্রজাতান্ত্রিকতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের নধংরপ ংঃৎঁপঃঁৎব এবং এই রায়ে উক্ত বিষয়গুলির উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হইয়াছে।' জাতীয় সংসদে যখন এই বিষয়গুলো আলোচিত হয় তখন বিএনপি সংসদে অনুপস্থিত ছিল। এর পূর্বে পঞ্চদশ সংশোধনী অন্তর্ভুক্তির আগে সরকার বেগম সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের তাদের মতামত দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আমন্ত্রণেও বিএনপি সাড়া দেয়নি। কিন্তু যে মুহূর্তে সংসদ উচ্চ আদালতের রায় সংবিধানে প্রতিস্থাপন করলো তখন হতেই বিএনপি আর জামায়াত মিলে দেশে এক চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করলো। আসলে শুরু হতেই তাদের উদ্দেশ্য কখনো সত্ ছিল বলে মনে হয় না। নানা অজুহাতে তারা দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে, নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সামিল হয়েছে, দেশের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে, জনজীবনকে চরম দুর্ভোগে পৌঁছে দিয়েছে। এখন তারা অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে ধুয়া তুলেছে নির্বাচনকালীন সময়ে শেখ হাসিনা সরকার প্রধান থাকতে পারবেন না। কেন পারবেন না তা কিন্তু পরিষ্কার নয়। এর কারণ কী তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর কন্যা তাই ? নাকি তিনি সরকার প্রধান না থাকলে ১৯৭৫-এর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা সহজ হবে সেটাই কারণ ? এটি যদি সত্য হয় তাহলে বন্ধুবর ড. মুনতাসীর মামুন যে প্রায়শ বলে থাকেন 'বঙ্গবন্ধু একটি অনিচ্ছুক জাতিকে স্বাধীন করে গিয়েছিলেন,' তার সেই বক্তব্যকে মেনে নিতে হয়।



বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা কোথায় গিয়ে শেষ হবে জানি না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুশীল সমাজের বেশ ক'জন সম্মানিত সদস্য বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন। সাথে ছিলেন গণফোরামের সভাপতি ডঃ কামাল হোসেন। তিনি একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি এবং একটি ওয়ানম্যান পার্টির সভাপতি। তিনি কোন সংজ্ঞায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি তা বুঝার চেষ্টা করছি। বাকিদের মধ্যে একজন আছেন যার একটা দোকান আছে, যার ব্যানার টাঙ্গিয়ে প্রতিনিয়ত তিনি জনগণকে বোকা বানানোর জন্য নিরলস পরিশ্রম করেন। অনেকের মতে মির্জা ফখরুল ইসলাম এই ব্যক্তির চেয়ে অনেক বেশি নিরপেক্ষ বক্তব্য রাখেন। দেশের ক্ষমতার পালাবদল হলে তিনি সকলের আগে রাস্তায় মিছিল বের করবেন। একজন আছেন যিনি মনে করেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৬০টির বেশি আসন পাবে না। শেখ হাসিনা বেশি বাড়াবাড়ি করলে আর একটি ১৫ আগষ্ট ঘটতে পারে। সুশীল ব্যক্তিরা বঙ্গভবনে গিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে চলমান রাজনৈতিক সংকটের কথা বলেছেন এবং তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যদিও তারা সকলে জানেন এই ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। রাষ্ট্রপতি তাদের বলেছেন— তিনি সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে যতদূর করা সম্ভব চেষ্টা করবেন। এই সুশীলরা কী বেগম জিয়ার কাছে গিয়ে এই অনুরোধ রাখতে পারেন যে তাঁর সৈনিকরা দেশের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তা বন্ধ করতে? আর তা যদি সম্ভব না হয় অন্তত এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিরুদ্ধে যদি একটা বিবৃতি দিতেন তাহলে তাও কিছুটা গুরুত্ব পেত। কেউ যদি মনে করেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তারা মনে হয় বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এরপর আসবে নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে। তারপর হয়তো দাবি উঠবে সেনা ও পুলিশ প্রধানকেও যেতে হবে। তারপর জামায়াতের খায়েশ পূরণ করার জন্য বলা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের সাজা হয়েছে তাদের সকলকে মুক্তি দিতে হবে এবং উচ্চ আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল রায় স্থগিত করতে হবে। বেগম জিয়ার দুই পুত্রকে দেশের বাইরে রেখে তো আর নির্বাচন করা যায় না। সুতরাং 'চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র' সার্টিফিকেট দিয়ে তাদের সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে সব সমস্যার একটি সমাধান আছে। সেটি হচ্ছে যে কোন উপায়ে বেগম জিয়াকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা। ভেবে দেখবেন কী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? আপনিতো বলেছেন বিএনপি যে মন্ত্রণালয় চাইবে তাই তাদের দেয়া হবে। অনেকে মনে করছেন এতে দেশের মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। অবশ্য এখানে থামা যাবে না। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করে জামায়াত-বিএনপির হাতে দেশটাকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ছেড়ে দেয়ার কথাও চিন্তা করা যেতে পারে। যে দেশের মানুষ যেমন শাসকের যোগ্য তারা তাই পায় এমন কথা শাস্ত্রে লেখা আছে। সব শেষে আমার এক অগ্রজের একটা উক্তি দিয়ে লেখাটি শেষ করি। তার মতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দশ কোটি। জানতে চাই বাকি ছয় কোটির কী হলো? তার সহজ সরল উত্তর— তারাতো পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত, বাংলাদেশে জাল নাগরিকত্ব নিয়ে বাস করে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আমার সেই অগ্রজের বক্তব্যের সাথে দ্বিমত করি কীভাবে ?











মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

রাহুল বলেছেন: সব শেষে আমার এক অগ্রজের একটা উক্তি দিয়ে লেখাটি শেষ করি। তার মতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দশ কোটি। জানতে চাই বাকি ছয় কোটির কী হলো? তার সহজ সরল উত্তর— তারাতো পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত, বাংলাদেশে জাল নাগরিকত্ব নিয়ে বাস করে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আমার সেই অগ্রজের বক্তব্যের সাথে দ্বিমত করি কীভাবে

শেষ লাইন কটা অসাধারন।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

অরি বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগই অবশ্যই সমস্যার সমাধান। তিনি নির্বাচনে জয়ি হয়ে আবার প্রধান মন্ত্রি হবেন কারো সাধ্য নেই বাধা দেয়ার। আমার প্রশ্ন সংসদ বড় নাকি আদালত? সংসদ -ই যদি আইন প্রনয়নের কেন্দ্র হয় তবে কেন আদালত, সংসদে পাশ করা তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল বা অবৈধ ঘোষণা করল বা বাতিল / অবৈধ ঘোষণা করার ক্ষমতা/অধিকার/এখতিয়ার রাখে কিনা? আদালতের নির্দেশনায় কি সংসদ নাকি সংসদের নির্দেশনায় আদালত চলবে আমার জানতে ইচ্ছে করে। আদালতের নির্দেশনায় যদি সংসদ চলে তাহলে সংসদের দরকার কি? আদলত'ই হোক আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার মূল কেন্দ্র।

তবে আমরা কেউ'ই এমনটি প্রত্যাশা করিনা-------------

সংসদ আর আদালত সর্বোপরি রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান হোক জনকল্যাণে নিবেদিত নির্ণিত হোক আমাদের শান্তি, সাম্য ও ঐক্যের বাংলাদেশ।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

rafiq buet বলেছেন: বি এন পির অবরোধ করার মত শক্ত জনবলও নেই, শক্তিও নেই।

সব সমস্যার মূলে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামাত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.