![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত রাতে বেগম খালেদা জিয়ার গত পরশুদিনের "সংবাদ সম্মেলন" নামের উর্দু টানে বাংলা রিডিং পড়ার বিষয়বস্তু কেনো গ্রহণযোগ্য নয় সেটা উল্লেখ করেছিলাম। বিস্তারিত লিংক দেখুন…
আজ লিখবো দীর্ঘ এক-দেড় মাসে শতাধিক মৃত্যু, সহস্রাধিক যানবাহন-বাড়িঘর ধ্বংসের পরও নূন্যতম অবিচলিত না হওয়া বেগম ঘষেটি জিয়া হঠাৎ করে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিলেন কেনো?? আর হঠাৎ করে আবার "মার্চ ফর ডেমোক্রেসি"র নামে পতাকা সংবলিত ঢাকায় গনজমায়েতই বা কেনো??
এ প্রশ্নের সাথে সাথে আমরা এটার উত্তরও খোঁজার চেষ্টা করবো যে- বিম্পির আন্দোলন কি আসলেই নির্বাচনকে সামনে রেখে??
গত ৫ ই মে এর কথা মনে আছে?? ২৪ শে ডিসেম্বর একই বছরে দ্বিতীয়বারের মতো হেফাজত ঢাকায় মহাসম্মেলন করার প্রোগ্রাম করে। আগেরবার হেফাজতকে ফ্রন্ট লাইনে আনার উদ্দেশ্য ছিলো শাহবাগের গনজোয়ারের মোকাবিলায় একটা জনগোষ্ঠীকে দাঁড় করানো। আর এবার হেফাজতকে ২৪ তারিখ ফ্রন্টে আনা হচ্ছিলো বিম্পি-জামাতের টানা অবরোধ, শতাধিক লাশ, আগুন-ধ্বংসযজ্ঞের পরও সরকারকে এতটুকু বিচলিত করতে না পেরে। কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় যেহেতু খালেদার শেষ অস্ত্র ২৪ তারিখের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়; তাই খালেদা অন্য কোনো কর্মসূচী না দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে হেফাজতকে আনার বন্দোবস্ত করলেন।
আসুন ৫ ই মে ও ২৯ শে ডিসেম্বরের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করি।
১) ৫ মে ছিলো লং মার্চ; ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি
২) হেফাজত ৫ মে তে গণ্ডগোল করার জন্য লাঠি এনেছিলো জাতীয় পতাকার আড়ালে; আর এবার খালেদা তো ঘোষণাই করে দিয়েছেন সবাইকে জাতীয় পতাকা হাতে আসতে। জানতে মুঞ্চায়- গনতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করতে পতাকার কি দরকার??
৩) সেবার হেফাজতকে ঢাকায় জড়ো করে খালেদা ঢাকাবাসীকে ডেকেছিলেন অভ্যুত্থানের আশায়; কিন্তু সরকারের বিচক্ষণতায় সে ষড়যন্ত্র মাঠে মারা যায়। আর এবার গোলাপি ভাবছেন আগের বারের চাইতে বেশি লোক জড়ো করে পুনরায় ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানাবেন; কিছু লোক এবার সাড়া দিবে আর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করবেন ম্যাডাম।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে " অভ্যুত্থান" শব্দটি কি সচেতনভাবে আনা হয়েছে??
আমার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে এর মধ্যেই।
গত পাঁচ বছরে সরকার দেশকে যতটা এগিয়ে নিয়ে গেছে তা বিগত ৪২ বছরের ইতিহাসে বিরল। আবার এ পাঁচ বছরের মধ্যেই সরকার ৪২ বছর ধরে যে কলঙ্কের বোঝা বাঙালি জাতি বহন করছে তা থেকে রেহাই দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিরোধী দল সবচাইতে বড় ধাক্কা খেয়েছে এখানেই। রাজপথের রাজনীতিতে বিম্পি বরাবরই দুর্বল। আর সাংগঠনিক শক্তিমত্তার দিক দিয়ে জামাত-শিবির বরাবরই যথেষ্ট গোছানো ও শক্তিশালী। ফলশ্রুতিতে এবং ক্ষমতার লোভে মত্ত হয়ে বিম্পি রাজপথের রাজনীতিতে জামাত-শিবির নির্ভর হয়ে পড়ে। আর এই নির্ভরতা একসময় এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যে বিম্পির বর্ষীয়ান নেতা মেজর হাফিজকে লাইভ টক-শো তে বলতে হয় "হ্যাঁ, খালেদা জিয়া জামাতের আমীর।" (তৃতীয় মাত্রা, ১২ ই ডিসেম্বর)
এমতাবস্থায় ক্ষমতায় গেলে বিম্পি কি তাদের প্রধান শরীক দলের প্রথম সারির নেতাদের (এমনকি নিজের দলেরও) ফাঁসি কার্যকর করার মতো সৎসাহস কিংবা অতটুকু হেডম দেখাতে পারবেন??
-যেখানে স্বয়ং বিম্পির চেয়ারপার্সন বহুল প্রতীক্ষিত ফাঁসি কার্যকর করার ব্যাপারে মুখে তালা ঝুলিয়ে রাখেন, যে কাজের জন্য শোনামাত্র রিকশাওয়ালাটাও ঘৃণাসূচক প্রতিক্রিয়া দেখায় অথচ ১২ দিন পরেও গোলাপী বিবি হন মর্মাহত সেখানে বিম্পির পক্ষে কতটা সম্ভব সরকার গঠন করে নিজের "জিগরি দোস্ত" দের গলায় ফাঁসির দড়ি পড়ানো??
আমার মনে হয় না প্রশ্নটির ইতিবাচক উত্তর কেহ দিবে।
আর যদি তাই হয় তাহলে বিম্পির আন্দোলনের হেতু কি??
যুদ্ধাপরাধী বাঁচানো??
সময় এসেছে উত্তর খোঁজার…
©somewhere in net ltd.