![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিচ্ছিন্ন হিংস্র সহিংসতার ভেতর দিয়ে দশম জাতীয় সংসদের ১৪৭ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। রাত ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ১০৭টি আসনে জাতীয় পার্টি ১৬টি আসনে স্বতন্ত্র জাসদ ওয়ার্কার্স পাটিসহ অন্যান্য ১৬টি আসনে জয়লাভ করেছেন। ভোট শুরু হওয়ার পর সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি ও কোন কোন কেন্দ্রে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ে এবং শেষ অবধি যেটা স্পষ্ট হয় তাতে দেখা যায় ভোটার উপস্থিতি ৫০ ভাগের বেশি। ইতোপূর্বে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৫৩ আসনের প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামীর রয়েছে ১২৭টি, জাতীয় পার্টি ২০টি জাসদ ৩টি ওয়ার্কার্স পার্টি ২ এবং জাতীয় পার্টি জেপি ১টি আসনে জয়লাভ করে।
নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ নানা ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতার কারণে সারাদেশে নিহত হয়েছে ২১ জন। এ ছাড়া সহিংসতার কারণে ১৩৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করে ১৭ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নির্বাচনে সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ে ৪, ফেনীতে ২, নীলফামারীতে ২, গাইবান্ধায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১, চাঁদপুরে ১, মুন্সীগঞ্জে ১ ও দিনাজপুরের আনসার সদস্যসহ ৪ জন। এদের মধ্যে জামায়াত-বিএনপির হামলাকারীদের হাতে এক আনসার সদস্য নিহত হয়। ঠাকুরগাঁওয়ে জামায়াত-বিএনপির কর্মীদের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার নিহত হয়। তবে সারাদেশে সহিংস ঘটনা ঘটলেও ঢাকার ৯টি আসনে কোন সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট এ নির্বাচন প্রতিরোধের ডাক দেয়। ফলে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতি ছাড়াই বেলা ৪টা পর্যন্ত চলে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিসহ ১২টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তিনটি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচন কমিশনে ফল আসতে শুরু করে। এতে দেখা যায় ১৪৭টি আসনের ভোটের ফলাফল গণনায় অধিকাংশ আসনে আওয়ামী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া একাধিক স্বতন্ত্র ও অন্য দলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান মোল্লা নৌকা প্রতীকে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৬৬৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী আরজু শাহ সায়েদাবাদী পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩৭ ভোট।
ঢাকা-১৬ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৮৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সর্দার মোহাম্মদ মান্নান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯৩০ ভোট।
ঢাকা-৬ আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদ। পরাজিত প্রার্থী মোঃ সাইদুর রহমান সহিদের সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান ৩৮ হাজার ১৩২। বেসরকারীভাবে পাওয়া ফল অনুযায়ী কাজী ফিরোজ রশীদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৯১ ভোট। ৭ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়েছেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সাইদুর রহমান সহিদ।
ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খানকে ৪ হাজার ৬৬৯ ভোটে হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম। বেসরকারীভাবে ঘোষিত ফলাফলে সালমা ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৩৫৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান ৪৮ হাজার ৬৮৯ ভোট।
ঢাকা-৭ (লালবাগ, চকবাজার, কোতোয়ালি ও বংশাল) আসনে বেসরকারীভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হাজী মোঃ সেলিম ১১ হাজার ৬৬৯ ভোটে পরাজিত করেছেন। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মোঃ সেলিম হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৩৩৮ ভোট।
ঢাকা-১৭ আসনে বিএনএফ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ৪৩ হাজার ৫৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ হান্নান মৃধা ভোট পেয়েছেন ৪০৪৬। মানিকগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় জয়লাভ করেছেন। তিনি ৮১ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের আফজাল হোসেন খান মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৯৬ ভোট।
কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল হাই ভোট পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩১১ ভোট। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৩৯২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মিজানুল হক পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪৭৪ ভোট। ফেনী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্লাহ ৫৭ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টির আনোয়ারুল কবীর রিন্টু ১৫ হাজার ২২০ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-১ আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সুবিদ আলী ভূঁইয়া ৯০ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসান (কলসি) পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৭২ ভোট। কুমিল্লা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ৭৮ হাজার ৬৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কুমিল্লা আহসানুল আলম সরকার কিশোর পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৩৬ ভোট। কুমিল্লা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (হাতি) ৩২ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন রাজু পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৩৬ ভোট। কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ২ লাখ ৬ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী অধ্যাপক শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৮ হাজার ১৫৭ ভোট। কুমিল্লা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন ৫৯ হাজার ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান পেয়েছেন ৩৮ হাজার ২৯৩ ভোট। কুমিল্লা-৮ আসনে জাতীয় পার্টির অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন ৫০ হাজার ৮০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এএসএম কামরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭ হাজার ১০৬ ভোট। কুমিল্লা-৯ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ তাজুল ইসলাম (নৌকা) ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ১২ হাজার ১৯২ ভোট।
ঝালকাঠি-১ আসনে ফজলুল হক হারুন (আওয়ামী লীগ) ময়মনসিংহ-৩ আসনে মজিবুর রহমান ফকির (আওয়ামী লীগ), নাটোর-৩ আসনে জুনায়েদ আহমেদ পলক (আওয়ামী লীগ) ৮০ হাজার ৬৬৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির মিজানুর রহমান মিজান পেয়েছেন ১৩ হাজার ২৭ ভোট। ভোলা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিতটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি (জেপি) মোঃ সালাউদ্দিন ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৬২ ভোট। ভোলা-৩ নুরুন্নবী শাওন আওয়ামী লীগ, লালমনিরহাট ১ মোতাহার হোসেন (আওয়ামী লীগ) ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের সাদেকুল ইসলাম পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৭২ ভোট।
লালমনিরহাট-৩ ইঞ্জিয়ার আবু সাঈদ দুলাল (আওয়ামী লীগ) ৫৭ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের মোঃ খোরশেদ আলম ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৪৩২ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী (আওয়ামী লীগ) ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নীলফামারী-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকার ৮০ হাজার ৪৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির জাফর ইকবাল সিদ্দিকী ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৮৪ ভোট। নীলফামারী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ৭৮ হাজার ৯১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী ফারুক কাদের ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ৩৪৫ ভোট।
মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন আওয়ামী লীগ মেহেরপুর-২ মকবুল হোসেন স্বতন্ত্র। ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ৯৮ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কাজী জাফরউল্লাহ চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ৭২ হাজার ২৮৪ ভোট।
মৌলভীবাজার-১ আসনে আওয়ামী মোঃ শাহাবউদ্দিন ১ লাখ ৪ হাজার ২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আহমেদ রিয়াজ ৯ হাজার ৬৪৯ ভোট পেয়েছেন। মৌলভীবাজার-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মতিন ৩০ হাজার ৮৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মহিবুল কাদের পিন্টু ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৪১ ভোট।
বগুড়া-৪ আসনে জাসদের রেজাউল করিম তানসেন ২২ হাজার ২০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন বাচ্চু পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৯ ভোট। বগুড়া-৭ আসনে জাতীয় পার্টির আলতাফ হোসেন ৭ হাজার ৪৩ ভোট পেয়েছে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেপির আমিনুল ইসলাম ৩ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন।
গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী আওয়ামী লীগের সীমিন হোসেন রিমী পেয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৮৮৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ৭ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়েছেন।
পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ৬৫ হাজার ৯২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভোট পেয়েছেন অধ্যাপক আবু সায়িদ ভোট পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৮৯ ভোট। পাবনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মকবুল হোসেন ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তাঁর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কামাল আজাদ ১০ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়েছেন।
রাজশাহী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর আয়েন উদ্দিন ৬৭ হাজার ৮৭৯ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেরাজ উদ্দিন মোল্লা ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৪৩ ভোট। রাজশাহী-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহরিয়ার আলম ৭০ হাজার ১১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক রায়হান ভোট পেয়েছেন ২১ হাজার ৪৬৬ ভোট।
সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমরান আহমেদ ৬২ হাজার ৬৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুখ আহমেদ ভোট পেয়ছেন ২৪ হাজার ১৬৫ ভোট। সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এহিয়া চৌধুরী ৪৮ হাজার ১৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিবুর রহমান ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮৯ ভোট।
কুষ্টিয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী ৬১,৫৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আফাজউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৫২,২৮৪ ভোট। কুষ্টিয়া-৩ আসনে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএফ মনোনীত প্রার্থী রকিব-উর রহমান খান চৌধুরী লিটন পেয়েছেন ৬ হাজার ৪১১ ভোট। কুষ্টিয়া-৪ (খোকশা-কুমারখালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৪৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উদ্দিন খান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪৭৫ ভোট।
কক্সবাজার-৪ আসনে আব্দুর রহমান বদি আওয়ামী লীগ, খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পঞ্চনন বিশ্বাস ৬৪ হাজার ৯৭৫ ভোট, খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান মিজান ৭৯ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাশেদা করিম (জেপি) ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৭ ভোট। খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মুন্নুজান সুফিয়ান ৪৫ হাজার ৯৪৩ ভোট।
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সুকুমার রঞ্জন ঘোষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকতটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জেপির নূর মোহাম্মদ ৬ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়েছেন। মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাগুফতা ইয়াসমিন ১ লাখ ৩০ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবু উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬১ ভোট।
নরসিংদী-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থ ৭৯ হাজার ৭৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোস্তাফা জামাল বেবী পেয়েছেন ৪ হাজার ৫০৬ ভোট। নরসিংদী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান (পোটন) ১১ হাজার ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৮ হাজার ১৭৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট প্রার্থী জায়েদুল কবির ভোট পেয়েছেন ২৭ হাজার ১৭৪ ভোট। নরসিংদী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রাথী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ৫৪ হাজার ৬৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের জহিরুল হক পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯০৩ ভোট। পিরোজপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুস্তম আলী ফরাজি ২৯ হাজার ৩৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. আনোয়ার পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪০৯ ভোট।
ময়মনসিংহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মজিবুর রহমান ফরিক ৪৩ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজনীন আলম ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ১২৩ ভোট। ময়মনসিংহ-১০ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮৪ ভোট। ময়মনসিং-১১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. আমান উল্লাহ ৯১ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদত হোসেন ভোট পেয়েছেন ১০,৪১৩। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মজিদ ম-ল ৯২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান রতন পেয়েছেন ৪ হাজার ২৪৮ ভোট।
নেত্রকোন আসনে-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছবি বিশ্বাস ৫৪ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুতুব উদ্দিন তালুকদার রুয়েল ভোট পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৯২ ভোট। নেত্রকোনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরিফ খান জয় ৮৯ হাজার ১৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লে. ক. অব নুর খান ভোট পেয়েছেন ২৬ হাজার ১৪২ ভোট। নেত্রকোনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির জসিম উদ্দিন ভুইয়া ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৬৫ ভোট।
চট্টগ্রাম-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভা-ারী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন) ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাসান মাহমুদ (স্বতন্ত্র) ভোট পেয়ছেন ১২ হাজার ৪৩৩টি। চট্টগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান মিতা ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪৩ ভোট বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএ সালাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৬৬ ভোট। চট্টগ্রাম-১২ আওয়ামী লীগের শামসুল হক চৌধুরী ১ লাখ ২৮ হাজার ২১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ১০ হাজার ১৯৭ ভোট। চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তপন চক্রবর্তী (জাতীয় পার্টি) ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৪১৮ ভোট। চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া- লোহাগাড়া) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৮৬৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএফ প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কাদেরী পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৪৮ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সোলাইমান হক জোয়ার্দার ছেলুন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৪৫ হাজার ১শ’ ৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ (ইনু) সমর্থিত প্রার্থী এম সবেদ আলী মশাল প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ১শ’ ৮ ভোট পেয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আলী আজগর টগর নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩শ’ ৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পাটি সমর্থিত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম শেখ হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ৩০ ভোট পেয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খন্দকার আসাদুজ্জামান ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী আজিজুর রহমান তরফদার ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ০১৭। টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মোট ১১৮টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ৬৭ হাজার ৯৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট। টাঙ্গাইল-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খন্দকার আব্দুল বাতেন ৬৬ হাজার ২৯২ এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী এটিএম আনিছুর রহমান বুলবুল পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬২১ ভোট।
জামালপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফরিদুল হক দুলাল ১ লাখ ২৩ হাজার ১০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আতিকুর রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৬। জামালপুর-৪ আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার পেয়েছেন ৪১ হাজার ২৫৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী (বিএনএফ) মোস্তফা বাবুল পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৭৪ ভোট। জামালপুর-৫ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলহাজ রেজাউল করিম হীরা ২ লাখ ২০ হাজার ২০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাবর আলী খান (জেপি) পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৩ ভোট।
যশোর-৬ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক ৫৫ হাজার ২৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএফের প্রশান্ত বিশ্বাস ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৮।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ৬৮ হাজার ৯৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল হক ভোট পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৮১। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমএ মান্নান ৫০ হাজার ৩১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুস সামাদ আজাদ ডন পেয়েছেন ৪১ হাজার ১২৩ ভোট। সুনামগঞ্জ ৫ আসনে আওয়ামী লীগের মহিবুর রহমান মানিক ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএফ প্রার্থী মোঃ আশরাফ হোসেন ভোট পেয়েছেন ৩২৬৪।
হবিগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ্যাড. আব্দুল মজিদ ৬৫ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপা প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ২১ হাজার ৫৫৯। হবিগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ্যাড. আবু জাহির ৯৮ হাজার ৩৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতিকুর রহমান আতিক ২০ হাজার ৮৩৭ ভোট পেয়েছেন। হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুব আলী ১ লাখ ২২ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ তানভীর পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৬০ ভোট।
গোপালগঞ্জ-১ আসনে ২ লাখ ৪০ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লে. ক. (অব) ফারুখ খান বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী দীপা মজুমদার ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৬৩ ভোট। গোপলগঞ্জে-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেস ফজলুল করিম সেলিম ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯১ ভোট পেয়েছে বিজয়া হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী শাহীন ৪ হাজার ৮৪ ভোট পেয়েছেন। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ লাখ ৮৭ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এজেড অপু শেখ পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩০ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন ৮৮ হাজার ৩৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাড. ইমরান আলী (ওয়ার্কার্স পার্টি) ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৪ ভোট। ঠাকুরগাঁও-৩ আসসে ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী ৬২ হাজার ১১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাফিজ আহমেদ ভোট পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৮৪৫ ভোট।
খাগড়াছড়ির আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা ৯১ হাজার ৭৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইউপিডিএফ প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৪৬ ভোট।
পঞ্চগড়-১ আসনে জাসদের প্রার্থী নাজমুল হক প্রধান ৪৬ হাজার ১৫৫ ভোট পেয়েয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আবু সালেক ৩৭ হাজার ৯০৮ ভোট পেয়েছেন। পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ্যাড. নুরুল ইসলাম সুজন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী জাসদের ইমরান আল আমিন ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৯২ ভোট।
রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারমান এএইচএম এরশাদ ৫৫ হাজার ৪৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের মাস্টার আহমেদ মোল্লা ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৮৬ ভোট। রংপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী টিপু মুন্সি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির করিম উদ্দিন ভরসা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৮৬ ভোট। রংপুর-৬ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নূর-এ আল যাদু জাতীয় পার্টি ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫৯।
মাগুরা-১ আসনে ডা. এমএস আকবর (আওয়ামী লীগ প্রার্থী) ৫৬ হাজার ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৪৭৩। মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীরেন সিকদার ৭১ হাজার ৮৬৭ন ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৭১টি।
বরিশাল-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির নাসির উদ্দিন নাসিম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৮ ভোট।
বরিশাল-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ টিপু সুলতান ৩৫ হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (এ) মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু-লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৮১ ভোট।
বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের পংকজ দেবনাথ ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৬ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএফের প্রার্থী আঞ্জুমান সালাউদ্দিন-টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৭৮ ভোট।
সাতক্ষীরা-১ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টি এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ৯২ হাজার ২শ’ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মুজিব পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬শ’ ২৩ ভোট ।
সাতক্ষীরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি জয় পেয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫শ’ ১৫ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হরিণ প্রতীক নিয়ে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু পেয়েছেন ১৬ হাজার ১শ’ ৫৭ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের এ্যাডভোকেট সায়েদুল হক। তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৭৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির রেজুয়ান আহমেদ পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৯৪ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫০৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়ার কবির পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৬ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেপির ডা. ফরিদ আহমেদ পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৮৬ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী মামুনুর রশিদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৩৫ ভোট।
ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আব্দুল হাই এক লাখ ১১ হাজার ১৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ফুটবল প্রতীক নিয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ার্দার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬২৮ ভোট। ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি আনারস প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৯৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম অপু পেয়েছেন ৫১ হাজার ২৪৪ ভোট। ঝিনাইদহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নবী নেওয়াজ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৭০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান স্বাধীন পেয়েছেন ১৪৭৩ ভোট। ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল আজিম আনার নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৪৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির আলমগীর হোসেন রতন হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৮ ভোট।
নওগাঁ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম ৭৪ হাজার ৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী নৌকা মার্কায় পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৮৬৩ ভোট। নওগাঁ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রাং ৬০ হাজার ৩৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেপির সাইদুর রহমান বকুল পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৬৫ ভোট। নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ আব্দুল মালেক নৌকা প্রতীকে ৪৪ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৩২ ভোট।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সহিংসতার কারণে সারাদেশে ১৩৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন স্থগিত করা এসব কেন্দ্রে ২৪ জানুয়ারি যে কোন সময় ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ। ইসি কর্মকর্তারা জানান, এসব কেন্দ্র এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে সেগুলো আর ভোটগ্রহণের উপযোগী নেই। এ কারণে ভোট আপাতত বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে ১৩ প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ জাতীয় পার্টি ও জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থীরা রয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এখলাস উদ্দিন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শওকত আলী, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের একেএম শরিফ উদ্দিন ও আজাদ উদ্দিন চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান রতন, বরগুনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল হোসেন শিকদার, শেরপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বদিউজ্জামান বাদশা, বরিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আকতার, জামালপুর-১ আসনের আজিজ আহমেদ হাসান, জামালপুর-২ আসনের আতিকুর রহমান, চট্টগ্রাম-১২ আসনের জাতীয় পার্টি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, জামালপুর-৫ আসনের জাতীয় পার্টির জেপির বাবর আলী খান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের ফরিদ আহমেদ।
রবিবার সারাদেশে ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও প্রথম দিকে ভোটার উপস্থিতি একেবারের কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে ভোটার উপস্থিতি বাড়লে এ হার ছিল অনেক কম। এ ছাড়া ভোটের আগে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি দেখানোর কারণে অনেক ভোটার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি। অনেক কেন্দ্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছতে না পারায় ভোটগ্রহণ অনেক দেরিতে শুরু হয়। আবার অনেক কেন্দ্রে ভোটার তালিকা মিল না থাকায় অনেক ভোটার বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ কয়েক ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শন শেষে কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে তিনি উল্লেখ করেন, সারাদেশে ভোটগ্রহণ মোটামুটি সুষ্ঠুই হচ্ছে। তিনি জানান, আগের দিন রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করার কারণে সেসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার সব ধরনের ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, সেসব আসনে ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি ২৪ জানুয়ারির মধ্যে সেসব আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক বলে দলের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এ নির্বাচনের গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: মানুষ এতো নির্লজ্ব বেহয়া হয় কি করে ? বাকশালীরা কি আসলেও মানুষের জন্ম নাকি শংকর প্রজাতির।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬
ম্যাংগো পিপল বলেছেন: জালভোট সহ ভোট পরেছে ২০-২২% !! জালভোট বাদ দিলে ১০-১২% !! সেটাও একটা নির্বাচন, আর তেলপোকাও একটা পাখি ।
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫২
মুহসিন বলেছেন: কি করবে, ভোটার না আসলে! তোর ডাক শুনে যদি কেউ না আসে, তবে একলা চলরে।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১% ভোট হলে সেটাও আইনত বৈধ।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারন মুলত প্রতিদ্বন্দ্বীতা বিহীন নির্বাচন।
আর সরকারি দল ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বেশীর ভাগ আসন পেয়ে অলিখিত ভাবে ভোটের আগেই সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেয়ে গেছে।
তাই ভোটার উপস্থিতি সঙ্গত কারনেই কম।
এতে অকারন হাহুতাস করার কিছু নেই।
এ ধরনের অথর্ব, জামাতি লেজুরবৃত্ত্বি করা বিরোধীদল থাকলে এরকমই হবে।
নির্বাচন পিছিয়েও কোন লাভ হতনা। এমনকি তত্তাবধয়ক পদ্ধতি রাখা হলেও কোন লাভ হতনা, তত্তাবধয়ক সরকার প্রধান সিলেক্সান নিয়ে দির্ঘ অচলাবস্তা থাকতো।
বিএনপি কখনোই জামাত বিহীন নির্বাচনে আসতনা।
শুশিলরা এটাই চেয়েছিল, দির্ঘ অচলাবস্থা মানেই সুযোগ সন্ধানি 3rd party.
অচলাবস্থা আপাত অবসানের জন্যই এই নির্বাচন।
দেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র কখনো সফল হতে দেয়া যায় না। দেয়া হবে না। এই নির্বাচনের পর এদেশটিতে স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধি শক্তি রাজাকারদের কবর রচিত হবে।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: এই নির্বাচনে গনতন্ত্র আর সংবিধান বিজয়ী হয়েছে আর পরাজিত হয়েছে সাধারন জনগন।
জনগন নিজেদের পরাজয়ের আক্ষেপটা ঘুচিয়েছে নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করে।
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
মারজ সোহাগ বলেছেন: (শতকরা)% হিসাব কি প্রতি হাজারে নাকি প্রতি লাখে হয়? নাকি বর্তমানে গায়েবানা ভোটের সিস্টেম চালু আছে
Click This Link
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
মুণণা বলেছেন: ektu haisa ni vai... ai fazil.. eita nirbachon na? 88 r nirbachon re I har manaise.. r koto dalali korbi? ektu desh ke valo bash... desh re r bash dis na.... valobasa dis... songbidhan (nijer banana sho rochito)rokkha korte gia gonotonro maira felche....
৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
আশাফ আনিস বলেছেন: সরকার দলের বোধশক্তি বলতে আর কিছু নাই বোধহয়
১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
মুণণা বলেছেন: Lengla r ase man sonman er voy??? ses porjonto BRA ta khule fello.. mane nirbachon dia last nirlojjota prokash korlo.. hahahha...
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: মানুষ এতো নির্লজ্ব বেহয়া হয় কি করে ? বাকশালীরা কি আসলেও মানুষের জন্ম নাকি শংকর প্রজাতির।