নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি নিয়ে খেলাধুলা শেষ এ সরকার পাঁচ বছরের।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩২



আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দৃঢ়কন্ঠে বলেছেন, যত শক্তিশালী রাষ্ট্রই হোক না কেন, এদেশের রাজনীতি নিয়ে তাদের খেলাধুলার দিন শেষ। বাংলাদেশ এখন আর নিক্সনের ভাষায় ‘বটমলেস বাস্কেট’ (তলাবিহীন ঝুড়ি) নয়। এ সরকার পাঁচ বছরের। রবিবার বিকেলে বঙ্গভবনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গঠিত সরকারের মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ শেষে বঙ্গভবনের উত্তর পাশে খোলা মাঠে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, তারা (বিদেশী রাষ্ট্রগুলো) সমাধান করতে পারবে না, আমরা যদি না করি। আমাদের (রাজনীতিবিদ) বসেই সব কিছু ঠিক করতে হবে। এখন আর জুজুর ভয় নেই, সপ্তম নৌবহরের ভয়ও নেই। সে দিন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আলোচনা ছাড়া সমঝোতার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিদেশী রাষ্ট্রগুলো এই সরকারকে সমর্থন দেবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটা স্বাধীন দেশ। আমরা কি আবেদন করেছি যে আমাদের সরকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাঁরা হলেন আমাদের অতিথি, অনেকে বন্ধু, উন্নয়ন সহযোগী। দেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের মানুষ।

এ সরকার কত দিনের জন্য? জানতে চাইলে আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ সরকার ৫ বছরের জন্য, আপনারা সংবিধান দেখেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, আগামীতে একাদশ নির্বাচন কবে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন একাদশ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হলে তখন নির্বাচন হবে। সমঝোতা হলে মধ্যবর্তী নির্বাচন তো যে কোন সময় হতে পারে। তবে তার আগে বিএনপিকে এখনই সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।

সরকারের পাশাপাশি আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করা বিরোধী দলেরও দায়িত্ব বলে মত প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় হবে। আলোচনার জন্য বিএনপিকে কি জামায়াতকে ছাড়তে হবে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। তাদের দলের অনেকে সাজা পেয়েছেন। একজনের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান ও আমি এক সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। সেখানে বিএনপির উচিত এই দলকে ত্যাগ করা।

তিনি বলেন, জামায়াতের সামনে একটা সুযোগ আছে নতুন করে রাজনীতি শুরু করার। নতুন প্রজন্ম কেন যুদ্ধাপরাধীদের দায়ভার দেবেন? জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের কিছু বলার নেই। এটা আদালতের বিষয়। আদালতের রায়ে জামায়াত নিষিদ্ধ হলে হতে পারে।

সংসদেও যাব- এরশাদ ॥ বঙ্গভবনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গঠিত নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, আমি সুস্থ আছি। সিএমএইচে যাচ্ছি, শীঘ্রই ফিরব।

দশম জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অংশ নেবেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, ইলেকশনে (নির্বাচন) যখন এসেছি, তখন পার্লামেন্টে অবশ্যই যাব। রবিবার গঠিত মন্ত্রিসভা কেমন হয়েছে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভালই হয়েছে। এরশাদের সঙ্গে অন্যান্য বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। সাংবাদিকরা তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি মুখ খোলেন নি।

দেশের মানুষ সরকারকে গ্রহণ করেছে- জয় ॥ বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, নির্বাচন ও সরকারকে দেশের মানুষ গ্রহণ করেছে কি না- এটাই বড় কথা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা বাংলাদেশকে সমর্থন করে নি তারা যদি এখনও নির্বাচন ও সরকারকে সমর্থন না করে, তবে আমাদের কি করার আছে? নির্বাচন ও সরকার বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে কি না? এদেশের মানুষ গ্রহণ করেছে কি না? সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।

নতুন সরকার কি কি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, এ মন্ত্রিসভার কাজ অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। বিদ্যুতসহ বিভিন্ন খাতে দেশে যে চ্যালেঞ্জগুলো ছিল তার অধিকাংশই সমাধান হয়ে গেছে। এখনকার মন্ত্রিসভার কাজ দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, আমার কাজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া। দেশে আইটি শিল্প গড়ে তোলা হবে। আমার লক্ষ্য আইটি খাতে ১ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট তৈরি করা। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সংঘাত-সহিংসতা না থাকলে আরও বেশি মানুষ ভোট দিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.