![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামায়াতে ইসলামীতে নেতৃত্ব সংকট চরম আকার ধারণ করছে। দলটির আমির, নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ প্রায় সব নেতা বর্তমানে জেলে। এর আগে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর এবং নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমাদের মৃত্যুবরণ ও সর্বশেষ সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসূফের হঠাৎ মৃত্যুর কারণে নেতৃত্বে সংকটের বিষয়টি সামনে চলে আসে। মূলত জামায়াতের ২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মাত্র দুজন প্রকাশ্যে থাকলেও তারা দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় নন। ধারাবাহিকভাবে প্রবীণ নেতাদের পদ শূন্য হওয়ায় দলে কমান্ড দেওয়ার কেউ থাকছে না। এ ছাড়া দলটি নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। অন্যদিকে, ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দলের মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি তালাবদ্ধ। এরপর পর্যায়ক্রমে সারা দেশে জামায়াতের কার্যালয়গুলো বন্ধ হয়ে যায়।
মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির শীর্ষ নেতা, সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। দলের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ফাঁসির রায় হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় হয়েছে। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলীর বিচার চলছে। জানা যায়, জামায়াতের ২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মধ্যে প্রকাশ্যে দেখা যায় মাত্র দুজনকে। তারা হলেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তিনি আইনি বিষয়াদি ছাড়া দলীয় অন্য কর্মকাণ্ডে সক্রিয় নন। অন্যজন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু নাছের মো. আবদুজ জাহের। তিনিও দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে। ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আত্দগোপনে থেকে দল চালাচ্ছেন। কার্যক্রম বলতে গোপন স্থান থেকে মিডিয়ায় বিবৃতি আর ১৯ দলের সমাবেশে রাজপথে ঝটিকা মিছিল। তবে জামায়াত নেতাদের দাবি, সরকার তাদের সঙ্গে নিষিদ্ধ দলের মতো আচরণ করছে। কোনো সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে বিপর্যস্ত জামায়াতের নেতৃত্ব সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
এদিকে, জামায়াতে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ২০০৯ সালের নভেম্বরে ২০১০-১২ সেশনের জন্য সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে আমির নির্বাচিত হন মতিউর রহমান নিজামী। এর পর তিনি গ্রেফতার হন। ভারপ্রাপ্ত আমির করা হয় নায়েবে আমির মকবুল আহমাদকে। এরপর গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা 'ছয় মাসের বেশি ভারপ্রাপ্ত থাকা যায় না'_ এমন শর্তের কারণে ২০১১ সালে বিশেষ পরিস্থিতি দেখিয়ে ফের মকবুল আহমাদের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ, ২০১২ সালের শুরুতে গঠনতান্ত্রিক নিয়ম লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা দেখিয়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জামায়াত। রুকন সম্মেলনে ব্যর্থ হয়ে বিশেষ পরিস্থিতি দেখিয়ে মকবুল আহমাদকেই ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রাখা হয়। ঢাকা মহানগরীর এক নেতা জানান, ধারাবাহিকভাবে প্রবীণ নেতাদের পদ শূন্য হওয়ায় নেতৃত্ব সংকট তৈরি হয়েছে জামায়াতে। তবে দলটির কেন্দ্রীয় এক নেতার মতে, জামায়াতে নেতৃত্ব সংকট নেই। বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়মমতোই নির্বাচন করা হয়েছে। জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৮ সালের অক্টোবরে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জামায়াত। যদিও এরপর নির্বাচন কমিশনের শর্তে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু এসব সংশোধনীর কোনো কপি এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি দলটি। সূত্রমতে, শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব সংকট অস্বীকার করা হলেও সমন্বয়ের সমস্যা চলছে দলটিতে। এ কারণে মাঠের কর্মসূচিতে আগের মতো দেখা যাচ্ছে না দলের নেতা-কর্মীদের। সম্প্রতি একটি হরতাল ডেকেও সফল করতে পারেনি জামায়াত।
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৫
লুজার ম্যান বলেছেন: উপজেলা নির্বাচনে ভাল ফলাফল করছে জামায়াত । এত সহজে জামায়াত নিশ্চিহ্ন হবে না। জামায়াতের হাজার হাজার তরুন কর্মী আছে। আর যেই নেতা কর্মী জেলে উনারা এমনেই বুড়ো।
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮
ইনফা_অল বলেছেন: নেতৃত্ব সংকটেই উপজেলা নির্বাচনে রাজাকার দলের (?) এই অবস্থা। আর নেতৃত্ব সংকট কাটিয়ে উঠলে তো তারা সরকার গঠন করবে (!)
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৯
সিকান্দার বলেছেন: রাজাকার ও ধর্মব্যবসায়ী কেন্দ্রীক এ দলটি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। সবাই শুকরিয়া আদায় করুন।
এদেশে সন্ত্রাসবাদের হোতাদের আরো আগেই নিশ্চিহ্ন করা দরকার ছিলো।