নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা জিয়া তারেকের ষড়যন্ত্র রুখতে হবে’

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:০২

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ১৪ দলীয় জোটের সংসদ সদস্যরা বিএনপি-জামায়াত জোট এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে কতিপয় কথিত ‘বুদ্ধিজীবী’র অপতৎপরতার কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, নির্বাচনের পূর্বে অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর কোন বিকল্প ছিল না। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সাধারণ নির্বাচন ছিল না। এটা ছিল কতগুলো চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের লড়াই। সেই যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছি। নব্য গোলাম আযম সেজে তারেক রহমান আর তাঁর স্বশিক্ষিত মা খালেদা জিয়া দেশ, সংবিধান ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, পঞ্চানন বিশ্বাস, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান প্রমুখ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্বাচনের পূর্বে অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর কোন বিকল্প ছিল না। ওই নির্বাচন সম্পন্ন করা শুধু যৌক্তিকই ছিল না, ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া জাতীয় কর্তব্য ছিল। তিনি বলেন, তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে ফখরুদ্দিন ও মইন উ আহমেদের সেনাসমর্থিত শাসকরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে সামরিক প্রক্রিয়া চিরপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন। সেই ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনরা এখনও বিচারের বাইরে। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনও সামরিক শাসকদের বিচার হচ্ছে, যেমন পাকিস্তানে জেনারেল (অব) পারভেজ মোশাররফের বিচার চলছে, অথচ দুর্ভাগ্য যে, আমরা আজও ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনদের আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারিনি। তিনি বলেন, আমাদের দৃঢ় অবস্থানের কারণে তারা সেদিন নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছে। তাদের বিচার হয়নি বলেই মুক্তিযুদ্ধের পর ’৭৫-এর হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, তা এখনও চালু রয়েছে।

প্রবীণ এই বামপন্থী নেতা বলেন, এখনও বিভিন্ন জায়গা থেকে ষড়যন্ত্রের আওয়াজ উচ্চারিত হচ্ছে। বিএনপির তারেক রহমান লন্ডনে বসে এবং তাঁর মা খালেদা জিয়া ঢাকায় বসে বললেন ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ও প্রথম রাষ্ট্রপতি।’ এটা ইতিহাসের বিকৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। বিএনপি নেত্রী আমাদের জাতীয় সঙ্গীত নিয়েও কটাক্ষ করেছেন, তিনি বলেছেন গণআন্দোলনের মাধ্যমে নাকি গিনেস বুকে নাম ওঠাবেন। গিনেস বুকে তো তিনি ইতোমধ্যেই রেকর্ড করেছেন। সেটি হলো মিথ্যার রেকর্ড এবং ২৯ ডিসেম্বরের কথিত রোড টু ডেমোক্রেসির নাটক।

মেনন বলেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সাধারণ নির্বাচন ছিল না। এটা ছিল কতগুলো চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের লড়াই। সেই যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছি। তবে আরও যুদ্ধ এখনও বাকি। বহু রক্তের বিনিময়ে আমরা একাত্তরে দেশ স্বাধীন করেছি। দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমরা অর্জন করতে পারি কিন্তু তা ধরে রাখতে পারি না। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ১৪ দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, এই নির্বাচনে অনিয়ম হয়নি, তা অস্বীকার করি না। কিন্তু সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে প্রক্রিয়া দেখছি, তা আসলে পুরো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণœœ করার চেষ্টা। ওই নির্বাচনে যতটুকু ভুলত্রুটি হয়েছে, সেটির দায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিতে হবে। কমিশন আরেকটু সক্রিয় ও কঠোর হলে এই অনিয়ম সম্ভব হতো না। কিন্তু তাই বলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাতিল করা ঠিক হবে না।

রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্বাচন কখনও বিএনপি-জামায়াত জোটের কাছে মুখ্য লক্ষ্য ছিল না। তাদের মুখ্য লক্ষ্য ছিল সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ও যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করা। এ কারণেই আন্দোলনের নামে তারা সেদিন উন্মত্ততায় মেতে উঠেছিল। তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী ছিল বিএনপি-জামায়াতের প্রাণভোমরা। সেটি বাতিল হওয়াই তাদের সমস্যা। কারণ এটা না থাকলে তাদের রাজনৈতিক অস্তিস্ব থাকে না।

মেনন আরও বলেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ ধূম্র্রজাল সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। তাদের জিজ্ঞাসা করি, দু-একটি দলের জন্য নির্বাচন না করা গণতন্ত্র, নাকি সব মানুষের অধিকার রক্ষার প্রশ্নের নাম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া? তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে জনগোষ্ঠীকে বাঁচানোর জন্য পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে আমাদের। কারণ ৩ কোটি মানুষ পরিবেশ দূষণের শিকার।

সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নিপীড়ন-দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, দেশের এমন কোন পেশার মানুষ নেই তারা জোট সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হতে হয়নি। হাওয়া ভবন খুলে দেশের অর্থসম্পদ লুণ্ঠন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে হাওয়া ভবন খোলার সব পথ বন্ধ করে দিতে হবে। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার আগ মুহূর্তে খালেদা জিয়া কোথায় এবং কেন লুকিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন, দেশবাসী এখনও তা জানে না। বর্তমান সরকার বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ কঠোর হস্তে দমন করেছে বলেই দেশে কোন সিরিজ বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা বা সন্ত্রাসী হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। সন্ত্রাসী-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখতে হবে।

চিকিৎসার নামে লন্ডনে বসে তারেক রহমান নব্য গোলাম আযম সেজে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। কিন্তু দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। তারেক রহমানের স্বশিক্ষিত মা খালেদা জিয়া দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আঘাত হানছেন। নির্বাচনের আগে মানুষ হত্যা ও রেলপথ উপড়ে ফেলাসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের মাধ্যমে তিনি দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। আজ মা-ছেলে বলছেন জিয়াউর রহমান নাকি প্রথম রাষ্ট্রপতি! তাঁদের তো লেখাপড়া নেই, লেখাপড়া থাকলে তাঁরা এই ধরনের কথা বলতে পারতেন না। এই বক্তব্যের জন্য তিনি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

বন্ধুহারা০০ বলেছেন: আপনি কি পেইড ব্লগার??? X( X( X(

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১১

আহমেদ রশীদ বলেছেন: কি????বন্ধু হারা ডাবল ফাক।। দলের অবস্থাতো ভালো না টাকা পয়সা পানতো ঠিক মতো????? আপনি গুলশান কার্যালয় বসেন না পল্টন?????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.