আইসিসি'র ভবিষ্যৎ হচ্ছে জুয়ার আসর

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

আইসিসি থেকে জনাব মোস্তফা কামালের পদত্যগ বিশ্ব ক্রিকেটে কতটা প্রভাব পড়বে তা নিঃসন্দেহে একটি আলোচনার বিষয় । বাংলাদেশের মানুষ জনাব কামালকে পদত্যগের জন্য বাহবা দিচ্ছেন কিন্তু এই দ্বন্দ্বে যদি বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাসই চলে যায় তবে জনাব কামাল বাহবা পাবেন কিনা সন্দেহ । তবে এছাড়া জনাব কামালের করার কিছুই নাই । উনি পদত্যাগ না করলে যদি উনাকে বহিষ্কার করা হতো তাহলে সেটা আরও খারাপ হতো । সেই হিসেবে উনার পদত্যগকে স্বাগত জানাই ।
আসলে ভারত বিশ্ব ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে । সেই কারনে বাংলাদেশ ক্রিকেটে উন্নতি করুক তা ভারত কখনই চায় নি । বিপিএল নামে আইপিএল এর সংস্করণে বাংলাদেশে যা চালু হয়েছিল ভারতীয় ষড়যন্ত্রে তা বন্ধ হয়েছে ।
ভারত হচ্ছে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম কালো টাকার দেশ । এই কালো টাকা সাদা করারা নানান প্রক্রিয়ার একটি হচ্ছে এই আইপিএল । খেলায় ও খেলার আয়োজনে যতটা না বানিজ্য হচ্ছে তার চেয়ে বেশি কাগজে কলমে হাজার কোটি টাকার মুনাফা হচ্ছে । আবার ক্রিকেট জুয়ারুদের সবচেয়ে বেশি আয় হয় ভারতীয়দের কাছ থেকে । ফলে ক্রিকেট জুয়ারুরা দেখেছে যে মাত্র অল্প কয়টা দেশকে মেনেজ করতে পারলে গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব । সেই জুয়ারুদের প্রতিনিধি হচ্ছে এই শ্রীনিবাসন । আইপিএল এর বেঙ্গালুরু টিম এর দুর্নীতির জন্য তার ছেলে জেল খাটছে আর শ্রীনিবাসন এর উপর ভারতীয় হাইকোর্ট সকল ধরনের ক্রিকেটে অংশ নেয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । এমনকি গ্রামীণ ক্লাব ক্রিকেট পর্যন্ত । সেই লোক আইসিসি সভাপতি হতে পারবে না কারন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাকে নিষেধাজ্ঞার কারনে নমিনেশন দিতে পারবে না । ফলে আইসিসি তার জন্য পদ তৈরি করেছে এবং সেই ব্যক্তির কথা মত আইসিসি পরিচালিত হয় । সেই আইসিসি'র সভাপতির পদ থেকে জানাব কামালের পদত্যাগ করা ছাড়া আর কিইবা করার আছে । এই শ্রীনিবাসন এখন আইসিসিকে আইপিএল এর আদলে গড়ে তুলতে চায় । সেখানে খেলা হবে না । জুয়ার আসর হবে আর কালো টাকা বিনিয়োগ হয়ে বৈধ হবে ।
এখন প্রয়োজন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ । ক্রিকেট নামক একটি ঐতিহ্যবাহি জনপ্রিয় খেলাকে ধ্বংস করার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ জরুরী । রাজনৈতিক নেতারা স্ব স্ব দেশের বোর্ডকে আইসিসি যাতে সঠিক পথে পরিচালিত হয় সেই নির্দেশ দিলেই শ্রীনিবাসন আবার শ্রীঘরে চলে যাবে ।

১ টি +২/-০