![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘আগামী দিনের অর্থনীতি হবে আলাদা ধরনের অর্থনীতি। সেই অর্থনীতির জন্য একটি সেটিসফাইড (সন্তুষ্ট) প্রশাসন দরকার। আমরা সেভাবেই এগুচ্ছি।’- আবুল মাল ( অবৈধ সরকারের অর্থমন্ত্রী )।
ভদ্র লেখক মাত্রই উপরের উক্তিটি লেখার একদম শেষে উপস্থাপন করতেন। তবে আমি ভাই উল্টো পথের মানুষ। তাই লেখাটাও উল্টো পথে শুরু করলাম। আপনাদের দেখাতে চাই অবৈধ সরকারের প্রস্তাবিত পে-কমিশনের রিপোর্টের উল্টো পিঠ ! (সল্প পরিষরে)
আবার আসি ঐ আবুল মালের উক্তিতে, “তাদের দরকার একটি সেটিসফাইড (সন্তুষ্ট) প্রশাসন’! এই যে পে কমিশন নিয়ে এত কথা, এত বুলি, এত আশার ফানুশ তার সবই ঐ সেটিসফাইড (আজ্ঞাবহ) প্রশাসনের জন্যই, সেই দিক দিয়ে আবুল মাল সত্য বলেছেন বৈকি ! আবুল মাল স্বীকার করেছেন যে, প্রশাসনে অসন্তুষ্টি আছে !
যদি প্রশ্ন করি বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত ? উত্তর সবার জানা ১৭ কোটি + ।
কিন্তু সরকারি চাকরিজীবী ? উত্তরটা আমিই দেই , মাত্র সাড়ে ১২ লাখ। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগের ও অনেক কম। কিন্তু ঐ ৫/৬ ভাগ মানুষের জন্য ভুগতে হবে পুরো জাতিকে! নিশ্চয় ভাবছেন সেটা কিভাবে ?
প্রস্তাবিত পে কমিশন কার্যকর হবে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে, আপনাদের কি মনে হয় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ দ্বিগুণ বেতন পাবে আর ব্যাবসায়ী আর ধন্দাবাজরা বসে থাকবে ? না তার এই ছ মাসে কিভাবে খরচ বাড়ার মিথ্যে তথ্য বাজারে ছেড়ে তাদের পন্যর দাম বাড়ানো যায় তা নিয়ে গবেষনায় নামবে।
তাহলে কি দাড়াবে ছ-মাস পরে বাজারের অবস্তা ? গাড়ি ভাড়ার অবস্তা কি হবে ? ঐ অধিক অর্থ বাজারে মুদ্রাস্ফিতিকে কোথায় নিয়ে যাবে ? এই যে অধিক বেতনের জন্য অধিক অর্থ (প্রায় ৬৪%) আসবে কোথা থেকে ? আপনার-আমার করের টাকা থেকেই তো ! ঐ সাড়ে ১২ লাখ সরকারি চাকরিজীবী আর তাদের পরিবার না হয় দ্বিগুণ বেতন দিয়ে মোজে বাজার করবে-খাবে-ফুর্তি করবে । এর বাইরে আমরা যারা সাধারন তাদের অবস্তাটা কি দাড়াবে ? কি দেখতে পাচ্ছেন ভবিষ্যতের সেই ত্রাহি-ত্রাহি অবস্তা ?
সরকার আর তার মিডিয়া বেশ ঢোল পিটাচ্ছে, বেতন দ্বিগুণ হলে দুর্নিতি থাকবে না ! কি ঐ কথা কি আপনি বিশ্বাষ করেন ? না ঐ আবুল মাল বিশ্বাষ করে ? সবই ভাওতাবাজি । সরকারি চাকরিজীবীরা আগে যে পাসেন্টোজ খোর ছিলো, সেই থাকবে। মাঝে পরে আপনার-আমার বারোটা ! এই পে স্কেল ধনী দরিদ্রে বৈষম্য আরো বাড়াবে।
৮৬-৮৭ সালে বিশ্বব্যাংক তাদের এক রিপোর্টে উল্রেখ করে, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ালে দুর্নিতি কমে। কিন্তু সেই বিশ্বব্যাংক নাকে খত দিয়ে ঠিক পরের বছর স্বীকার করে যে, “বেতন বাড়ালে দুর্নিতি কমে না”!!! আপনিই বলুন না ...“ যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বেতন কম অযুহাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেন, তারা কি আগামী জুলাই থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়া বন্ধ করে দেবেন ? কেননা যে তাদের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে ? আপনি কি বিশ্বাষ করেন যে আগামী জুলাই থেকে সরকারি অপিস গুলোতে টেবিলের নিচের কারবার (ঘুষ) বন্ধ হয়ে যাবে।
আবারো বলছি সবই ভাওতাবাজি । হাসিনার প্রয়োজন কতক গোর্মূখো-আজ্ঞাবহ প্রশাসনিক কর্মচারি । যারা বেতনের দোহাইয়ে হয়তো তার অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না । তবে মনে হচ্ছে না এই থেরাপি কাজ করবে ....
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
দিশেহারা আমি বলেছেন: চিন্তার বিষয়!!
তবে হা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে রেখে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো উচিৎ। অন্তত সৎ চাকরিজীবীদের উপকার হবে।আমার বাবা একজন সৎ সরকারি চাকরিজীবী।সেই ছোট্ট বেলা থেকেই দেখে আসছি, বাবা ঢাকায় বাসাবাড়া দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খায়।তাই সংসারের হাল দরার জন্য পড়াশুনা বাদ দিয়ে ১৭ বছর বয়সেই বিদেশে পারি দেই।
বাবা হয়তো সেই সুযোগ টা পাবেন না।তার অবসরের সময় হয়ে আসছে।
আগে যে কাজ ১০০/২০০ টাকা দিয়ে সাড়া যেতো বেতন বাড়লে ৫০০/১০০০ নিচে সম্ভব হবে না।
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩১
দেশবাংলা বলেছেন: মাত্র সাড়ে ১২ লাখ অর্থাৎ ৫/৬ ভাগ মানুষের জন্য ভুগতে হবে পুরো জাতিকে!
যেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে এরাই কষ্টে আছে।
আর বাকী ১৬ কোটি জনগণ এদের বেতন বৃদ্ধির জন্য নির্মম কষ্টে নিপতিত হবে। ভোটবিহীন অবৈধ সরকার জনরোষ ঠেকানোর জন্য নানা ফন্দি ফিকির করছে।
পৃথিবীর কোন্ দেশে মাত্র ৫/৬ ভাগ লোকের বেতন-সুবিধা বাড়ানো হয়, বাকী জনগণকে কষ্টে রেখে??
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭
দেশবাংলা বলেছেন: মাত্র ১০/১২ লাখ লোকের বেতন বৃদ্ধির বিষময় ফল ভোগ করবে সাধারণ মানুষ।
এই বেতনবৃদ্ধি ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া ফেলবে বাজারের উপর।
এই বেতনবৃদ্ধি বন্ধ করা হোক।
সরকারী কর্মচারীরাই কি দেশের নাগরিক??
৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৪
অসময়ের পথিক বলেছেন: দুর্নীতি না কমিয়ে বেতন বাড়ানো হাস্যকর ও অবান্তর চিন্তাভাবনা যা চিরস্থায়ী ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার দুরভিসন্ধি মাত্র।
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: মাথামোটা মন্ত্রীদের নিজেদের গদি বাঁচাবার জন্য পাবলিকের বাঁশ। জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। ঐ মন্ত্রীর কোন চিন্তা নাই তাদের তো বেতনের টাকয় বা একটা মুদি দোকানের আয় দিয়ে চলেনা। টাকার কুনু চিন্তাই নেই। মারা যাব আমরা, সাধারণ পাবলিক।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
ইমিনা বলেছেন: হাসিনার প্রয়োজন কতক গোর্মূখো-আজ্ঞাবহ প্রশাসনিক কর্মচারি । যারা বেতনের দোহাইয়ে হয়তো তার অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না । ....
সহমত।।
......................
বিয়ের পাত্র হিসেবে সরকারী চাকরিজীবীদের এতো দিন পর্যন্ত বেজায় অপছন্দ ছিলো কিন্তু এখন পছন্দের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হবে
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯
দীঘল গঁাােয়র েছেল বলেছেন: বেতন বৃদ্ধির উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারী চাকুরীজীবিদের হাতে রেখে ক্ষমতায় টিকে থাকা। জনগণের কল্যাণ নয়। এই বেতন বৃদ্ধি সাধারণ জনগণের উপর কত গভীর প্রভাব ফেলবে তা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে।
৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ ইমিনাকে বলছি--- আপনার এতদিনে শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। কথায় আছেনা ভালো কাজে দেরী করতে নেই। আপনি এক্ষুনি মাঠে নেমে পড়ুন। আমরা পিছনে আছি। কুন চিন্তা নাইক্যা।।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি দাড়াবে ছ-মাস পরে বাজারের অবস্তা ? গাড়ি ভাড়ার অবস্তা কি হবে ? ঐ অধিক অর্থ বাজারে মুদ্রাস্ফিতিকে কোথায় নিয়ে যাবে ? এই যে অধিক বেতনের জন্য অধিক অর্থ (প্রায় ৬৪%) আসবে কোথা থেকে ? আপনার-আমার করের টাকা থেকেই তো ! ঐ সাড়ে ১২ লাখ সরকারি চাকরিজীবী আর তাদের পরিবার না হয় দ্বিগুণ বেতন দিয়ে মোজে বাজার করবে-খাবে-ফুর্তি করবে । এর বাইরে আমরা যারা সাধারন তাদের অবস্তাটা কি দাড়াবে ? কি দেখতে পাচ্ছেন ভবিষ্যতের সেই ত্রাহি-ত্রাহি অবস্তা ?
সবই ভাওতাবাজি । হাসিনার প্রয়োজন কতক গোর্মূখো-আজ্ঞাবহ প্রশাসনিক কর্মচারি । যারা বেতনের দোহাইয়ে হয়তো তার অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না । তবে মনে হচ্ছে না এই থেরাপি কাজ করবে ...
শতভাগ সহমত।
৫% ভোটের সরকার ৬ %রে খুশি কইরা ক্ষমতায় থাকবোনা তো কি গণতন্ত্র দিব??? তাদের গায়র ছাল কারো থাকবনা... জানে বইলাই মরণ চেস্টায় আছে!
তাদের বক্তৃতায় বাকশাল.. তাদের দৃষ্টিতে বাকশাল, তাদের মনে মননে বাকশাল!