নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রাণের টানে

হাসান মাসুম

হাসান মাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুলিং(bullying)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩


গতকাল সকালে আমার খুব ঘনিষ্ট এবং বড় ভাইয়ের মত এক সহকর্মি কর্তৃক বুলিং(bullying) এর শিকার হলাম। কিছুক্ষণ অফমুডে থেকে চিন্তা করলাম উনাকে বুলিং বিষয়টা বুঝাতে হবে। কোন এক সুবিধামত সময়ে ভাইজান কে একা পেয়ে জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কি বুলিং শব্দটার সাথে পরিচিত? সে বললো আমি তো শুনি নাই ই, আমার বাপেও শুনে নাই। আমি বললাম সকালে আপনি আমার সাথে যেটা করছেন, সেটাকে বুলিং বলে। সে বললো আমরা কাছের মানুষদের সাথে স্নেহ ভালোবাসা থেকে অনেক সময় এ রকম করি। বুঝলাম বুলিং নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া বা সচেতন করা অনেক কষ্টসাধ্য হবে।

আপনি যদি ডিকশনারিতে বুলিং এর বাংলা অর্থ খোজেন, তাহলে পাবেন তর্জন শব্দটি, যেটা দিয়ে বুলিং বোঝানো সম্ভব না। তাহলে বুলিং কি? এক কথায় বলতে গেলে কাউকে মানসিক বা শারিরীক ভাবে হেনস্থা করা। কাউকে অপমান, অপদস্ত করা, কারো সামনে কাউকে হেয় করা, এ রকম ব্যাপারগুলোই বুলিং। অনেক সময় আমরা কাউকে অপদস্ত করা টাকে মজা হিসেবে নিই, যেটাও বুলিং।

আমরা প্রায় সবাই বিভিন্ন সময়ে বুলিং এর শিকার হয়েছি। প্রাইমারী স্কুল থেকে কর্মস্থল সর্বত্রই বুলিং এর শিকার হতে হয়েছে বা হচ্ছে। সাধারণত ষন্ডা বা পান্ডা গোছের নেতা টাইপের ব্যক্তিরা নিরীহ, ভদ্র, ভালো মানুষ ধরনের মানুষের উপর বুলিং করে।

বুলিং এর চরম মাত্রায় অনেক সময় দলবদ্ধভাবেও কারো উপর চড়াও হওয়ার ঘটনাও ঘটে, যেটাকে বলে Mobbing.

সভ্য এবং উন্নত দেশগুলো বুলিং এর ব্যাপারে এখন বেশ সোচ্চার। তারা বুলিং প্রতিরোধে বিভিন্ন রকমের সচেতনামূলক কার্যক্রম করে থাকে। আবার কোথাও কোথাও বুলিং প্রতিরোধে আইনও আছে।

বুলিং একজন মানুষকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যখন ব্যাপারটা ঘটে, তখন তা বাচ্চাদের মানসিকতায় দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। অনেক সময় বুলিং এর শিকার কেউ কেউ সুইসাইডও করে ফেলে।

আমাদের বুলিং এর ব্যাপারে সচেতন এবং সোচ্চার হওয়া দরকার, যাতে নিজে বুলিং এর শিকার না হই এবং আমাদের সন্তানরাও বুলিং এর শিকার না হয়। যেখানেই বুলিং হবে সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে।

Bullying is never fun, it's a cruel and terrible thing to do to someone. If you are being bullied, it is not your fault. No one deserves to be bullied, ever.

Raini Rodriguez

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

শায়মা বলেছেন: স্কুলে বা বাড়িতেও নানা সময়ে বাচ্চারা যে বুলিং এর শিকার হয় তার পরিনতি ভয়াবহ হতে পারে!

অধিকাংশ সময় বাবা মা বা অনেকেই ব্যাপারটাকে গুরুত্বই দেয় না। কিন্তু বুলিং প্রতিরোধকে সিরিয়াসলী নেবার সময় এসেছে।:(

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

হাসান মাসুম বলেছেন: আপনার সাথে সহমত শায়মা, বিভিন্ন জায়গায়ই বুলিং এর শিকার হতে হয়। এটা অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

শায়মা বলেছেন: আমি এইটা নিয়ে ট্রেনিং করেছিলাম তবে এই পোস্টটা দেখে মনে হলো সেটা এইখানে আমার কখনও শেয়ার করা উচিৎ!!!!

মানে বুলিং এর ভিকটিম আর বুলিংকারী বা কারিনীগনকে কেমনে শিক্ষা দীক্ষা দিতে হয়!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

হাসান মাসুম বলেছেন: অবশ্যই অভিজ্ঞতা শেয়ার করা উচিত।অপেক্ষায় থাকলাম।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫০

সুমন কর বলেছেন: নামটা জানা ছিল না, তাহলে আমরা সবাই বুলিং -এর শিকার !!
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

হাসান মাসুম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমরা অকারনেই মানুষ কে বুলিং করি । অথচ এটি যে একটি বড় খারাপ বিষয় সে ধারনা বেশির ভাগ মানুষেরই নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.