নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের স্বীকৃতি

মিথ্যার পতন সন্নিকটে..........

আহবান

হলুদ সাংবাদিকতা অপছন্দ করি।

আহবান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আল্লাহ কি সর্বত্র আছেন" এর কুরআনিক উত্তর হলো "না"। আল্লাহ আছেন আরশে

২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৩১

আল্লাহ সর্বত্র আছেন একথা ঠিক নয়। আল্লাহ আছেন তাঁর জন্য উপযোগী এমন এক আসনে যাকে আরশ বলা হয়। সূরা আর রহমানে বলা হয়েছে আররাহমানু আরশিস তাওয়া- যার মানে আল্লাহ (রহমান) আছেন আরশে আজীমে। এ বিষয়ে কুরআন ও হাদীস ভিত্তিক অনেক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। আল্লাহ সর্বত্র থাকলে পচা জায়গাগুলোতেও তাকে থাকতে হয় যা তাঁর সম্মানের সাথে সাংঘর্ষিক। সবাই না জানার কারণে বলে আল্লাহ সর্বত্র আছেন। আসল কথা হলো আল্লাহ সর্বত্র আছেন জ্ঞানের (জানা ও শোনার) দিক থেকে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি আছেন আরশে। বিস্তারিত জানতে হলে প্রথাগত ও নামধারী আলেমদের জিজ্ঞেস না করে সূক্ষজ্ঞানী ও সচেতন আলেমদের কাছ থেকে জেনে নিন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-৩

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৩৬

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: দিল্লী৬ দেখলাম কয়েকদিন আগে। আপনি না দেখে থাকলে দেখেন।দেখে থাকলে গুড জব।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:১৩

সার্জন বলেছেন: আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান অর্থ তার উপস্থিতি সর্বত্র
তাঁর মর্যাদা তার ক্ষমতায়।
ময়লা কিছুতে তার উপস্থিতি বিরাজমান থাকলেও তার মর্যাদা কমতো না, কারণ তিনি স্রষ্টা। পবিত্র অপবিত্র সবকিছুই তাঁর সৃষ্টি।

আমাদের কাছে যা অপবিত্র ময়লা, স্রষ্টা সেটিও তাঁর অসীম কুদরতে সৃষ্টি করেছেন। সেখানেও আছে অণু, পরমানু, ইলেকট্রন, বন্ধন!

তাই মনে করি, স্রষ্টার সাপেক্ষে পচা জায়গা বলতে কিছু নেইতিনি সবকিছুর উর্ধ্বে এক মহাজ্ঞানী, চির শ্বাশ্বত অস্তিত্ব!

২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:১৩

আহবান বলেছেন: অনেকটাই একমত। কিন্তু আল্লাহ সর্বত্র (ফিজিকালী) উপস্থিত নন। আরশে উপস্থিত। কিন্তু তিনি সব জানেন, শোনেন, দেখেন। এটাই ইসলামী আকীদা বা ধারণা। ভিন্নমত থাকলে কুরআন-হাদীস থেকে প্রমাণ দিন।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৬

আদনান মাহমুদ বলেছেন: আল্লহ কোথায় আছেন না আছেন..এত প্যাচালের দরকার কি?ভালো লাগলে ধর্ম কর্ম করবেন না হলে না, সহজ সমীকরণ..নিজে ভালো'ত জগত ভালো।

২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:১৪

আহবান বলেছেন: নিজে ভালো হলেও জগত খারাপ হওয়া সম্ভব।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫৯

সিস্টেম বলেছেন: আরশে কুনায় আছে? আমনের মনের মইধ্যে আসে নি। না সেটা পচা জায়গা

২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:১৫

আহবান বলেছেন: আছেন আরশে। সেখানে থেকেই তিনি জানেন আমার মনের অবস্থা।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:০৫

তামীম বলছি বলেছেন: বিস্তারিত জানতে হলে প্রথাগত ও নামধারী আলেমদের জিজ্ঞেস না করে সূক্ষজ্ঞানী ও সচেতন আলেমদের কাছ থেকে জেনে নিন।

আপনার এই পোষ্ট দেবার মত আত্মবিশ্বাস আর আলেমদের প্রতি মনোভাব দেখে হাসতেই আছি।
ভাই আরেকটু পড়াশুনা করা যায় না!

২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:১৮

আহবান বলেছেন: আসম আত্মপ্রত্যয়ী। কিন্তু ভালো ভাবে বুঝাতে গেলে সামনা-সামনি কথা বলা বেশি ফলপ্রসূ। আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত নই। তাই নির্ভরযোগ্য জ্ঞানী (আলেম) এর কথা বলেছি।
আপনি হাসলে আমার কি ক্ষতি?
পড়াশোনা করেই লিখেছি। আরও পড়বো ইনশাআল্লাহ।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৫৯

কালীদাস বলেছেন: বিস্তারিত জানতে হলে প্রথাগত ও নামধারী আলেমদের জিজ্ঞেস না করে সূক্ষজ্ঞানী ও সচেতন আলেমদের কাছ থেকে জেনে নিন।

হ, ব্লগেও এরকম দুইজন আছে! যাদের আদর করে তালগাছ বলা হয় :D :D :D

২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:১৯

আহবান বলেছেন: ওই দুজন সম্পর্কে জানা নেই।

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩৪

প্রভাষক বলেছেন: ভাই... আপনি দেখি পুরো একটি নতুন পোস্ট-ই দিয়ে দিলেন!!!... ধন্যবাদ... তাহলে আলোচনা-টা এখানে-ই করি...

আল্লাহ্‌-র একটি গুণ-বাচক নাম হচ্ছে... ইয়া শাহীদু... অর্থ... হে সর্ব বিষয়ের সাক্ষী...

এখন তাহলে আপনি আমাকে বলুন... এর দ্বারা আমি যদি ব্যাখ্যা করি... তিনি সর্বত্র বিরাজ-মান!!!... এটা কি ভুল???...

উত্তর যদি... হ্যাঁ হয়... তাহলে আর কিছু বলার নেই...

কিন্তু উত্তর যদি... না হয়... তবে বলতে চাই... আপনি যেই কোরআন-এর কথা বললেন... সেখানে না-কি সব লেখা আছে!!!... ঠিক কোথায় লেখা আছে যে... পৃথিবী-তে ক্যান্সার আর এইডস্‌ নামক মানব-হন্তারক রোগ দেখা যাবে... লিংক দেবেন দয়া করে... আমি বাংলা এবং ইংরেজী পড়তে পারি... আরবী লিংক দেবেন-না দয়া করে...

ধন্যবাদ...

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৫০

আহবান বলেছেন: সর্ব বিষয়ের সাক্ষী হওয়া আর ঘটনার সংঘটনের স্থানে (ফিজিকালী) উপস্থিত থাকা এক নয়। আল্লাহ আরশ থেকেই সবকিছু দেখেন বলেই তিনি সব কিছুর সাক্ষী। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে আপনার ব্যাখ্যাটা ভুল। সঠিক হলে কুরআন-হাদীস থেকে দলীল দিন।
আমার কথা সত্যতার প্রমাণ কুরআনে আছে। এ ভিডিওটি শুনলে জানতে পারবেন আশা করি-
Click This Link

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৪৪

প্রভাষক বলেছেন: ভাই... বদ্ধ ঘরের মধ্য থেকে কি-ভাবে দেখা যায়!!!... আর পরের প্রশ্নটার উত্তর???...

ধন্যবাদ...

৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৬

আহবান বলেছেন: মানুষ (অস্বচ্ছ) বদ্ধ ঘরে থাকলে বাইরে দেখতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ বদ্ধ ঘরে থাকেন এটা কোথাও আছে কি? আর তিনি বদ্ধ ঘরে থাকলেও দেখার ক্ষমতা রাখতেন। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরটি জানানোর জন্যই লিঙ্কটি দিয়েছিলাম। ধন্যবাদ।

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৪৩

উদাসীফাহিম বলেছেন: আহবান বলেছেন:সর্ব বিষয়ের সাক্ষী হওয়া আর ঘটনার সংঘটনের স্থানে (ফিজিকালী) উপস্থিত থাকা এক নয়। আল্লাহ আরশ থেকেই সবকিছু দেখেন বলেই তিনি সব কিছুর সাক্ষী। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে আপনার ব্যাখ্যাটা ভুল। সঠিক হলে কুরআন-হাদীস থেকে দলীল দিন।
আমার কথা সত্যতার প্রমাণ কুরআনে আছে। এ ভিডিওটি শুনলে জানতে পারবেন আশা করি

সঠিক ব্যাখ্যা।

১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:২৮

প্রভাষক বলেছেন: ভাই... একটু ব্যাখ্যা করবেন কি???...

১. আল্লাহ্‌ নির-আকার... নির-আকার খোদা কিভাবে আরশ নামক আসন-এ অসীন থাকবেন???... বাতাস নির-আকার... এটা কি একটি বিশেষ স্থানে আবদ্ধ???...

২. যদি ধরি... আবদ্ধ স্থানে আছেন... তাহলে তিনি কিভাবে আপনার কর্মকান্ড দেখছেন???... আবদ্ধ ঘরের মধ্যে আপনি যা করছেন তা তিনি কিভাবে বুঝতে পারছেন???...

৩. যদি ধরি... অন্তঃচক্ষু দ্বারা... যিনি নির-আকার... তার কিভাবে চক্ষু জন্মালো???...

উত্তর-গুলো দেবেন আশা করি...

ধন্যবাদ...

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

মোঃ রেদওয়ান বলেছেন: ইমাম আবু হানীফা (রঃ) কে জিজ্ঞাস করা হলো আল্লাহ সর্বত্র আছেন আপনি কি বলেন? তখন ইমাম আবু হানীফা বললেনঃ তুমি তোমার বন্ধুকে চিঠি লিখলে আর বললে আমি তোমার সাথে আছি। অথচ তুমি তার থেকে অনেক দূরে।

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হযরত ইমাম মালিক রহঃ বলেন,
الاستواء معلوم والكيفية مجهولة، والسؤال عنه بدعة، والايمان به واجب،
“আল্লাহ তাআলার আরশে ইস্তিওয়া এর বিষয়টি জানা যায়, কিন্তু অবস্থা অজানা। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা বিদআত। আর এ বিষয়ে ঈমান রাখা ওয়াজিব”।

এজন্য এ বিষয়ে অযথা কথনে লিপ্ত হ্ওয়া কিছুতেই কাম্য নয়। আর আল্লাহ তাআলা আছেন, তিনি সব কিছু দেখছেন, তিনি আমাদের উপর ক্ষমতাশীল এসব আমাদের মূল ঈমানের বিষয়। তিনি কোন অবস্থায় আছেন? এসব আমাদের ঈমানের মূল বিষয় নয়। তাই এটি নিয়ে অযথা ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া কিছুতেই উচিত নয়। খুবই গর্হিত কাজ।
আল্লাহ তাআলা কোথায় আছেন? এটি কুরআনের একটি মুতাশাবিহাত তথা রূপক শব্দের অন্তর্ভূক্ত। তাই আমাদের পূর্ববর্তী মুহাক্কিকগণ এটির ব্যাপারে অতি গবেষণা থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন।
আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র রয়েছেন!

কথিত আহলে হাদীস সম্প্রদায় প্রচার করে থাকে, আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান নয়। তারা দলিল হিসেবে পেশ করে থাকে সূরা হাদীদের ৩ নং আয়াত। যেখানে ঘোষিত হয়েছে আল্লাহ তায়ালা আরশের উপরে রয়েছেন। তারা কিছু আয়াত দিয়ে আরো অসংখ্য আয়াতকে অস্বিকার করে নাউজুবিল্লাহ। যেই সকল আয়াত দ্বারা বুঝা যায় আল্লাহ তায়ালা আরশসহ সর্বত্র রয়েছেন।
কিছু আয়াতকে মানতে গিয়ে আরো ১০/১২টি আয়াত অস্বিকার করা হচ্ছে।

আমরা বিশ্বাস করি-আল্লাহ তাআলার কুরসী আসমান জমিন সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। তিনি স্থান কাল থেকে পবিত্র। আল্লাহর গোটা রাজত্বের সর্বত্র তিনি রয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা আরশে রয়েছেন একথা আমরা অস্বিকার করি না। তিনি আরশে রয়েছেন। তিনি এছাড়াও সর্বত্র রয়েছেন। তাহলে আমরা সকল আয়াতকেই মানি। আর ওরা শুধু আরশ সংশ্লিষ্ট কিছু আয়াত মানে, বাকিগুলোকে অস্বিকার করে।
কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকা সকল কিছুকে পরিবেষ্টনকারী স্রষ্টার জন্য কিছুতেই মানানসই হতে পারে না।
কিছু আয়াত দেখে নেইঃ
১-
ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ
অতঃপর তিনি আরশের উপর ক্ষমতাশীল হোন। {সূরা হাদীদ-৪}
২-
قوله تعالى {وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ}
আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। {সূরা বাকারা-১৮৬}
৩-
قوله تعالى {وَنَحنُ أَقرَبُ إِلَيهِ مِن حَبلِ الوَرِيدِ} [ق 16]
আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}
৪-
فَلَوْلا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ (83) وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ (84) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لا تُبْصِرُونَ (85)
অতঃপর এমন কেন হয়না যে, যখন প্রাণ উষ্ঠাগত হয়। এবং তোমরা তাকিয়ে থাক। এবং তোমাদের চেয়ে আমিই তার বেশি কাছে থাকি। কিন্তু তোমরা দেখতে পাওনা {সূরা ওয়াকিয়া-৮৩,৮৪,৮৫}
৫-
{ وَللَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ } [البقرة-115]
পূর্ব এবং পশ্চিম আল্লাহ তায়ালারই। সুতরাং যেদিকেই মুখ ফিরাও,সেদিকেই রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী সর্বজ্ঞাত {সূরা বাকারা-১১৫}
৬-
قوله تعالى { وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَمَا كُنتُمْ } [ الحديد – 4 ] তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}
৭-
وقال تعالى عن نبيه : ( إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا (التوبة من الآية40
যখন তিনি তার সাথীকে বললেন-ভয় পেয়োনা, নিশ্চয় আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন {সূরা হাদীদ-৪০}
৮-
قوله تعالى مَا يَكُونُ مِن نَّجْوَى ثَلاثَةٍ إِلاَّ هُوَ رَابِعُهُمْ وَلا خَمْسَةٍ إِلاَّ هُوَ سَادِسُهُمْ وَلا أَدْنَى مِن ذَلِكَ وَلا أَكْثَرَ إِلاَّ هُوَ مَعَهُمْ أَيْنَ مَا كَانُوا ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا عَمِلُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ( المجادلة – 7
কখনো তিন জনের মাঝে এমন কোন কথা হয়না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন, এবং কখনও পাঁচ জনের মধ্যে এমন কোনও গোপন কথা হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন। এমনিভাবে তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশি, তারা যেখানেই থাকুক, আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে অবহিত করবেন তারা যা কিছু করত। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন {সূরা মুজাদালা-৭}
৯-
وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ
আল্লাহ তায়ালার কুরসী আসমান জমিন ব্যাপৃত {সূরা বাকারা-২৫৫}

একটি মৌলিক প্রশ্ন
প্রথমে একটি বিষয় সুনির্দিষ্ট করে নিতে হবে। সেটা হল, আল্লাহ তাআলার সর্বত্র বিরাজমানতার আয়াতগুলোকে ব্যাখ্যা সহ মানা হবে? না শুধু শাব্দিক অর্থের উপর রাখা হবে?

দুই পদ্ধতির যে কোন একটি পদ্ধতি অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। যদি ব্যাখ্যাসহ মানা হয়, তাহলে সকল আয়াতের ব্যাখ্যাই করতে হবে। এক আয়াতের ব্যাখ্যা আর অন্য আয়াতের শুধু শাব্দিক অর্থ নেয়া যাবে না। আর যদি শুধু শাব্দিক অর্থই গ্রহণ করা হয়, ব্যাখ্যা ছাড়া। তাহলে এ সম্পর্কীয় সকল আয়াতকেই তার শাব্দিক অর্থের উপর রাখতে হবে। কোনটারই ব্যাখ্যা করা যাবে না।

সেই হিসেবে যদি ব্যাখ্যা নেয়া হয়, তাহলে সব আয়াতের ব্যাখ্যা নিতে হবে। তাই,
আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}

ইত্যাদি আয়াতের ব্যাখ্যায় যেমন কথিত আহলে হাদীস ভাইয়েরা বলে থাকেন যে, এর মানে হল আল্লাহ তাআলা ইলম ও ক্ষমতা হিসিবে সবার সাথে আছেন। ঠিকই একই ব্যাখ্যা নিতে হবে
অতঃপর তিনি আরশে সমাসিন হন [কর্তৃত্বশীল হোন] {সূরা হাদীদ-৪}
এ আয়াতের। অর্থাৎ তখন আমরা বলবো, এ আয়াতের ব্যাখ্যা হল আল্লাহ তাআলা ইলম ও ক্ষমতা হিসেবে আরসে সমাসিন।
আর যদি বলা হয়, না আয়াতের শাব্দিক অর্থ গৃহিত হবে। কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ গ্রহণযোগ্য হবে না। তাহলে
অতঃপর তিনি আরশে কর্তৃত্বশীল হোন। {সূরা হাদীদ-৪}
এ আয়াতের শাব্দিক অর্থ হিসেবে যেমন আমরা বলি আল্লাহ তাআলা আরশে। ঠিক একইভাবে
আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}

ইত্যাদি আয়াতের শাব্দিক অর্থ হিসেবে বলতে হবে যে, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। সর্বত্র আছেন। কোন ব্যখ্যা করা যাবে না। যেমন সূরা হাদীদের ৪ নং আয়াতের কোন ব্যাখ্যা করা হচ্ছে না।

আশা করি এ মূলনীতি অনুসরণ করলে আর কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। এক আয়াতের ব্যাখ্যা আরেক আয়াতের শাব্দিক অর্থ মনগড়াভাবে করলে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

কয়েকটি প্রশ্ন আসে এখানেঃ
১. আল্লাহ তাআলা আরশেই অবস্থান করলে আরশ সৃষ্টির আগে আল্লাহ তাআলা কোথায় ছিলেন?

২. কিয়ামতের সময় সব কিছু যখন ধ্বংস হয়ে যাবে তখন আল্লাহ তাআলা কোথায় থাকবেন?

৩. আল্লাহ তাআলা আরশেই অবস্থান করলে মুসা আঃ কে দেখা দেয়ার জন্য তূর পাহাড়ে কেন ডেকে নিলেন?

৪. বিভিন্ন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রতিয়মান হয় যে, শেষ রাতে আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে এসে বান্দাদেরকে ইবাদত করার জন্য আহবান করে থাকেন, যেন বান্দা ইবাদত করে।

এখন প্রশ্ন হল, সারা পৃথিবীতে একই সময়ে শেষ রাত হয় না, এক দেশ থেকে আরেক দেশের সময়ের পার্থক্য রয়েছে। এক ঘন্টা থেকে নিয়ে বার তের ঘন্টা এমনকি বিশ বাইশ ঘন্টাও। তাহলে কি আল্লাহ তাআলা বাংলাদেশের আসমানে শেষ রাতে একবার আসেন, তারপর তিন ঘন্টা পর আবার সৌদিতে যান, তারপর এভাবে একের পর এক দেশের প্রথম আসমান ঘুরতেই থাকেন?

কুরআন ও সহীহ হাদীসের শব্দসহ উক্ত বিষয়ের সমাধান চাই।

উপরোক্ত আলোচনাটি জনাব মুফতি লুতফর রহমান ফরায়েজী সাহেবের একটি লেখা থেকে সংগৃহীত। এ ব্যাপারে আরো জানতে চাইলে জনাব মুফতি লুতফর রহমান ফরায়েজী সাহেবের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। ‎(০১৭২৩ ৭৮৫ ৯২৫, বাংলাদেশ সময় বিকাল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত)। অথবা ই-মেইল পাঠানো যেতে পারে [email protected] বা [email protected] এই ঠিকানায়।

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এ বিষয়ে আরো জানতে এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.