![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৭১ এ কি ঘটেছিলো? রাজাকার কারা ছিলো?
ইঞ্জিনিয়ার আবু রামিন কর্তৃক সম্পাদিত
বিজয়ীদের মতামতই সাধারণত একচেটিয়াভাবে প্রচারিত হয়:
যারা হন বিজয়ী, তারা বলেন- গলা ফাটিয়ে। তাই দূর থেকেও তাদের কথা শোনা যায়। আর যারা হন পরাজিত দলের লোক তারা বলেন ভয়ে ভয়ে। তাদেরকে এক দিকে যেমন ধমক দেওয়া হয় তেমনি দূর থেকে তাদের কথা শোনাও যায়না।
তাই, নিরপেক্ষভাবে উভয়ের কথা সমান গুরুত্ব সহকারে না শুনে প্রকৃত সত্য খুঁজে বের করা যায় না। কেবল একটি পক্ষের একপেশে বক্তব্য শোনার ফলেই প্রকৃত অবস্থার অনেক কিছুই এখনও অনেকের কাছে অজানাই রয়ে গেছে।
কিছু সত্য কথা:
১.প্রত্যক্ষদর্শিরাও প্রতিকূল পরিবেশে সত্য সাক্ষ্য দেওয়ার সাহস রাখে না। কিন্তু, মন থেকে সত্যকে ধুয়ে-মুছে ফেলতে পারে না। মুখে না পারলেও মনের মধ্যে গোপন করে রাখে। উপযুক্ত সময় পেলেই বলে ফেলে।
২.পরাজিত পক্ষ হাজারো সত্য কথা বললেও প্রথম দিকে তা কেউই মানতে চায় না, যদিও পরে তা মানে।
৩.পরাজিত পক্ষ যথেষ্ট সৎ হলেও তাদেরকে দেখা হয় দোষী ব্যক্তি হিসেবে।
৪.বিজয়ী পক্ষ হাজারো অপরাধ করলেও তাদের দেখা হয় গুণী ব্যক্তি হিসেবে।
৫.যারা পরকালে বিশ্বাসী নয় তারা বিজয়ী হলে তাদের যাবতীয় অপকর্মের দোষ চাপায় পরাজিতদের ঘাড়ে।
অনেক কথাই মানুষ আজ না মানলেও কাল মানে:
আমাদেরই কিছু নিরীহ যুবক ছেলেদের এমনভাবে অন্ধ করে ফেলা হয়েছে যে, তাদের অনকেরই আর উপদেশ গ্রহণ করার মতো মন-মগজ নেই। তাই বলে হতাশ না হয়ে সত্য ইতিহাস তুলে ধরার কাজ করে যেতে হবে।
মানুষ কোনো কোনো খবর পছন্দ করে- যা বললে সাথে সাথেই মেনে নেয়; এমনকি তা মিথ্যা হলেও। আর কোনো কোনো খবরে মানুষ হয় বেজার। সে খবরগুলো সে সহজে মানতে চায় না; এমনকি তা সত্য হলেও। এক্ষেত্রে সে সত্যকে মানতেও মানুষের সময়ের প্রয়োজন হয়।
ধরুন, এখন যদি বলা হয় ৭১ এর যুদ্ধে আমরা স্বাধীন হইনি বরং বাংলাদেশ একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে- তাহলে তা কি কেউ মানতে পারবে? তা অবশ্যই কেউ মানতে পারবে না। কিন্তু সময় যখন প্রমাণ করবে তখন তা আর কাউকে বলতে হবে না। তখন অনেকেই এমন অনেক কথা বলবে যা সবাই মেনে নেবে কিন্তু একই কথা আজ হয়তো কেউ মানছে না।
সত্য অনেকেরই মনে অবস্থান করে কিন্তু সাহস করে সবাই তা বলতে পারে না। কিন্তু কেউ যদি একবার ভয় ও সংকোচ ত্যাগ করে সত্য বলে ফেলতে পারে তবে তার দেখাদেখি অন্যরাও সাহস করে সত্য বলা শুরু করে দেয়।
৭১ এর যুদ্ধ সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা:
৭১ এর যুদ্ধের কারণ সম্পর্কে সবার বুঝ এক রকম ছিলো না।
১.কেউ বুঝেছিলেন, এটা হলো ন্যায্য অধিকার আদায়ের যুদ্ধ
২.কেউ বুঝছিলেন, যুদ্ধ হয়েছিলো এ কারণে যে, আওয়ামী লীগ সর্বাধিক ভোট পাওয়ার পরেও কেনো শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হয়ে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করতে দেওয়া হলো না।
৩.সাধারণ মানুষের অনেকে নিজেকে পরাধীন ভাবতেন আবার অনেকে নিজেকে পরাধীন মনে করতেন না।
৪.কেউ মনে করেছিলেন, এটা হচ্ছে দেশ থেকে ইসলাম উৎখাত করার বা মুসলিম শক্তিকে দুর্বল করে দেওয়ার যুদ্ধ। এদেশের ইসলামপ্রিয় অনেকেই মনে করেছিলো যে, আমরা আবার হিন্দুদের গোলাম হতে যাচ্ছি। তাই দেশের লোক দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। আর সেজন্যই কেউ কেউ মনে করেন, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট আর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে একই ধরনের আনন্দের ভাব ফুটে ওঠেনি। তাদের মতে, ১৪ আগষ্ট দেশটা আনন্দে ফেটে পড়েছিলো আর ১৬ ডিসেম্বর লুকিয়ে লুকিয়ে অনেকে চোখের পানি মুছেছিলো।
আওয়ামী লীগের ৬ দফা দাবির মধ্যে এমন কোনো কথা ছিলো না যে, এটা একটা পরাধীন দেশ; এটাকে স্বাধীন করার জন্য ৬ দফা পেশ করা হলো।
স্বাধীনতা যুদ্ধ হচ্ছে- এটা কি সকলের কাছে সমানভাবে স্পষ্ট ছিলো?
শেখ মুজিবুর রহমান ৭১ সালের ৭ মার্চ যে ঘোষণা দিয়েছিলেন ৮ মার্চ সেই ঘোষণার উপর নিজেই টিকে ছিলেন না। এখানেই তো বিভ্রান্তি। ৭ মার্চের ঘোষণার পর ২৫ মার্চ পর্যন্ত কি করে তিনি ইয়াহিয়া খানের সাথে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন?
তিনি একদিকে বলেছিলেন ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ো; অন্যদিকে তার সাথে আলোচনার টেবিলে বসা; এর থেকে কি বুঝায়? এর থেকে তাঁর নিজের দলের লোকই তো মনে করেনি যে এটা স্বাধীনতা যুদ্ধ। আওয়ামী লীগের অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি মনে করেছিলেন এটা অধিকার আদায়ের বা ক্ষমতা লাভের যুদ্ধ। অনেকেরই ধারণা ছিলো বড়জোর মার্শাল ল’ জারি হতে পারে; এর বেশি কিছু হবে না।
শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বলেছেন ৭ মার্চের ঐ ঘোষণা না দিলে আমাকে ছাত্র নেতাদের হাতে গুলি খাওয়ার ভয় ছিলো; বলেছেন খোদ ইয়াহিয়া খানের কাছে।
বৈঠকে প্রকাশ তাঁর ভাষাটি ছিলো এরূপ যে, তিনি ইয়াহিয়া খানকে বলেছিলেন, আমি যদি আপনার কথামতো চলি তাহলে ছাত্র নেতারা আমাকে গুলি করবে, আর যদি ছাত্র নেতাদের কথামতো চলি তাহলে আপনি গুলি করবেন, বলেন তো, এখন আমি কি করি।
৭১ এ পাকিস্তানী সেনাদের পরাজয়ের কিছু কারণ:
১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাদের পরাজয়ের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন:
১.পাকিস্তানী সেনারা দেশের লোকদের উপর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে শত্রু বানিয়েছিলো এবং দেশের সমর্থন হারিয়ে ফেলেছিলো।
২.তারা আরও ভুল করেছে বাংলা ভাষা না জানার কারণে। শুনেছে এক রকম আর বুঝেছে অন্য রকম।
৩.পাকিস্তানের অখন্ডতার পক্ষের লোকদেরও তারা বুঝে ও না বুঝে হত্যা করেছে। যেমন: এক জামায়াতপন্থী পরিবারের ঘরে পাক সেনারা উঠেছিলো। স্থানীয় মুসলিম ও হিন্দু লোকেরা জামায়াতপন্থী লোককে আমানতদার মনে করে গহনা গচ্ছিত রেখেছিলো। পাক সেনারা বাড়ি তল্লাসী করে ঐ গহনা নিয়ে যেতে পারে এ আশংকায় ঐ জামায়াতের লোক সৈনিকদের দৃষ্টি এড়িয়ে গহনাগুলো পাশের বাড়িতে রাখতে গেলে পাক সেনারা দেখে ফেলে এবং লোকটিকে মেরে ফেলে।
৪.রাজনৈতিকভাবে পাক সেনারা ছিলো খুবই অদূরদর্শী। শেষে তারা যখন বুঝলো যে দেশের লোক তাদের বিরুদ্ধে চলে গেছে তখনই তারা স্যারেন্ডার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
৫.তারা আরও একটি জঘন্য কাজ করে আল্লাহর সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের কিছু জওয়ান নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় যা তাদের উর্ধ্বতন ভালো অফিসারগণও রোধ করতে পারেনি।
রাজাকার কারা ছিলো?
রাজাকারদের চাকরী দিয়েছিলো মিলিটারীরা। ফলে রাজাকারদের মধ্যে কম্যুনিষ্টসহ সব আদর্শের লোকই ঢুকে পড়ে। বিশেষ করে চোর-ডাকাতরাই বেশি ঢুকে পড়ে রাজাকার বাহিনীতে।
জানা গেছে, মাগুরাতে রাজাকারের সংখ্যা ছিলো ১১ হাজার যার মাত্র ৩৫ জন ছেলে জামায়াতে ইসলামী আর মুসলিম লীগের আর বাদ বাকি সবই এসে রাজাকারে চাকরী নিয়েছে এবং অনুগতদের ন্যায়ই পাক সেনাদের আনুগত্য করে যাচ্ছে।
ইতোপূর্বে আমরা (লেখক) দাড়িপাল্লায় যেখানে ৩৭ টি ইউনিয়ন থেকে ১০০ টি ভোটও পেলাম না সেখানে রোজাকার এগার হাজার।.. ওরা সবাই নৌকা থেকে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে, রাজাকারদের বেশির ভাগ ছিলো আওয়ামী লীগ, আর অনেকে ছিলো চোর-ডাকাত, আর কিছু ছিলো ইসলামপন্থী।
কেনো অনেকেই সে সময় রাজাকার হয়েছিলো?
৭১ এ ত্রিমুখী বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য অনেক গ্রামে সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গ্রাম বাঁচানোর জন্য আমাদের কিছু ছেলে মুক্তিফৌজে আর কিছু ছেলে রাজাকারে দিতে হবে। তারা দেশ রক্ষার কাজে ব্যস্ত ছিলো না; ব্যস্ত ছিলো গ্রাম বাঁচানোর কাজে। এটাই ছিলো অধিকাংশ গ্রামের অবস্থা। আর এটাই ছিলো রাজাকারদের পরিচিতি।
কিছু আগাম প্রশ্ন যাদের মগজে ঢুকেছিলো তারা বাধ্য হয়েছিলো রাজাকার, আলবদর ইত্যাদি বাহিনী গঠন করতে। এ আগাম প্রশ্নগুলো হলো:
১.ভারত বাংলাদেশের প্রতি এতোই দয়ালু যে, আমাদের তালপট্টি দ্বীপ তারা দখল করে নিলো?
২.পাঞ্জাবীরা আমাদের শত্রু হতে পারে কিন্তু পাঞ্জাবী আর ইসলাম কি এক?
৩.বাংলাদেশ হওয়ার পর মুসলিম নামগুলোকে কেনো মুছে দেওয়া হলো?
৪.জিন্নাহ হল কেনো হলো সূর্যসেন হল?
৫.নজরুল ইসলাম কলেজের নাম থেকে ইসলাম শব্দটা বাদ দেওয়া হলো কেনো?
৬.বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে কেনো আল্লাহর নাম বাদ পড়লো?
৭.আল্লাহু আকবারের পরিবর্তে জয় বাংলার শ্লোগান কেনো হলো; আল্লাহু আকবার কি দোষ করেছিলো?
তবে, অনেক রাজাকারের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা যতোটুকু কাজ করেছে তার চেয়ে বেশি কাজ করেছে দুটো জিনিস। যথা:
১.বাঁচার তাগিদ
২.লুটপাটের সুযোগ-সুবিধা
রাজাকাররা কি ইসলামী দলের লোক ছিলো?
রাজাকারদের কিছু ছিলো বেকার আর কিছু ছিলো চোর-ডাকাত ধরনের লোক। এক ব্যক্তি বলেছেন, আমাদের এলাকায় ৫/৬ জন লোক রাজাকার ছিলো। তারা ছিলো বেকার। তারা রাজাকার হিসেবে চাকরী নিয়েছিলো মাত্র। তাদের কোনো ইসলামী রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক ছিলো না।
ঢাকা শহরের রাজাকারদের খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে তারা নাকি অধিকাংশই ছিলো স্থানীয় ছেলে যাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো পাঞ্জাবীদের জুলুম-অত্যাচার থেকে নিজেদের ঘর-বাড়ি, মাল-আসবাব রক্ষা করা আর গৌণ উদ্দেশ্য ছিলো যদি লুটপাটের কিছু সুযোগ মেলে।
তখন এমন বহু রাজাকার ছিলো যারা পূর্বে কোনোদিন জামায়াতের নামও শোনেনি এবং তারা কোনোদিনও জামায়াতের সমর্থকও নয়। তারা ছিলো যার যার এলাকার বেকার যুবক এবং নিকৃষ্টমানের মাস্তান ধরনের লোক। ৭০ এর নির্বাচনে ২/১ জন ছাড়া তারা প্রায়ই ছিলো নৌকার ভোটার। কাজেই ১৬ ডিসেম্বরের পরে তারা রাতারাতি সব চলে যায় মুক্তিফৌজে।
অবশ্য কোনো কোনো শহরে ছিটেফোটা ৩/৪ জন এমন রাজাকার ছিলো যাদের সাথে ইসলামী কোনো না কোনো দলের সম্পর্ক ছিলো।
ইসলামী দলের লোকেরা সাধারণত দল পরিবর্তন করে না। কিন্তু আদর্শহীন ব্যক্তি সুযোগ পেলেই নিরাপদ দলে আশ্রয় নেয়। এটা বুঝা যায় দেশে পঙ্গু রাজাকার না থাকা থেকে। দেশে পঙ্গু রাজাকার নেই কেনো? কারণ, তারা মুক্তিফৌজের দলে ঢুকে পড়েছে। বহু রাজাকারের হাতেও মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দেখা গেছে।
রাজাকারদের ভালো মন্দ:
কেরামত মুন্সির মা বললেন, “আমার ৭ ছেলের ৬ টাই মুক্তিফৌজ। আমরা জানি কে কেমন ভালো মানুষ। আমাদের বিপদের মধ্যে ফেলে যখন আমাদের নেতারা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তখন যারা আমাদের উদ্ধার করলেন তারাই (পরে) হলো দালাল?
৭১ এ আওয়ামী লীগের যেসব নেতৃবৃন্দ ভারতে গিয়েছিলেন তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখুন তো তাদের পরিবারের কেউ মরেছে নাকি? পরে দেশ স্বাধীন হলো, প্রচার যন্ত্রের মালিক হলেন একটা গ্রুপ আর একটা গ্রুপের মুখে লেগে গেলো তালা, তাই আসল ঘটনাটা কালো পর্দায় ঢাকাই পড়ে গেলো।
সুবিধাবাদী রাজাকারদের আচরণ:
আসলে হিন্দু ও রুশ-ভারতপন্থীরাই ছিলো পাঞ্জাবীদের টার্গেট। কালেমা জানা মুসলমানদেরকে তারা মারতে চায়নি। এজন্য ঐ সময় হিন্দুরা লুঙ্গি পরতো এবং কালেমা মুখস্থ করে নিয়েছিলো এবং অনেকেই মুসলমান হয়েছিলো।
সুযোগসন্ধানীদের অনেকেই সুযোগ পেয়ে রাজাকার হয়েছিলো। আর রাজাকাররা সাধারণত রাইফেল হাতে পেয়ে স্থানীয়ভাবে যাদের সাথে পূর্বশত্রুতা ও দলাদলি ছিলো তাদের মেরে মনের রাগ ঝেড়েছে। সারা দেশ শত্রুমুক্ত করার জন্য মারেনি।
যখনই রাজাকারদের পতন ঘটেছে তখন রাজাকাররা দলে দলে মুক্তিফৌজে ঢুকে পড়েছে। এ কারণে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া গেছে কিন্তু পঙ্গু রাজাকার পাওয়া যায়নি। এর অর্থ হলো, পঙ্গু রাজাকাররা এখন সবাই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা।
স্যারেন্ডার করার পর রাজাকারদের হত্যা:
দেশ মুক্ত হওয়ার পর যখন রাজাকাররা স্যারেন্ডার করলো এবং তাদের অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিলো তারপরও তাদের ধরে ধরে মারা হয়েছে। স্যারেন্ডার করার পরও যে বিপক্ষকে মারা হয় এটার দৃষ্টান্ত দুনিয়ার কোথাও থাকুক বা না থাকুক বাংলাদেশে আছে। আর শুধু মুখে দাড়ি ও মাথায় টুপি থাকার কারণে বাস, ট্রেন, লঞ্চ, স্টীমার থেকে ধরে নিয়ে মারার দৃষ্টান্তও এই বাংলাদেশে আছে। এ ঘটনাগুলো যে ভালো ছিলো না তা আজ মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
দালাল কারা? কিসের দালাল তারা?
আল্লাহর প্রত্যেক নবী-রাসূল (সা.)-ই ছিলেন আল্লাহর খাস দালাল। মুসলিমরাও আল্লাহর দালালের দালাল।
আমাদের দেশে কেউ কেউ আছে ভারতের দালাল। যারা ভারতের দালাল তারা কিন্তু যতো কথাই বলুক ভারতের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলবে না- যদিও বাংলাদেশ মরুভূমিও হয়ে যায়।
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা:
শেখ মুজিবুর রহমান দেখলেন মুক্তিযোদ্ধাদের উপর নেতৃত্ব চালাচ্ছে হিন্দু নেতৃবৃন্দ। তখন তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী হত্যাকান্ডের ব্যাপারে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন। ঐ সময় স্বাধীনতার ঘোষক মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দাবি ছিলো বিচার করে অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া হোক। কিন্তু শেখ সাহেব দেখলেন তাতে তার নিজের লোকেরই গলায় ফাঁসি পড়বে বেশি, কাজেই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে উভয় কূল রক্ষা করলেন এবং তাঁর নিজের লোকদের ফাঁসির হাত থেকে বাঁচালেন।
গণ আদালত, জনতার মঞ্চ ইত্যাদি নামে যাদের ফাঁসির দাবি করা হচ্ছে গত ৪২ বছরে তাদের বিরুদ্ধে কোনো থানায় একটি মামলা তো দূরের কথা কোনো জিডিও করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে এতো অভিযোগের পাহাড় কিভাবে তৈরি হলো?
শেখ মুজিবুর রহমান যখন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে রাজনৈতিক সহ অবস্থানের ব্যবস্থা প্রথম করে গেছেন তখন এতো বছর পরও ‘৭১ এর পরাজিত শত্রু’ কথাটা ব্যবহার করার লক্ষণটা কি ভালো?
স্বাধীনতা যুদ্ধের কৃতিত্ব কি মুক্তিফৌজের না আওয়ামী লীগের?
মেজর এম এ জলিল তাঁর “অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা” গ্রন্থে লিখেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দেশের সাধারণ শান্তিপ্রিয় জনগণকে হিংস্র দানবের মুখে ছেড়ে দিয়ে কোলকাতার বালিগঞ্জের আবাসিক এলাকায় একটি দ্বিতল বাড়িতে বসে প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গী সহকারে (খন্দকার মোশতাক আহমেদ বাদে) নিরাপদে তাস খেলছিলেন।.. সেই দিন থেকেই মেজর এম এ জলিল আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেন এবং তখন থেকেই তিনি প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগ থেকে দূরে সরে পড়েন। তার দাবি মুক্তিযুদ্ধের পুরো কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের নয়।
মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেশকে মুক্ত করার জন্যে হাজারো প্রকার কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলো তখন আওয়ামী নেতৃবৃন্দের কিছু সদস্য শরনার্থী শিবির থেকে অসহায় যুবতী হিন্দু মেয়েদের কোলকাতা শহরে চাকরী দেওয়ার নাম করে সেই অসহায় আশ্রয়হীনা যু্বতীদের কোলকাতার বিভিন্ন হোটেলে এনে যৌন তৃষ্ণা মেটাতে বিবেকের দংশন বোধ করেননি। (উক্ত বইয়ের ৩০ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)
কাজী জহির রায়হান নাকি উক্ত নেতৃবৃন্দের অপকর্মের কিছু প্রামাণ্য সচিত্র দলিল সংগ্রহ করেছিলেন যে কারণে তাকে বেঁচে থেকে স্বাধীনতার পরবর্তী অবস্থা স্বচক্ষে দেখার সুযোগ দেওয়া হলো না।
তাহলে কি স্বাধীনতা বিরোধী বলে পরিচিত ইসলামপন্থী দলগুলোর শংকা এবং অনুমান সত্য ছিলো? তাদের শংকা এবং অনুমান যদি সত্যই হয়ে থাকে তাহলে দেশপ্রেমিক কারা? আমরা মুক্তিযোদ্ধারা না যারা রাজাকার- আলবদর হিসেবে পরিচিত তারা? (উক্ত বইয়ের ৮ম পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)
৭০ এর নির্বাচন হয়েছিলো পাকিস্তানের সংবিধানের অধীনে। সেখানে জনগণ নতুন কোনো সংবিধান তৈরি করার ম্যান্ডেট দেয়নি। কাজেই জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া যে সংবিধান তা কি আইন সিদ্ধ? সে সংবিধান যদি বাংলাদেশে তৈরি না হয়ে ভারতে তৈরি হয়ে থাকে তাহলে?
৭২ এর সংবিধানের ৪ মূলনীতি কি ভারতের মাটিতে বসে তৈরি হয়নি? এ ৪ মূলনীতি চাপিয়ে দেওয়ার দ্বারা কি আদর্শিকভাবে বাংলাদেশকে ভারতের মতো করে ফেলার পদক্ষেপ নয়?
পাক বাহিনী জেনারেল ওসমানীর কাছে আত্মসমর্পন না করে ভারতের সেনাপতির কাছে কেনো আত্মসমর্পন করেছিলো? কেনো মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানিকে ১৬ ডিসেম্বর সিলেট আটকে রেখে পাক বাহিনীকে বাধ্য করা হলো ভারতীয় সেনানায়কের কাছে স্যারেন্ডার করতে?
দেশের সম্পদ লুট-পাট হয়ে ভারতে চলে যাওয়ার প্রতিবাদ করার কারণে একজন মুক্তিযোদ্ধা কি রাজবন্দী হতে পারে? কোনো হলো?
পাকিস্তান ও বাংলাদেশ প্রশ্নে শেখ মুজিবুর রহমান:
আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান শেখ মুজিবুর রহমান। এই শপথের শেষ বাক্যটি ছিলো: জয় বাংলা জয় পাকিস্তান (দৈনিক পাকিস্তান, ৪ জানুয়ারী, ১৯৭১)। এ শপথে পাকিস্তানের প্রতি তাঁর আনুগত্য প্রকাশ পায়।
২ মার্চ তখনকার ডাকসু ভিপি আ.স.ম. আবদুর রব বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। এই পতাকা উত্তোলনের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান তাদের ভর্ৎসনা করেন।.. ৭ মার্চের তাঁর ভাষণের শেষে যে শ্লোগান দেন তাতে জয় বাংলার সঙ্গে জয় পাকিস্তানও বলেছিলেন।
২০ মার্চ আওয়ামী লীগের ৩ জন শীর্ষস্থানীয় সহকর্মী নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে ১৩০ মিনিট আলোচনা করেন।
২৫ মার্চ রাতে বন্দী হওয়ার পূর্বে বিশ্ববিখ্যাত ফরাসী দৈনিক লা মন্তের সাথে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, .. কমিউনিস্টদের খপ্পর থেকে পূর্ব পাকিস্তান রক্ষা করার জন্য তিনিই একমাত্র ভরসা..। মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস শেষে শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী, শেখ হাসিনা, শেখ রাসেল প্রমুখ ঢাকায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন- এ সব কিছু মিলে কি প্রমাণ করে?
১৯৭১ এর মার্চে পাকিস্তানীদের দ্বারা সংঘটিত হত্যাকান্ডের কিছুদিন পূর্বে ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টো ঢাকায় এসেছিলেন। ইয়াহিয়া খান যথা শীঘ্র ফিরে যান। কিন্তু ভুট্টো ঢাকায় রয়ে যান। তাকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রাখা হয়। তার অ্যাপার্টমেন্ট ছিলো ৯১১-৯১৩। কেউ কি ধারণা করতে পারি কে তার গাইড ছিলেন? সেই লোকটি শেখ মুজিবুর রহমান।..
দু’জন বরাবর একত্রে ছিলেন। একদিন তারা নৌকাযোগে পিকনিকেও গেছেন। তারা যদি শত্রুই হবেন, তাহলে এসব হয় কি করে? এরপর ২৫ মার্চ রাত ১০ টায় শেখ মুজিবুর রহমান নিখোঁজ হয়ে গেলেন এবং ট্র্যাজেডী শুরু হলো।
শেখ মুজিবুর রহমান সমাজতন্ত্রের কথা বলেছিলেন। আসলে কি তিনি তার জমিজমা, বাড়ি-গাড়ি জাতীয়করণ করতে রাজি ছিলেন?
তাছাড়া, বিরোধিতা সহ্য করতে না পারা, দ্বিমত করলে রাজাকার বলা, ভিন্নমত পোষণকারীকে কারাগারে প্রেরণ, একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা এ ধরনের কাজ কোন ধরণের গণতন্ত্র?
৭১ এ নিহতের সংখ্যা:
৭১ এ ৩০ লাখ লোক নিহত হলে প্রতি গ্রাম থেকে গড়ে ৪৪ জন করে লোক মারা যাওয়া লাগে (৬৮ হাজার গ্রাম ধরে)। আর প্রতি ৪ টি বাড়ি থেকে মারা যেতে হয় গড়ে ১ জন করে এবং ৭ কোটি লোক থেকে ৩০ লাখ মারা গেলে প্রতি ২৩ জনে ১ জন করে মারা যেতে হয়।
৯ মাসে ৩০ লাখ লোক মারা গেলে প্রতি মাসে গড়ে মারা যাওয়া লাগে ৩,৩৩,৩৩৩ জন করে। প্রতিদিন গড়ে মারা যাওয়া লাগে ১১,১১১ জন করে। প্রতি ঘন্টায় গড়ে মারা যাওয়া লাগে ৪৬৩ জন করে। প্রতি মিনিটে গড়ে মারা যাওয়া লাগে ৮ জন করে।
৪৪৭২ টি ইউনিয়ন থেকে ৩০ লাখ লোক মারা গেলে প্রতি ইউনিয়ন থেকে গড়ে মারা যাওয়া লাগে ৬৭০ জন করে।
বাসের মধ্যে এক ক্যানভাসার একদিন ভীড় দেখে ব্যঙ্গ করে বলছিলো, ৩০ লাখ লোক মরে গেলো তবুও তো বাসের ভীড় কমে না।
আপনার সামনে যিনিই বলবেন, ৩০ লাখ লোক জীবন দিয়েছে- আপনি তাকেই জিজ্ঞেস করুন, ভাই ৭১ এ আপনার ফ্যামিলির ক’জন জীবন দিয়েছে? অথবা ৭১ এ আপনার কাছের কোনো লোক মারা গিয়েছে কি? তাহলে অনুমান করতে পারবেন সংখ্যাটা কতো দাঁড়াতে পারে।
শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব যখন ৩০ লাখ শহীদের কথা বলে ফেলেন তখন এটাকে ভুল হিসেব বলার মত সাহস কারো ছিলো না।
নোয়াখালীর আওয়ামী লীগপন্থী জনাব মোহামিন সাহেব স্বীকার করে নিয়েছেন- শেখ সাহেব এক বিদেশী সাংবাদিককে ৩ লাখ বলতে গিয়ে ৩০ লাখ (৩ মিলিয়ন) বলে ফেলেছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা থেকেই লোক মারা গিয়েছিলো সবচেয়ে বেশি। আর সেই নোয়াখালীর লোক মারা যাওয়ার সংখ্যা তিনি ৭ হাজার বলাতে পারেননি।
৭১ এর নিহতের প্রকৃত সংখ্যাটা পাওয়া এখনো মোটেই কোনো কষ্টকর ব্যাপার নয়। এখনই যদি প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলা হয় ৭১ এর শহীদদের নাম ঠিকানাসহ একটি হিসেব তৈরি করে দিতে তাহলে ২ সপ্তাহ সময়ও লাগবে না এর সঠিক হিসেব আসতে। কিন্তু তা করবে না কোনো সরকারই। কারণ এর মধ্যে কিছু স্বার্থ আছে গোটা দেশের আর কিছু স্বার্থ আছে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর।
সৎ মানুষের স্বভাব কি ভুল স্বীকার করা নয়? ভুল স্বীকার না করলে কার ভূমিকা পালন করা হয়? আদম (আ.) এর, না শয়তানের? বাস্তবতা হলো, সৎসাহসী ও বাস্তববাদীরা সত্য স্বীকার করেন- তাতে অন্য লোকেরা অখুশি হলেও।
৭১ এ সম্ভ্রম হারানো নারীর সংখ্যা:
বাম ও রামপন্থীরা প্রচার করছে যে, পাকবাহিনী ও তাদের সহযোগীরা এদেশের ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত হরণ করেছে। এই পরিসংখ্যান কতটুকু সত্য হতে পারে তাও কি চিন্তা করে দেখা দরকার নয়?
বাংলাদেশের ৬৮৩৮৫ টি গ্রাম (পূর্বের হিসেব অনুযায়ী) থেকে ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত হরণ করে থাকলে প্রতি গ্রামে গড়ে ২.৯২৫ জন মহিলার মহিলার ইজ্জত হরণ হওয়ার কথা। কিন্তু কার গ্রামে ২ বা ততোধিক জন মহিলার ইজ্জত হরণ হয়েছে তিনি কি নাম ঠিকানাসহ জানাতে পারবেন?
এভাবে চিন্তা না করে যারা ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত হরণ হওয়ার কথা এতো বছর ধরে বলে আসছেন তাদের মান-ইজ্জতের কোনো ভয় আছে বলে মনে হওয়ার কারণ আছে কি? এটা কি অযথা নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করার মতো নয়?
যারা ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত হরণ হওয়ার কথা বলছেন তাদের মা-বোনরা ২ লাখের মধ্যে ২/১ জন কি ছিলো না? নাকি ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত হরণ হয়েছে ঠিকই, শুধু নিজের মা-বোন বাদে?
এখনও যদি কোনো দল বা সরকার এর সঠিক হিসেব পেতে চান তবে তাদের জন্য বড় জোর এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে সঠিক হিসেব সংগ্রহ করতে। কিন্তু কেউ কি সে উদ্যোগ নেবে?
৭১ এ নিহতের সংখ্যা এবং সম্ভ্রম হারানো নারীর সংখ্যাকে বড় করে দেখানোতে কাদের লাভ? কি লাভ?
এ সংখ্যাগুলোকে বড় করে দেখানোর দ্বারা ইসলামপন্থীদেরকে কমিউনিস্টদের চেয়ে অনেকগুণে বেশি নৃশংস ও হিংস্র হায়েনার দল প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে যেনো ভবিষ্যত বংশদরগণ- যারা ৭১ এর ঘটনাবলী নিজ চোখে দেখেনি তারা যেনো ইসলামপন্থীদেরকে ঘৃণা করে এবং ইসলামপন্থীদের কথা ভবিষ্যতে যেনো আর কেউ না শোনে। এতেই তো বামপন্থীদের লাভ।
পৃথিবী বড় হত্যাকারী হিসেবে জানে হিটলার ও বিশেষ করে আইকম্যান এর নাম। কিন্তু স্টালিনের ২ কোটি লোক হত্যার কাহিনী ফাঁস হওয়ার পর স্টালিনই এক নম্বর হত্যাকারী হয়ে যায়। তার চেয়ে বড় হত্যাকারী হিসেবে এদেশের ইসলামপন্থীদের চিহ্নিত করাতেও কি বামপন্থীদের কম লাভ?
মোটকথা, ৭১ এর শহীদদের সংখ্যাটিকে বড় করে দেখানোতে স্বার্থ আছে তাদের যারা সঠিক ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের উৎখাত করতে চায়। তাদের স্বার্থগুলো হচ্ছে-
১.সারা দুনিয়াকে দেখানো যে, এদেশের ইসলামপন্থীরা এতো নিষ্ঠুর ও নির্দয় যার কোনো নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। এদের দ্বারা কোনোদিনই জনগণের জন্য কল্যাণকর কাজ হতে পারে না। কাজের এদের কথায় যেনো কেউ কান না দেয়।
২.অনেক দিন পরও যখন যখন ইসলামপন্থীরা ইসলামের কথা বলতে চাইবে তখন যেনো নতুন প্রজন্মের লোকেরা বলতে পারে যে, থামো, ‘ভুতের মুখে রাম নাম’ শোভা পায় না।
৩.সারা দুনিয়াকে এটা দেখানো যে, ইসলামের হাত থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য যে দেশের ৩০ লাখ লোক জীবন দিয়েছে সে দেশে আর ইসলাম চলতে দেওয়া যেতে পারে না।..
প্রতি ইউনিয়নেই নাকি গণকবর আছে?
৭১ এর সে সময়টি ছিলো শ্রাবণ-ভাদ্র, আশ্বিন-কার্তিক মাস। তখন যারাই মানুষ মেরেছে তারা মেরেছে কোনো নদীর ধারে নিয়ে। মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
গণকবরের প্রয়োজন হয় ঢালাওভাবে কচুকাটা করলে। সেভাবে সর্বত্র কচুকাটা কি হয়েছে? এরূপ নজির খুব কমই আছে যেখানে ঢালাওভাবে লোক মারা হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় যে হয়নি- তা নয়।
যারা বলেন, প্রতি ইউনিয়নে একটা করে গণকবর আছে, জানা নেই- তারা বাংলাদেশের কোনো ইউনিয়নে বাস করেন না অন্য কোনো দেশে।
৭১ এ কারা কারা কিভাবে মারা গিয়েছিলো?
১.নকশালরা (সশস্ত্র গ্রুপ) গ্রামবাসীর সহানুভূতি কুড়ানোর জন্য প্রথমে মেরেছে এলাকার চোর-ডাকাতদের। পরে তারা মারা শুরু করলো চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আলেমদের। তখন তারা জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেললো। বরং তারা মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার উভয় পক্ষেরই শত্রু হয়ে পড়লো। তবে ঐ সময় তাদের হাতে যতো লোক মরেছে তার অর্ধেকেরও কম মরেছে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের হাতে।
২.কিছু লোক মারা গেছে গ্রাম্য দলাদলির কারণে, যারা রাইফেল হাতে পেয়েছে, তারা তাদের প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার চেষ্টা করেছে।
৩.কিছু নিরীহ লোক রাইফেলধারীদের দেখে আন্দাজেই ভয়ে দৌড় দিয়েছে আর রাইফেলধারীরা তাদের শত্রু মনে করে গুলি করে মেরেছে।
৪.কিছু লোক মরেছে পাঞ্জাবীদের সন্দেহভাজন হওয়ার কারণে পাঞ্জাবীদের হাতে। এদের মধ্যে ইসলামপন্থীও ছিলো।
৫.কিছু লোক মারা গেছে পাকপন্থী হওয়ার কারণে রুশ-ভারতপন্থীদের হাতে।
৬.কিছু লোক মারা গেছে রুশ-ভারতপন্থী হওয়ার কারণে পাকপন্থীদের হাতে।
৭.কিছু লোক মারা সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে।
কারা মারা গেছে দেশকে মুক্ত করার জন্য?
যারা নকশালদের হাতে, গ্রাম্য দলাদলির কারণে, ভয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে, পাকপন্থী বা বিহারী হওয়ার কারণে মারা গেছে তারা দেশকে মুক্ত করতে গিয়ে মারা গেছে বলা যাবে না।
যারা সত্যিকার অর্থে পাঞ্জাবীদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য জীবন দিয়েছেন তারা সংখ্যায় যাই হোন না কেনো, এদেশের স্বাধীনতার গৌরব তাদের জন্যই সংরক্ষিত। এছাড়া আর যাদের মুত্যু ঘটেছে তারা আসলে জীবন দেননি বরং তাদের জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
৭১ এ কারা বেশি মারা গেছে?
অন্যান্য দেশের বিদ্রোহীদের তুলনায়- বাংলাদেশে যারা (পাক) সরকারের সাথে বিদ্রোহ করেছিলো তারা মারা গেছে কম। কারণ তারা প্রায় সবাই ছিলেন ভারতে আর যারা দেশে ছিলেন পাক সেনারা তাদের খুঁজে পেয়েছেও কম। কাজেই তারা মারা পড়েছে কম।
পাকিস্তানীরা অবিদ্রোহীদের বিদ্রোহী মনে করে যে ভুল করেছিলো তার পরিণতিতে তারা ৯ মাসের মধ্যেই স্যারেন্ডার করলো। প্রকৃতপক্ষে ঐ সময় বেশির ভাগ লোক মরেছে নকশালদের হাতে বাদ বাকির বড় অংশটা ইসলামপন্থী ও বিহারী এবং কিছু নিরীহ লোক। আর খুবই কম মরেছে আওয়ামী লীগের লোক।
রাজাকার ও পাক বাহিনীর হাতে ১ থেকে ২% লোক মরতে পারে আওয়ামী লীগের লোক। আর বাদ বাকি যারা মরেছে তারা হয় কোনোই দলের না, নতুবা নির্দলীয়, নিরীহ অথবা ইসলামপন্থী।
৭১ এ গণহত্যার আসল নায়ক কে?
প্রথমত, শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান ভাঙ্গার পক্ষে ছিলেন না। দ্বিতীয়ত, ৭১-এ গণহত্যার মূল নায়ক কে- বইটিতে যুক্তি দেখানো হয়েছে যে, শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যারা তাঁর দৃষ্টিতে সন্ত্রাসবাদী ছিলেন, তাদের দমন করার জন্যই পাক সেনারা অতর্কিতে ২৫ মার্চ কিছু নিরীহ লোকদের উপর হামলা চালায়। হামলা যে শেখ মুজিবুর রহমানের অজান্তে হয়নি তার কিছু আলামত উক্ত বইয়ে দেওয়া হয়েছে।..
বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করলো?
নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সবাই বলেছেন, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় পাক বাহিনীর সমর্থক বাহিনীর সদস্য অর্থাৎ আলবদর, রাজাকার, আল শামস ইত্যাদি বাহিনীর কেউই প্রকাশ্য ময়দানে ছিলো না। তারা সবাই তখন নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যায়। এর বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায় ২ টি কারণ থেকে। যথা:
১.১৬ ডিসেম্বরের পর জহির রায়হানকে হত্যা করা
২.বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের কোনো তদন্ত রিপোর্ট পেশ না করা
এর দ্বারা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ধারণা, এটা ছিলো মিত্র বাহিনীর এক কুটিল চক্রান্ত। যেনো, ইসলামপন্থীদের দায়ী করা যায়।
জয় বাংলার শ্লোগান এর গ্রহণযোগ্যতা:
‘জয় বাংলা’ কোনো ইসলামী কথা নয় বরং এর মধ্যে ‘শিরক’ এর গন্ধ রয়েছে। ‘জয় বাংলা’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ভারত থেকে। হিন্দুরা বলে, ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় দুর্গা’, ‘জয় মা কালী’। আর আমাদের বলতে শেখালো ‘জয় বাংলা’।
কাজেই, যারা হিন্দু ভাবধারা গ্রহণ করার পরিবর্তে মরা ভালো মনে করেছিলেন তারা ‘জয় বাংলা’ বলার পরিবর্তে শহীদ হওয়াকেই পছন্দনীয় মনে করেছিলেন।
মুসলিম ও হিন্দু: ৭১ সালে, এর আগে ও পরে:
৪৭ -এ দেশ ভাগ হওয়ার পর পাকিস্তানের সীমানায় থাকা অনেক হিন্দু পৈত্রিক ভিটেমাটি ফেলে ভারতে চলে যায়। অথচ, এদেশকে যদি সত্যিই তারা ভালবাসতো তাহলে তারা কি এ কাজটি করতে পারতো?
৭১ এ যারা মারা গেছে, ২/১ জন ছাড়া তারা সবাই ছিলো মুসলিম। কিন্তু এদের মারার মূল পরিকল্পনা করেছিলো হিন্দুরা। রাজাকার মরলেও হিন্দুদের শত্রু কমেছে আর মুক্তিযোদ্ধা মরলেও তাদের শত্রু কমেছে।
১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের পর যারাই ধুতি পরতো এবং যাদেরকে হিন্দু বলে চেনা যেতো তারা ছিলো সম্পূর্ণ নিরাপদ। আর দাড়ি-টুপি দেখলেই তাদের দেশের শত্রু মনে করা হতো।
একমাত্র মুসলিমদের একটি বিশেষ স্থান ছিলো কিছুটা নিরাপদ। সেটা ছিলো কাকরাইল মসজিদ এবং তাবলীগ জামায়াতের দল।
ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হয়েছিলো বলেই পরে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হয়েছিলো:
হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে অসম আচরণ দেখে ভারত বিভক্তির বহু প্রস্তাব হয়ে যাওয়ার পর সর্বশেষ ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এ উপমহাদেশের সংখ্যালঘু মুসলিমরা আর হিন্দু আধিপত্যকে চিরদিনের জন্য বরদাস্ত করতে রাজি নয়।
সারা ভারতের মুসলিমদের কাছ থেকে ভোটের মাধ্যমে ম্যান্ডেট চাওয়া হয় যে, মুসলিমরা ভারত ভাগ করে আলাদা মুসলিম রাষ্ট্র করতে চায় কিনা। সারা ভারতের ৯৮% মুসলিম ভোট দিয়েছিলো ভারত ভাঙ্গার পক্ষে। এরপরই ভারত বিভক্ত হয়।
পরে পাকিস্তান আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর নেতা-সহযোগীরাও শরীক হয়েছিলেন।
১৯০৫ সালে বর্ডার আর ১৯৪৭ সালের বর্ডার এক নয়। ৪৭ এর বর্ডার তৈরি হয়েছে মুসলিমদের রক্তের সিমেন্ট দিয়ে পাকা মজবুত ভিত্তির উপর।
৪৭ এর পূর্ব পাকিস্তানের বর্ডারই আজকের বাংলাদেশের বর্ডার। কাজেই বাংলাদেশ মুসলিমদের রক্তের ভিত্তির উপর গড়ে ওঠা একটি দেশ।
পূর্বেই ধর্মের ভিত্তিতে দেশটা ভাগ হয়েছিলো বলেই পরে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মুখ আমরা দেখতে পাচ্ছি।
ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হওয়ার মধ্যে যারা মৌলবাদের গন্ধ পাচ্ছেন এবং এ কারণে যারা মৌলবাদী বলে গালি-গালাজ করছেন তারা যে তাদের বাপ-দাদাদেরই গালাগালি দিচ্ছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্বের বিরোধিতা করছেন- তা কি তারা একবারও ভেবে দেখেছেন?
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাহায্য কি মমত্ববোধ থেকে?
ভারতের ফিল্ড মার্শাল মানেকশ’র (ভারতের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান) একটা বিবৃতি এসেছে ২৯ এপ্রিল ১৯৮৮ এর স্টেটসম্যানে। তিনি বলেছেন, “যদি বাংলাদেশকে একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তাহলে ভারতের আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। যেদিন আমার সৈনিকরা বাংলাদেশকে মুক্ত করে, সেই দিনই আমি একথা উপলব্ধি করি। (তিনি হয়তো মুরুব্বীরা গুমরে গুমরে কাঁদতে দেখেছিলেন).. বাংলাদেশীদের কখনও ভারতের প্রতি তেমন ভালোবাসা ছিলো না। আমি জানতাম ভারতের প্রতি তাদের ভালোবাসা অস্থায়ী। অনুপ্রেরণা লাভের জন্য তারা ভারতের দিকে না তাকিয়ে পাকিস্তান ও মক্কার দিকে তাকাবে।.. বাংলাদেশীদের প্রতি আমরা সঠিক আচরণ করিনি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমাদের সব রকমের সাহায্য করা উচিত ছিলো। কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা তা করেনি। তারা বেনিয়ার মতো আচরণ করেছেন।”
ভারত বিনা স্বার্থে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেনি। পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করে মুসলিম শক্তিকে দুর্বল করার স্বার্থই ছিলো ভারতের বড় স্বার্থ।
৭১ এ আমাদের যে বন্ধুরা আমাদের স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিলেন তারা কি লুটপাটের উদ্দেশ্যে আমাদের বন্ধু সেজেছিলেন? আর বেরুবাড়ি, দহগ্রাম, আঙ্গোরপোতা ইত্যাদি ছিটমহলগুলো ও তালপট্টি দখল করা, ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে আমাদের মারার জন্যই কি বন্ধু সেজেছিলেন? এটাই কি ছিলো তাদের আসল উদ্দেশ্য? উদ্দেশ্য যদি তাদের মহতই হয়, তবে পাঞ্জাবী, শিখ ও কাশ্মিরী মুসলিমদের স্বাধীন হওয়ার জন্য তারা সাহায্য করছেন না কেনো?
বাংলাদেশের মানুষ দেশের অবস্থা বোঝে:
আমাদের ফারাক্কা নিয়ে যখন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয় তখন বলতে হয় আলোচনা খুবই হৃদ্যতার ভেতর দিয়েই সমাপ্ত হয়েছে; আলোচনার ফলাফল সন্তোষজনক। কিন্তু এতো বছরেও বাস্তব ফল কি পেলাম? তবুও বলতে হবে আলোচনার ফলাফল সন্তোষজনক।
বন্ধুত্বে কোনোভাবেই ফাটল ধরানো যাবে না। কারণ, আমাদেরকে টিকে থাকতে হবে। এ সবই দেশের লোক বোঝে। অথচ ৭১ এর পূর্বে ফারাক্কা চালু করতেই বন্ধুরা(?) সাহস পাননি।
বাংলাদেশের পক্ষের লোক স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয়সহ সকল আগ্রাসনের বিরোধী:
বিষয়টিকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না করে একটি ঘটনা দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। একজন আওয়ামী লীগার ও মুক্তিযোদ্ধা নারায়নগঞ্জের খানপুর এলাকার একজন উল্লেখযোগ্য সমাজসেবী আলহাজ্ব জনাব মহিউদ্দিন সাহেব অগত্যা সুস্পষ্ট ভাষায় বললেন যে, ৯ মাস যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই নারায়নগঞ্জ থেকে একটা লোকও মরেনি কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর এ এলাকার লোক ভারতীয় সৈন্যদের ভয়ে সবই ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তিনি বললেন, একদিনেই অর্থাৎ সেই ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসেই এ এলাকা থেকে প্রায় ২০-২৫ জন মারা যায়। তিনি বললেন, সেদিন একদিনে ভারতীয় বাহিনীর হাতে যে লোক মারা যায় তা যুদ্ধের ৯ মাসে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের হাতে মরেনি। তিনি বললেন, সেদিন ভারতীয় গুলি তার বাড়িতেও পড়েছিলো।
পরকালে বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসীর কর্মধারার স্বাভাবিক পার্থক্য:
যারা পরকালে বিশ্বাসী আর যারা পরকালে বিশ্বাসী নয় এদের চরিত্র কখনও এক প্রকারের হতে পারে না।
যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা ভিন্ন দলের হলেও তাদের কাছে নিরাপত্তা পাওয়া যায়।
আর যারা পরকালে বিশ্বাসী নয় তারা স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলে নিজ দলীয় লোককেও হত্যা করতে দ্বিধা বোধ করে না।
শুধু তাই নয়, প্রতিপক্ষের ঘাড়ে দোষ চাপানোর উদ্দেশ্যেও নিজেদের দলীয় লোকদের হত্যা করে। এটাই তাদের স্বভাব।
ঈমানদাররা সাধারণত ঘাতক হয় না:
দু’একজন সুযোগসন্ধানী লোক ছাড়া কোনো ঈমানদার লোককে ৭১ সালে ঘাতক হিসেবে দেখা যায়নি। বরং দেখা গেছে বিপরীতরূপে। বহু হিন্দুকেও ইসলামপন্থীরা সেভাবে পাহারা দিয়েছে যেভাবে মুরগী তার বাচ্চাদের পাহারা দেয়।
চেতনায় ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ:
১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট, ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের চেতনাকে বিলুপ্ত করতে পারে না। একইভাবে, ১৯৭১ এর চেতনা ১৯৪৭ এর চেতনাকে বিলুপ্ত করতে পারে না। কারণ, ৪৭ এর (ধর্মীয়) চেতনার সূত্রপাত হয়েছিলো একটি সীমানা দিয়ে; আর দেশ বিভাগের মাধ্যমে সে সীমানা (ও চেতনা) এখনও আছে।
আমাদের মধ্যে একটি সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ চেতনা আছে- সেটা হচ্ছে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর চেতনা। যে চেতনা থেকে এদেশের শতকরা ৮৫ ভাগ জনতাকে ফেরানো যাবে না। যাবে না বোমা মারলেও।
পাকিস্তানের সাথে মিশে থাকায় আমরা একটি নামেমাত্র বৃহৎ ইসলামী রাষ্ট্রের অধিবাসী ছিলাম কিন্তু বাস্তবে ইসলামের কিছুই তারা করেনি বরং ইসলামের কথা বলায় তারাই মাওলানা মওদূদীকে ফাঁসির হুকুম দিয়েছিলো।
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় কোনো ক্ষতি হয়নি বরং একটি মুসলিম রাষ্ট্রের সংখ্যা বেড়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের মর্যাদাও বিশ্বের দরবারে বেড়েছে।
মুক্তিফৌজদের সেক্টর কমান্ডার পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে চেয়েছেন। আল্লাহ সাহায্য থাকলে, পাকিস্তানের চেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হবো।
আমাদের ক্ষতি হতে পারে যে জিনিসে সেটা হলো, আল্লাহ না করুন যদি বর্ডারটা মুছে যায় এবং যদি আমরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভারতের সাথে একীভূত হয়ে যাই।
৭১ এ ইসলামপন্থীগণ কি স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন?
৭১ এ কেউ চেয়েছিলেন এ দেশকে ভারতের মুরুব্বীয়ানায় ছেড়ে দিতে আর কেউ তা চাননি। পার্থক্য শুধু এখানেই। তখন ভারতপন্থীরা কি চেয়েছিলেন তার সঠিক তথ্য স্বাধীনতার প্রায় দেড় যুগ পর ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্টের মুখ দিয়ে ফাঁস হয়ে পড়েছে।
যারা ইসলামপন্থী ছিলেন তারা প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার শত্রু ছিলেন না। তারা ছিলেন ভারত ও ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদী আদর্শের বিরোধী। তৌহিদবাদী ও শেরেকী মতবাদ এর সংমিশ্রণ কোনোদিন সম্ভব হবে না বলেই ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভক্ত হয়েছিলো।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভেই জন্ম নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তৌহিদী জনতা কোনোদিনও ব্রাহ্মণ্যবাদী আদর্শ মেনে নিতে পারবে না। কয়েকজন রুশ ভারতের দালাল ছাড়া একজন মুসলিমও ইসলামবিরোধী নয়।
যাদেরকে স্বাধীনতার শত্রু বলা হয় তারা কি করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারে?
স্বাধীনতার শত্রুদের পেছনে সারা দেশের মুসলিমরা কি করে নামায আদায় করে?
৭১ এ নারী নির্যাতনের অপরাধ কারা করেছে? পাকিস্তানীরা না ইসলামপন্থীরা?
নারীদের উপর অত্যাচারের সুযোগ পেলে পাকিস্তানীরা নারীদেরকে জিজ্ঞেস করেনি যে তারা কোন দলের লোক। কাজেই নারী ঘটিত অপরাধের কারণে এ ভূখণ্ডের ইসলামপন্থীসহ সকলেই ছিলো ক্রুদ্ধ।
তবে, পাকিস্তানের অখন্ডতার পক্ষের লোকেরা নারীঘটিত অত্যাচারের যতো প্রতিবাদই করুক না কেনো, তা কোনো খবরের কাগজে ছাপা হয়নি।
তাছাড়া, যেহেতু ইসলামপন্থীদের অনেকেই পাক-বাহিনীর সমর্থক ছিলো- তাই পরোক্ষভাবে হলেও তারা পাক-বাহিনীর যাবতীয় অপকর্মের ভাগী হয়ে পড়েছে।
ইসলামী নেতৃবৃন্দের মূল অপরাধ তাদের সততা ও সাহস:
বাংলাদেশের বড় দরদী বলে দাবিদার একটি দল যারা ফারাক্কার বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি, উজানের নদীগুলোর উৎসমুখে বাঁধ দেওয়ার ব্যাপারে টু শব্দটি পর্যন্ত উচ্চারণ করেনি, বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোতে প্রবেশের পথ অর্থাৎ তিন বিঘা জমি বাংলাদেশেকে দেওয়ার ব্যাপারে একেবারেই নীরব, যারা তালপট্টি দ্বীপ ভারত কর্তৃক দখলের প্রতিবাদে একটি কথাও উচ্চারণ করেনি তাদেরই একটি অংশ যখন ভারতে বসে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখে তখন এ মহলটির সাথে ৭১ এ একমত হতে না পারাই ছিলো জামায়াতে ইসলামী সহ অন্যান্য ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রধানতম অপরাধ।
ইসলামী নেতৃবৃন্দের দীর্ঘ বয়সের জীবনে কোনো থানায় তাদের নামে একটি জিডি পর্যন্ত নেই। এ লোকেরা সৎ লোক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবে তা কি করে সহ্য করবে কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শক্তি। তাই, যেভাবে হোক ইসলামী নেতৃবৃন্দকে শেষ করতে হবে।
এ কারণে যতো দোষ চাপানো হয় ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও ইসলামী দলের ওপর; যেনো সৎ লোকগুলোকে ময়দান থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেরাই ভালো মানুষ সাজতে পারে।
ইসলামী দলের সবাই নির্দোষ ছিলো না:
ইসলামী দলের লোক হলেই ১০০% নির্দোষ হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে নৃশংসতায় তুলনামূলকভাবে ইসলামী গ্রুপের লোকেরা অনেকটা কম ছিলো।
আসল কথা হচ্ছে যে, রাজাকারও যে মায়ের সন্তান মুক্তিফৌজরাও সেই মায়ের সন্তান। কাজেই এদের সবার মধ্যে খুব বেশি তারতম্য হওয়ার কথা নয়। তবে, পরকালে বিশ্বাসী এবং পরকালে অবিশ্বাসীদের মধ্যে যতটুকু তারতম্য সাধারণত হয়ে থাকে ৭১ এও তা-ই হয়েছে।
বড় ইসলামী শক্তিই সাধারণত আগে আক্রমণের শিকার হয়:
ইসলামবিরোধী শক্তি ইসলামী শক্তিসমূহের উপর আক্রমণ করলে প্রথমেই টার্গেট করে বড় ইসলামী শক্তিকে। বড় ইসলামী দল যখন মার খায় তখন অন্য ইসলামী দলের চুপ থাকা ঠিক নয়। কারণ বড় ইসলামী দলকে শায়েস্তা করার পর ছোটো ইসলামী দলগুলোকেই টার্গেট করা হবে। তাই সকল ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরী।
খারাপ আদর্শযুক্ত দলে ভালো লোক শামিল হয় না:
ইলিশ মাছ ধরার জালে ইলিশ মাছই ধরা পড়ে। তবে হঠাৎ ২/১ টা অন্য মাছও ধরা পড়ে যায়। অনুরূপভাবে, ভালো মানুষ রাজনৈতিক দলে প্রবেশ করে দলের ভালো লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, আচরণ ইত্যাদি দেখে। আর খারাপ মানুষ রাজনৈতিক দলে প্রবেশ করে দলের দ্বারা স্বার্থ হাসিলের সুযোগ ও সম্ভাবনার দিকে খেয়াল রেখে।
আওয়ামী লীগের জালে আওয়ামী চরিত্রের (ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী) লোক আর জামায়াতের জালে জামায়াত চরিত্রের (ইসলামপন্থী) লোকই ধরা পড়ার কথা। তবে কিছু ব্যতিক্রম হতেই পারে।
৭১ এ জামায়াতের লোকদের ভূমিকা:
(লেখকের মতে) জামায়াতের কোনো সদস্যের হাতে কিংবা তাদের হুকুমে ১ টা লোকও মরেনি। তবে যারা সুযোগ সন্ধানী, জামায়াতের নাম করে জামায়াতের সঙ্গে ছিলো- তাদের কথা আলাদা। তাছাড়া, এমন কিছু লোকের খবর পাওয়া গেছে যারা পূর্বেও কোনোদিন জামায়াতের ছিলো না এবং পরেও তারা জামায়াতের নয়। কিন্তু ঐ সময় নিজেদেরকে জামায়াতের লোক বলে পরিচয় দিয়ে অকান্ড-কুকান্ড করেছে।
জামায়াতের কোনো সদস্য যদি সত্যই কাউকে নিজ হাতে বা হুকুম দিয়ে মারতেন তবে অবশ্যই সে ব্যক্তি ১৬ ডিসেম্বরের পরে বেঁচে থাকতে পারতেন না। যেখানে দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকদেরকে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে মারা হয়েছে সেখানে প্রকৃত হত্যাকারীকে কি দেশের লোক ছেড়ে দিতো? অবশ্যই তাকে ছাড়তো না।
জামায়াতের লোকদের বিরুদ্ধে যতই বিষ ছড়ানো হোক না কেনো প্রকৃতপক্ষে যে সময় আওয়ামী লীগের নেতাগণ নিজেদের জান বাঁচানোর জন্যে ভারতে গিয়ে পালিয়েছিলেন তখন সেই সব নেতাদের পরিবারের লোকদেরসহ দেশের নিরীহ লোকদের হেফাজতের পুরো দায়িত্বই নিয়েছিলো জামায়াতের লোকগুলো।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতকে মানুষ কেমন জানতো?
১.পাঞ্জাবীদের গুলির মুখে এ দেশবাসীকে ফেলে রেখে যখন আওয়ামী লীগ নেতাগণ দেশের বাইরে ছিলেন তখন দেশবাসীর ভরসা ছিলো জামায়াতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণের উপর।
২.এদেশের লোক তখন যেমন রাজাকারদের দেখে ভয় পেতো, তেমনি জামায়াত নেতাকে দেখে যেনো হারানো জীবন ফিরে পেতো।
৩.দেশের লোক যদি জামায়াতকে শত্রুই মনে করতো তবে জামায়াতের লোকেরা দেশে রইলো কি করে? তারা তো ভারতে পালায়নি।
৪.দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হলে ভারতের দ্বারাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই- ভারত যাদের আশ্রয় দেবে না আর যারা ভারতে পালিয়ে যাবে না তাদের দ্বারাই এ দেশের স্বাধীনতা রক্ষা পেতে পারে। সে হিসেবে জামায়াতের লোকদের বর্তমানে স্বাধীনতার পক্ষের এক নম্বর শক্তি বলা যেতে পারে।
৫.দেশের লোক জামায়াতকে শত্রু মনে করলে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের পর তারা বাঁচতেই পারতো না, বাঁচলেও বাংলাদেশের মানুষের একটা ভোটও তারা পেতো না, এ দলের নেতৃবৃন্দ দেশে টিকতে পারতো না, মন্ত্রী হতে পারতো না। জামায়াতের লোকেরা ভন্ডামী বা অর্থ ব্যয় ছাড়াই বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিকদের ভোট কেনো পায়?
বাংলাদেশের স্বাধীনতার রক্ষক কারা?
বাংলাদেশের একটি বর্ডার আছে। এই বর্ডারটিকে বহাল রাখা এবং এর মধ্যে অন্য কোনো দেশের কর্তৃত্ব বহাল হতে না দেওয়াটিই হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করা।
মনে করা যাক, ১ টি বাড়িতে ১০ জন লোক বাস করে। এই বাড়িটি অন্যের দ্বারা বেদখল হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। কিন্তু ঐ বাড়ির ১০ জনের ৩ জন মনে করে যে, একান্তই যদি বাড়িটি বেদখল হয়েই যায় তবে অন্য বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা আছে। আর ৭ জন মনে করে এ বাড়ি দখল হয়ে গেলে আর কোথাও মাথা গোজার জায়গা নেই। এখন ভাবলেই বুঝা যায় কারা ঐ বাড়িটিকে রক্ষা করবে।
এ উদাহরণ থেকে বুঝা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার রক্ষক কারা? এ দেশের অল্প কিছু লোক আছে যারা মনে করে বর্ডার থাকে থাকুক, আর না থাকে না থাকুক, আমাদের তো থাকার জায়গা আছেই- তাদের দ্বারা এদেশের স্বাধীনতা রক্ষা হওয়ার কথা নয়। যারা মনে করে যে, দেশ অন্যের হাতে চলে গেলে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে, তারা জীবন দিয়ে হলেও এ দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে। কাজেই বুঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আসল রক্ষক মূলত ইসলামী শক্তি- যাদের ভারতে আশ্রয় পাওয়ার ন্যূনতম সম্ভাবনা নেই।
রক্ত ঝরা বন্ধ করতে হলে করণীয়:
এদেশের যুবক ছেলেদের ২/১ শত বছরের ইতিহাস পড়ানো প্রয়োজন। আর প্রয়োজন মুসলিমদেরকে পারস্পরিক অধিকার (হক) আর ইসলামে বিধি-বিধানের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। তাদেরকে বুঝানো দরকার যে কোন চেতনার ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছিলো।
তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে হবে তাদের ধমনীতে কোন রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। তাহলে দেখা যাবে যারাই এ দেশটাকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিলো তারাই এ দেশটাকে বিদেশী প্রভাবমুক্ত করবে এবং তারাই এ দেশটিকে পাকিস্তানের পূর্বে ইসলামী আইনের দেশে পরিণত করবে।
ইতিহাস আবার নতুন করে লিখতে হবে ইনশাআল্লাহ:
মেজর এম এ জলিল বলেছেন, “জামায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের উপর আঘাত হেনেছে একথা মিথ্যা প্রচারণা”। এটা হচ্ছে বিবৃতির শিরোনাম। এর মধ্যে যা প্রধান তথ্য রয়েছে তা হচ্ছে, “স্বাধীনতার পর যারা এদেশে প্রথম সরকার গঠন করেছে প্রকৃতপক্ষে তারাই প্রথম মুজিব বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে।” এরকম আরও অনেক ঘটনা বাস্তবে ঘটেছে যা প্রচলিত ইতিহাসে এসেছে ভিন্নভাবে। তাই, ইতিহাস নতুন করে লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে অনেকের কাছে।
তথ্যসূত্র:
৭১ এ কি ঘটেছিল? রাজাকার কারা ছিলো?- খন্দকার আবুল খায়ের, খন্দকার প্রকাশনী, বুকস্ এন্ড কম্পিউটার কমপ্লেক্স, ৩৮/৩ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০, প্রকাশ: জানুয়ারী ২০০২।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৮
আহবান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: সাংঘাতিক লিখেছেন সাহেব আপনি, নাকি ঐ রামিন সাহেব।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৮
আহবান বলেছেন: সাংঘাতিক? বুঝলাম না।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১
নিলীমা নীল বলেছেন: অনেক বড় পোস্ট। পড়ে পুরোটা পড়ব।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৯
আহবান বলেছেন: বড় পোস্ট হওয়ার জন্য কি আর করি? সময় পেলে পড়ে দেখবেন আশা করি।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
এম.আই.খান বলেছেন: অত্যন্ত গবেষণালব্ধ একটি লেখ মনে হচ্ছে....
তবে, সত্য কথা গ্রহণ করার মানসিকতা সামুর নেই বলেই আমি জানি। দেখেন পুরোটা পড়ে কতজন কমপ্লেন করে, আর আপনি নিষিদ্ধ হন কিনা!
শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১০
আহবান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকে জাতি উপকৃত হোক এই কামনা রইলো।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
কে বা কারা বলেছেন: শোকেসে রাখলাম। পরে পড়বো সময় নিয়ে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১১
আহবান বলেছেন: পরামর্শ থাকলে দিয়েন।
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
মুন্তাসীর আর রাহী বলেছেন: এক নজর চোখ বুলায় যতটুকু বুঝলাম এই লেখায় অনেক ফাক ফোকর আছে । সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এখানে জামাত কে নিরপরাধ বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে আর স্বাধীনতা যুদ্ধকে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পরে ভালোভাবে পড়ে বাকি কমেন্ট করবো।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৪
আহবান বলেছেন: লেখায় ফাক থাকলে শূণ্যস্থান পূরণে সহযোগিতা কাম্য। কাউকে নিরপরাধ বানানো লাগে না- যদি সে নিরপরাধ হয়ে থাকে। আবার কাউকে নিরপরাধ বানানোও যায়- যদি সে অপরাধী। নিরপরাধকে অপরাধী আর অপরাধীকে নিরপরাধ বানানোর লক্ষ্য ছিলো না। ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ প্রতিপক্ষ নয়- তবে, অনেকে এদেরকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করেছে। অনেকে এদেরকে প্রতিপক্ষ ভাবতে বাধ্য হয়েছে। তা যাই হোক, আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আপনার আরও কমেন্ট আশা করছি।
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: ইঞ্জিনিয়ার আবু রামিন কি পাকিস্তানী মিলিটারীতে ছিল? ভারতীয় কীট শর্মিলা বোসে মত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কি পাকি কীট রামিনের কাছ থেকে জানতে হবে?
গুটিকয়েক অন্ধ-সর্মথক ছাড়া বাংলার মানুষ এখনও অন্ধ হয়ে যায় নি।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৭
আহবান বলেছেন: জন্ম: স্বাধীনতা উত্তর। তাই অভিযোগ ভিত্তিহীন। ইতিহাস মানতে আপনি বাধ্য নন। গুটি কয়েক অন্ধ আছে যেহেতু সেহেতু ব্যধিই সংক্রামক- এ ঝুকিঁও কম নয়। তথ্যে ভুল থাকলে ধরিয়ে দিতে পারেন। প্রমাণসহ দিলে ভালো হয়।
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মোঃ মোতাহার হোসেন বলেছেন: আমার বয়স মাত্র ২৪ বছর। আমি কিন্তু ভাই যোদ্ধ দেখিনি কিন্তু ভারতের বর্তমান অাচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারা বাংলাদেশের কখনই বন্ধু ছিলনা এবং হবেও না.... স্বাধীণতার যোদ্ধের সময় যতটুকুই সাহায্য তারা করেছে শুধু মাত্র তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্যই। অার যে ইতিহাস পরির্বতন যোগ্য (যে যার মত সাঁজিয়ে লেখে) সেই ইতিহাস আমার বিশ্বাস হয় না।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১২
আহবান বলেছেন: এ ব্যাপারে একমত যে ভারত বাংলাদেশে বন্ধু ছিলোও না; হবেও না।
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৩
ইসটুপিড বলেছেন: আবু রামিন বেশ্যামাগীর পোলারে উল্টা কইরা চুদি। লগে হের সব সাপোর্টার গেলমানরেও।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৩
আহবান বলেছেন: আপনার নামটা যথার্থ মনে হচ্ছে।
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
এই আমি সেই আমি বলেছেন: সাত কাহন না লিখে সরাসরি লিখেন
রাজাকারের তালিকা
১/ মহিউদ্দিন খান আলমগির
২/শেখ হাসিনার বেয়াই
৩/ ইমরানের দাদা
মুক্তি যুদ্বার তালিকা
১/ গুয়াজম
২/ নিজামী
৩/ মুজাহিদ
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
আহবান বলেছেন: নীচের ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা নন।
১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
আলমগীর ইউসি বলেছেন: ভাই সত্য বইলা ফালাইলেন? রাজাকারের খাতায় নাম উঠার জন্য অপেক্ষা করুন। আসলে আমরা যদি সত্যকে ভাল করে জানতাম, তাহলে আমাদের দেশ অনেক উন্নত হতো। আসলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখনকার বামদের খপ্পরে পড়েছিল। আর এখন আওয়ামীলীগ সরকার বামদের খপ্পরে পড়ে গেছে। বর্তমানে এমন অনেক কাজ আছে যা আওয়ামীলীগ সরকার চায় না। কিন্তু বামদের চাপের কারণে করতে হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ট্যাংকের উপরে উল্লাস করেছিলেন হাসানুল হক ইনু।মতিয়া চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডগডুগি বানাতে চেয়েছিল। আরে! সবাই এই কথা জানা উচিত যে, যারা নিরেট আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত, দেশের জন্য করলে তারাই কিছুই করবে। কিন্তু বামেরা দেশের কখন মঙ্গল কামনা করে না।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
আহবান বলেছেন: সহমত
১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২
htusar বলেছেন: "পঙ্গু রাজাকাররা এখন সবাই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা।"
মাইরালা ,আমারে মাইরালা।
১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬
ইসটুপিড বলেছেন: বুঝলাম, তুমি কোনখানকার **র াল। রামিনের োন চুষ মনে মনে ানকির োলা।
১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: তোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখতোর ওয়ালি ভাইয়ার বাপরে ঝুলাইছি দ্যাখ
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
সুমন জেবা বলেছেন: সময় উপযোগী পোষ্ট..