নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যদি যাবে দুরে হে স্বার্থপর আমাকে কেন জোসনা দেখালি

অহন_৮০

চলে যদি যাবে দুরে হে স্বার্থপর আমাকে কেন জোসনা দেখালি

অহন_৮০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ হারানো শহর!!!!!!!!!!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭



মাত্র ৫০ বছরে জাপানের ইউবারি শহরের জনসংখ্যা কমেছে ৯০ শতাংশ। শহরের অবশিষ্ট বাসিন্দাদের বেশির ভাগই বুড়োবুড়ি। শিশুরা নেই বলে বন্ধ হয়ে গেছে পাঠশালা! আর পাঁচ-ছয় বছর পরই ইউবারিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবেন পেনশনভোগীরা। আর তা হলে ইউবারিই হবে বিশ্বের প্রথম এমন শহর! দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে মানুষ হারানো এই শহরের হালচাল।



শহরের মানুষ হারানো

একসময় জাপানের কয়লার রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই শহরের বেশির ভাগ দালানকোঠাই এখন পরিত্যক্ত। শহরের পথঘাটে ডর-ভয়হীন চড়ে বেড়ায় বুনো হরিণেরা। দেশটির সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ হোক্কাইডুতে অবস্থিত ইউবারি। শিল্পোন্নত বিশ্বের খুব কম শিল্প-শহরের সঙ্গেই তুলনা চলে ইউবারির পরিস্থিতির। ১৯৬০ সালের দিকে এই শহরের জনসংখ্যা ছিল ১ লাখ ২০ হাজারের মতো। কয়লার শেষ খনিটাও বন্ধ হয়ে গেল। আর বাইরের খনিশ্রমিকেরাও চলে গেলেন ১৯৯০ সালে। তখনই জনসংখ্যা নেমে আসে ২১ হাজারে। পরবর্তী দুই দশকেই এই সংখ্যা নেমে আসে অর্ধেকে, মাত্র ১০ হাজারের কাছাকাছি।



পরিসংখ্যান নিয়ে বসলে অনেক হিসাবেই সবার ওপরে উঠে আসতে পারে এই শহরের নাম। ইউবারিই এখন জাপান এবং হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্কদের শহর। ২০১০ সালে এই শহরের বাসিন্দাদের গড় বয়স ছিল ৫৭ বছর। ২০২০ সালের মধ্যে এই গড় চলে যাবে ৬৫ বছরে। আর তখন ৪০ বছরের চেয়ে কম বয়সীদের তুলনায় ৮০ বছর বয়সীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবেন এখানে। এভাবে ইউবারি তখন বিশ্বের একমাত্র পেনশনভোগী সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরে পরিণত হয়ে উঠতে পারে।



শিশু নেই, তাই নেই পাঠশালাও!



শহরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রমাগত বুড়িয়ে যেতে শুরু করে ইউবারি। এখানকার তরুণ-তরুণীরা কাজের খোঁজে পাড়ি জমিয়েছেন দূর-দূরান্তে। আর ছেলেমেয়েরা না থাকলে বাড়িঘর আগলে থাকা বুড়োবুড়িদের সংসারে নাতি-নাতনিরাই বা থাকবে কোথা থেকে? শহরের প্রতি ২০ জনে মাত্র একজনের বয়স এখন ১৫ বছরের নিচে। একটা শিশু জন্মাতে জন্মাতে অন্তত এক ডজন মানুষ মারা যান ইউবারিতে। জাপানের আর সব শহরের মতোই ইউবারিতেও একসময় অনেক স্কুল-কলেজ ছিল। কিন্তু এখন মাত্র একটা স্কুলেই চলছে শিশু, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।



জন্ম ও মৃত্যুহারসহ জনসংখ্যার নানান পরিসংখ্যানে ইউবারি শহরকে পুরো জাপানের একটা ছোট্ট সংস্করণ হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই। দেউলিয়াত্বের শিকার এই শহরের শেষ হাসপাতালটিকে ছোট করে এনে একটা ক্লিনিকে পরিণত করার সময় খ্যাতনামা চিকিত্সক তোমোহিকো মুরাকামিও ঠিক এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন। কয়েক বছর আগে মুরাকামি বলেছিলেন, ‘২০৫০ সালের জাপানের একটা মাইক্রোজম এখনকার ইউবারি।’ পরিসংখ্যান বলছে, ২০৬০ সালের জাপানে প্রতি ১০ জনে চারজন নাগরিকের বয়স হবে ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি। ইউবারি প্রায় এক দশক আগেই বয়সের এই গড় অতিক্রম করেছে।



প্রকৃতির ফিরে আসা



দুনিয়ার বহু মানুষের কাছেই হয়তো—ফিরিয়ে দাও সে অরণ্য, লও এ নগর কেবলই কথার কথা! কিন্তু ইউবারিতে ঠিক যেন এই ঘটনাই ঘটছে। শিল্প-শহরটির কয়লাখনি, কারখানা, বাণিজ্যিক দালানকোঠা আর বসতবাড়ির বেশির ভাগই পরিত্যক্ত। আগে থেকেই প্রকৃতিঘেরা এই শহরকে যেন আবারও দখলে নিয়ে নিতে খুবই সক্রিয় প্রকৃতি। পরিত্যক্ত দালানকোঠা, মাঠ-ঘাটে গাছ-গাছালির অবাধ বেড়ে ওঠার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছোটখাটো বন্য প্রাণীও ফিরে আসছে এখানে। জনবিরল রেলস্টেশন তো বটেই শহরের পথেঘাটেই দেখা মিলবে বুনো হরিণের।



সূত্র: পত্রিকা

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের কর্পোরেট দৌড়ের পরিণতির ভবিষ্যতের বাস্তব স্বাক্ষ্য কি এই নগর!!!

সারা বিশ্ব রোবোটিক যে উন্নয়নের সোনার হলিনের পিছনে ছুটছে- ভবিষ্যতে কি পৃথিবীটাও এমনি পরিণতির দিকে যাবে?????

জাপান সেখানে ট্যুরিজম বেইজ কিছূ করে না কেন? যাতে আবার প্রাণের জোয়ার আসে!!! অথবা মাইগ্রেসনের সুযোগ সহজ করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এনে আবার প্রাণময় শহরে পরিণত করার চিন্তা কি করে না তারা???

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

অহন_৮০ বলেছেন: Apni thik e bolechen...

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

জুন বলেছেন: এমন ভাবে আল্পস এর পাদদেশে থাকা জন মানবহীন গ্রামগুলো ও ঘন বনানীর আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে । নতুন জেনারেশন এখন শহর মুখী ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অহন_৮০ বলেছেন: hmm.. thanks

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৪

তিথীডোর বলেছেন: ফিরিয়ে দাও অরণ্য..ওরাও ফিরে আসবে একদিন....

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৫

শায়মা বলেছেন: শুনেছিলাম এই শহরের কথা।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি ভয়াবহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.