নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জনসংখ্যা অভিশাপ নয়, সম্পদ

বাংলাদেশ

আগুয়ান

আত্মসমালোচনায়, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করা।

আগুয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

১০ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন ও আজকের ভাবনা

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

১৬ ডিসেম্বর প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি কাঙ্খিত স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন করলেও যেন বিজয় পূর্ণাঙ্গ হল না, কি যেন নেই, কি যেন নেই!



আরে ........

স্বাধীনতার রূপকার, স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার, বাংলাদেশী জাতির জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি মহান নেতা বঙ্গবন্ধুইতো নেই......



তাকে ছাড়া কি বিজয়োল্লাস পূর্ণ হয়!!



এ যেন যুদ্ধ শেষ হইয়াও শেষ হইল না, কারণ তখনও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানীদের জেলখানায় বন্দি, বীর বাঙ্গালী প্রাণপ্রিয় মহান নেতার জন্য উৎকণ্ঠিত..............





অবশেষে এল কাঙ্খিত এই দিন............... ১০ জানুয়ারী ১৯৭২.............

বাংলাদেশীদের আরেকটি বিজয় এবং পূর্ণাঙ্গ বিজয়োল্লাসের দিন।



বঙ্গবন্ধু পিআএর বিশেষ বিমানে করে লন্ডন ও দিল্লী হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করলেন। তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান জনতার ঢল নেমেছিল, লাখ লাখ জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ল শ্লোগানে শ্লোগানে.....

জয় বাংলা...... জয় বঙ্গবন্ধু

আমার নেতা, তোমার নেতা........... শেখ মুজিব, শেখ মুজিব.



প্রাণপ্রিয় নেতাকে পেয়ে সবা্ই সেদিন নতুন দেশ গড়ার শপথ নিয়েছিলেন, স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষার, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন স্ব্চছলভাবে জীবন যাপনের।



স্বাধীনতার কিছুদিন পরেই স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল.............।



সেদিনের পরিস্থিতি আর আজকের পরিস্থিতি আকাশ-পাতাল তফাত।



আজ ৪১ বছর পার হলেও ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষার, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন স্ব্চছলভাবে জীবন যাপনের কোন নিশ্চয়তা নেই।



সরকারই বলুক আজ বর্তমানে বেকারের সংখ্যা কত........ আর সেশনজটের জ্যামের কারণে যারা আটকে আছে তারা যদি বের হয় তাহলে কি হবে?



স্বাধীনতার ৪১ বছর পরেও কেন এই ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থা? যে শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম বৈষম্য, অবহেলা, অবমূল্যায়ন বিদ্যমান, কেন আজ একটি ছেলে ২৩/২৫ বছর পড়ালেখা করে মাস্টার্স পাশ করার পরও চাকরি নামক সোনার হরিণ পায়না/ যোগ্যতা হয়না, কেন তাকে এমবিএ নামক স্পেশাল ডিগ্রি/স্পেশাল কোয়ালিফিকেশন অর্জন করতে হবে, কেন তাকে অভিজ্ঞতার কথা বলা হবে, কেন তাকে রেফারেন্স খুজতে হবে।





রাজনীতিবিদরাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী!



কেন আজ দেশ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আর তথাকথিত বিপক্ষের শক্তি নামে দুটি ধারায় বিভক্ত?



কবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে, কবে জীবনযাত্রায়, দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি আসবে?

কবে হরতাল নামক অভিশাপ বন্ধ হবে,

কবে ছাত্ররাজনীতি নামধারী সন্ত্রাসীদের থেকে পবিত্র শিক্ষাঙ্গন মুক্ত হবে?



কবে, আর কতকাল পার হলে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা/ কুশিক্ষা, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন স্ব্চছলভাবে জীবন যাপন করতে পারবো?????????













মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

বাবুল হোসেইন বলেছেন: সুন্দর ও সমসাময়িক পোস্ট। সাবাস!

তবে এগুলো কখনো সমাধান হবে যতদিন না আমরা নিজেরা সচেতন হচ্ছি। আর পুজিবাদের লাগাম না যতক্ষন আমরা ছেড়ে দিচ্ছি।

ভালো লেখা আর ভালো থিংকিং.।
গুড জব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.