নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জনসংখ্যা অভিশাপ নয়, সম্পদ

বাংলাদেশ

আগুয়ান

আত্মসমালোচনায়, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করা।

আগুয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধপরাধীর বিচার নিয়ে কেন প্রশ্ন?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

আজকে মিডিয়া তথা সরকারের বুদ্ধি ব্যবসায়ীর অপপ্রচারে যুদ্ধপরাধ মানেই হচ্ছে জামায়াত।



আমার প্রশ্ন হচ্ছে যুদ্ধপরাধী কি শুধু জামায়াতেই আছে?

আওয়ামীলীগে কি নেই? অন্যান্য দলে কি নেই?



জামায়াত করলেই যুদ্ধপরাধী? আর আওয়ামীলীগ করলেই কি মুক্তিযোদ্ধা?



রাজপথে কেন এই সহিংসতা? যে অপরাধী, তার পক্ষে কেন জনসমর্থন থাকবে? যে চিহ্নিত যুদ্ধপরাধী, তার পক্ষে কেন এই ডিজিটাল যুগেও সাফাই সাক্ষী থাকবে?



বাংলাদেশের ইতিহাস বলে ততকালীন সময়ে কিছু দল বিশেষ করে ইসলামী দলগুলো সরাসরি স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে উল্লেখযোগ্য কারণ-

# পাকিস্তান ভাঙ্গা ভারতের একটা ষড়যন্ত্র।

# পাকিস্তান ভাঙ্গলে মুসলিম রাষ্ট্র দ্বিখন্ডিত হয়ে যাবে।

# বাংলাদেশ ভারতের নতুন তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হবে

# '৭১ এর আগে যে দুটি যুদ্ধ হয়েছিল তাতে ভারতের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভাতৃঘাতি সংঘাত



কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট তো ভিন্ন এটা স্বাধীন বাংলাদেশ এখন তো দ্বিধা-দ্বন্দ নেই। তাই তাদের উচিত ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চাওয়া।



আর যারা যুদ্ধপরাধ/ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তারা বেশীরভাগই জীবিত নেই।



যুদ্ধপরাধ ১৯৫জন পাকিস্তানী সৈন্যের নাম যা পরে দায়মুক্তি দেওয়া হয়।



যুদ্ধপরাধ করেছে তারা বর্তমানে সব দলেই কম বেশী রয়েছে। তাহলে কেন এই অপপ্রচার?





সরকার যদি সত্যিই যুদ্ধপরাধীদের বিচার করতে চাইতো তাহলে জামায়াতের ৫/৬ জন আর বিএনপির ২ জনকে ধরতো না।



সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠনের মাধ্যমে তালিকা তৈরী করেই বিচার করা হতো। ( করলে আওয়ামীলীগের বাঘা বাঘা নেতার নাম চলে আসবে)



উপযুক্ত প্রমাণসহ একদল আরেক দলের তালিকা তৈরী করবে।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক আনা হতো।

দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করা হতো। যেহেতু এটা একটা জাতীয় বিষয়, এবং এটা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক।



দেশ ও জাতির সম্পর্কে যার নূন্যতম জ্ঞান রয়েছে, যারা রাজনীতির সম্পর্কে অতীত বর্তমান জানেন, সেই বুঝতে পারবে বিচার নিয়ে কি ঘটতে চলেছে।



বর্তমান সরকার যা করছে তা আইওয়াশ মাত্র।



জনগণের আশা আকাঙ্খা নিয়ে খেলা করছে ।



বিচারের নামে বিরোধীদল দমন করে একদলীয় শাসন তথা নব্য স্বৈরতন্ত্র ব্যবস্থা কায়েম করার নীলনকশা!



সর্বদলীয় ঐক্যজোট

সব যুদ্ধপরাধীর বিচার হোক।

বিচারের নামে প্রহসন

আর যেন না হয় কালক্ষেপণ।



বিভেদ নয় , প্রতিহিংসা নয়

অপরাজনীতি নয়, দুর্নীতি নয়

অজ্ঞতা নয়, স্বার্থপরতা নয়

নয় জাতির আত্মহনন।



জেগো ওঠো, জেগো ওঠো

হে বাংলার জনগণ

হতে হবে এক

করতে হবে উন্নয়ন।





মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

আরাফাত মুন্না* বলেছেন: ঠিক বলেছেন...।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

শার্লক বলেছেন: এখন তো আপনার উপর চেতনাধারীরা ঝাপায় পড়বে।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

রিওমারে বলেছেন: বিচারের নামে বিরোধীদল দমন করে একদলীয় শাসন তথা নব্য স্বৈরতন্ত্র ব্যবস্থা কায়েম করার নীলনকশা!

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

টাইটান ১ বলেছেন: দারুণ বলেছেন। লীগ সবসময় দুই লাইন বেশি বোঝে। বেশি বোঝার কারণে এই অবস্থা।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

বিষাদ বর্ণন বলেছেন: ম খা আলমগীর মিয়া তো নিজেই বড় যুদ্ধাপরাধী,
সব ইন্দুররেই গর্ত থিকা বাইর করা হইবে

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: আপনি কয়েকজন আওয়ামি যুদ্ধাপরাধীদের নাম বলেন, যে লিস্টে কম করেও ১৫ জনের নাম থাকবে এবং সেই নামগুলো আমরা আগে কেউ শুনি নাই [ শোনা নামগুলো নীচে লেখায় আছে ]

Click This Link

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আগুয়ান বলেছেন: হম..
Click This Link

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০

সংকেত মাহমুদ বলেছেন: নিজের ঘরে রাজাকার রেখে অন্যের ঘরের রাজাকারের বিচার।হ এই জিনিসটা আমিও ভালচোখে দেখি না ।তবে যে কটারে ধরছে সেকটাও তো রাজাকার ।শুধু রাজাকারেই না বরং রাজাকার বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার । সুতরাং বিচার বন্ধ বন্ধের পক্ষে আমি নই ।
তারপরেও ৪০ বছর পরে যে বিচার শুরু হইছে তারে বাধাগ্রস্থ কইরনা, এইটা’ত মাত্র শুরু...একজন রাজাকারও জীবিত থাকা অবস্থায়ও যেন এর শেষ না হয়....আল্লাহর কাছে এইটাই চাই যে নিজামী আলবদরে লিড দিছে, "অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধর "এই কথা বইলা যে মুজাহিদ গনহত্যাকারী রাজাকারদের নির্দেশ দিছে , যে গোলাম আজম তার কর্মীদের খুনী পাক হানাদার বাহিনীরে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিছে , তারা ৭১ এ নিশ্পাপ শিশু । এরা তো হে, গনহত্যাকারী দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার । পাকবাহিনীর দোষর , গনহত্যাকারী বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার, এই জানোয়ারদের ফাসি চাই ।বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অধিনস্ত রাজাকারদের অস্ত্র হাতে নিতে মুজাহিদের নির্দেশঃ X(( X(( X(( সঙ্গে
১৯৭১ এর গনহত্যাকারী আলবদর বাহিনীকে একশনে উৎসাহিত করতে আলবদরের নেতা নিজামীর প্রচেষ্টার নমুনাঃ



৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪০

সংকেত মাহমুদ বলেছেন: যুদ্ধপরাধী কি শুধু জামায়াতেই আছে?
আওয়ামীলীগে কি নেই? অন্যান্য দলে কি নেই?

রাজাকার সবদলেই আছে, তবে দোষর বাহিনীর লিডারগুলা আছে জামাতের মধ্যে । X(( X(( X((


৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০১

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: সংকেত মাহমুদের উত্তর দেন লেখক......

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

খুব সাধারন একজন বলেছেন: পোস্টদাতা,

নিজামী,
মুজাহিদ,
গোলাম আজম রাজাকার + যুদ্ধাপরাধী + বাংলাদেশ বিরোধী কিনা?

গোলাম আজম খাপো বাংলাদেশ জন্মের প্রায় এক দশক পর পর্যন্তও 'বাংলাদেশ নামঞ্জুর' আন্দোলন করেছে কিনা?

সাফ প্রশ্নের সাফ জবাব চাই।



আইজকার দিনে জামাতি পাইলে টেংড়ি ভাইঙ্গালামু।

১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

খুব সাধারন একজন বলেছেন: সংকেত মাহমুদ, চালায় যাও ভাই।
একটা পোস্টও যেন বাদ না থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.