নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!
অধরার প্রিয় গান তাহসানের আলো ,
হেডফোনটা আজ অনেক দিন যাবত্ নষ্ট ।
টাকার অভাবে কেনা হয়নি ।
অধরা একটা ছোটো খাটো কোম্পানিতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করে ।
মানুষের দারে দারে ঘুরতে হয় ওকে ,
স্যার একটা ডিকশনারী নেবেন ?
এ ডিকশনারীতে আপনি সব শব্দের অর্থ পাবেন ।
বৃষ্টিতে ভিজলেও কিছু হবেনা ।
নেবেন ?
দু হাজার চারশ টাকা মাত্র ,
অধরার বই ভালো বিক্রি হয় ।
দিনে দু একটা অন্তত ।
প্রতিটা বইয়ে অধরার কমিশন থাকে তিনশ টাকা ।
এ টাকাতেই ওদের মা মেয়ের চলে যায় ।
অধরার মা খুব ভালো চাকরি করতেন ।
ওদের দুজনের দিব্বি চলে যেতো ।
কিন্তু আর কতো !
মায়ের বয়স হয়েছে ।
শরীরটা আর চলেনা ।
অধরার বই ভালো বিক্রি হওয়ার
কারণ ও দেখতে খুব ভালো ।
লোক গুলোর লোলুপ দৃষ্টি ওকে নিংড়ে খায় ।
আর বেশীদিন ও এই চাকরীটা করতে পারেনা ।
নিরপত্তার অভাব টা এখানে একটু বেশীই।
ওর মতো গরীব মেয়ের সম্বল একটাই আর তা হলো সতীত্ব ।
এটা হারালে চলবেনা ।
ওয়ালটনের একটা চাকরী পায় সে ।
কাজ টা হলো শোরুমে লাল শাড়ি পড়ে , ঠোঁটে গাড় লাল লিপস্টিক দিয়ে বসে থাকা ।
কাস্টমার আসলে দাড়িয়ে মিষ্টি করে হেসে কথা বলা ।
বেতন খারাপ না ।
আঠারো হাজার টাকা ।
এসব শোরুমে কাস্টমার কম দর্শনার্থী বেশী ।
দর্শনার্থীদের মধ্যে দুএকজন কাপুরুষ টাইপের পুরুষ থাকে ।
লোলুপ দৃষ্টি গুলো অধরার পুরো শরীরের ওপর চাটতে থাকে ।
দুএকজন বিত্তবান কুকুরের কুপ্রস্তাব পায় অধরা ।
মাসে আঠারো হাজার টাকার জন্য মাটি কামড়ে পড়ে থাকে সে ।
তবু দিন শেষে পবিত্র অধরা অপবিত্রতার কাছে অধরাই থেকে যায় ।
অধরা বাঁচতে জানে ,
জানে প্রতিকুলতাকে অনুকুলে আনতে ।
অধরা আসলেই বাঁচতে জানে ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪৫
আহসানের ব্লগ বলেছেন: অনেকটা তাই ভাইয়া ।
তবে অধরা রা অনেক কষ্টেই টিকে থাকে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৯
কিছুটা অসামাজিক বলেছেন: বেশ টিকে আছে, এ অবস্থানেই বা কজন থাকতে পারে বলুন ?