নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মা সেতুর টোল, তবে কি ফেরিই ভালো হবে?

১৮ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

পদ্মা সেতুর টোল বেশী তাই সমালোচনা চলছে৷
এবার আসি ফেরির কষ্টের কথায়,
ফেরিতে খরচ কম হলেও মান্ধাতা আমলের ফেরি দিয়ে চলতো পারাপার৷ ছিলনা ওয়াশ রুমের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা৷
নারীদের জন্য ছিলনা কোনো পরিচ্ছন্ন ওয়াশ রুমের ব্যবস্থা৷ যানবাহন যেখানে সেতু ব্যবহার করলে অধিক ট্রিপ মারতে পারবে সেখানে ফেরিতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো৷ যাত্রীদের গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা৷ ঘাটের শ্রমিক আর কুলিদের হয়রানি৷ কুলি না লাগলেও জোর করে টাকা দিতে হতো৷ প্রতি বছর শত শত মানুষের মৃত্যর খবর শোনা যায় স্পীড বোট, ট্রলার দূর্ঘটনায়৷ সেখানে পদ্মা সেতুতে কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই নদী পার হওয়া যাবে৷ নারী শিশু বৃদ্ধ দের সীমাহীন বিড়ম্বনার অবসান ঘটবে৷ কৃষকের কাচা সবজি আর পচবেনা। বাস ট্রাকের ট্রিপের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে৷ আর এতে করে পরিবহণ শ্রমিকদের আয় বাড়বে৷ মানুষের যাতায়ত সহজ হবে৷ শীতে আর টানা সপ্তাহ ধরে ফেরি বন্ধের বিড়ম্বনা থাকবেনা৷ জরুরী অবস্থা সম্পন্ন রোগীদের খুব দ্রুত ঢাকা আনা নেয়া করা যাবে৷

এবার আসি অনেকের একটা প্রশ্নে, দেশের টাকায় সেতু হলে টোল কেন?
উত্তরঃ সবকিছুই দেশের টাকায় হয়, বাইরে থেকে লোন নিলেও দেশের মানুষকেই তা শোধ করতে হয়৷ সেতু বিভাগ নিজ টাকায় এই সেতু করেন নাই৷ অর্থ বিভাগ থেকে ডলারে ঋণ নিতে হয়েছে৷ যেটাকে বলে অভ্যন্তরীণ ঋণ৷ অর্থবিভাগ থেকে ডলার নিয়ে বাইরে থেকে মেটারিয়াল এনেই সেতু টি করা হয়েছে৷ এখন সেতুর নিজস্ব মেইনটেইন কস্ট অনেক৷ হাজার হাজার লোকবল এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে কাজে লাগবে৷ আর সেতু বিভাগ কেও অর্থবিভাগকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে৷ টোল না দিলে অর্থবিভাগ থেকে নেয়া ঋণ শোধ করবে কিভাবে? আর পদ্মা সেতু হয়ে গেলেই দেশের উন্নয়ন কাজ শেষ হয়ে যায় না৷ এই সেতুই হতে পারে রাষ্ট্রের কোষাগারের অন্যতম সোর্স৷ যা দিন শেষে জনগন কেই উপকৃত করবে৷ এতোবড় সেতু কোনো দেশে টোল ছাড়া আছে কিনা জানা নাই৷

আসলে যারা বলেছিলো, ক্ষমতায় আসলে কিনা দু দুটি পদ্মা সেতু করবে আর নয়তো এই সেতু জোড়াতালি দিয়ে করা কেউ উঠবেন না৷ তারাই আজ এতো এতো আস্ফালন ছড়াচ্ছে৷ যাদের আমলে একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে পারেনাই৷ টংগি তে একটা ৩২০ মেগাওয়াটের করার কথা ছিলো সেটার টাকা মিঃ টেন পার্সেন্ট আর তার বন্ধু মামুন মেরে খেয়ে দিসে৷ আজ তাদের ভক্তদের আকাশ বাতাস কাপানো অনেক কষ্ট দেখা যাচ্ছে৷

তাইতো নচিকেতা বলে, যখন ঈদের কারণে বিম্পির আন্দোলন থমকে দাঁড়ায়, নিরাশায় বুক দু হাত বাড়ায়, স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন দেখে মন৷
ইয়ে ইদের পরে আন্দোলন। ইদুল আজহা চলে আসছে৷ ফিতরের পরে কি জানি একটা হওয়ার কথা ছিলো তা বিম্পি ভুলেই গেসে৷

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:০২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: টোল নিয়ে খুব সমালোচনা হচ্ছে। কমবে টোল আরো। পেরা নেই চিল...

১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:০৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: কে জানে।

২| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:০৩

জ্যাকেল বলেছেন: পদ্মা সেতু আমাদের পকেট থেকে করা হল ট্যারিফ বাড়িয়ে। এখন আবার উচ্চহারে খাজনা দিয়ে পার হওয়া লাগবে। তাহলে ভীন্দেশী ব্যাংক এর করা/আমাদের করার তফাৎ কোথায়?

১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:০৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: এটার উত্তর বোধহয় পোস্টেই দিয়েছি।

৩| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:০৮

জ্যাকেল বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: পদ্মা সেতু আমাদের পকেট থেকে করা হল ট্যারিফ বাড়িয়ে। এখন আবার উচ্চহারে খাজনা দিয়ে পার হওয়া লাগবে। তাহলে ভীন্দেশী ব্যাংক এর করা/আমাদের করার তফাৎ কোথায়?


আমি এখন বোল্ড করে দিলাম।

১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:১৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: এবার আসি অনেকের একটা প্রশ্নে, দেশের টাকায় সেতু হলে টোল কেন?
উত্তরঃ সবকিছুই দেশের টাকায় হয়, বাইরে থেকে লোন নিলেও দেশের মানুষকেই তা শোধ করতে হয়৷ সেতু বিভাগ নিজ টাকায় এই সেতু করেন নাই৷ অর্থ বিভাগ থেকে ডলারে ঋণ নিতে হয়েছে৷ যেটাকে বলে অভ্যন্তরীণ ঋণ৷ অর্থবিভাগ থেকে ডলার নিয়ে বাইরে থেকে মেটারিয়াল এনেই সেতু টি করা হয়েছে৷ এখন সেতুর নিজস্ব মেইনটেইন কস্ট অনেক৷ হাজার হাজার লোকবল এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে কাজে লাগবে৷ আর সেতু বিভাগ কেও অর্থবিভাগকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে৷ টোল না দিলে অর্থবিভাগ থেকে নেয়া ঋণ শোধ করবে কিভাবে? আর পদ্মা সেতু হয়ে গেলেই দেশের উন্নয়ন কাজ শেষ হয়ে যায় না৷ এই সেতুই হতে পারে রাষ্ট্রের কোষাগারের অন্যতম সোর্স৷ যা দিন শেষে জনগন কেই উপকৃত করবে৷ এতোবড় সেতু কোনো দেশে টোল ছাড়া আছে কিনা জানা নাই।
আর এই সেতুর টোল অন্যান্য সেতুর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই করা হয়েছে।

৪| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:১৫

জ্যাকেল বলেছেন: সেতু পরিচালনার জন্য কত টাকা লাগে এক বছরে? আমাদের পকেট থেকে যা মারিং হইবার তা তো হইছেই এখন আবার উচ্চহারে কেন টোল দিতে হবে। আপনি কি উচ্চহারে শব্দটি ইচ্ছে করে ইগনোর করতেছেন?

১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:১৯

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমিতো বললাম ই "আর এই সেতুর টোল অন্যান্য সেতুর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই করা হয়েছে।" আপনি ইচ্ছে করে আমার উত্তর ইগনোর করছেন। যেমন সেতুতে টোল হালকা যানবাহন ৫৫০ টাকা, সেখানে পদ্মা সেতুর জন্য ৭৫০ টাকা। এখানে মাত্রাতিরিক্ত কোথায়। অন্যান্য সেতুর সাথে মিল রেখে করা হয়েছে।

৫| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মনে করি টোল এ বেশী টাকা ধরা হয়নি। ঠিকই আছে।

১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমারও তাই মনে হচ্ছে। কারণ সেতু পার হতে ১২ ঘন্টা থেকে শুরু করে দিন রাত এক করে অপেক্ষা করতে হবেনা। পরিবহন শ্রমিক আর ব্যাবসায়ীদের সময় বাচবে আয় ও বেশী হবে।

৬| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩৫

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: আমাদের মাথাপিছু আয়ের উপর টোল ধরা হয়না ,টোল ধরা হয় উন্নত বিশ্বের টোলের অংককে সামনে রেখে। এবং বলা হয়
আমেরিকা জাপান.....এর চেয়ে আমাদের টোল কম যেমন
আমেরিকার সবচেয়ে বেশি টোল টানেল ভার্জিনিয়া (রাউন্ডট্রিপ )৩০ ডলার
ব্রিজ ভেড়াজান নিউইয়র্ক (রাউন্ডট্রিপ ) ১৬ ডলার
১৯৭৫ এর থেকেই জনগণ = কীটপতঙ্গ

১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩৯

আহসানের ব্লগ বলেছেন: যমুনা সেতুতে টোল হালকা যানবাহন ৫৫০ টাকা, সেখানে পদ্মা সেতুর জন্য ৭৫০ টাকা।

৭| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৯:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যেহেতু এই সেতু করতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এর খরচ নির্বাহ করা হয়েছে। সেহেতু টোল আদায়ের সময় বাড়িয়ে টোলের পরিমাণ আরো কিছুটা কম করানো উচিত ছিল। পাবলিক বাস গুলো যেহেতু বেশি ট্রিপ মারতে পারবে সেহেতু তাদের ভাড়া বেশি বাড়ানো ঠিক হবে না। এটা সরকারকে মনিটরিং করা উচিত শক্ত হাতে। এতে টোলের চাপ সাধারণ পাবলিকের উপর কম পড়বে।

১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১০:২৪

আহসানের ব্লগ বলেছেন: যমুনা সেতুতে টোল হালকা যানবাহন ৫৫০ টাকা, সেখানে পদ্মা সেতুর জন্য ৭৫০ টাকা।

৮| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২৯

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আজকে ডলার কতো বিক্রি হয়েছে জানেন কিছু?

১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১০:২৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: 87.56 টাকা মনে হয়।

৯| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৪২

খাঁজা বাবা বলেছেন: বেশী কিছু লিখবনা,
দূর্নীতি দিয়ে শুরু, পরে ধরা খেয়ে নিজের টাকায় করার চেষ্টা।
দফায় দফায় কাজ পিছানো, দফায় দফায় খরচ বৃদ্ধি।
প্রাথমিক হিসাবে খরচ কত ছিল আর শেষ হল কত দিয়ে? যদিও রেল বাকি এখনো।
ওনাদের গাফিলতি, অদক্ষতা। আর দায় জনগনের?

আপনার কথায় মনে হচ্ছে টোল কমই হল, আরো বাড়িয়ে দেয়া যেত।

১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০০

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আপনি তো জোড়াতালি দেয়া তত্বের দলে। টাকা ছাড়ের আগেই কাজ শুরুর আগেই দূর্ণীতি? কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংক কেন কানে ধরলো? কেন পারলো না কোনো একটা প্রমাণ দেখাতে? কতটা মিথ্যা আপনারা বলতে পারেন!

১০| ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২৭

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ১০৫ টাকা এভারেজ। ছোট বড় সব মিলায়।

আর ফেরি টেরি লাগবে ক্যান? নৌকা আছে তো।

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৪৯

আহসানের ব্লগ বলেছেন: হ্যা সেটাই । তারা নৌকা দিয়েই যাক।

১১| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৩৬

এমজেডএফ বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন:পদ্মা সেতু আমাদের পকেট থেকে করা হল ট্যারিফ বাড়িয়ে। এখন আবার উচ্চহারে খাজনা দিয়ে পার হওয়া লাগবে।"
এর উত্তর আপনি দিয়েছেন, তারপরেও ওনারা টিনের চশমা ও কানে তালা লাগানোর কারণে সম্ভবত বুঝতে পারছে না। আমি আরেকটু যোগ করলাম, তারপরেও বুঝে কিনা দেখি।

প্রথমত, পদ্মা সেতু নিমর্াণের জন্য সরকার সসরাসরি কোনো ট্যারিফ বাড়ায় নাই। দ্বিতীয়ত পদ্মা সেতু নিমর্াণের জন্য সেতু মন্ত্রনালয় অর্থ মন্ত্রানলয় থেকে টাকা ১% সুদে ধার নিয়েছে যা কিস্তিতে ৩৫ বছরে শোধ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য দেশি মুদ্রার পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রারও প্রয়োজন হয়েছে। তখন সেতু মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে নগদ দেশি মুদ্রা পরিশোধ করে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে নিয়েছে।

এখন যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই যে মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। (বাস্তবে অর্থ মন্ত্রানলয়ের ফান্ডের সব টাকা ট্যারিফ থেকে আসে না, অন্য অনেক উৎসও থেকে আসে।) এখন যারা পদ্মা সেতু ব্যাবহার করে অল্প সময়ে কোনো ঝামেলা ছাড়া পদ্মা পার হবে তারাই টোল দেবে। এ টোল দেওয়ার পরেও যানবাহন ও যাত্রী সার্বিকভাবে লাভবান হবে। সুতরাং সরকার জনগণের যে টাকা ব্যবহার করে সেতু নির্মাণ করেছে তা সেতু থেকে আদায় হওয়া টোলের মাধ্যমে উঠে আসবে। সেই টাকা তখন অন্য খাতে কাজে লাগানো হবে। একই টাকাকে বেশিবার উৎপাদনে কাজে লাগাতে পারলেই অর্থনৈতিক সুফল পাওয়া যায়।

আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজাকার-আলবদররা স্বাধীনতার অনেক পরেও এদেশের মাটিতে বুক ফুলিয়ে বলেছিলো, "৭১-এ আমরা ভুল করিনি।" পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর আগেই যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছিল বলে জিকির শুরু করেছিল তারা এখনোও পদ্মা সেতুর বিভিন্ন অযৌক্তিক ভুলত্রুটি খুঁজে বাড়াবে -এটািই স্বাভাবিক।

'পদ্মা সেতু' এ দেশের আপামর জনসাধারণের কাজে গৌরবের প্রতীক হলেও কিছু দলকানা মানুষের কাছে অ্যালার্জি। 'পদ্মা সেতু' নাম শুনলেই এদের শরীর চুলকায়। এরা এই চুলকানির কারণে কোনটা যৌক্তিক আর কোনটা অযৌক্তিক তা বুঝে না।

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৫০

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ওনারে একই উত্তর কয়েকবার দিয়েছি। তাও বুঝবেনা। কারণ মনে অনেক জ্বালা।

১২| ১৯ শে মে, ২০২২ ভোর ৬:১৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: 'লেখক বলেছেন: যমুনা সেতুতে টোল হালকা যানবাহন ৫৫০ টাকা, সেখানে পদ্মা সেতুর জন্য ৭৫০ টাকা।'
যমুনা সেতু নির্মাণ করতে নির্দিষ্ট সুদে বৈদেশিক লোন নেওয়া হয়েছে। উক্ত লোন পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যয় আমরা আগেই পরিশোধ করেছি। সুতরাং যমুনা সেতুর টোলের সাথে পদ্মা সেতুর তুলনা কেন করছেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। বিষয়টি যদি বুঝিয়ে বলতেন!

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৫০

আহসানের ব্লগ বলেছেন: এমজেডএফ বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন:পদ্মা সেতু আমাদের পকেট থেকে করা হল ট্যারিফ বাড়িয়ে। এখন আবার উচ্চহারে খাজনা দিয়ে পার হওয়া লাগবে।"
এর উত্তর আপনি দিয়েছেন, তারপরেও ওনারা টিনের চশমা ও কানে তালা লাগানোর কারণে সম্ভবত বুঝতে পারছে না। আমি আরেকটু যোগ করলাম, তারপরেও বুঝে কিনা দেখি।

প্রথমত, পদ্মা সেতু নিমর্াণের জন্য সরকার সসরাসরি কোনো ট্যারিফ বাড়ায় নাই। দ্বিতীয়ত পদ্মা সেতু নিমর্াণের জন্য সেতু মন্ত্রনালয় অর্থ মন্ত্রানলয় থেকে টাকা ১% সুদে ধার নিয়েছে যা কিস্তিতে ৩৫ বছরে শোধ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য দেশি মুদ্রার পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রারও প্রয়োজন হয়েছে। তখন সেতু মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে নগদ দেশি মুদ্রা পরিশোধ করে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে নিয়েছে।

এখন যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই যে মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। (বাস্তবে অর্থ মন্ত্রানলয়ের ফান্ডের সব টাকা ট্যারিফ থেকে আসে না, অন্য অনেক উৎসও থেকে আসে।) এখন যারা পদ্মা সেতু ব্যাবহার করে অল্প সময়ে কোনো ঝামেলা ছাড়া পদ্মা পার হবে তারাই টোল দেবে। এ টোল দেওয়ার পরেও যানবাহন ও যাত্রী সার্বিকভাবে লাভবান হবে। সুতরাং সরকার জনগণের যে টাকা ব্যবহার করে সেতু নির্মাণ করেছে তা সেতু থেকে আদায় হওয়া টোলের মাধ্যমে উঠে আসবে। সেই টাকা তখন অন্য খাতে কাজে লাগানো হবে। একই টাকাকে বেশিবার উৎপাদনে কাজে লাগাতে পারলেই অর্থনৈতিক সুফল পাওয়া যায়।

আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজাকার-আলবদররা স্বাধীনতার অনেক পরেও এদেশের মাটিতে বুক ফুলিয়ে বলেছিলো, "৭১-এ আমরা ভুল করিনি।" পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর আগেই যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছিল বলে জিকির শুরু করেছিল তারা এখনোও পদ্মা সেতুর বিভিন্ন অযৌক্তিক ভুলত্রুটি খুঁজে বাড়াবে -এটািই স্বাভাবিক।

'পদ্মা সেতু' এ দেশের আপামর জনসাধারণের কাজে গৌরবের প্রতীক হলেও কিছু দলকানা মানুষের কাছে অ্যালার্জি। 'পদ্মা সেতু' নাম শুনলেই এদের শরীর চুলকায়। এরা এই চুলকানির কারণে কোনটা যৌক্তিক আর কোনটা অযৌক্তিক তা বুঝে না।

১৩| ১৯ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:০৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজাকার-আলবদররা স্বাধীনতার অনেক পরেও এদেশের মাটিতে বুক ফুলিয়ে বলেছিলো, "৭১-এ আমরা ভুল করিনি।" পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর আগেই যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছিল বলে জিকির শুরু করেছিল তারা এখনোও পদ্মা সেতুর বিভিন্ন অযৌক্তিক ভুলত্রুটি খুঁজে বাড়াবে -এটাই স্বাভাবিক।"

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৫১

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আসলেই এটাই স্বাভাবিক।

১৪| ১৯ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৪৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমার ভাবতে অবাক লাগে মানুষ কি এতো দলকানা হয়? সে আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা জামাতীই হোক!!!!! :(

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৫২

আহসানের ব্লগ বলেছেন: সেতু টা হয়ে গেসে। এখন যেকোনো মূল্যে তারা একটা ধন্যবাদ দেবেনা। কিন্তু খোচাতে থাকবে।

১৫| ১৯ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমারও তাই মনে হচ্ছে। কারণ সেতু পার হতে ১২ ঘন্টা থেকে শুরু করে দিন রাত এক করে অপেক্ষা করতে হবেনা। পরিবহন শ্রমিক আর ব্যাবসায়ীদের সময় বাচবে আয় ও বেশী হবে।

এই সেতু করতে সরকার দেশের অনেক ব্যাংক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা কর্জ নিয়েছে। সেসব টাকা তো প্ররিশোধ করতে হবে। টাকার চেয়ে সময়ের মূল্য বেশি।

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৫৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আগে যেখানে সপ্তাহে ৩ টা ট্রিপ মারতে পারতো এখন সেখানে ট্রিম সংখ্যা ৬ টি হবে। ডাবল লাভ হবে পরিবহণ শ্রমিক দের। সময় বাচবে। সময় যে টাকা দিয়ে কেনা যায় এটাই হাসিনা করে দেখিয়েছে। কোটি কোটি কর্ম ঘন্টা নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যাবে। দিনের মধ্যেই মানুষ ঢাকা টু ঢাকার বাইরে আসা যাওয়া করতে পারবে।

১৬| ১৯ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

নতুন বলেছেন: ফেরীর ঝামেলা এবং সময় বাচাতে অবশ্যই সেতুর বিকল্প নাই।

এখন যদি আপনি বলেন ফেরীর ভাড়া ৯০% কমিয়ে দিলাম এবং সেতুর টোল আরো ২৫% বাড়িয়ে দিন তবেও সেতুতেই লাইণ বাড়বে।

দেশের মানুষ ক্যচাল পছন্দ করে এবং কারুর প্রসংসা করতে পছন্দ করেনা বরং ট্রল করতে উস্তাদ।

আয়ামীলীগের অনেকেই দূনিতি করছে কিন্তু তারা সবাই কিন্তু আমাদেরই আত্নীয়, বন্ধু তাদের কিন্তু কেউই সামাজিক ভাবে বয়কট করছেনা বরং তারা সমাজে সন্মানিত মানুষ। দূনিতি আমাদের সামাজিক সমস্য্। যেই দলই ক্ষমতায় আসুক তারাই দূনিতি করবে।

আর বিরোধি দলের সমর্থকেরা অবশ্যই সরকারের কাজের বিরোধিতা করবেই সেটা যত ভালোই হওক না কেন।

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৫৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ফেরী তে শূণ্য টাকা করে দিলেও কেউ যাবেনা ফেরী তে । যেই মান্ধাতা আমলের ফেরী। ব্রিটিশ আমলের এসব ফেরী দেখলেই বুক চিন চিন করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.