নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!
কিছুদিন আগে নাপিত্ত ছড়া ঝর্ণায় বেড়াতে গেলাম। চট্টগ্রাম একে খান থেকে জনপ্রতি ৮০ টাকা করে একে খান থেকে নয় দুয়ারী বাজারে।
বিপত্তি বাধলো গাড়ির সুপারভাইজার আমাদের নয় দুয়ারী বাজারে নামাতে ভুলে গিয়েছিলো, আমাদের কে আরো অনেক দূরে নামায়। ফলাফল জন প্রতি ২০ টাকা খরচ করে আবার ফিরতি পথে নয় দুয়ারী বাজারে আসতে হয়েছে।
কথিত আছে এই এলাকায় এক লোক তার মায়ের নামে একটি মসজিদ করেছিলো যার নয় টি দরজা ছিলো। একসময় তার মসজিদ টি করার পরে লোক টি তার মাকে বলেন "মা তোমার দুধের ঋণ শোধ করে দিলাম মসজিদ করার মাধ্যমে"
এই কথার পরেই রাতারাতি মসজিদ টি গায়েব হয়ে যায়।
যাই হউক বাজারে নেমেই কিছু পাউরুটি কিনে নিলাম, পরে ঝর্ণায় গিয়ে দেখি একটির মেয়াদ আছে অন্যটির নেই। খুব সাবধান থাকবেন কিছু কেনাকাটার সময়, মানুষ এখন সব স্থানেই ধুর্ত আর প্রতারক হয়েছে।
বাজার থেকে পাহাড়ের পথে হাটতে হাটতে তোলা। ধান ক্ষেতে মুগ্ধ হওয়া।
আরও কিছু দূরে এগোতে রঙ পরিবর্তন হচ্ছে।
এ সুন্দরের কোনো তুলনা নেই।
এই সেই ঝিরিপথ, সাবধান না হলে বিপদ।
কিছু উপদেশ, চেষ্টা করবেন ভালো গ্রিপের জুতো পরে যেতে। নয়তো এই পিচ্ছিল পথে খালি পায়ের গ্রিপ পাবেন না।
আর ঝর্ণায় প্রবেশ পথে ২০ টাকা টিকেট, ইজারা যারা নিয়েছে তারা মানুষ গুনে বনে প্রবেশ করায় এবং বের হবার সময় চেক করে কেউ থেকে গেলো কিনা। আসলেই সিস্টেম টা ভালো লেগেছে।
এই ঝর্নার রাস্তায় দু দিকে দুটো ঝর্ণা গিয়েছে, এটা হচ্ছে বাঘবিয়ানী ঝর্ণা।
বাঘবিয়ানী ঝর্ণার আরও কিছু ছবি।
আমরা বাঘবিয়ানী ঝর্ণার গিয়ে বুঝলাম গুগুলে দেখা নাপিত্তছড়া ঝর্ণার সাথে এটার মিল নাই। তখন বুঝলাম এবং জানলাম এটা বাঘবিয়ানী ঝর্ণা নাপিত্তছড়া না। তাহলে নাপিত্ত ছড়া কোথায়? আমরা আবার পিছনে ফিরে এসে ডান দিকের পথে পেলাম সেই কাংখিত নাপিত্তছড়া ঝর্ণা।
মনে হচ্ছে ঢাউশ আকৃতির পেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বহমান ঝর্ণা ধারা।
আমাদের টিমে ৬ জন লোক ছিলেন, একজনের হাতে ছিলো খমক। এবং আরেক জন অসাধারণ কন্ঠ শিল্পী ছিলেন যার গান শুনলে আপনারা বিমোহিত হবেন আশা করি। ঝর্ণা ধারায় পুরো টুরিস্ট সমগ্র আমাদের জয়েন করলেন, ভিডিও তে দেখুন।
আরও কিছু গান আছে দেখতে এবং শুনতে পারেন।
আরেকটি নিন যদি ইচ্ছে হয়।
পরিশেষে বলতে চাই, ওখানে গিয়ে স্থানীয় দের সাথে খারাপ আচরণ করবেন না। মদ অথবা মাদক খোঁজ করবেন না। এখন ওখানে এসবে খুবই কড়াকড়ি। ভালো গ্রিপের জুতো পরুন। এখানে খালি পায়ে অথবা অফিসের ফ্ল্যাট জুতোর জন্য এই রাস্তা নয়।
হঠাত বন্যায় এখানে পানি অনেক উপরে উঠে যায় যার প্রমাণ আমরা পেয়েছে ভেসে আশা শত শত গাছের গুড়ি দেখে, তাই ভরা বরষায় না যাওয়াই ভালো। শিশু অথবা বৃদ্ধ না নেয়াই উত্তম। এই ঝর্ণা পথে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে শুধু অজ্ঞতার কারণে। তাই এ ধরণের পাহাড়ে যাওয়ার আগে নিজেকে প্রস্তুত করে নিন।
আমারা ধিরে সুস্থে আড্ডা দিতে দিতে ৪ ঘন্টায় গিয়েছে এসেছি আরও ৪ ঘন্টায়। খুবই ধিরে সুস্থে হাটুন। তাড়াহুড়ো করলে বিপদ হতে পারে। ভালো গ্রিপের জুতো পড়ার পরেও একদম সমান ভালো জায়গায় পরে গিয়েছিলাম। শ্যাওলা বুঝে হাটার চেষ্টা করবেন।
পর্যাপ্ত পানি এবং নাস্তা সাথে রাখবেন। পলিথিন, পানির বোতল যেখানে সেখানে ফেলবেন না।
ধন্যবাদ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ওয়াও।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০১
বিটপি বলেছেন: এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝর্ণা। কিন্তু স্থায়িত্ব মাত্র ১ মাস।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭
আহসানের ব্লগ বলেছেন: অল্প অল্প পানি থাকে সারা বছর ই।
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০২
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: জায়গাটা সম্মন্ধে জেনে যাওয়ার ইচ্ছা হলো।
থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা কেমন ?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
আহসানের ব্লগ বলেছেন: একদিনেই ঘুরে আসা যায়। থাকার আসলে দরকার নাই। তবে সীতাকুন্ডে কিছু হোটেল আছে থাকার । খারাপ না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ কয়েক বছর আগে আমি ঐ এলাকায় ২ দিন ঘুরে ঘুরে গোটা ৮-১০টি ঝর্ণা দেখেছিলাম।