নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার ভ্যাট ট্যাক্সেই তাদের বেতন, তাই বলে কি তারা আপনার চাকর?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০

আপনি যেমন ভ্যাট ট্যাক্স দেন সেভাবে একজন সরকারি কর্মচারী ও দেয় তাই সরকারি কর্মচারীর বেতন আপনি দেন সেই ধোয়া তুলবেন না। সেই যুক্তি অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী নিজের বেতন নিজেই দেয় কারণ সেও ভ্যাট অথবা ট্যাক্স দেয়। রাষ্ট্রযন্ত্র দেশের সব কিছুর মালিক, এই রাষ্ট্রযন্ত্র চলার জন্য আপনি ভ্যাট ট্যাক্স দেন। রাষ্ট্রযন্ত্র না চললে কিছুই চলবেনা। আপনার আয় ইনকাম ও না। আপনি যেমন কাজ কাম করে টাকা কামান, এই টাকা কামানোর অবকাঠামো গড়তে রাষ্ট্রযন্ত্রের লাখ লাখ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। উলটা ধরা যায় সরকারি কর্মচারী দের চেয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র আপনার কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য লাখ কোটি টাকার অবকাঠামো তৈরি করে। এই টাকা আসছে ভ্যাট ট্যাক্স থেকে। তার মানে দাঁড়ায় সবার ভ্যাট ট্যাক্সের ওপরে আমরা সবাই ই নির্ভরশীল। শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারী রা না। দেশে লক্ষ লক্ষ সরকারী কর্মচারী আছে যারা সামান্য বেতনে কোনো রকমে বেঁচে আছে। আবার মুদ্রার অন্যপিঠ ও আছে। সেজন্য সবাইকে জনগনের চাকর বলে ভ্যাংচাবেন এটা হবেনা। এই আধুনিক যুগে আপনি যদি চাকর হতে না চান তবে অন্যকে কিভাবে চাকর বলেন! দেশে দূর্ণীতি হচ্ছে এটা আলাদা কথা। স্কুল মাস্টার থেকে শুরু করে দক্ষ অথবা আধা দক্ষ লাখো কর্মচারী কে দূর্ণীতি বাজ আর জনগনের চাকর বলে গালি দেয়ার অধিকারও আমার আপনার নাই। যে দূর্ণীতি করে পারলে তাকে সামাজিক ভাবে বয়কট করেন। কিন্তু তা না করে আপনারা আবার এ ধরণের দূর্ণীতি বাজদের চাকর বনে যান । আপনি মনে করেন শুধু মাত্র সরকারি চাকুরে রাই চুরি করে, তাহলে আপনি এখনো বেসরকারী স্টোর ইনচার্জ, মার্চেন্ট ডিপার্টমেন্টের কিছু কিছু লোক, পার্চেজ ডিপার্টমেন্টের দূর্ণীতি, টেন্ডারে বিভিন্ন কাজ কাম করাতে গিয়ে চুরি এসব দেখেন নাই। একটা উদাহরণ দেইঃ একটা বে-সরকারী কোম্পানী তে প্রতি উচ্চপদস্থ কর্মকার্তা দের গাড়ির জন্য বছরে ৪০০০০ টাকা শুধু গাড়ির চাকার জন্য বরাদ্দ। এখন গাড়ির চাকা পালটানো হউক আর না হউক ৪০০০০ টাকা ঠিক ই তুলে নেয়া হয়। এবং এসব হচ্ছে ওপেন সিক্রেট। এবং এমন হাজারো ভাবে হাজারো ধরণের চুরি চামারি চলে বে-সরকারি তেও। আমরা শুধুই সুযোগের অভাবে সৎ কিছু মানুষ। সময় আর সুযোগ পেলে সবাই ই হায়েনা।

একবার সরকারি মেডিকেলের ওয়ার্ড গুলোতে ঘুরে আসিয়েন, শত শত কর্মচারী সু চিকিৎসার অভাবে দিনের পর দিন কাৎরায়। সবাই টাকার পাহাড় গড়েনা আর সবার এই সুযোগ থাকেওনা। অনেকেই সুযোগের অভাবে সৎ আবার কেউ প্রয়োজনের অভাবে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
লেখক বলেছেন, 'সময় আর সুযোগ পেলে সবাই হায়েনা'।

যখন একটা মানুষ কারো সাহায্যে খেয়েদেয়ে মোটাতাজা হওয়ার পর তারেই কুপায়, তখন কি আপনি তারে নিমকহারাম না কয়ে থাকতারেন?

দুর্নীতি সবাই করতাছে বইলা আমিও করুম! বা সবাইকে দেখিয়ে নিজের কুকর্মের বৈধতা দাঁড় করানো কোন ধরণের যৌক্তিকতা হতে পারে?

মানুষ সাধারণত যারে আপন মনে করে, তার কাছেই আশা করে। সেই যখন তার পাশে দাঁড়ায় না তখনই কেবল তারে কিছু কয়। বাংলাদেশ জনগণের। জনগণ তার দায়দায়িত্ব কেবল নীজ সমর্থিত রাজনৈতিক দলকে দেয়। সেই দল ক্ষমতায় আসার পর যখন তাদের পাছায় লাতি মাইরা দেখাইয়্যা দেয়, বাংলাদেশ রাজনীতিবিদদের বাপদাদার তখনই জনগনের হুশ বুদ্ধি খুলে। এইটা প্রত্যেক নির্বাচনের পরপরই খুলে। এই উন্মুক্ত বুদ্ধির জুড়ে যখন তারা কিছু করবার পারে না। তখন আশ্রয় নেয় মুখের বুলির। রাহুল সাংকৃত্যায়ন কইছিলো, বাঙালিগু মুখের বুলিই পারমাণবিক অস্ত্রের কাজ দেয়!
হ্যা, বাঙালিরা সরকারের বিরুদ্ধে এসব বইলা তখন নিজেদের শান্তনা দেয়।

এখন আপনারে একটা কথা জিগাই, এই যে কইলেন, দুর্নীতি সবাই করে, দোষ পড়ে কেবল সরকারি চাকরিজিবীর কাঁধে। এই প্রচলন কখন শুরু হইছে তা কি কইতারেন? (আমি কইতারি না! আমি অল্প জানা লোক!)

প্রত্যেক সরকারই নিজেদের আমলা তৈরিতে বেশ মনোযোগী। যখন তাদের লোক প্রত্যেক জায়গা সেটাপ হইয়্যা যায়। তখন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য দুর্নীতির দরজা একেবারে খুইলা যায়!

দুর্নীতি সবাই করে। বেসরকারি লোকজনও করে। এদেরকে ধরবে কে? যদি সরকার নিজেদের দিকে মনোযোগী হয় তবেই না এরা ভয়ে নিজেদেরকে সংশোধন করবে! দেখলেন, ঘুইড়া ফিইরা সরকারের উপর আইসা পড়ে! আইচ্ছা, সরকাররে বাদ দিয়া লাই! সরকাররে বাদ দিয়াও তো আপনি এদেরকে ঠিক করবার পারবেন না! তখন আপনি কোন শক্তিতে এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করবেন! কারণ সর্বদিক তো সরকারের অধীনে! জনগণ? হালার জনগণ! হেরা তো সবেমাত্র দেশটা হাতে পাইলো! অবশেষে এ দেশ আমার হল (এই লিংকে ব্লগার শেরজা তপনের মাধ্যমে জানতে পারবেন!)


আর ঐ যে কইলেন না, 'সময় আর সুযোগ পেলে সবাই হায়েনা'।
এই জন্যই প্রইত্যেক সরকার ক্ষমতায় আসলে এই সুযোগটা সবাইরে না দিয়া দেশটারে হায়েনা মুক্ত রাখার কামটা নিজেরা হায়েনা থাকার মাধ্যমে করে যাচ্ছে!

আর কিছু কইবার মন চাইতাছে না! আপনে তো মিয়া চোখে লাল চশমা লাগাইয়্যা পুরা বিশ্বডারে লাল দেখতাছেন!

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: এরে ভাই মাথা ঠান্ডা করেন। আমি চুরি চামার দের পক্ষে কিছু বলিনাই। আমার বাবার মতন লাখো কর্মচারী আছে জীবনে দুই টাকা এক্সট্রা কামায় নাই। এখন ধরে ধরে সবাইকে গালি দিলে তো হবেনা। সরকারি বেসরকারী সব চোর দের ই ধরা হউক। কথা কোথায় ছিলো কোথায় নিয়ে গেলেন। আমি বলতে চেয়েছি এক পাল্লায় সবাইকে না মাপতে। আর কেউ কারো চাকর না। ভ্যাট ট্যাক্সের দোহাই দিয়ে যারা দিন রাইত গাইল পারে এইটাই মূল বিষয় ছিলো। ভ্যাট ট্যাক্স সবাই দেয়। যে চাকরী করে সেও। ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: এর মানে কি আপনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের চুরি করাটা জায়েজ করতে চাচ্ছেন?
২০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে একজন সরকারি কর্মচারি যখন পাঁচখানা বাড়ি ও কখানা গাড়ির মালিক হয় তখন লাখ টাকা বেতন পাওয়া বেসরকারি মালিকানাধীন কোম্পানীর কর্মচারিরা হতাশ হয়ে পড়ে। তারা সব সময় অস্তিত্ত্ব সংকটে ভোগে- এই করোনাতে কত হাজার হাজার অমন কর্মচারি পচাকুরি হারিয়ে পথে বসে গেছে তাঁর খবর রাখেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের সন্তানেরা তাদের ধারা বজায় রাখার জন্য যেখানেই যাক চুরি করবেই। কারণ তাদের পুর্বপুরুষেরা চুরিকে জায়েজ ফতোয়া দিয়েছে।
বেসরকারি সংস্থায় কর্মচারিদের দায়বদ্ধতা শুধু তাদের কোম্পানী কেন্দ্রিক(সেবাখাত বাদে)। কিনতি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের দায় বদ্ধতা দেশের কাছে-দেশের সব মানুষের কাছে।
ভ্যাট অফিসে গিয়েছেন কখনো কিংবা ইনকাম ট্যাক্সের চক্করে পড়েছেন? পুলিশের মিথ্যা মামলায় ফেঁসেছেন।
ইনকাম ট্যাক্স অফিস থেকে গত বছর আমি একটা চিঠি পেয়েছিলাম তাঁর মুল বক্তব্য;
~কেন আমি করোনাকালীন সময়ে আয় কম দেখিয়ে ট্যাক্স কম দিয়েছি।
~আমার পরিবারের ভরণপোষন ব্যয় কেন বাড়েনি?
অথচ সরকারিখাতে আমার সাদা টাকা আমার সব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি থেকে অনেক অনেকগুন বেশী। আমি 'এ আই টি' দিই আমার মোট আয়-এর থেকে অনেক বেশী।
ওদের কাছে সব ডকু দেবার পরেও তারা কিছুতেই মানবে না। ঘুষ না দিলে নাকি এই ফাইল ঝুলতে থাকবে- তারা ইচ্ছেমত পরের বছর আমার ট্যাক্স বসাবে!!!
একজন দুঁদে ট্যাক কমিশনারকে ধরার পরেরো ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ফয়সালা করতে হয়েছে।
এটা বেসরকারি খাতের কেউ কখনো পারবে?
আরো অনেক অনেক কথা- অন্যসময় বলব।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমি চুরি চামার দের পক্ষে কিছু বলিনাই। আমার বাবার মতন লাখো কর্মচারী আছে জীবনে দুই টাকা এক্সট্রা কামায় নাই। এখন ধরে ধরে সবাইকে গালি দিলে তো হবেনা। সরকারি বেসরকারী সব চোর দের ই ধরা হউক। কথা কোথায় ছিলো কোথায় নিয়ে গেলেন। আমি বলতে চেয়েছি এক পাল্লায় সবাইকে না মাপতে। আর কেউ কারো চাকর না। ভ্যাট ট্যাক্সের দোহাই দিয়ে যারা দিন রাইত গাইল পারে এইটাই মূল বিষয় ছিলো। ভ্যাট ট্যাক্স সবাই দেয়। যে চাকরী করে সেও। ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রজার অধিনস্ত। তারা প্রজার কর্মচারী। সেবা দিতে তারা বাধ্য। এখন আপনি যদি ভাবেন সরকারি চাকরি পেয়ে নবাবজাদা হয়ে গেছেন ধরা কে সরা জ্ঞ্যান করে ফেলেছেন। আপনি দয়া করে মাটিতে নামুন। আপনি আমার টাকায় হাগা মোতা খাওয়া যাওয়া সব চালাচ্ছেন তাই হিসাব ও আপনাকেই দিতে হবে। এতই যদি আত্মাভিমান সরকারি চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করুন বা বেসরকারী চাকরি করুন। কোন মানা নাই। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী হলেন তো আপনাকে মানতেই হবে আপনি প্রজাতন্ত্রের চাকর। প্রতি পাইয়ের হিসাব প্রজার কাছে দিতে আপনি বাধ্য।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫২

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভাই আমি বেসরকারি চাকরী করি৷ সরকারি জীবি রা সরকারি প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে চাকরী করে৷ জনগনের চাকর বলে কোনো শিব্দ নাই৷ জনগন যদি সব সময় এধরণের শব্দ ইউজ করে তবে আপনি এমন চাকুরী জীবি হইলে জীবনেও জনগনের জন্য মন থেকে কিছু করতে পারবেন না

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভ্যাট ট্যাক্সের দোহাই দিয়ে যারা দিন রাইত গাইল পারে এইটাই মূল বিষয় ছিলো। ভ্যাট ট্যাক্স সবাই দেয়। যে চাকরী করে সেও। ধন্যবাদ।

সে দেয় বইলা, তার টেক্সের সাথে অন্যের টেক্সও কি সে অবৈধভাবে হজম করবোনি?

এই প্রশ্ন নিয়ে আপনার কাছে আমার পাঁচটি প্রশ্ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। আপনি তো আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মাধ্যমে সবই ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টায় আছেন। আপনি আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজলেই আপনার পোস্টের পূর্ণ ফাঁকফোকর ধরতে পারবেন।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: অবৈধ ভাবে যারা ভ্যাট ট্যাক্সের টাকা মারেন তাদের ফাসি মারেন আমার কোনো সমস্যা নাই৷ আমার বাবা কিডনী পাথর নিয়ে এক বছর ধরে কাতরাচ্ছে৷ মেডিকেলে সার্জারী করবেনা কারণ হার্ট কম্পলিকেট অবস্থায়৷ আমাদের আবার টাকা নাই যে ভারত অথবা ঢাকায় লাখ টাকা খরচ করে পাথর অপারেশন করবো৷ আমার বাপ জীবনেও টাকা মারেনাই কারো৷ দূর্ণীতি করে নাই৷ আমিও শিউর আমার বাপ আর বেশী দিন বাচবেনা৷ মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেসি৷ প্রতিদিন ই খারাপ স্বপ্ন দেখি৷ এখন আপনারা যদি সবাইরে এক পাল্লায় মাপেন তাহলে আমার মনে হয় ঠিক ই আছে চুরি করুক৷ অন্তত এভাবে তো আর মরতে হবেনা৷ ভালো থাকবেন৷

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: না, না, আপনার মত আমি বলতে পারব না সবাই খারাপ, ( 'আর সুযোগ পেলে সবাই হায়েনা'।)আমার প্রথম মন্তব্যেই এর প্রতিবাদ করেছি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.