নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের শিশুদের আমরাই ভালোবাসিনা

২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৩




আমাদের শিশুদের আমরাই ভালোবাসিনা।
কিভাবে বলি। শিশুদের দেখবেন প্রায় ই সময় রাস্তায় একা একা হাটতে। প্রায় ই দেখি ৫ বছরের শিশু ৩ বছরের তার ছোটো ভাইকে একা অতিব্যস্ত রাস্তায় হাটিয়ে নিয়ে যেতে। যেখানে গাড়ি প্রতি নিয়ত চলছে। তাও কোনো নিয়ম কানুনের বালাই নাই। বাংলাদেশে প্রতিদিন অসংখ্য শিশু পানিতে পড়ে মারা যায়, যার জন্য দায় বাবা মায়ের। আত্মীয় স্বজনের। পাড়া প্রতিবেশী। আর পুকুরের মালিক যারা। বছরে ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশী মানুষ পানিতে মারা যায় যার মধ্যে ১৪ হাজারের মতন শিশু। এবং এদের মধ্যে বেশীর ভাগ ই খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে মারা যায়। মূলত বাড়ির উঠোনের পাশের পুকুর গুলো একেকটা যমকূপ। কিন্তু আমাদের টিভি, ফ্রিজ, ৬ তলা বাড়ি করার সামর্থ্য থাকলেও আমদের অল্প কিছু টাকা থাকেনা পুকুর টা বেড় দেয়ার।

আমি আমার জীবনে মাত্র ৩ কি ৪ বার নিজ গ্রামের বাড়ি গিয়েছি। আমার এক কাকার একটা ৪ কি ৫ বছর বয়সী ছেলে ছিলো। ছেলে টা কখনোই সকাল বেলা ভাত খেতে চায় নাই। ওইদিন সকালে ভাত চাইলো, মা ভাত বসালো। এর মধ্যে বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠে উঠোনে ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত। ছেলেটাও অংশ গ্রহণ করলো।
হঠাত খেলা শেষে যে যার ঘরে। যেহেতু একটা বাড়িতে অনেক গুলো পরিবার তাই সবাই ভাবল বাচ্চা টা হয়তো এর অথবা অন্য কারোর সাথে আছে। মিনিট ১৫ পরে যখন খোজা শুরু হলো ততক্ষণে অনেক দেরী।
বাচ্চা টা পুকুরে। এসব ঘটনা আমাকে অনেক পিড়া দেয়। বাচ্চা টাকে আমি কখনোই চোখে দেখিনাই। কারণ আমি বাড়িতে যাই না তেমন। কিন্তু আর কখনো আমি যেতে পারবোনা। গেলেই ওই পুকুরে গোসল করতে হবে, নামতে হবে, পারবোনা।

এ ঘটনায় দায় তো সবার। শতাব্দী পুরোনো পুকুরে একটা বেড় দেয়া গেলোনা। বাড়ি ভর্তী ৩০ এর অধিক সদেস্যের চোখ ফাকি দিয়ে বাচ্চা টা নেই হয়ে গেলো।

প্রায় প্রতিদিন ই খবর বের হয়, অমুক জায়গায় বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছেনা, তারপরেও আমরা আমাদের শিশুদের একা ছেড়ে দেই রাস্তায়। ১৮ কোটি মানুষের ঘিঞ্জি দেশ। অপরাধী আর মাদকাসক্তের ছড়াছড়ি।

আমাদের অনেক অবহেলা রয়েছে আমাদের শিশুদের প্রতি। বাংলাদেশের গ্রামের দিক থেকে প্রায় সময় খবর আসে, প্রতিপক্ষ কে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ সন্তান কে হত্যা। এধরণের খবর গুলো পড়তেও শরীর কেঁপে উঠে।
একবার একটা শিশু আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তী হয়েছে, ডাক্তার বললেন কি দরকার ছিলো জমি নিয়ে মারামারি করার তাও এই ১০ বছরের শিশু নিয়ে। আহত শিশুটির বাবা বলে উঠলেন, ডাক্তার সাহেব *দলে আরেক টা ছেলে পামু, কিন্তু জমি দিবো কেডায়?

আমি বলছিনা এই উদাহরণ গুলো সবার সাথে যাবে, অথবা সবার বাবা মা খারাপ।
কিন্তু রাস্তা ঘাটে যখন দেখবেন মায়েরা তাদের সন্তান কে রাস্তার দিক করে হাটিয়ে নিয়ে যায়, যেটা খুব রিস্কি, কারণ যেকোনো গাড়ি সহজেই মেরে দিতে পারে। কিন্তু না তারা বাম দিকে বাচ্চাকে রেখে না হাটিয়ে ডান দিকে বাচ্চাকে রাখবে। এবং এটার ব্যাখ্যা আমি আজও পাইনা।

শিশুদের জন্য নিরাপদ একটা পরিবেশ রাখতে আমরা কেউ আগ্রহী না।
নাহলে বিবিসি কেন বলবে যে জনসংখ্যার অনুপাতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায় বাংলাদেশে।
কিন্তু আমরা এসব মেনে নিয়েছি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুবই নির্মম । অল্প সময়ে কঠোর বিচার হওয়া উচিত।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৮

অপ্‌সরা বলেছেন: রাস্তার ধারে এক কামরার ঘর। কতক্ষন আর আটকে রাখা যায়।


তবে চেনা এবং কাছের মানুষের বেঈমানী মেনে নেওয়া যায় না।

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজন, হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেছে।
এরকম যেন আর না ঘটে এজন্য সকল মানুষকে সজাগ ও সাবধান থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.