![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।
''এসএসসিতে ফেল করায় না ফেরার দেশে চলে গেলো শারমিন!''
এইতো নিউজ আসতে শুরু করেছে। কাল পত্রিকায় এরকম আরও নিউজ আসবে। তবে তাতে কি? পাশের হার তো ঠিক আছে। চা বিক্রি করে এ প্লাস পাওয়া খবরের কাছে এসব ঢাকা পড়ে যাবে।
আমরা সবসময়ই একটা মিথ্যা কথা বলে বেড়াই, সবার ব্রেইন এক কেউ কাজে লাগায় কেউ লাগায় নাহ। এই কথাটা চরম মিথ্যা কথা। সবার মেধা এক থাকে না। অনেকে চেষ্টা করেও পারে নাহ।
যারা এ প্লাস পাবে তারা নাচবে আর যারা পাবেনা তারা নাচ দেখবে। এটাই স্বাভাবিক। তুমি খারাপ করেছো দেখে তোমার বন্ধুও মন খারাপের ভান ধরবে, নাচানাচি বন্ধ করে দেবে এমনটা ভাবা বোকামি। সেক্ষেত্রে যতো ভালো বন্ধুই হোক। তোমার জন্য তারা তাদের একমাত্র উল্লাসে কেন ভাটা ধরাবে!
তাই বলে আত্মহত্যা কোন পথ নাহ। বাবা মায়ের আশা পূরণের জন্য এখনও বহু সময় পড়ে আছে। এ প্লাস পেয়েই যে তাদের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে এমন কোন কথা নেই। নিজের ভিতরে কিছু থেকে থাকলে একদিন না একদিন তা প্রকাশ পাবেই। পাবেই।
আর শিক্ষাব্যাবস্থা? সেটা তো ওয়াশরুমের জুতার মতোই অগ্রাহ্য করার বিষয়। ক্লাস ওয়ানের একটা বাচ্চার ১৫ টা বই। ৩ টা স্যার বাসায়। ব্যাগের ওজন নিজের চাইতে বেশি। নিজের সাইজের সমান স্কুলব্যাগ। কিচ্ছু করার নেই। এদেশে থাকতে হলে এই শিক্ষাব্যাবস্থাতেই আগাতে হবে।
হ্যাঁ এটা সত্যি এ দেশে সব জায়গায় সার্টিফিকেটই আগে চাইবে। গোল্ডেন দেখবে। তাই বলে দুই তিনটা গোল্ডেন, এ প্লাসই সবকিছু নির্ধারণ করে দেয় নাহ। তুমি চেষ্টা করেছিলে পারনি। বাকি আনুষঙ্গিক কথা পরে। তাই বলে আত্মহত্যা অবশ্যই কোন সলিউশন না।
নিজের ভেতরে বিন্দু পরিমাণ ক্রিয়েটিভিটিও যদি থেকে থাকে তা একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই।
©somewhere in net ltd.