নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহসান মুহাম্মাদ www.facebook.com/ahsan.muhaammad

অতঃপর নীরবতা

যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।

অতঃপর নীরবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুমোদিত পতিতালয় আছে কিন্তু নেই কোন অননুমোদিত কবিতালয়

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

এদেশে অনেক অনুমোদিত পতিতালয় থাকলেও নেই কোন অননুমোদিত কবিতালয়। যেখানে রুদ্রের মতো দু'লাইন কবিতা লিখতে শেখাবে। এদেশে কোন স্কুল নেই যার প্রধান ফটকে লেখা থাকবে, ''এসো গল্প পড়ি''। গল্প লেখা শেখাবে। বরং ব্যাগের মধ্যে দু একটি গল্পের বই পাওয়া গেলে তা স্কুলে বসেই ছিঁড়ে ফেলা হয় এদেশে।

একদিন পড়ার বইয়ের উপর লুকিয়ে গল্পের বই পড়েছিলাম বলে শীর্ষেন্দুকে যেতে হল চুলার উপর। স্কুল ফাঁকি দিয়ে ক্রিকেট খেলে কাঁচ ভেঙেছিলাম বলে ষ্ট্যাম্প ভাঙল পিঠে। একটার পর একটা ব্যাট ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে পড়েছিল বারান্দায়। স্বপ্নগুলো টুকরো টুকরো হয়ে কাতরাচ্ছিল সেদিন।

মেয়েটা রকিব হাসান বলতে অজ্ঞান। বাবা একদিন রকিবকে বিক্রি করে দিলেন কেজি দরে। মেয়েটা তখন স্কুলে। রাতে মেয়েটার বালিশ ভেজানো কান্না।

ছেলেটা একদিন চক দিয়ে বোর্ডে মেঘের ছবি আঁকল। ক্লাস টিচার এসে তা দেখে ছেলেটাকে বেত মেরে বোর্ড পরিষ্কার করার জন্য হাতে তুলে দিলেন ডাস্টার। ডাস্টারের বদলে আরেক টুকরা চক হাতে তুলে দিলে কি খুব ক্ষতি হয়ে যেত আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থার?

ব্ল্যাকবোর্ডের সেই মেঘগুচ্ছের দিকে তাকানোর সময় পান না আমাদের শিক্ষকরা। রোবটের চোখ দিয়ে কখনো মেঘ দেখা যায় নাহ। আর আমরাও কখনো মেঘ ছুঁতে পারিনা। ওসব থাকে স্পর্শের বাইরে। একসময় মেঘগুলোও দূরে সরে যায়। দূরে সরে যেতেই থাকে।

ক্রিকেটার হতে পারিনি আমি। মেয়েটাও হয়তো হতে পারেনি কোন ডিটেকটিভ। ছেলেটাও আর জয়নুল হবার স্বপ্ন দেখে না। রুদ্রের ন্যায় কাব্যগুলো হয়তো পড়ে থাকে ওই কবিতার খাতাতেই। শীর্ষেন্দুকে নিয়ে শীর্ষে যাওয়ার স্বপ্নগুলো আর এ সমাজে টেকে নাহ।

যা হতে চেয়েছি হতে পারিনি। যা হতে চাচ্ছি তাও কখনো পারবো কিনা জানিনা। শুধু শিখেছি প্রতিযোগিতায় রোবটের মতো দৌড়ে যেতে হবে। এগিয়ে থাকতে হবে। টিকে থাকতে হবে।

আজ এইচ.এস.সি রেজাল্ট। এই টিকে থাকার খেলায় আজ যেন সবাই টিকে থাকতে পারে সেই প্রার্থনাই করি

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

ভাঙ্গা তরী -৭৭৯ বলেছেন: জয়নুল, রুদ্র, শীর্ষেন্দু এরা কিন্তু এই সমাজ এই পরিচিত পরিবেশ থেকেই বেরিয়ে এসেছে বরং তাঁদের থেকে আমরা অনেক বেশী সুবিধাজনক অবস্থানে আছি. তাঁরা এরকম কোনো প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেতো শুনিনি....

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২৩

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: আবার পড়ুন

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদে শিক্ষদের মাঝে ভেজাল ঢুকে গেছে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২৪

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: কিছু শিক্ষক বাদে। এরা বন্ধুর মতো। কিন্তু এরা খুব নগণ্য।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: যান্ত্রিক, পৃথিবীতে মানুষগুলি ও যান্ত্রিক হয়ে গেছে।
উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোথাও পা বাড়াবে না।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২৫

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: আমরা এখন সবাই যান্ত্রিক সবাই রোবট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.