![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।
পাঁচটা সুন্দরী ফুলকলি বান্ধবী থাকার চেয়ে একটা অসুন্দরী কৃষ্ণকলি বান্ধবী থাকা অনেক ভালো। শুধু ভালো না হাজার গুণ ভালো। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।
আমার ফুলকলি-কৃষ্ণকলি সবার সাথেই বন্ধুত্ব ছিল। যার ফলে পার্থক্যটা সরাসরি দেখার সুযোগ হয়েছে। ফুলকলিদের আজকে এই প্রবলেম তো কালকে ওই প্রবলেম। আজ এই ছেলে ডিস্টার্ব করেছে তো কাল ওই ছেলে ডিস্টার্ব করেছে। ফোনে কয়েকদিন ধরে অমুক ছেলে ডিস্টার্ব করছে। পরে আমাকে ফোন নাম্বার দিয়ে বলত, দোস্ত দ্যাখতো এই নাম্বার থেকে না খুব ডিস্টার্ব করতেছে। রাতে বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে ফোনে টাকা শেষ করে আমাকে ফোন দিয়ে বলত, দোস্ত একটা হেল্প করনা? আমার ফোনে ২০ টা টাকা রিচার্জ করে দে না।
পরশু তাদের বয়ফ্রেন্ডের জন্মদিন থাকলে আজকে আমাকে তাদের সাথে শপিং এ যেতে হতো। কয়েকদিন পর আবার ওই ছেলের সাথেই ব্রেকআপ হলে আমাকে ফোন দিয়ে কাঁপা গলায় বলত, দোস্ত ছেলেরা এমন ক্যান?
আর আল্লাহতা'য়ালার ত্রিশ টা দিন তাদের ফোন ওয়েটিং থাকত। পরে ফোন ব্যাক করারও প্রয়োজনবোধ করত না। আমার একটা ছোট্ট কাজের জন্য ফোন দিলে দেখা যেত ফোনেই পেতাম না। আর বন্ধুদের মধ্যে এই ফুলকলিকে নিয়ে একটু আকটু ঝামেলা তো হতই। সেটা আর নাইবা বললাম।
আর কৃষ্ণকলি ? সে ছিল একটু অবহেলিত। ফুলকলিদের নিয়েই সবাই ব্যাস্ত থাকত। মাতামাতি হতো। তার দিকে নজর দেয়ার মানুষ ছিল খুব কম।
তাদেরকে রাতের বেলা ফোনে ২০ টাকা রিচার্জ করে দিতে হতো না। তাদের কেউ ডিস্টার্বও করত না। রাস্তায় তাদের কেউ টিজও করতো না যে ছেলেদের গিয়ে থ্রেড দিবো। তাদের বয়ফ্রেন্ডও ছিল না যে তার জন্য গিফট কিনতে যাব। তাদের সাথে কেউ ব্রেকআপও করতো না যে ফোন দিয়ে আমার সাথে কান্নাকাটি করবে।
কিন্তু কৃষ্ণকলিদের সবসময় ফোনে পাওয়া যেত। যেকোনো ক্ষুদ্র সমস্যায় তাদের কাছ থেকে পাওয়া যেত বিরাট সলিউশন। পরীক্ষার সময় তারা সকালে ঘুম ভাঙিয়ে দিত। যখন খুব আপসেট কিংবা ডিপ্রেশন এ ভুগতাম তখন এই কৃষ্ণকলিরাই জীবনের সংজ্ঞা বুঝিয়ে দিত। তাদের বয়ফ্রেন্ড ছিল না যে তাদের জন্য গিফট কিনতে নিয়ে যাবে কিন্তু নিজের ছোট্ট কানের দুল কিনতে ঠিকই টেনে নিয়ে যেত আমায়।
আজ ফুলকলিরা কে কই আছে কে জানে ! শুনেছি কারও কারও নাকি বিয়েও হয়ে গেছে। কিন্তু কৃষ্ণকলিরা এখনও আছে আমার জীবনে। জীবনের সংজ্ঞা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ওরা এখনও আছে। আর জানি ওরাই থাকবে সবসময়। আমি যে জীবনের সংজ্ঞা মাঝেই মাঝেই ভুলে যাই।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
অতঃপর নীরবতা বলেছেন: জ্বি
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
নাফিস আবির বলেছেন: কালো তাকে বলে পাড়ার লোক, কেউ দেখে না কালো হরিণ চোখ.।