![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।
কিছু স্বামী থাকে এরা স্ত্রীর খুব অনুগত হয়ে থাকে। আর কিছু থাকে এরা বাধ্য হয়েই স্ত্রীর অনুগত হয়। স্ত্রী পুরোপুরি এদের উপর প্রভাব খাটায়। বলতে গেলে স্ত্রীর কথাতেই স্বামীর ওঠা-বসা। এরা প্রভাব খাটাতে খাটাতে এমন পর্যায়ে চলে যায় যে তখন স্বামীকে আর স্বামী মনে করে না। বাজে ব্যাবহারের শেষ পর্যায়ে চলে যায় এরা। কিন্তু এরা ভুলে যায় যে এই চুপচাপ বা অনুগত থাকা মানুষগুলো যদি একটু নড়েচড়ে ওঠে তবে পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে ভয়ানক।
ছাত্রীর বাসায় পড়াতে গেলে প্রায়ই ওপাশের রুম থেকে তার বাবা মা'র ঝগড়া ভেসে আসে। আসলে বাবা মা'র ঝগড়া তো না, স্ত্রীর একচেটিয়া বকাঝকা। মাঝে মাঝে নিজের মনোযোগই ঠিক রাখতে কষ্ট হয়। স্বামীকে তুই তোকারি সহ যা তা ব্যাবহার। অবশ্য এতে আমার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটলেও ছাত্রীর মনোযোগে কোন বিঘ্ন ঘটে না, সে যেন অভ্যস্ত হয়ে গেছে ব্যাপারগুলোতে। প্রায়ই হতো এমন।
আজ দেখি স্ত্রী অসুস্থ। বিছানায় পড়ে আছে। শরীরের উপর দিয়ে যে বেধড়ক পিটুনি গেছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। হাতে ছ্যাকার দাগ দেখলাম। ছ্যাকা ট্যাকা দিয়েছে কিনা কে জানে ! কথা বলতেই তার কষ্ট হচ্ছে। আমি পড়িয়ে চুপচাপ চলে এলাম।
সাত আট বছর আগে যে বিল্ডিংটাতে থাকতাম আমরা তার ঠিক উপরের ফ্ল্যাটেই ছোট একটা বাচ্চাসহ স্বামী স্ত্রী থাকতেন। তো ওই আপার সাথে আমার ভালোই খাতির ছিল। তিনি ছিলেন অসম্ভব সুন্দরী। তাকে আমি কমলা আপা ডাকতাম। ভাইয়ার সাথেও পরিচয় ছিল। তিনি ছিলেন প্রচুর শান্ত স্বভাবের। মাঝেই মাঝেই রাতে নিচ থেকে তাদের রুমের ভাঙাভাঙির আওয়াজ পেতাম। ভাইয়ার অফিস থেকে বাসায় ফিরতে রাত হতো। তো অফিস থেকে ফিরে এরকম স্ত্রীর চিল্লাচিল্লি কারই বা সহ্য হতো !
একদিন সকাল বেলা সাড়া বিল্ডিং এ তোলপাড় অবস্থা। ভাইয়া নাকি আপাকে মেরে ফেলেছে। পরে ঘুম ঘুম চোখে উপরের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখি আপার শরীরটা মেঝেতে খাটের সাথে হেলান দেয়া, সবুজ জিহ্বা বের হয়ে আছে। গলায় পেঁচানো তারই ওড়না। ভাইয়া যে খুব ঠাণ্ডা মাথায় কাজটা করেছেন তার অনেক নমুনা পাওয়া যায় পরে। সেই সকালে অনেকেই তাকে নাকি খুব ফিটফাট ভাবে বের হতে দেখেছে প্রতিদিনের মতো।
আজকাল এরকম অহরহ ঘটনা আমরা পেপার পত্রিকায় দেখতে পাই। চারপাশে ঘটে যায়। চোখ বুজে বলে দেই ব্যাটা খুনি, পিশাচ। কিন্তু তার সাথে কি ঘটেছে বিগত দিনগুলোয় তা হয়তো আমরা জানি না। জানার কথাও না। মানুষ কোন পর্যায়ে গেলে তার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে, তাকে খুন করে ওসব চিন্তা করার সময় আমাদের নেই। আমরা বড়ই ব্যাস্ত মানুষ। নিজের চরকায় তেল দিয়েই কুল পাইনা !! অবশ্য 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের আবুলের পৈশাচিক আনন্দ নেয়া চরিত্রগুলির কথা ভিন্ন...
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১২
অতঃপর নীরবতা বলেছেন: জ্বি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
কানিজ রিনা বলেছেন: আপনি যদি পেপার পত্রিকা খুলেন দেখতে পাবেন
স্বামী নামক প্রভুর হাতে স্ত্রী খুন। অথচ সে বেলায়
দেখা যায় কয়টা ন্বারী স্বামীকে খুন করে।
কালে ভদ্রে দেখা যায়।