![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।
ব্রেইনওয়াশ। যার বাংলা অর্থ 'মগজধোলাই'। একেকজনের ব্রেইনওয়াশ করার ক্ষমতা একেকরকম থাকলেও সবাই মোটামুটি সিরিয়ালওয়াইজ একই স্টেপ ফলো করে। সেক্ষেত্রে বিষয় অনুযায়ী তত্ত্বগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন একজন নাস্তিক যেভাবে বানী আউরাতে থাকবে একজন জঙ্গি সেভাবে শুরু করবে নাহ। তবুও তাদের শুরুটা ভিন্নভাবে হলেও আলটিমেটলি তাদের কথাবার্তার ধরণ একই থাকবে আগে কিংবা পরে।
মগজধোলাই যেভাবে করা হয় তার মধ্যে কয়েকটা স্টেপের মধ্যে প্রথম হল 'আইসোলেশন'। যার বাংলা অর্থ 'বিচ্ছিন্নতা'। প্রথমত তাকে তার পরিবার, বন্ধু বান্ধব, সমাজ, পরিচিত পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়ে থাকে। তার পূর্বের বিশ্বাস, চিন্তা, চেতনাকে ডিলিট করার চেষ্টা চলে। সেটা মোটামুটি কমপ্লিট হয়ে গেলে তা ফরম্যাট দিয়ে নতুন চেতনা, বিশ্বাসের বীজ বপন করা হয়।
ব্রেইনওয়াশিং এর সাথে সাথে মোটিভেশন এর কাজটাও খুব সূক্ষ্মভাবে করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মোটিভেশনের ব্যাপারটা কারো কারো ক্ষেত্রে ঐচ্ছিক। অর্থাৎ সে নিজেও এই ব্যাপারটার প্রতি আগ্রহী। আবার অনেক অনাগ্রহীকেও মোটিভেট করে আগ্রহী করে তোলা হয়। কোন কিছু করতে আগ্রহী কিন্তু করার সাহস বা শক্তি নেই এমন ব্যক্তিদের জন্য মোটিভেশন জিনিষটা বেশ ভালো কাজ করে।
মগজধোলাইয়ের প্রধান কিছু স্টেপের মধ্যে একটি হল মানসিক টর্চার। কিন্তু তাকে যে মানসিকভাবে টর্চার করা হচ্ছে এটা ভিকটিম কখনোই বুঝতে পারে নাহ। এটি করা হয় যাতে একজন মানুষ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং যে ব্রেইনওয়াশ করছে তার উপর আস্তে আস্তে নির্ভরশীল হয়ে যায়। এই স্টেপে মনের মধ্যে কনফিউশন ঢুকিয়ে দেয়া হয়। কনফিউশনগুলো এরকম টাইপের হয় যে, একই কাজ করলে পুরস্কার দেয়া হয় আবার কখনো কখনো সেই কাজেই শাস্তি দেয়া হয় (অতি আস্তিক বা অতি নাস্তিক উভয়ের ক্ষেত্রেই)। ফলে তার মাঝে কনফিউশন তৈরি হয়ে যায় কোনটি সঠিক আর কোনটি ভুল। এই অবস্থায় সে সহজেই নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে অন্যের নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে যায়।
'ভালোবাসা' কিংবা 'সাপোর্ট' মগজধোলাইয়ের আরেকটি বিশাল অংশ। এর ফলে যাকে ব্রেইনওয়াশ করা হবে প্রথমে তার বিশ্বাস অর্জন করা যায় এরপর মনের ভেতর জায়গা করে নেয়া সহজ হয়। যেমন, কেউ ভালবেসে ছ্যাঁকা খেলে তার মনের অবস্থা এমনিতেই দুর্বল থাকে। সেই সময় তাকে সাপোর্ট দিয়ে সমপরিমাণ ভালোবাসা দেখিয়ে সহজেই তার বিশ্বাস অর্জন করা যায়। পরে যে ব্যক্তি ব্রেইনওয়াশ করছে তাকে অনেক আপন মনে হতে শুরু করে।
'গিল্টিনেস' বা 'অপরাধবোধ' ব্যাপারটা ব্রেইনওয়াশিংয়ের আরেক অন্যতম প্রধান উপাদান। গিল্টিনেস ব্যাপারটা অনেকটা পাঁচফোড়নের মতো কাজ করে। একটুতেই অনেক ঘ্রাণ। এই অবস্থায় তার মাঝে অপরাধবোধ জাগিয়ে তোলা হয়। যেমন, সমাজ কিংবা ধর্মের উপর তার একরকম দায়িত্ব আছে কিন্তু সে এতদিন ভিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। এবং সেই ভিন্ন দায়িত্ব সম্পূর্ণ ভুল ছিল। সে যে এতদিন ভুল দায়িত্ব পালন করে আসছে সেই বিষয়ে তাকে অনুতপ্ত করে তোলা হয়।
শেষের দিকে যে কাজটা করা হয় সেটা হচ্ছে 'ভয়'। তার ভুল বা পাপকর্মের ফলে কি হতে পারে এটা ভাবিয়ে তাকে ভয় দেখানো হয়। এই ব্যাপারটা অতি আস্তিক তৈরির ক্ষেত্রে কার্যকরী। এই সময় ভয় আর অপরাধবোধ দুটোই পাশাপাশি কাজ করে। ফলে তার বিগত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য (ভিকটিমের ধারণা আর কি) কিংবা বর্তমান অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাবার জন্য সে সবকিছু করতে রাজি হয়। এমনকি তার নিজ জীবন দিতেও।
আমরা ব্রেইনটা ওয়াশ অথবা মগজটা ধোলাই হওয়ার আগে সতর্ক হই।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৯
অতঃপর নীরবতা বলেছেন: জ্বি ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬
শায়মা বলেছেন: ভেরী গুড ভাইয়া!
এটাই ব্রেইন ওয়াসের মূলমন্ত্র আর সবাইকেই তা জানতে হবে। হতাশা, ব্যার্থতায় ভোগা মানুষদের ব্রেইন ওয়াশ বেশি সহজ !