![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।
এদেশে অনেক অনুমোদিত পতিতালয় থাকলেও নেই কোন অননুমোদিত কবিতালয়। যেখানে রুদ্রের মতো দু'লাইন কবিতা লিখতে শেখাবে। এদেশে কোন স্কুল নেই যার প্রধান ফটকে লেখা থাকবে, ''এসো গল্প পড়ি''। গল্প লেখা শেখাবে। বরং ব্যাগের মধ্যে দু একটি গল্পের বই পাওয়া গেলে তা স্কুলে বসেই ছিঁড়ে ফেলা হয় এদেশে।
একদিন পড়ার বইয়ের উপর লুকিয়ে গল্পের বই পড়েছিলাম বলে শীর্ষেন্দুকে যেতে হল চুলার উপর। স্কুল ফাঁকি দিয়ে ক্রিকেট খেলে কাঁচ ভেঙেছিলাম বলে ষ্ট্যাম্প ভাঙল পিঠে। একটার পর একটা ব্যাট ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে পড়েছিল বারান্দায়। স্বপ্নগুলো টুকরো টুকরো হয়ে কাতরাচ্ছিল সেদিন।
মেয়েটা রকিব হাসান বলতে অজ্ঞান। বাবা একদিন রকিবকে বিক্রি করে দিলেন কেজি দরে। মেয়েটা তখন স্কুলে। রাতে মেয়েটার বালিশ ভেজানো কান্না।
ছেলেটা একদিন চক দিয়ে বোর্ডে মেঘের ছবি আঁকল। ক্লাস টিচার এসে তা দেখে ছেলেটাকে বেত মেরে বোর্ড পরিষ্কার করার জন্য হাতে তুলে দিলেন ডাস্টার। ডাস্টারের বদলে আরেক টুকরা চক হাতে তুলে দিলে কি খুব ক্ষতি হয়ে যেত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার?
ব্ল্যাকবোর্ডের সেই মেঘগুচ্ছোর দিকে তাকানোর সময় পান না আমাদের শিক্ষকরা। রোবটের চোখ দিয়ে কখনো মেঘ দেখা যায় নাহ। আর আমরাও কখনো মেঘ ছুঁতে পারিনা। ওসব থাকে স্পর্শের বাইরে। একসময় মেঘগুলোও দূরে সরে যায়। দূরে সরে যেতেই থাকে।
ক্রিকেটার হতে পারিনি আমি। মেয়েটাও হয়তো হতে পারেনি কোন ডিটেকটিভ। ছেলেটাও আর জয়নুল হবার স্বপ্ন দেখে না। রুদ্রের ন্যায় কাব্যগুলো হয়তো পড়ে থাকে ওই কবিতার খাতাতেই। শীর্ষেন্দুকে নিয়ে শীর্ষে যাওয়ার স্বপ্নগুলো আর এ সমাজে টেকে নাহ।
যা হতে চেয়েছি হতে পারিনি। যা হতে চাচ্ছি তাও কখনো পারবো কিনা জানিনা। শুধু শিখেছি প্রতিযোগিতায় রোবটের মতো দৌড়ে যেতে হবে। এগিয়ে থাকতে হবে। টিকে থাকতে হবে।
আজ এইচ.এস.সি রেজাল্ট। এই টিকে থাকার খেলায় আজ যেন সবাই টিকে থাকতে পারে সেই প্রার্থনাই করি।
©somewhere in net ltd.