নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহসান মুহাম্মাদ www.facebook.com/ahsan.muhaammad

অতঃপর নীরবতা

যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।

অতঃপর নীরবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক চিলতে হাসি দেখার নেশা

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮


ভুম ভুম করে একে বেকে বাইক চালিয়ে চলে যায় ছেলেগুলো। রাস্তার মোড়ে আঙুলের ফাঁকে সিগারেট রেখে কাউকে তোয়াক্কা না করেই মাথা উঁচু করে ধোয়া ছাড়ে। যেন তারা আজকাল এলাকার বিশাল সিনিয়র কেউ। কিন্তু এখনো সকালে স্কুল ড্রেস গায়ে পরতে দেখা যায় ওদের। আগে শার্টের কলার উঁচু রাখতো আর এখন গলা পর্যন্ত বোতাম লাগায়। চুল আগেও খাড়া থাকতো এখনো খাড়া কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে এখন মাথার দুই সাইডের চুল একদম আর্মি টাইপের কাট। মাঝখানে অনেকগুলা চুল। এদের কখন কি ট্রেন্ড চেঞ্জ হয় বুঝি না। শুধু বুঝি বেলাইনে চলে যাচ্ছে ছেলেগুলো।
বখে যাওয়ার অনেক উপায় ছিল। বিভিন্ন সার্কেল থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে এসেছি। বাবা মা'র কথা শুনতাম না ঠিকই কিন্তু বুঝতাম কাদের সাথে ঘোরাফেরা করলে, আড্ডা মারলে আর যাই হোক কেউ বলতে পারবে না যে, ছেলেটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাজে ছেলেদের সাথে যে চলাফেরা একেবারেই করতাম না তা না কিন্তু নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতাম সবসমই। সন্ধ্যার সময় ঘরে ঢুকে যেতাম সারাদিন হই হুল্লোড় করলেও। কারেন্ট যাওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, কখন যাবে আর একটু নিচে নামব। সেই দিন এখন নেই। অনেক পরিবর্তন এখনকার সময়ে।
সেদিন দেখলাম এক পিচ্চি ছেলেকে বাইক কিনে দিয়েছে বাবা। পিচ্চি, বাবা দুজনকেই চিনি। ছেলে সেভেন এইটে পড়ে হয়তো। বটবটি টাইপ বাইক। দেখলাম গলির ভিতর থেকে ধুম ধাম করে ধোঁয়া উড়াতে উড়াতে বেড়িয়ে যাচ্ছে। যেন জাহাজ গেল কোন। অথচ এখনো সিনিয়র কাউকে দেখলে দূর থেকেই গিয়ার নামিয়ে ফেলি বাইকের।
দোষটা কার আসলে? ওই ছেলেটার নাকি বাবা মায়ের।
ছেলে আবদার করেছে, একটাই সন্তান, এরকম অজুহাত দিয়ে আজকাল পার পাওয়ার চেষ্টা করেন গার্ডিয়ানরা। কিন্তু দিনশেষে ওই বাপ মা জানেন না ছেলেটা আমার কি করে বেড়াচ্ছে। আমাদের মায়ের মতো ছেলে বাসায় ফিরলে শার্টের গন্ধ শুঁকে দেখেন না তারা। দেখেন না ড্রয়ারে কোন সিগারেটের প্যাকেট আছে কিনা গোপনে।
গার্ডিয়ানদের দোষ অবশ্যই আছে। তাই বলে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়া ঠিক নারে ভাই। টাকা দিয়ে যে কাজ হয় না সে কাজ হয় ব্যবহারে, আদবে। বাপের টাকায় বাইক কিনে মেয়েদের স্কুলের সামনে ভুম ভুম করে লাভ নেই। এলাকায় গ্যাং বানিয়ে লাভ নেই যদি তা মানুষের উপকারে না আসে। এলাকায় ডিস্কো, স্টার না সেজে অন্তত একটা টিওশনি করে প্রথম মাসের টাকা দিয়ে বাবা মাকে কিছু কিনে দাও। দেখবে নেশা ধরে যাবে। বাজে কোন নেশা না। বাবা মায়ের চোখে মৃদু জল আর মুখে এক চিলতে হাসি দেখার নেশা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

ক্লে ডল বলেছেন: শেষ লাইন গুলো খুব ভাল লাগল।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এরা না থাকলে ঐশী, উত্তরায় গাং স্টার, জুনায়েদেরা আসবে কিভাবে?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: হুম আসলেই।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: এরকম একটা মন্তব্য করেছিলাম এক পোষ্টে, ব্লগার আমার কাছে প্রমাণ চেয়েছেন(মাননী জজ সাহেব আর কি X(( ) । আপনি তো সিগারেট পর্যন্ত গেছেন। আমি বলছি; এরা ইয়াবা, ডাইল পর্যন্ত নেমে গেছে। ব্যক্তিত্ববোধহীন, দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন, মিথ্যাস্বর্বস্ব প্রজন্ম এসে গেছে । এরা সবার সামনে সিগারেটে চুম্বক টান দেয়। সম্মান কি জিনিস জানতে চান এরা জানেইনা।

এগুলো একদিনে বা এমনি এমনি হয়না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: কিছু বলার নাই আসলে এদেরকে।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৯

সিগনেচার নসিব বলেছেন: অবিরত শুভেচ্ছা


ভাললাগা রেখে গেলাম

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: অবিরত শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.