নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহসান মুহাম্মাদ www.facebook.com/ahsan.muhaammad

অতঃপর নীরবতা

যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।

অতঃপর নীরবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তি কিংবা ব্যক্তিত্ব

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৩


মানুষের শ্রদ্ধা পেতে খুব বেশি কিছু করতে হয় না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাপারগুলোতেই সামান্য মানুষিকতার পরিবর্তন আনলেই পাওয়া যায় সম্মান, ভালোবাসা।

বাসে উঠে ভীড়ের মাঝে নিজে কষ্ট করে দাঁড়িয়েও আরেকজনকে একটু জায়গা করে দিতে খুব বেশি হয়তো কষ্ট করতে হয় না কিন্তু ওই লোকটি হয়তো হাফ ছেড়ে বাঁচে। বাসের গেটে বাদুরের মতো ঝোলা অবস্থায়ও আরেক অপরিচিত যাত্রীকে টেনে তুলে একসাথে গন্তব্যে যাওয়ার অনুভূতি আসলেই অন্যরকম।

মুচির কাছে গিয়ে তার সামনে পা সহ জুতা পালিশ না করে একটু কষ্ট করে জুতাটা খুলে তার হাতে দিলে মান সম্মানের হয়তো খুব একটা হানি হয়ে যায় না। বরং ওই নিখুত হাতে সেলাই করা মানুষটা আপনাকে সম্মানই করবে ভেতর থেকে।
রিক্সাওয়াদের তুই করে ডাকার মাঝে কোন গাম্ভীর্যতা কিংবা আভিজাত্য প্রকাশ পায় না। যেটা প্রকাশ পায় সেটা হচ্ছে আপনার ব্যক্তিত্ব। নোংরা ব্যক্তিত্ব।
রিক্সায় উঠে নিজে একা একটা সিগারেট না ধরিয়ে তার হাতেও একটি ধরিয়ে দিন। একসাথে খেতে খেতে পথ পাড়ি দিন। জমিয়ে ফেলুন গল্প। দেখবেন একজন রিক্সাওয়ালাও কতো আন্তরিক হতে পারে আপনার প্রতি।

এইসব ছোট ছোট কাজ করতে হয়তো কোন টাকা পয়সা খরচ হয় না। কিন্তু মনের ভেতর থেকে এক প্রকার শান্তি আসে। এক প্রকার তৃপ্তি পাওয়া যায়। আর সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটা পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে মানুষের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর কিছু গুণী দিক তুলে ধরেছেন মানুষের। সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে পেরেছেন। ভালো লাগলো পোষ্ট।
আজকাল মানুষ এই ধরণের নিখুঁত ভালোবাসা পাওয়ার কথা ভুলেও মনে করেনা(অনেকেই করেন, আমিও করি)। এই সামান্য কাজগুলিতে যে কি তৃপ্তি লুকানো তা যারা বুঝেছে তারা ধন্য হয়েছে।

আপনার পোষ্টে শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: শুভেচ্ছা নিবেন।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: রিক্সায় উঠে নিজে একা একটা সিগারেট না ধরিয়ে তার হাতেও একটি ধরিয়ে দিন। একসাথে খেতে খেতে পথ পাড়ি দিন। জমিয়ে ফেলুন গল্প। দেখবেন একজন রিক্সাওয়ালাও কতো আন্তরিক হতে পারে আপনার প্রতি।

হুম্ম ভাল বলেছেন । আমি তিন বার করেছিলাম এই কাজ ।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: প্লিজ কন্টিনিউ।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৩

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: বিষয়গুলো অনেক ছোট হলেও মর্মস্পর্শী। সকলের খেয়াল রাখা উচিৎ।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: জ্বী। ঠিক বলেছেন।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: সবাই যদি এরকম ছোট ছোট ভাল কাজগুলো করতে পারতুম পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত। তবে বাংলাদেশীরা পৃথিবীতে অন্যতম নিকৃস্ট মানবতাবোধহীন, অশিক্ষিত লোভী দুর্ণীতিবাজ অকর্মন্য অলস জাতি।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: মানবতাবোধহীন, দুর্ণীতিবাজে ছেয়ে গেছে দেশ।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

মফস্বলের মেয়েটি বলেছেন: বি আর টি সির বাস গুলোতে মানুষজন এরকম করে যখন যায়, আমার নিজেরি আতঙ্ক লাগে। কি সাহস এদের।।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

অতঃপর নীরবতা বলেছেন: কিছুই করার থাকে না লোকগুলোর। বাধ্য হয়ে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে অফিসে যেতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.